যখন তাহাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহা তোমরা অনুসরণ কর’, তাহারা বলে, ‘না, বরং আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে যাহাতে পাইয়াছি তাহার অনুসরণ করিব।’ এমন কি, তাহাদের পিতৃপুরুষগণ যদিও কিছুই বুঝিত না এবং তাহারা সৎপথেও পরিচালিত ছিল না-তৎসত্ত্বেও। (২:১৭০)
উহাদের নিকট ইব্রাহীমের বৃত্তান্ত বর্ণনা কর। (২৬:৬৯)
সে যখন তাহার পিতা ও তাহার সম্প্রদায়কে বলিয়াছিল, ‘তোমরা কিসের ‘ইবাদত কর?’ (২৬:৭০)
উহারা বলিল, ‘আমরা মূর্তির পূজা করি এবং আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে উহাদের পূজায় নিরত থাকিব।’ (২৬:৭১)
সে বলিল, ‘তোমরা প্রার্থনা করিলে উহারা কি শুনে?’ (২৬:৭২)
‘অথবা উহারা কি তোমাদের উপকার কিংবা অপকার করিতে পারে?’ (২৬:৭৩)
উহারা বলিল, ‘না, তবে আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে এইরূপই করিতে দেখিয়াছি।’ (২৬:৭৪)
সে বলিল, ‘তোমরা কি ভাবিয়া দেখিয়াছ, কিসের পূজা করিতেছ, (২৬:৭৫)
‘তোমরা এবং তোমাদের অতীত পিতৃপুরুষেরা? (২৬:৭৬)
তোমরা কি দেখ না, আল্লাহ্ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যাহা কিছু আছে সমস্তই তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করিয়াছেন এবং তোমাদের প্রতি তাঁহার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করিয়াছেন? মানুষের মধ্যে কেহ কেহ অজ্ঞতাবশত আল্লাহ্ সম্বন্ধে বিতন্ডা করে, তাহাদের না আছে পথনির্দেশক আর না আছে কোন দীপ্তিমান কিতাব। (৩১:২০)
উহাদেরকে যখন বলা হয়, ‘আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহা অনুসরণ কর।’ উহারা বলে, ‘বরং আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে যাহাতে পাইয়াছি তাহারই অনুসরণ করিব।’ শয়তান যদি উহাদেরকে জ্বলন্ত অগ্নির শাস্তির দিকে আহ্বান করে, তবুও কি? (৩১:২১)
যে কেহ আল্লাহ্র নিকট আত্মসমর্পণ করে এবং সৎকর্মপরায়ণ হয় সে তো দৃঢ়ভাবে ধারণ করে এক মযবুত হাতল, যাবতীয় কর্মের পরিণাম আল্লাহ্র ইখ্তিয়ারে। (৩১:২২)
আর কেহ কুফরী করিলে তাহার কুফরী যেন তোমাকে ক্লিষ্ট না করে। আমারই নিকট উহাদের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর আমি উহাদেরকে অবহিত করিব উহারা যাহা করিত। অন্তরে যাহা রহিয়াছে সে সম্বন্ধে আল্লাহ্ সবিশেষ অবহিত। (৩১:২৩)