তাহাদের সেবায় ঘোরাফেরা করিবে চির-কিশোরেরা (৫৬:১৭)
পানপাত্র, কুঁজা ও প্রস্রবণ-নিঃসৃত সুরাপূর্ণ পেয়ালা লইয়া। (৫৬:১৮)
সেই সুরা পানে তাহাদের শিরঃপীড়া হইবে না, তাহারা জ্ঞানহারাও হইবে না- (৫৬:১৯)
এবং তাহাদের পসন্দমত ফলমূল, (৫৬:২০)
আর তাহাদের ঈস্পিত পাখির গোশ্ত লইয়া, (৫৬:২১)
আর তাহাদের জন্য থাকিবে আয়তলোচনা হূর, (৫৬:২২)
সুরক্ষিত মুক্তাসদৃশ, (৫৬:২৩)
তাহাদের কর্মের পুরস্কারস্বরূপ। (৫৬:২৪)
সেখানে তাহারা শুনিবে না কোন অসার অথবা পাপবাক্য, (৫৬:২৫)
‘সালাম’ আর ‘সালাম’ বাণী ব্যতীত। (৫৬:২৬)
আর ডানদিকের দল, কত ভাগ্যবান ডাকদিকের দল! (৫৬:২৭)
তাহারা থাকিবে এমন উদ্যানে, সেখানে আছে কণ্টকহীন কুলবৃক্ষ, (৫৬:২৮)
কাঁদি ভরা কদলী বৃক্ষ, (৫৬:২৯)
সম্প্রসারিত ছায়া, (৫৬:৩০)
সদা প্রবহমান পানি, (৫৬:৩১)
সদা প্রবহমান পানি, (৫৬:৩১)
যাহা শেষ হইবে না ও যাহা নিষিদ্ধও হইবে না। (৫৬:৩৩)
সৎকর্মশীলেরা পান করিবে এমন পানীয় যাহার মিশ্রণ কাফূর- (৭৬:৫)
এমন একটি প্রস্রবণ যাহা হইতে আল্লাহ্র বান্দাগণ পান করিবে, তাহারা এই প্রস্রবণকে যথা ইচ্ছা প্রবাহিত করিবে। (৭৬:৬)
তাহারা কর্তব্য পালন করে এবং সেই দিনের ভয় করে, যেই দিনের বিপত্তি হইবে ব্যাপক। (৭৬:৭)
আহার্যের প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও তাহারা অভাবগ্রস্ত, ইয়াতীম ও বন্দীকে আহার্য দান করে, (৭৬:৮)
এবং বলে, ‘কেবল আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আমরা তোমাদেরকে আহার্য দান করি, আমরা তোমাদের নিকট হইতে প্রতি-দান চাই না, কৃতজ্ঞতাও নয়। (৭৬:৯)
‘আমরা আশংকা করি আমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে এক ভীতিপ্রদ ভয়ংকর দিনের।’ (৭৬:১০)
পরিণামে আল্লাহ্ তাহাদেরকে রক্ষা করিবেন সেই দিবসের অনিষ্ট হইতে এবং তাহাদেরকে দিবেন উৎফুল্লতা ও আনন্দ, (৭৬:১১)
আর তাহাদের ধৈর্যশীলতার পুরস্কারস্বরূপ তাহাদেরকে দিবেন উদ্যান ও রেশমী বস্ত্র। (৭৬:১২)
সেখানে তাহারা সমাসীন হইবে সুসজ্জিত আসনে, তাহারা সেখানে অতিশয় গরম অথবা অতিশয় শীত বোধ করিবে না। (৭৬:১৩)
সন্নিহিত বৃক্ষছায়া তাহাদের উপর থাকিবে এবং উহার ফলমূল সম্পূর্ণরূপে তাহাদের আয়ত্তাধীন করা হইবে। (৭৬:১৪)
তাহাদেরকে পরিবেশন করা হইবে রৌপ্যপাত্রে এবং স্ফটিকের মত স্বচ্ছ পানপাত্রে- (৭৬:১৫)
তাহাদেরকে পরিবেশন করা হইবে রৌপ্যপাত্রে এবং স্ফটিকের মত স্বচ্ছ পানপাত্রে- (৭৬:১৫)
রজতশুভ্র স্ফটিক পাত্রে, পরিবেশনকারীরা যথাযথ পরিমাণে উহা পূর্ণ করিবে। (৭৬:১৬)
সেখানে তাহাদেরকে পান করিতে দেওয়া হইবে যান্জাবীল মিশ্রিত পানীয়, (৭৬:১৭)
জান্নাতের এমন এক প্রস্রবণের যাহার নাম সালসাবীল। (৭৬:১৮)
তাহাদেরকে পরিবেশন করিবে চিরকিশোরগণ, যখন তুমি উহাদেরকে দেখিবে তখন মনে করিবে উহারা যেন বিক্ষিপ্ত মুক্তা, (৭৬:১৯)
তুমি যখন সেখানে দেখিবে, দেখিতে পাইবে ভোগ-বিলাসের উপকরণ এবং বিশাল রাজ্য। (৭৬:২০)
তাহাদের আবরণ হইবে সূক্ষ্ম সবুজ রেশম ও স্থূল রেশম, তাহারা অলংকৃত হইবে রৌপ্য নির্মিত কংকনে, আর তাহাদের প্রতিপালকের তাহাদেরকে পান করাইবেন বিশুদ্ধ পানীয়। (৭৬:২১)
অবশ্য, ইহাই তোমাদের পুরস্কার এবং তোমাদের কর্মপ্রচেষ্টা স্বীকৃত। (৭৬:২২)
তাহাদের বাঞ্ছিত ফলমূলের প্রাচুর্যের মধ্যে। (৭৭:৪২)
‘তোমাদের কর্মের পুরস্কারস্বরূপ তোমরা তৃপ্তির সঙ্গে পানাহার কর।’ (৭৭:৪৩)
এইভাবে আমি সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করিয়া থাকি। (৭৭:৪৪)
পুণ্যবানগণ তো থাকিবে পরম স্বাচ্ছন্দ্যে, (৮৩:২২)
তাহারা সুসজ্জিত আসনে বসিয়া অবলোকন করিবে। (৮৩:২৩)
তুমি তাহাদের মুখমন্ডলে স্বাচ্ছন্দ্যের দীপ্তি দেখিতে পাইবে, (৮৩:২৪)
তাহাদেরকে মোহর করা বিশুদ্ধ পানীয় হইতে পান করান হইবে; (৮৩:২৫)
উহার মোহর মিস্কের, এ বিষয়ে প্রতিযোগীরা প্রতিযোগিতা করুক। (৮৩:২৬)
উহার মিশ্রণ হইবে তাস্নীমের, (৮৩:২৭)
ইহা একটি প্রস্রবণ, যাহা হইতে সান্নিধ্যপ্রাপ্তরা পান করে। (৮৩:২৮)