তিনিই তোমাদেরকে মৃত্তিকা হইতে সৃষ্টি করিয়াছেন, অতঃপর এক কাল নির্দিষ্ট করিয়াছেন এবং আর একটি নির্ধারিত কাল আছে যাহা তিনিই জ্ঞাত, এতদ্সত্ত্বেও তোমরা সন্দেহ কর। (৬:২)
যাহারা আল্লাহ্র সম্মুখীন হওয়াকে মিথ্যা বলিয়াছে তাহারা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছে, এমনকি অকস্মাৎ তাহাদের নিকট যখন কিয়ামত উপস্থিত হইবে তখন তাহারা বলিবে, ‘হায়! ইহাকে আমরা যে অবহেলা করিয়াছি তজ্জন্য আক্ষেপ!’ তাহারা তাহাদের পৃষ্ঠে নিজেদের পাপ বহন করিবে; দেখ, তাহারা যাহা বহন করিবে তাহা অতি নিকৃষ্ট! (৬:৩১)
তুমি ইহা দ্বারা তাহাদেরকে সতর্ক করিয়া দাও যাহারা ভয় করে যে, তাহাদেরকে তাহাদের প্রতিপালকের নিকট সমবেত করা হইবে এমন অবস্থায় যে, তিনি ব্যতীত তাহাদের কোন অভিভাবক বা সুপারিশকারী থাকিবে না; হয়ত তাহারা সাবধান হইবে। (৬:৫১)
আল্লাহ্কে ছাড়িয়া যাহাদেরকে তাহারা ডাকে তাহাদেরকে তোমরা গালি দিও না। কেননা তাহারা সীমালংঘন করিয়া অজ্ঞানতাবশত আল্লাহ্কেও গালি দিবে। এইভাবে আমি প্রত্যেক জাতির দৃষ্টিতে তাহাদের কার্যকলাপ সুশোভন করিয়াছি; অতঃপর তাহাদের প্রতিপালকের নিকট তাহাদের প্রত্যাবর্তন। অনন্তর তিনি তাহাদেরকে তাহাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে অবহিত করিবেন। (৬:১০৮)
যাহারা অত্যাচারিত হইবার পর আল্লাহ্র পথে হিজরত করিয়াছে, আমি অবশ্যই তাহাদেরকে দুনিয়ায় উত্তম আবাস দিব; এবং আখিরাতের পুরস্কারই তো শ্রেষ্ঠ। হায়, উহারা যদি তাহা জানিত! (১৬:৪১)
ইহা এইজন্য যে, তাহারা দুনিয়ার জীবনকে আখিরাতের উপর প্রাধান্য দেয় এবং আল্লাহ্ কাফির সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না। (১৬:১০৭)
আমি তাহাকে দুনিয়ায় দিয়াছিলাম মঙ্গল এবং আখিরাতেও, সে নিশ্চয়ই সৎকর্মপরায়ণদের অন্যতম। (১৬:১২২)
যাহারা মু’মিন হইয়া আখিরাত কামনা করে এবং উহার জন্য যথাযথ চেষ্টা করে তাহাদের প্রচেষ্টা পুরস্কারযোগ্য। (১৭:১৯)
লক্ষ্য কর, আমি কীভাবে উহাদের এক দলকে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়াছি, আখিরাত তো নিশ্চয়ই মর্যাদায় মহত্তর ও গুণে শ্রেষ্ঠতর। (১৭:২১)
আর যে ব্যক্তি এইখানে অন্ধ সে আখিরাতেও অন্ধ এবং অধিকতর পথভ্রষ্ট। (১৭:৭২)
এবং এইভাবেই আমি প্রতিফল দেই তাহাকে, যে বাড়াবাড়ি করে ও তাহার প্রতিপালকের নিদর্শনে বিশ্বাস স্থাপন করে না। পরকালের শাস্তি তো অবশ্যই কঠিনতর ও অধিক স্থায়ী। (২০:১২৭)
জীবনমাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করিবে; আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দ্বারা বিশেষভাবে পরীক্ষা করিয়া থাকি এবং আমারই নিকট তোমরা প্রত্যানীত হইবে। (২১:৩৫)
মানুষের মধ্যে কেহ কেহ আল্লাহ্র ‘ইবাদত করে দ্বিধার সঙ্গে; তাহার মঙ্গল হইলে তাহাতে তাহার চিত্ত প্রশান্ত হয় এবং কোন বিপর্যয় ঘটিলে সে তাহার পূর্বাবস্থায় ফিরিয়া যায়। সে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দুনিয়াতে ও আখিরাতে; ইহাই তো সুস্পষ্ট ক্ষতি। (২২:১১)
এবং যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তন করিবে এই বিশ্বাসে তাহাদের যাহা দান করিবার তাহা দান করে ভীত-কম্পিত হৃদয়ে, (২৩:৬০)
যাহারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না তাহারা তো সরল পথ হইতে বিচ্যুত, (২৩:৭৪)
ইহা আখিরাতের সেই আবাস যাহা আমি নির্ধারিত করি তাহাদের জন্য যাহারা এই পৃথিবীতে উদ্ধত হইতে ও বিপর্যয় সৃষ্টি করিতে চাহে না। শুভ পরিণাম মুত্তাকীদের জন্য। (২৮:৮৩)
জীবমাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণকারী; অতঃপর তোমরা আমারই নিকট প্রত্যাবর্তিত হইবে। (২৯:৫৭)
এই পার্থিব জীবন তো ক্রীড়া-কৌতুক ব্যতীত কিছুই নয়। পারলৌকিক জীবনই তো প্রকৃত জীবন, যদি উহারা জানিত! (২৯:৬৪)
যাহারা সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয়, আর তাহারাই আখিরাতে নিশ্চিত বিশ্বাসী; (৩১:৪)
তাহারাই তাহাদের প্রতিপালকের নির্দেশিত পথে আছে এবং তাহারাই সফলকাম। (৩১:৫)
উহারা বলে, ‘আমরা মৃত্তিকায় পর্যবসিত হইলেও কি আমাদেরকে আবার নূতন করিয়া সৃষ্টি করা হইবে?’ বরং উহারা উহাদের প্রতিপালকের সাক্ষাৎ অস্বীকার করে। (৩২:১০)
যেদিন তাহারা আল্লাহ্র সঙ্গে সাক্ষাত করিবে, সেদিন তাহাদের প্রতি অভিবাদন হইবে ‘সালাম’। তিনি তাহাদের জন্য প্রস্তুত রাখিয়াছেন উত্তম প্রতিদান। (৩৩:৪৪)
এই দিন জান্নাতবাসিগণ আনন্দে মগ্ন থাকিবে, (৩৬:৫৫)
তাহারা এবং তাহাদের স্ত্রীগণ সুশীতল ছায়ায় সুসজ্জিত আসনে হেলান দিয়া বসিবে। (৩৬:৫৬)
সেখানে থাকিবে তাহাদের জন্য ফলমূল এবং তাহাদের জন্য বাঞ্ছিত সমস্ত কিছু, (৩৬:৫৭)
সালাম, পরম দয়ালু প্রতিপালকের পক্ষ হইতে সম্ভাষণ। (৩৬:৫৮)
আর ‘হে অপরাধিগণ! তোমরা আজ পৃথক হইয়া যাও।’ (৩৬:৫৯)
যাহারা যাকাত প্রদান করে না এবং উহারা আখিরাতেও অবিশ্বাসী। (৪১:৭)
যে কেহ আখিরাতের ফসল কামনা করে তাহার জন্য আমি তাহার ফসল বর্ধিত করিয়া দেই এবং যে কেহ দুনিয়ার ফসল কামনা করে আমি তাহাকে উহারই কিছু দেই, আখিরাতে তাহার জন্য কিছুই থাকিবে না। (৪২:২০)
কিন্তু তোমরা পার্থিব জীবনকে প্রাধান্য দাও, (৮৭:১৬)
অথচ আখিরাতই উৎকৃষ্টতর এবং স্থায়ী। (৮৭:১৭)
ইহা তো আছে পূর্ববর্তী গ্রন্থে- (৮৭:১৮)
ইব্রাহীম ও মূসার গ্রন্থে। (৮৭:১৯)
আমি তো মালিক পরলোকের ও ইহলোকের। (৯২:১৩)