সৎকর্মশীলেরা পান করিবে এমন পানীয় যাহার মিশ্রণ কাফূর- (৭৬:৫)
এমন একটি প্রস্রবণ যাহা হইতে আল্লাহ্র বান্দাগণ পান করিবে, তাহারা এই প্রস্রবণকে যথা ইচ্ছা প্রবাহিত করিবে। (৭৬:৬)
তাহারা কর্তব্য পালন করে এবং সেই দিনের ভয় করে, যেই দিনের বিপত্তি হইবে ব্যাপক। (৭৬:৭)
আহার্যের প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও তাহারা অভাবগ্রস্ত, ইয়াতীম ও বন্দীকে আহার্য দান করে, (৭৬:৮)
এবং বলে, ‘কেবল আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আমরা তোমাদেরকে আহার্য দান করি, আমরা তোমাদের নিকট হইতে প্রতি-দান চাই না, কৃতজ্ঞতাও নয়। (৭৬:৯)
‘আমরা আশংকা করি আমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে এক ভীতিপ্রদ ভয়ংকর দিনের।’ (৭৬:১০)
পরিণামে আল্লাহ্ তাহাদেরকে রক্ষা করিবেন সেই দিবসের অনিষ্ট হইতে এবং তাহাদেরকে দিবেন উৎফুল্লতা ও আনন্দ, (৭৬:১১)
আর তাহাদের ধৈর্যশীলতার পুরস্কারস্বরূপ তাহাদেরকে দিবেন উদ্যান ও রেশমী বস্ত্র। (৭৬:১২)
সেখানে তাহারা সমাসীন হইবে সুসজ্জিত আসনে, তাহারা সেখানে অতিশয় গরম অথবা অতিশয় শীত বোধ করিবে না। (৭৬:১৩)
সন্নিহিত বৃক্ষছায়া তাহাদের উপর থাকিবে এবং উহার ফলমূল সম্পূর্ণরূপে তাহাদের আয়ত্তাধীন করা হইবে। (৭৬:১৪)
তাহাদেরকে পরিবেশন করা হইবে রৌপ্যপাত্রে এবং স্ফটিকের মত স্বচ্ছ পানপাত্রে- (৭৬:১৫)
রজতশুভ্র স্ফটিক পাত্রে, পরিবেশনকারীরা যথাযথ পরিমাণে উহা পূর্ণ করিবে। (৭৬:১৬)
সেখানে তাহাদেরকে পান করিতে দেওয়া হইবে যান্জাবীল মিশ্রিত পানীয়, (৭৬:১৭)
জান্নাতের এমন এক প্রস্রবণের যাহার নাম সালসাবীল। (৭৬:১৮)
তাহাদেরকে পরিবেশন করিবে চিরকিশোরগণ, যখন তুমি উহাদেরকে দেখিবে তখন মনে করিবে উহারা যেন বিক্ষিপ্ত মুক্তা, (৭৬:১৯)
তুমি যখন সেখানে দেখিবে, দেখিতে পাইবে ভোগ-বিলাসের উপকরণ এবং বিশাল রাজ্য। (৭৬:২০)
তাহাদের আবরণ হইবে সূক্ষ্ম সবুজ রেশম ও স্থূল রেশম, তাহারা অলংকৃত হইবে রৌপ্য নির্মিত কংকনে, আর তাহাদের প্রতিপালকের তাহাদেরকে পান করাইবেন বিশুদ্ধ পানীয়। (৭৬:২১)
অবশ্য, ইহাই তোমাদের পুরস্কার এবং তোমাদের কর্মপ্রচেষ্টা স্বীকৃত। (৭৬:২২)