জীবমাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করিবে। কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে তোমাদের কর্মফল পূর্ণ মাত্রায় দেওয়া হইবে। যাহাকে অগ্নি হইতে দূরে রাখা হইবে এবং জান্নাতে দাখিল করা হইবে সে-ই সফলকাম এবং পার্থিব জীবন ছলনাময় ভোগ ব্যতীত কিছুই নয়। (৩:১৮৫)
এইসব আল্লাহ্র নির্ধারিত সীমা। কেহ আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের আনুগত্য করিলে আল্লাহ্ তাহাকে দাখিল করিবেন জান্নাতে, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে এবং ইহা মহাসাফল্য। (৪:১৩)
এবং তাহাদের এই কথার জন্য আল্লাহ্ তাহদের পুরস্কার নির্দিষ্ট করিয়াছেন জান্নাত যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; তাহারা সেখানে স্থায়ী হইবে। ইহা সৎকর্মপরায়ণদের পুরস্কার। (৫:৮৫)
আল্লাহ্ বলিবেন, ‘এই সেই দিন যেদিন সত্যবাদিগণ তাহাদের সত্যতার জন্য উপকৃত হইবে, তাহাদরে জন্য আছে জান্নাত যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। তাহারা সেখানে চিরস্থায়ী হইবে; আল্লাহ্ তাহাদের প্রতি প্রসন্ন এবং তাহারাও তাঁহার প্রতি সন্তুষ্ট; ইহা মহাসফলতা।’ (৫:১১৯)
জান্নাতবাসিগণ দোজখবাসীদেরকে সম্বোধন করিয়া বলিবে, ‘আমাদের প্রতিপালক আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়াছিলেন আমরা তো তাহা সত্য পাইয়াছি। তোমাদের প্রতিপালক তোমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়াছিলেন তোমরা তাহা সত্য পাইয়াছ কি?’ উহারা বলিবে, ‘হ্যাঁ’। অতঃপর জনৈক ঘোষণাকারী তাহাদের মধ্যে ঘোষণা করিবে, ‘আল্লাহ্র লা‘নত জালিমদের উপর- (৭:৪৪)
‘যাহারা আল্লাহ্র পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিত এবং উহতে বক্রতা অনুসন্ধান করিত; উহারাই আখিরাত সম্বন্ধে অবিশ্বাসী।’ (৭:৪৫)
উভয়ের মধ্যে পর্দা আছে এবং আ‘রাফে কিছু লোক থাকিবে যাহারা প্রত্যেককে তাহার লক্ষণ দ্বারা চিনিবে এবং জান্নাবাসীদেরকে সম্বোধন করিয়া বলিবে, ‘তোমাদের শান্তি হউক।’ তাহারা তখনও জান্নাতে প্রবেশ করে নাই, কিন্তু আকাঙ্ক্ষা করে। (৭:৪৬)
যখন তাহাদের দৃষ্টি দোজখবাসীদের প্রতি ফিরাইয়া দেওয়া হইবে তখন তাহারা বলিবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে জালিমদের সঙ্গী করিও না।’ (৭:৪৭)
এবং যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের সন্তুষ্টি লাভের জন্য ধৈর্য ধারণ করে, সালাত কায়েম করে, আমি তাহাদেরকে যে জীবনোপকরণ দিয়াছি তাহা হইতে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে এবং যাহারা ভাল দ্বারা মন্দ দূরীভূত করে, ইহাদের জন্য শুভ পরিণাম- (১৩:২২)
স্থায়ী জান্নাত, উহাতে তাহারা প্রবেশ করিবে এবং তাহাদের পিতা-মাতা, পতি-পত্নী ও সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে যাহারা সৎকর্ম করিয়াছে তাহারাও এবং ফিরিশ্তাগণ তাহাদের নিকট উপস্থিত হইবে প্রত্যেক দ্বার দিয়া, (১৩:২৩)
এবং বলিবে, ‘তোমরা ধৈর্য ধারণ করিয়াছ বলিয়া তোমাদের প্রতি শান্তি; কত উত্তম এই পরিণাম। (১৩:২৪)
যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে-আমি তো তাহার শ্রমফল নষ্ট করি না-সে উত্তমরূপে কার্য সম্পাদন করে। (১৮:৩০)
উহাদেরই জন্য আছে স্থায়ী জান্নাত যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে উহাদেরকে স্বর্ণ-কংকনে অলংকৃত করা হইবে, উহারা পরিধান করিবে, সূক্ষ্ম ও পুরু রেশমের সবুজ বস্ত্র ও সেখানে সমাসীন হইবে সুসজ্জিত আসনে; কত সুন্দর পুরস্কার ও উত্তম আশ্রয়স্থল! (১৮:৩১)
যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ্ তাহাদেরকে দাখিল করিবেন জান্নাতে যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তাহাদেরকে অলঙ্কৃত করা হইবে স্বর্ণ-কঙ্কন ও মুক্তা দ্বারা এবং সেখানে তাহাদেরে পোশাক-পরিচ্ছদ হইবে রেশমের। (২২:২৩)
তাহাদেরকে পবিত্র বাক্যের অনুগামী করা হইয়াছিল এবং তাহারা পরিচালিত হইয়াছিল পরম প্রশংসাভাজন আল্লাহ্র পথে। (২২:২৪)
অবশ্যই সফলকাম হইয়াছে মু’মিনগণ, (২৩:১)
যাহারা বিনয়-নম্র নিজেদের সালাতে, (২৩:২)
যাহারা অসার ক্রিয়াকলাপ হইতে বিরত থাকে, (২৩:৩)
যাহারা যাকাতদানে সক্রিয়, (২৩:৪)
যাহারা নিজেদের যৌন অঙ্গকে সংযত রাখে, (২৩:৫)
নিজেদের পত্নী অথবা অধিকারভুক্ত দাসিগণ ব্যতীত, ইহাতে তাহারা নিন্দনীয় হইবে না, (২৩:৬)
এবং কেহ ইহাদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করিলে তাহারা হইবে সীমালংঘনকারী, (২৩:৭)
এবং যাহারা নিজেদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, (২৩:৮)
এবং যাহারা নিজেদের সালাতসমূহে যত্নবান থাকে, (২৩:৯)
তাহারাই হইবে অধিকারী- (২৩:১০)
অধিকারী হইবে ফিরদাওসের যাহাতে উহারা স্থায়ী হইবে। (২৩:১১)
যে ব্যক্তি তওবা করে ও সৎকর্ম করে সে সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ্র অভিমুখী হয়। (২৫:৭১)
এবং যাহারা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না এবং অসার ক্রিয়াকলাপের সম্মুখীন হইলে স্বীয় মর্যাদার সঙ্গে উহা পরিহার করিয়া চলে। (২৫:৭২)
এবং যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের আয়াত স্মরণ করাইয়া দিলে উহার প্রতি অন্ধ এবং বধিরসদৃশ আচরণ করে না, (২৫:৭৩)
এবং যাহারা প্রার্থনা করে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান কর যাহারা হইবে আমাদের জন্য নয়নপ্রীতিকর এবং আমাদেরকে কর মুত্তাকীদের জন্য অনুসরণযোগ্য। (২৫:৭৪)
তাহাদেরকে প্রতিদান দেওয়া হইবে জান্নাতের সুউচ্চ কক্ষ যেহেতু তাহারা ছিল ধৈর্যশীল, তাহাদেরকে সেখানে অভ্যর্থনা করা হইবে অভিবাদন ও সালাম সহকারে। (২৫:৭৫)
সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে। আশ্রয়স্থল ও বসতি হিসাবে উহা কত উৎকৃষ্ট। (২৫:৭৬)
ইহা আখিরাতের সেই আবাস যাহা আমি নির্ধারিত করি তাহাদের জন্য যাহারা এই পৃথিবীতে উদ্ধত হইতে ও বিপর্যয় সৃষ্টি করিতে চাহে না। শুভ পরিণাম মুত্তাকীদের জন্য। (২৮:৮৩)
যে কেহ সৎকর্ম লইয়া উপস্থিত হয় তাহার জন্য রহিয়াছে উহা অপেক্ষা উত্তম ফল, আর যে কর্ম লইয়া উপস্থিত হয়, তবে যাহারা মন্দ কর্ম করে তাহাদেরকে তাহারা যাহা করিয়াছে উহারই শাস্তি দেওয়া হইবে। (২৮:৮৪)
হে আমার মু’মিন বান্দাগণ! নিশ্চয় আমার পৃথিবী প্রশস্ত; সুতরাং তোমরা আমারই ‘ইবাদত কর। (২৯:৫৬)
জীবমাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণকারী; অতঃপর তোমরা আমারই নিকট প্রত্যাবর্তিত হইবে। (২৯:৫৭)
যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আমি অবশ্যই তাহাদের বসবাসের জন্য সুউচ্চ প্রাসাদ দান করিব জান্নাতে, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে, কত উত্তম প্রতিদান সেই সকল কর্মশীলদের জন্য, (২৯:৫৮)
যাহারা ধৈর্য ধারণ করে এবং তাহাদের প্রতিপালকের উপর নির্ভর করে। (২৯:৫৯)
অতএব যাহারা ঈমান আনিয়াছে ও সৎকর্ম করিয়াছে তাহারা জান্নাতে থাকিবে; (৩০:১৫)
তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি এমন কিছু নয় যাহা তোমাদেরকে আমার নিকটবর্তী করিয়া দিবে; তবে যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাহারাই তাহাদের কর্মের জন্য পাইবে বহুগুণ পুরস্কার; আর তাহারা প্রাসাদে নিরাপদে থাকিবে। (৩৪:৩৭)
এই দিন জান্নাতবাসিগণ আনন্দে মগ্ন থাকিবে, (৩৬:৫৫)
তাহারা এবং তাহাদের স্ত্রীগণ সুশীতল ছায়ায় সুসজ্জিত আসনে হেলান দিয়া বসিবে। (৩৬:৫৬)
সেখানে থাকিবে তাহাদের জন্য ফলমূল এবং তাহাদের জন্য বাঞ্ছিত সমস্ত কিছু, (৩৬:৫৭)
সালাম, পরম দয়ালু প্রতিপালকের পক্ষ হইতে সম্ভাষণ। (৩৬:৫৮)
হে আমার বান্দাগণ! আজ তোমাদের কোন ভয় নাই এবং তোমরা দুঃখিতও হইবে না। (৪৩:৬৮)
যাহারা আমার আয়াতে বিশ্বাস করিয়াছিল এবং আত্মসমর্পণ করিয়াছিল- (৪৩:৬৯)
তোমরা এবং তোমাদের সহধর্মিণীগণ সানন্দে জান্নাতে প্রবেশ কর। (৪৩:৭০)
স্বর্ণের থালা ও পানপাত্র লইয়া তাহাদেরকে প্রদক্ষিণ করা হইবে; সেখানে রহিয়াছে সমস্ত কিছু, যাহা অন্তর চাহে এবং যাহাতে নয়ন তৃপ্ত হয়। সেখানে তোমরা স্থায়ী হইবে। (৪৩:৭১)
ইহাই জান্নাত, তোমাদেরকে যাহার অধিকারী করা হইয়াছে, তোমাদের কর্মের ফলস্বরূপ। (৪৩:৭২)
সেখানে তোমাদের জন্য রহিয়াছে প্রচুর ফলমূল, তাহা হইতে তোমরা আহার করিবে। (৪৩:৭৩)
আর জান্নাতকে নিকটস্থ করা হইবে মুত্তাকীদের-কোন দূরত্ব থাকিবে না। (৫০:৩১)
ইহারই প্রতিশ্রুতি তোমাদেরকে দেওয়া হইয়াছিল-প্রত্যেক আল্লাহ্-অভিমুখী, হিফাযতকারীর জন্য- (৫০:৩২)
যাহারা না দেখিয়া দয়াময় আল্লাহ্কে ভয় করে এবং বিনীত চিত্তে উপস্থিত হয়- (৫০:৩৩)
তাহাদেরকে বলা হইবে, ‘শান্তির সঙ্গে তোমরা উহাতে প্রবেশ কর; উহা অনন্ত জীবনের দিন।’ (৫০:৩৪)
এখানে তাহারা যাহা কামনা করিবে তাহাই পাইবে এবং আমার নিকট রহিয়াছে তাহারও অধিক। (৫০:৩৫)
সেদিন নিশ্চয়ই মুত্তাকীরা থাকিবে প্রস্রবণ-বিশিষ্ট জান্নাতে, (৫১:১৫)
উপভোগ করিবে তাহা যাহা তাহাদের প্রতিপালক তাহাদেরকে দিবেন; কারণ পার্থিব জীবনে তাহারা ছিল সৎকর্মপরায়ণ, (৫১:১৬)
তাহারা রাত্রির সামান্য অংশই অতিবাহিত করিত নিদ্রায়, (৫১:১৭)
রাত্রির শেষ প্রহরে তাহারা ক্ষমা প্রার্থনা করিত, (৫১:১৮)
এবং তাহাদের ধন-সম্পদে রহিয়াছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতের হক। (৫১:১৯)
নিশ্চিত বিশ্বাসীদের জন্য নিদর্শন রহিয়াছে ধরিত্রীতে (৫১:২০)
মুত্তাকীরা তো থাকিবে জান্নাতে ও আরাম-আয়েশে, (৫২:১৭)
তাহাদের প্রতিপালক তাহাদেরকে যাহা দিবেন তাহারা তাহা উপভোগ করিবে এবং তাহাদের রব তাহাদেরকে রক্ষা করিবেন জাহান্নামের আযাব হইতে, (৫২:১৮)
‘তোমরা যাহা করিতে তাহার প্রতিফলস্বরূপ তোমরা তৃপ্তির সঙ্গে পানাহার করিতে থাক।’ (৫২:১৯)
তাহারা বসিবে শ্রেণীবদ্ধভাবে সজ্জিত আসনে হেলান দিয়া; আমি তাহাদের মিলন ঘটাইব আয়তলোচনা হূরের সঙ্গে; (৫২:২০)
এবং যাহারা ঈমান আনে আর তাহাদের সন্তান-সন্ততি ঈমানে তাহাদের অনুগামী হয়, তাহাদের সঙ্গে মিলিত করিব তাহাদের সন্তান-সন্ততিকে এবং তাহাদের কর্মফল আমি কিছুমাত্র হ্রাস করিব না; প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের জন্য দায়ী। (৫২:২১)
আমি তাহাদেরকে দিব ফলমূল এবং গোশত্ যাহা তাহারা পসন্দ করে। (৫২:২২)
সেখানে তাহারা পরস্পরের মধ্যে আদান-প্রদান করিতে থাকিবে পানপাত্র, যাহা হইতে পান করিলে কেহ অসার কথা বলিবে না এবং পাপ কর্মেও লিপ্ত হইবে না। (৫২:২৩)
তাহাদের সেবায় নিয়োজিত থাকিবে কিশোরেরা, সুরক্ষিত মুক্তাসদৃশ। (৫২:২৪)
তাহারা একে অপরের দিকে ফিরিয়া জিজ্ঞাসা করিবে, (৫২:২৫)
এবং বলিবে, ‘পূর্বে আমরা পরিবার-পরিজনের মধ্যে শঙ্কিত অবস্থায় ছিলাম। (৫২:২৬)
‘অতঃপর আমাদের প্রতি আল্লাহ্ অনুগ্রহ করিয়াছেন এবং আমাদেরকে অগ্নিশাস্তি হইতে রক্ষা করিয়াছেন। (৫২:২৭)
‘আমরা পূর্বেও আল্লাহ্কে আহ্বান করিতাম, তিনি তো কৃপাময়, পরম দয়ালু।’ (৫২:২৮)
মুত্তাকীরা থাকিবে স্রোতস্বিনী বিধৌত জান্নাতে, (৫৪:৫৪)
যোগ্য আসনে, সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী আল্লাহ্র সান্নিধ্যে। (৫৪:৫৫)
যখন কিয়ামত ঘটিবে, (৫৬:১)
ইহার সংঘটন অস্বীকার করিবার কেহ থাকিবে না। (৫৬:২)
ইহা কাহাকেও করিবে নীচ, কাহাকেও করিবে সমুন্নত; (৫৬:৩)
যখন প্রবল কম্পনে প্রকম্পিত হইবে পৃথিবী (৫৬:৪)
এবং পর্বতমালা চূর্ণ-বিচূর্ণ হইয়া পড়িবে, (৫৬:৫)
ফলে উহা পর্যবসিত হইবে উৎক্ষিপ্ত ধূলিকণায়; (৫৬:৬)
এবং তোমরা বিভক্ত হইয়া পড়িবে তিন শ্রেণীতে- (৫৬:৭)
ডান দিকের দল; কত ভাগ্যবান ডান দিকের দল! (৫৬:৮)
এবং বাম দিকের দল; কত হতভাগ্য বাম দিকের দল! (৫৬:৯)
আর অগ্রবর্তীগণই তো অগ্রবর্তী, (৫৬:১০)
উহারাই নৈকট্যপ্রাপ্ত- (৫৬:১১)
নিয়ামতপূর্ণ উদ্যানে; (৫৬:১২)
বহুসংখ্যক হইবে পূর্ববর্তীদের মধ্য হইতে; (৫৬:১৩)
এবং অল্পসংখ্যক হইবে পরবর্তীদের মধ্য হইতে। (৫৬:১৪)
স্বর্ণখচিত আসনে (৫৬:১৫)
উহারা হেলান দিয়া বসিবে, পরস্পর মুখোমুখি হইয়া। (৫৬:১৬)
তাহাদের সেবায় ঘোরাফেরা করিবে চির-কিশোরেরা (৫৬:১৭)
পানপাত্র, কুঁজা ও প্রস্রবণ-নিঃসৃত সুরাপূর্ণ পেয়ালা লইয়া। (৫৬:১৮)
সেই সুরা পানে তাহাদের শিরঃপীড়া হইবে না, তাহারা জ্ঞানহারাও হইবে না- (৫৬:১৯)
এবং তাহাদের পসন্দমত ফলমূল, (৫৬:২০)
আর তাহাদের ঈস্পিত পাখির গোশ্ত লইয়া, (৫৬:২১)
আর তাহাদের জন্য থাকিবে আয়তলোচনা হূর, (৫৬:২২)
সুরক্ষিত মুক্তাসদৃশ, (৫৬:২৩)
তাহাদের কর্মের পুরস্কারস্বরূপ। (৫৬:২৪)
সেখানে তাহারা শুনিবে না কোন অসার অথবা পাপবাক্য, (৫৬:২৫)
‘সালাম’ আর ‘সালাম’ বাণী ব্যতীত। (৫৬:২৬)
আর ডানদিকের দল, কত ভাগ্যবান ডাকদিকের দল! (৫৬:২৭)
তাহারা থাকিবে এমন উদ্যানে, সেখানে আছে কণ্টকহীন কুলবৃক্ষ, (৫৬:২৮)
কাঁদি ভরা কদলী বৃক্ষ, (৫৬:২৯)
সম্প্রসারিত ছায়া, (৫৬:৩০)
সদা প্রবহমান পানি, (৫৬:৩১)
ও প্রচুর ফলমূল, (৫৬:৩২)
যাহা শেষ হইবে না ও যাহা নিষিদ্ধও হইবে না। (৫৬:৩৩)
আর সমুচ্চ শয্যাসমূহ; (৫৬:৩৪)
উহাদেরকে আমি সৃষ্টি করিয়াছি বিশেষরূপে- (৫৬:৩৫)
উহাদেরকে করিয়াছি কুমারী, (৫৬:৩৬)
সোহাগিনী ও সমবয়স্কা, (৫৬:৩৭)
ডানদিকের লোকদের জন্য। (৫৬:৩৮)
হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহ্র নিকট তওবা কর-বিশুদ্ধ তওবা; তাহা হইলে তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের মন্দ কর্মগুলি মোচন করিয়া দিবেন এবং তোমাদেরকে দাখিল করিবেন জান্নাতে, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। সেই দিন আল্লাহ্ লজ্জা দিবেন না নবীকে এবং তাহার মু’মিন সঙ্গীদেরকে, তাহাদের জ্যোতি তাহাদের সম্মুখে ও দক্ষিণ পার্শ্বে ধাবিত হইবে। তাহারা বলিবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জ্যোতিকে পূর্ণতা দান কর এবং আমাদেরকে ক্ষমা কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (৬৬:৮)
মুত্তাকীদের জন্য অবশ্যই রহিয়াছে ভোগ-বিলাসপূর্ণ জান্নাত তাহাদের প্রতিপালকের নিকট। (৬৮:৩৪)
আকি কি আত্মসমর্পণ-কারীদেরকে অপরাধীদের সমতুল্য গণ্য করিব? (৬৮:৩৫)
তখন যাহাকে তাহার ‘আমলনামা তাহার দক্ষিণ হস্তে দেওয়া হইবে, সে বলিবে, ‘লও, আমার ‘আমলনামা, পড়িয়া দেখ; (৬৯:১৯)
‘নিশ্চয়ই আমি জানিতাম যে, আমাকে আমার হিসাবের সম্মুখীন হইতে হইবে।’ (৬৯:২০)
সুতরাং সে যাপন করিবে সন্তোষজনক জীবন; (৬৯:২১)
সুউচ্চ জান্নাতে- (৬৯:২২)
যাহার ফলরাশি অবনমিত থাকিবে নাগালের মধ্যে। (৬৯:২৩)
তবে সালাত আদায়কারীগণ ব্যতীত, (৭০:২২)
যাহারা তাহাদের সালাতে সদা প্রতিষ্ঠিত, (৭০:২৩)
আর যাহাদের সম্পদে নির্ধারিত হক রহিয়াছে (৭০:২৪)
যাচ্ঞাকারী ও বঞ্চিতের, (৭০:২৫)
এবং যাহারা কর্মফল দিবসকে সত্য বলিয়া জানে। (৭০:২৬)
আর যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের শাস্তি সম্পর্কে ভীতসন্ত্রস্ত- (৭০:২৭)
নিশ্চয়ই তাহাদের প্রতিপালকের শাস্তি হইতে নিঃশংক থাকা যায় না- (৭০:২৮)
এবং যাহারা নিজেদের যৌন অঙ্গকে সংযত রাখে, (৭০:২৯)
তাহাদের পত্নী অথবা অধিকারভুক্ত দাসী ব্যতীত, ইহাতে তাহারা নিন্দনীয় হইবে না- (৭০:৩০)
তবে কেহ ইহাদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করিলে তাহারা হইবে সীমালংঘনকারী- (৭০:৩১)
এবং যাহারা আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, (৭০:৩২)
আর যাহারা তাহাদের সাক্ষ্যদানে অটল, (৭০:৩৩)
এবং নিজেদের সালাতে যত্নবান- (৭০:৩৪)
তাহারাই সম্মানিত হইবে জান্নাতে। (৭০:৩৫)
সৎকর্মশীলেরা পান করিবে এমন পানীয় যাহার মিশ্রণ কাফূর- (৭৬:৫)
এমন একটি প্রস্রবণ যাহা হইতে আল্লাহ্র বান্দাগণ পান করিবে, তাহারা এই প্রস্রবণকে যথা ইচ্ছা প্রবাহিত করিবে। (৭৬:৬)
অবশ্যই মুত্তাকীরা থাকিবে ছায়ায় ও প্রস্রবণবহুল স্থানে, (৭৭:৪১)
তাহাদের বাঞ্ছিত ফলমূলের প্রাচুর্যের মধ্যে। (৭৭:৪২)
‘তোমাদের কর্মের পুরস্কারস্বরূপ তোমরা তৃপ্তির সঙ্গে পানাহার কর।’ (৭৭:৪৩)
এইভাবে আমি সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করিয়া থাকি। (৭৭:৪৪)
সেই দিন দুর্ভোগ অস্বীকারকারীদের জন্য। (৭৭:৪৫)
তোমরা আহার কর এবং ভোগ করিয়া লও অল্প কিছু দিন, তোমরা তো অপরাধী। (৭৭:৪৬)
সেই দিন দুর্ভোগ অস্বীকারকারীদের জন্য। (৭৭:৪৭)
যখন উহাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ্র প্রতি নত হও’ উহারা নত হয় না। (৭৭:৪৮)
সেই দিন দুর্ভোগ অস্বীকারকারীদের জন্য। (৭৭:৪৯)
সুতরাং উহারা কুরআনের পরিবর্তে আর কোন্ কথায় বিশ্বাস স্থাপন করিবে? (৭৭:৫০)
মুত্তাকীদের জন্য তো আছে সাফল্য, (৭৮:৩১)
উদ্যান, দ্রাক্ষা, (৭৮:৩২)
সমবয়স্কা উদ্ভিন্ন যৌবনা তরুণী (৭৮:৩৩)
এবং পূর্ণ পানপাত্র। (৭৮:৩৪)
সেখানে তাহারা শুনিবে না অসার ও মিথ্যা বাক্য; (৭৮:৩৫)
এবং জান্নাত যখন সমীপবর্তী করা হইবে, (৮১:১৩)
যাহারা আল্লাহ্র সান্নিধ্যপ্রাপ্ত তাহারা উহা দেখে। (৮৩:২১)
পুণ্যবানগণ তো থাকিবে পরম স্বাচ্ছন্দ্যে, (৮৩:২২)
তাহারা সুসজ্জিত আসনে বসিয়া অবলোকন করিবে। (৮৩:২৩)
তুমি তাহাদের মুখমন্ডলে স্বাচ্ছন্দ্যের দীপ্তি দেখিতে পাইবে, (৮৩:২৪)
তাহাদেরকে মোহর করা বিশুদ্ধ পানীয় হইতে পান করান হইবে; (৮৩:২৫)
উহার মোহর মিস্কের, এ বিষয়ে প্রতিযোগীরা প্রতিযোগিতা করুক। (৮৩:২৬)
উহার মিশ্রণ হইবে তাস্নীমের, (৮৩:২৭)
ইহা একটি প্রস্রবণ, যাহা হইতে সান্নিধ্যপ্রাপ্তরা পান করে। (৮৩:২৮)