আর কেহ আল্লাহ্ ও তাহার রাসূলের অবাধ্য হইলে এবং তাঁহার নির্ধারিত সীমালংঘন করিলে তিনি তাহাকে দোজখে নিক্ষেপ করিবেন; সেখানে সে স্থায়ী হইবে এবং তাহার জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি রহিয়াছে। (৪:১৪)
যাহারা কুফরী করিয়াছে ও আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করিয়াছে তাহারাই জাহান্নামবাসী। (৫:৮৬)
জান্নাতবাসিগণ দোজখবাসীদেরকে সম্বোধন করিয়া বলিবে, ‘আমাদের প্রতিপালক আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়াছিলেন আমরা তো তাহা সত্য পাইয়াছি। তোমাদের প্রতিপালক তোমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়াছিলেন তোমরা তাহা সত্য পাইয়াছ কি?’ উহারা বলিবে, ‘হ্যাঁ’। অতঃপর জনৈক ঘোষণাকারী তাহাদের মধ্যে ঘোষণা করিবে, ‘আল্লাহ্র লা‘নত জালিমদের উপর- (৭:৪৪)
‘যাহারা আল্লাহ্র পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিত এবং উহতে বক্রতা অনুসন্ধান করিত; উহারাই আখিরাত সম্বন্ধে অবিশ্বাসী।’ (৭:৪৫)
উভয়ের মধ্যে পর্দা আছে এবং আ‘রাফে কিছু লোক থাকিবে যাহারা প্রত্যেককে তাহার লক্ষণ দ্বারা চিনিবে এবং জান্নাবাসীদেরকে সম্বোধন করিয়া বলিবে, ‘তোমাদের শান্তি হউক।’ তাহারা তখনও জান্নাতে প্রবেশ করে নাই, কিন্তু আকাঙ্ক্ষা করে। (৭:৪৬)
যখন তাহাদের দৃষ্টি দোজখবাসীদের প্রতি ফিরাইয়া দেওয়া হইবে তখন তাহারা বলিবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে জালিমদের সঙ্গী করিও না।’ (৭:৪৭)
আমি তো বহু জিন ও মানবকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করিয়াছি; তাহাদের হৃদয় আছে কিন্তু তদ্দ্বারা তাহারা উপলব্ধি করে না, তাহাদের চক্ষু আছে তদ্দ্বারা দেখে না এবং তাহাদের কর্ণ আছে তদ্দ্বারা শ্রবণ করে না; ইহারা পশুর ন্যায়, বরং উহারা অধিক পথভ্রষ্ট। উহারাই গাফিল। (৭:১৭৯)
সেদিন যুদ্ধ-কৌশল অবলম্বন কিংবা দলে স্থান নেওয়া ব্যতীত কেহ তাহাদেরকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করিলে সে তো আল্লাহ্র বিরাগভাজন হইবে এবং তাহার আশ্রয় জাহান্নাম, আর উহা কত নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল! (৮:১৬)
তবে উহারা নয়, যাহাদেরকে তোমার প্রতিপালক দয়া করেন এবং তিনি উহাদেরকে এইজন্যই সৃষ্টি করিয়াছেন। ‘আমি জিন ও মানুষ উভয় দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করিবই’, তোমার প্রতিপালকের এই কথা পূর্ণ হইবেই। (১১:১১৯)
যাহারা আল্লাহ্র সঙ্গে দৃঢ় অঙ্গীকারে আবদ্ধ হইবার পর উহা ভঙ্গ করে, যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখিতে আল্লাহ্ আদেশ করিয়াছেন, তাহা ছিন্ন করে এবং পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করিয়া বেড়ায়, তাহাদের জন্য আছে লা‘নত এবং তাহাদের জন্য আছে মন্দ আবাস। (১৩:২৫)
আল্লাহ্ যাহার জন্য ইচ্ছা তাহার জীবনোপকরণ বর্ধিত করেন এবং সংকুচিত করেন; কিন্তু ইহারা পার্থিব জীবনে উল্লসিত, অথচ দুনিয়ার জীবন তো আখিরাতের তুলনায় ক্ষণস্থায়ী ভোগমাত্র। (১৩:২৬)
কাফিররা উহাদের রাসূলগণকে বলিয়াছিল, ‘আমরা তোমাদেরকে আমাদের দেশ হইতে অবশ্যই বহিষ্কার করিব অথবা তোমাদেরকে আমাদের ধর্মাদর্শে ফিরিয়া আসিতেই হইবে।’ অতঃপর রাসূলগণকে তাহাদের প্রতিপালক ওহী প্রেরণ করিলেন, জালিমদেরকে আমি অবশ্যই বিনাশ করিব; (১৪:১৩)
‘উহাদের পরে আমি তোমাদেরকে দেশে প্রতিষ্ঠিত করিবই; ইহা তাহাদের জন্য যাহারা ভয় রাখে আমার সম্মুখে উপস্থিত হওয়ার এবং ভয় রাখে আমার শাস্তির।’ (১৪:১৪)
উহারা বিজয় কামনা করিল এবং প্রত্যেক উদ্ধত স্বৈরাচারী ব্যর্থমনোরথ হইল। (১৪:১৫)
উহাদের প্রত্যেকের জন্য পরিণামে জাহান্নাম রহিয়াছে এবং পান করানো হইবে গলিত পুঁজ; (১৪:১৬)
যাহা সে অতি কষ্টে একেক ঢোক করিয়া গলাধঃকরণ করিবে এবং উহা গলাধঃকরণ করা প্রায় সহজ হইবে না। সর্বদিক হইতে তাহার নিকট আসিবে মৃত্যুযন্ত্রণা, কিন্তু তাহার মৃত্যু ঘটিবে না এবং ইহার পর কঠোর শাস্তি ভোগ করিতেই থাকিবে। (১৪:১৭)
যাহারা তাহাদের প্রতিপালককে অস্বীকার করে তাহাদের উপমা-তাহাদের কর্মসমূহ ভস্মসদৃশ যাহা ঝড়ের দিনের বাতাস প্রচন্ড বেগে উড়াইয়া লইয়া যায়। যাহা তাহারা উপার্জন করে তাহার কিছুই তাহারা তাহাদের কাজে লাগাইতে পারে না। ইহা তো ঘোর বিভ্রান্তি। (১৪:১৮)
তুমি কি লক্ষ্য কর না যে, আল্লাহ্ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী যথাবিধি সৃষ্টি করিয়াছেন? তিনি ইচ্ছা করিলে তোমাদের অস্তিত্ব বিলোপ করিতে পারেন এবং এক নূতন সৃষ্টি অস্তিত্বে আনিতে পারেন, (১৪:১৯)
আর ইহা আল্লাহ্ জন্য আদৌ কঠিন নয়। (১৪:২০)
সকলে আল্লাহ্র কিট উপস্থিত হইবে। যাহারা অহংকার করিত তখন দুর্বলেরা তাহাদেরকে বলিবে, ‘আমরা তো তোমাদের অনুসারী ছিলাম; এখন তোমরা আল্লাহ্র শাস্তি হইতে আমাদেরকে কিছুমাত্র রক্ষা করিতে পারিবে?’ উহারা বলিবে, ‘আল্লাহ্ আমাদেরকে সৎপথে পরিচালিত করিলে আমরাও তোমাদেরকে সৎপথে পরিচালিত করিতাম। এখন আমরা ধৈর্যচ্যুত হই অথবা ধৈর্যশীল হই একই কথা; আমাদের কোন নিষ্কৃতি নাই।’ (১৪:২১)
বল, ‘সত্য তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে; সুতরাং যাহার ইচ্ছা বিশ্বাস করুক ও যাহার ইচ্ছা সত্য প্রত্যাখ্যান করুক।’ নিশ্চয়ই আমি জালিমদের জন্য প্রস্তুত রাখিয়াছি অগ্নি, যাহার বেষ্টনী উহাদেরকে পরিবেষ্টন করিয়া থাকিবে। উহারা পানীয় চাহিলে উহাদেরকে দেওয়া হইবে গলিত ধাতুর ন্যায় পানীয়, যাহা উহাদের মুখমন্ডল দগ্ধ করিবে; ইহা নিকৃষ্ট পানীয়। আর জাহান্নাম কত নিকৃষ্ট আশ্রয়। (১৮:২৯)
ইহারা দুইটি বিবদমান পক্ষ, তাহারা তাহাদের প্রতিপালক সম্বন্ধে বিতর্ক করে; যাহারা কুফরী করে তাহাদের জন্য প্রস্তুত করা হইয়াছে আগুনের পোশাক, তাহাদের মাথার উপর ঢালিয়া দেওয়া হইবে ফুটন্ত পানি, (২২:১৯)
যাহা দ্বারা উহাদের উদরে যাহা আছে তাহা এবং উহাদের চর্ম বিগলিত করা হইবে। (২২:২০)
এবং উহাদের জন্য থাকিবে লৌহমুদগর। (২২:২১)
যখনই উহারা যন্ত্রণাকাতর হইয়া জাহান্নাম হইতে বাহির হইতে চাহিবে তখনই তাহাদেরকে ফিরাইয়া দেওয়া হইবে উহাতে; উহাদেরকে বলা হইবে, ‘আস্বাদন কর দহন-যন্ত্রণা।’ (২২:২২)
যাহারা কুফরী করে এবং মানুষকে নিবৃত্ত করে আল্লাহ্র পথ হইতে ও মসজিদুল হারাম হইতে, যাহা আমি করিয়াছি স্থানীয় ও বহিরাগত সকলের জন্য সমান, আর যে ইচ্ছা করে সীমালংঘন করিয়া উহাতে পাপ কার্যের, তাহাকে আমি আস্বাদন করাইব মর্মন্তুদ শাস্তির। (২২:২৫)
এবং যাহারা কুফরী করিয়াছে এবং আমার নিদর্শনাবলী ও আখিরাতের সাক্ষাৎ অস্বীকার করিয়াছে, তাহারাই শাস্তি ভোগ করিতে থাকিবে। (৩০:১৬)
আমি ইচ্ছা করিলে প্রত্যেক ব্যক্তিকে সৎপথে পরিচালিত করিতাম; কিন্তু আমার এই কথা অবশ্যই সত্য: আমি নিশ্চয়ই জিন ও মানুষ উভয় দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করিব। (৩২:১৩)
সুতরাং ‘শাস্তি আস্বাদন কর, কারণ আজিকার এই সাক্ষাতের কথা তোমরা বিস্মৃত হইয়াছিলে। আমিও তোমাদেরকে বিস্মৃত হইয়াছি, তোমরা যাহা করিতে তজ্জন্য তোমরা স্থায়ী শাস্তি ভোগ করিতে থাক।’ (৩২:১৪)
যাহারা আমার আয়াতকে ব্যর্থ করিবার চেষ্টা করিবে তাহারা শাস্তি ভোগ করিতে থাকিবে। (৩৪:৩৮)
শয়তান তো তোমাদের শত্রু; সুতরাং তাহাকে শত্রু হিসাবে গ্রহণ কর। সে তো তাহার দলবলকে আহ্বান করে কেবল এইজন্য যে, উহারা যেন জাহান্নামী হয়। (৩৫:৬)
যাহারা কুফরী করে তাহাদের জন্য আছে কঠিন শাস্তি এবং যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাহাদের জন্য আছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার। (৩৫:৭)
আর ‘হে অপরাধিগণ! তোমরা আজ পৃথক হইয়া যাও।’ (৩৬:৫৯)
হে বনী আদম! আমি কি তোমাদেরকে নির্দেশ দিই নাই যে, তোমরা শয়তানের দাসত্ব করিও না, কারণ সে তো তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু? (৩৬:৬০)
আর আমারই ‘ইবাদত কর, ইহাই সরল পথ। (৩৬:৬১)
শয়তান তো তোমাদের বহু দলকে বিভ্রান্ত করিয়াছিল, তবুও কি তোমরা বুঝ নাই? (৩৬:৬২)
ইহাই সেই জাহান্নাম, যাহার প্রতিশ্রুতি তোমাদেরকে দেওয়া হইয়াছিল। (৩৬:৬৩)
আজ তোমরা ইহাতে প্রবেশ কর; কারণ তোমরা ইহাকে অবিশ্বাস করিয়াছিলে। (৩৬:৬৪)
আমি আজ ইহাদের মুখ মোহর করিয়া দিব, ইহাদের হস্ত কথা বলিবে আমার সঙ্গে এবং ইহাদের চরণ সাক্ষ্য দিবে ইহাদের কৃতকর্মের। (৩৬:৬৫)
আমি ইচ্ছা করিলে অবশ্যই ইহাদের চক্ষুগুলিকে লোপ করিয়া দিতাম, তখন ইহারা পথ চলিতে চাহিলে কি করিয়া দেখিতে পাইত! (৩৬:৬৬)
এবং আমি ইচ্ছা করিলে অবশ্যই স্ব স্ব স্থানে ইহাদের আকৃতি পরিবর্তন করিয়া দিতাম, ফলে ইহারা চলিতে পারিত না এবং ফিরিয়াও আসিতে পারিত না। (৩৬:৬৭)
‘তোমরা দ্বারা ও তোমার অনুসারীদের দ্বারা আমি জাহান্নাম পূর্ণ করিবই।’ (৩৮:৮৫)
যখন উহারা জাহান্নামে পরস্পর বিতর্কে লিপ্ত হইবে তখন দুর্বলেরা দাম্ভিকদেরকে বলিবে, ‘আমরা তো তোমাদেরই অনুসারী ছিলাম, এখন কি তোমরা আমাদের হইতে জাহান্নামের আগুনের কিয়দংশ নিবারণ করিবে?’ (৪০:৪৭)
দাম্ভিকেরা বলিবে, ‘আমরা সকলেই তো জাহান্নামে আছি, নিশ্চয় আল্লাহ্ বান্দাদের বিচার তো করিয়া ফেলিয়াছেন।’ (৪০:৪৮)
অগ্নিবাসীরা জাহান্নামের প্রহরীদেরকে বলিবে, ‘তোমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রার্থনা কর তিনি যেন আমাদের হইতে লাঘব করেন এক দিনের শাস্তি।’ (৪০:৪৯)
তাহারা বলিবে, ‘তোমাদের নিকট কি স্পষ্ট নিদর্শনসহ তোমাদের রাসূলগণ আসে নাই?’ জাহান্নামীরা বলিবে, ‘অবশ্যই আসিয়াছিল।’ প্রহরীরা বলিবে, ‘তবে তোমরাই প্রার্থনা কর; আর কাফিরদের প্রার্থনা ব্যর্থই হয়। (৪০:৫০)
যেদিন জালিমদের ‘ওযর-আপত্তি কোন কাজে আসিবে না, আর উহাদের জন্য রহিয়াছে লা‘নত এবং উহাদের জন্য রহিয়াছে নিকৃষ্ট আবাস। (৪০:৫২)
নিশ্চয়ই অপরাধীরা জাহান্নামের শাস্তিতে থাকিবে স্থায়িভাবে; (৪৩:৭৪)
উহাদের শাস্তি লাঘব করা হইবে না এবং উহারা উহাতে হতাশ হইয়া পড়িবে। (৪৩:৭৫)
আমি উহাদের প্রতি জুলুম করি নাই, বরং উহারা নিজেরাই ছিল জালিম। (৪৩:৭৬)
উহারা চিৎকার করিয়া বলিবে, ‘হে মালিক, তোমার প্রতিপালক যেন আমাদেরকে নিঃশেষ করিয়া দেন।’ সে বলিবে, ‘তোমরা তো এইভাবেই থাকিবে।’ (৪৩:৭৭)
আল্লাহ্ বলিবেন, ‘আমি তো তোমাদের নিকট সত্য পৌঁছাইয়াছিলাম, কিন্তু তোমাদের অধিকাংশই ছিল সত্যবিমুখ।’ (৪৩:৭৮)
সেই দিন আমি জাহান্নামকে জিজ্ঞাসা করিব, ‘তুমি কি পূর্ণ হইয়া গিয়াছ?’ জাহান্নাম বলিবে, ‘আরও আছে কি?’ (৫০:৩০)
শপথ ধূলিঝঞ্ঝার, (৫১:১)
শপথ বোঝা বহনকারী মেঘপুঞ্জের, (৫১:২)
শপথ স্বচ্ছন্দগতি নৌযানের, (৫১:৩)
শপথ কর্ম বণ্টনকারী ফিরিশ্তাগণের- (৫১:৪)
তোমাদেরকে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি অবশ্যই সত্য। (৫১:৫)
কর্মফল দিবস অবশ্যম্ভাবী। (৫১:৬)
শপথ বহু পথবিশিষ্ট আকাশের, (৫১:৭)
তোমরা তো পরস্পর বিরোধী কথায় লিপ্ত। (৫১:৮)
যে ব্যক্তি সত্যভ্রষ্ট সে-ই উহা পরিত্যাগ করে, (৫১:৯)
অভিশপ্ত হউক মিথ্যাচারীরা, (৫১:১০)
যাহারা অজ্ঞ ও উদাসীন! (৫১:১১)
উহারা জিজ্ঞাসা করে, ‘কর্মফল দিবস কবে হইবে?’ (৫১:১২)
বল, ‘সেই দিন যখন উহাদেরকে শাস্তি দেওয়া হইবে অগ্নিতে।’ (৫১:১৩)
‘তোমরা তোমাদের শাস্তি আস্বাদন কর, তোমরা এই শাস্তিই ত্বরান্বিত করিতে চাহিয়াছিলে।’ (৫১:১৪)
শপথ তূর পর্বতের, (৫২:১)
শপথ কিতাবের, যাহা লিখিত আছে (৫২:২)
উন্মুক্ত পত্রে, (৫২:৩)
শপথ বায়তুল মা‘মূরের, (৫২:৪)
শপথ সমুন্নত আকশের, (৫২:৫)
এবং শপথ উদ্বেলিত সমুদ্রের- (৫২:৬)
তোমার প্রতিপালকের শাস্তি তো অবশ্যম্ভাবী, (৫২:৭)
ইহার নিবারণকারী কেহ নাই। (৫২:৮)
যেদিন আকাশ আন্দোলিত হইবে প্রবলভাবে (৫২:৯)
এবং পর্বত চলিবে দ্রুত; (৫২:১০)
দুর্ভোগ সেই দিন সত্য অস্বীকারকারীদের, (৫২:১১)
যাহারা ক্রীড়াচ্ছলে অসার কার্যকলাপে লিপ্ত থাকে। (৫২:১২)
যেদিন উহাদেরকে ধাক্কা মারিতে মারিতে লইয়া যাওয়া হইবে জাহান্নামের অগ্নির দিকে (৫২:১৩)
‘ইহাই সেই অগ্নি যাহাকে তোমরা মিথ্যা মনে করিতে।’ (৫২:১৪)
ইহা কি জাদু? না কি তোমরা দেখিতে পাইতেছ না? (৫২:১৫)
তোমরা ইহাতে প্রবেশ কর, অতঃপর তোমরা ধৈর্য ধারণ কর অথবা ধৈর্য ধারণ না কর, উভয়ই তোমাদের জন্য সমান। তোমরা যাহা করিতে তাহারই প্রতিফল তোমাদেরকে দেওয়া হইতেছে। (৫২:১৬)
তোমাদের মধ্যকার কাফিররা কি উহাদের অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ? না কি তোমাদের অব্যাহতির কোন সনদ রহিয়াছে পূর্ববর্তী কিতাবে? (৫৪:৪৩)
ইহারা কি বলে, ‘আমরা একসঙ্ঘবদ্ধ অপরাজেয় দল?’ (৫৪:৪৪)
এই দল তো শীঘ্রই পরাজিত হইবে এবং পৃষ্ঠপ্রদর্শন করিবে, (৫৪:৪৫)
অধিকন্তু কিয়ামত উহাদের শাস্তির নির্ধারিত কাল এবং কিয়ামত হইবে কঠিনতর ও তিক্ততর; (৫৪:৪৬)
নিশ্চয়ই অপরাধীরা বিভ্রান্ত ও বিকারগ্রস্ত। (৫৪:৪৭)
যেদিন উহাদের উপুড় করিয়া টানিয়া লইয়া যাওয়া হইবে জাহান্নামের দিকে; সেই দিন বলা হইবে, ‘জাহান্নামের যন্ত্রণা আস্বাদন কর।’ (৫৪:৪৮)
আমি সকল কিছু সৃষ্টি করিয়াছি নির্ধারিত পরিমাপে, (৫৪:৪৯)
আমার আদেশ তো একটি কথায় নিষ্পন্ন, চক্ষুর পলকের মত। (৫৪:৫০)
আমি ধ্বংস করিয়াছি তোমাদের মত দলগুলিকে; অতএব উহা হইতে উপদেশ গ্রহণকারী কেহ আছে কি? (৫৪:৫১)
উহাদের সমস্ত কার্যকলাপ আছে আমলনামায়, (৫৪:৫২)
আছে ক্ষুদ্র ও বৃহৎ সমস্ত কিছুই লিপিবদ্ধ। (৫৪:৫৩)
তাহাদের অনেকে হইবে পূর্ববর্তীদের মধ্য হইতে, (৫৬:৩৯)
এবং অনেকে হইবে পরবর্তীদের মধ্য হইতে। (৫৬:৪০)
আর বামদিকের দল, কত হতভাগ্য বাম দিকের দল! (৫৬:৪১)
উহারা থাকিবে অত্যুষ্ণ বায়ু ও উত্তপ্ত পানিতে, (৫৬:৪২)
কৃষ্ণবর্ণ ধূম্রের ছায়ায়, (৫৬:৪৩)
যাহা শীতল নয়, আরামদায়কও নয়। (৫৬:৪৪)
ইতিপূর্বে উহারা তো মগ্ন ছিল ভোগ-বিলাসে (৫৬:৪৫)
এবং উহারা অবিরাম লিপ্ত ছিল ঘোরতর পাপকর্মে। (৫৬:৪৬)
আর উহারা বলিত, ‘মরিয়া অস্থি ও মৃত্তিকায় পরিণত হইলেও কি উত্থিত হইব আমরা? (৫৬:৪৭)
‘এবং আমাদের পূর্বপুরুষগণও?’ (৫৬:৪৮)
বল, ‘অবশ্যই পূর্ববর্তিগণ ও পরবর্তিগণ- (৫৬:৪৯)
সকলকে একত্র করা হইবে এক নির্ধারিত দিনের নির্দিষ্ট সময়ে। (৫৬:৫০)
অতঃপর হে বিভ্রান্ত অস্বীকারকারীরা! (৫৬:৫১)
তোমরা অবশ্যই আহার করিবে যাক্কূম বৃক্ষ হইতে, (৫৬:৫২)
এবং উহা দ্বারা তোমরা উদর পূর্ণ করিবে, (৫৬:৫৩)
পরে তোমরা পান করিবে উহার উপর অত্যুষ্ণ পানি- (৫৬:৫৪)
আর পান করিবে তৃষ্ণার্ত উষ্ট্রের ন্যায়। (৫৬:৫৫)
কিয়ামতের দিন ইহাই হইবে উহাদের আপ্যায়ন। (৫৬:৫৬)
হে নবী! কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কর এবং উহাদের প্রতি কঠোর হও। উহাদের আশ্রয়স্থল জাহান্নাম, উহা কত নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল। (৬৬:৯)
কিন্তু যাহার ‘আমলনামা তাহার বাম হস্তে দেওয়া হইবে, সে বলিবে, ‘হায়! আমাকে যদি দেওয়াই না হইত আমার ‘আমলনামা, (৬৯:২৫)
‘এবং আমি যদি না জানিতাম আমার হিসাব! (৬৯:২৬)
‘হায়! আমার মৃত্যুই যদি আমার শেষ হইত। (৬৯:২৭)
‘আমার ধন-সম্পদ আমার কোন কাজেই আসিল না। (৬৯:২৮)
‘আমার ক্ষমতাও বিনষ্ট হইয়াছে।’ (৬৯:২৯)
ফিরিশ্তাদেরকে বলা হইবে, ‘ধর উহাকে, উহার গলদেশে বেড়ি পরাইয়া দাও। (৬৯:৩০)
‘অতঃপর উহাকে নিক্ষেপ কর জাহান্নামে। (৬৯:৩১)
‘পুনরায় তাহাকে শৃক্মখলিত কর সত্তর হস্ত দীর্ঘ এক শৃক্মখলে’, (৬৯:৩২)
সে তো মহান আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাসী ছিল না, (৬৯:৩৩)
এবং অভাবগ্রস্তকে অন্নদানে উৎসাহিত করিত না, (৬৯:৩৪)
অতএব এই দিন সেখানে তাহার কোন সুহৃদ থাকিবে না, (৬৯:৩৫)
এবং কোন খাদ্য থাকিবে না ক্ষতনিঃসৃত পুঁজ ব্যতীত, (৬৯:৩৬)
যাহা অপরাধী ব্যতীত কেহ খাইবে না। (৬৯:৩৭)
এক ব্যক্তি চাহিল সংঘটিত হউক শাস্তি, যাহা অবধারিত- (৭০:১)
কাফিরদের জন্য, ইহা প্রতিরোধ করিবার কেহ নাই। (৭০:২)
ইহা আসিবে আল্লাহ্র নিকট হইতে, যিনি সমুচ্চ মর্যাদার অধিকারী। (৭০:৩)
ফিরিশ্তা এবং রূহ্ আল্লাহ্র দিকে ঊর্ধ্বগামী হয় এমন এক দিনে, যাহার পরিমাণ পার্থিব পঞ্চাশ যাহার বৎসর। (৭০:৪)
সুতরাং তুমি ধৈর্যধারণ কর, পরম ধৈর্য। (৭০:৫)
উহারা ঐ দিনকে মনে করে সুদূর, (৭০:৬)
কিন্তু আমি দেখিতেছি ইহা আসন্ন। (৭০:৭)
সেদিন আকাশ হইবে গলিত ধাতুর মত (৭০:৮)
এবং পর্বতসমূহ হইবে রঙ্গীন পশমের মত, (৭০:৯)
এবং সুহৃদ সুহৃদের তত্ত্ব লইবে না, (৭০:১০)
উহাদেরকে করা হইবে একে অপরের দৃষ্টিগোচর। অপরাধী সেই দিনের শাস্তির বদলে দিতে চাইবে তাহার সন্তান-সন্ততিকে, (৭০:১১)
তাহার স্ত্রী ও ভ্রাতাকে, (৭০:১২)
তাহার জ্ঞাতি-গোষ্ঠীকে, যাহারা তাহাকে আশ্রয় দিত (৭০:১৩)
এবং পৃথিবীর সকলকে, যাহাতে এই মুক্তিপণ তাহাকে মুক্তি দেয়। (৭০:১৪)
না, কখনই নয়, ইহা তো লেলিহান অগ্নি, (৭০:১৫)
যাহা গাত্র হইতে চামড়া খসাইয়া দিবে। (৭০:১৬)
জাহান্নাম সেই ব্যক্তিকে ডাকিবে, যে সত্যের প্রতি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করিয়াছিল ও মুখ ফিরাইয়া লইয়াছিল। (৭০:১৭)
যে সম্পদ পুঞ্জীভূত এবং সংরক্ষিত করিয়া রাখিয়াছিল। (৭০:১৮)
যেদিন শিংগায় ফুৎকার দেওয়া হইবে (৭৪:৮)
সেই দিন হইবে এক সংকটের দিন- (৭৪:৯)
যাহা কাফিরদের জন্য সহজ নয়। (৭৪:১০)
ছাড়িয়া দাও আমাকে এবং যাহাকে আমি সৃষ্টি করিয়াছি একাকী। (৭৪:১১)
আমি তাহাকে দিয়াছি বিপুল ধন-সম্পদ। (৭৪:১২)
এবং নিত্য সঙ্গী পুত্রগণ, (৭৪:১৩)
এবং তাহাকে দিয়াছি স্বচ্ছন্দ জীবনের প্রচুর উপকরণ- (৭৪:১৪)
ইহার পরও সে কামনা করে যে, আমি তাহাকে আরও অধিক দেই। (৭৪:১৫)
না, তাহা হইবে না, সে তো আমার নিদর্শনসমূহের উদ্ধত বিরুদ্ধাচারী। (৭৪:১৬)
আমি অচিরেই তাহাকে চড়াইব শাস্তির পাহাড়ে। (৭৪:১৭)
সে তো চিন্তা করিল এবং সিদ্ধান্ত করিল। (৭৪:১৮)
অভিশপ্ত হউক সে! কেমন করিয়া সে এই সিদ্ধান্ত করিল! (৭৪:১৯)
আরও অভিশপ্ত হউক সে! কেমন করিয়া সে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইল! (৭৪:২০)
সে আবার চাহিয়া দেখিল। (৭৪:২১)
অতঃপর সে ভ্রূকুঞ্চিত করিল ও মুখ বিকৃত করিল। (৭৪:২২)
অতঃপর সে পিছন ফিরিল এবং দম্ভ প্রকাশ করিল। (৭৪:২৩)
এবং ঘোষণা করিল, ‘ইহা তো লোক পরম্পরায় প্রাপ্ত জাদু ভিন্ন আর কিছু নয়, (৭৪:২৪)
‘ইহা তো মানুষেরই কথা।’ (৭৪:২৫)
আমি তাহাকে নিক্ষেপ করিব সাকার-এ, (৭৪:২৬)
তুমি কি জান সাকার কী? (৭৪:২৭)
উহা উহাদেরকে জীবিতাবস্থায় রাখিবে না এবং মৃত অবস্থায়ও ছাড়িয়া দিবে না। (৭৪:২৮)
ইহা তো গাত্রচর্ম দগ্ধ করিবে, (৭৪:২৯)
সাকার-এর তত্ত্বাবধানে রহিয়াছে উনিশজন প্রহরী। (৭৪:৩০)
আমি ফিরিশ্তাদেরকে করিয়াছি জাহান্নামের প্রহরী; কাফিরদের পরীক্ষাস্বরূপই আমি উহাদের এই সংখ্যা উল্লেখ করিয়াছি যাহাতে কিতাবীদের দৃঢ় প্রত্যয় জন্মে, বিশ্বাসীদের বিশ্বাস বর্ধিত হয় এবং বিশ্বাসীগণ ও কিতাবীগণ সন্দেহ পোষণ না করে। ইহার ফলে, যাহাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তাহারা ও কাফিররা বলিবে, ‘আল্লাহ্ এই অভিনব উক্তি দ্বারা কি বুঝাইতে চাহিয়াছেন?’ এইভাবে আল্লাহ্ যাহাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাহাকে ইচ্ছা পথনির্দেশ করেন। তোমার প্রতিপালকের বাহিনী সম্পর্কে একমাত্র তিনিই জানেন। জাহান্নামের এই বর্ণনা তো মানুষের জন্য সাবধান বাণী। (৭৪:৩১)
আমি অকৃতজ্ঞদের জন্য প্রস্তুত রাখিয়াছি শৃংখল, বেড়ি ও লেলিহান অগ্নি। (৭৬:৪)
বিচার দিবস সম্বন্ধে তুমি কী জান? (৭৭:১৪)
সেই দিন দুর্ভোগ অস্বীকারকারীদের জন্য। (৭৭:১৫)
আমি কি পূর্ববর্তীদেরকে ধ্বংস করি নাই? (৭৭:১৬)
অতঃপর আমি পরবর্তীদেরকে উহাদের অনুগামী করিব। (৭৭:১৭)
অপরাধীদের প্রতি আমি এইরূপই করিয়া থাকি। (৭৭:১৮)
সেই দিন দুর্ভোগ অস্বীকারকারীদের জন্য। (৭৭:১৯)
আমি কি তোমাদেরকে তুচ্ছ পানি হইতে সৃষ্টি করি নাই? (৭৭:২০)
অতঃপর আমি উহা রাখিয়াছি নিরাপদ আধারে, (৭৭:২১)
এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত, (৭৭:২২)
অতঃপর আমি ইহাকে গঠন করিয়াছি পরিমিতভাবে, আমি কত নিপুণ স্রষ্টা! (৭৭:২৩)
সেই দিন দুর্ভোগ অস্বীকারকারীদের জন্য। (৭৭:২৪)
আমি কি ভূমিকে সৃষ্টি করি নাই ধারণকারীরূপে, (৭৭:২৫)
জীবিত ও মৃতের জন্য? (৭৭:২৬)
আমি উহাতে স্থাপন করিয়াছি সুদৃঢ় উচ্চ পর্বতমালা এবং তোমাদেরকে দিয়াছি সুপেয় পানি। (৭৭:২৭)
সেই দিন দুর্ভোগ অস্বীকারকারীদের জন্য। (৭৭:২৮)
তোমরা যাহাকে অস্বীকার করিতে, চল তাহারই দিকে। (৭৭:২৯)
চল তিন শাখাবিশিষ্ট ছায়ার দিকে, (৭৭:৩০)
যে ছায়া শীতল নয় এবং যাহা রক্ষা করে না অগ্নিশিখা হইতে, (৭৭:৩১)
ইহা উংক্ষেপ করিবে বৃহৎ স্ফুলিংগ অট্টালিকাতুল্য, (৭৭:৩২)
উহা পীতবর্ণ উষ্ট্রশ্রেণী সদৃশ, (৭৭:৩৩)
সেই দিন দুর্ভোগ অস্বীকারকারীদের জন্য। (৭৭:৩৪)
ইহা এমন একদিন যেদিন কাহারও বাকস্ফূর্তি হইবে না, (৭৭:৩৫)
এবং তাহাদেরকে অনুমতি দেওয়া হইবে না ওযর পেশ করার। (৭৭:৩৬)
সেই দিন দুর্ভোগ অস্বীকারকারীদের জন্য। (৭৭:৩৭)
‘ইহাই ফয়সালার দিন, আমি একত্র করিয়াছি তোমাদেরকে এবং পূর্ববর্তীদেরকে।’ (৭৭:৩৮)
তোমাদের কোন কৌশল থাকিলে তাহা প্রয়োগ কর আমার বিরুদ্ধে। (৭৭:৩৯)
সেই দিন দুর্ভোগ অস্বীকারকারীদের জন্য। (৭৭:৪০)
নিশ্চয়ই নির্ধারিত আছে বিচার দিবস; (৭৮:১৭)
সেই দিন শিংগায় ফুৎকার দেওয়া হইবে এবং তোমরা দলে দলে সমাগত হইবে, (৭৮:১৮)
আকাশ উন্মুক্ত করা হইবে, ফলে উহা হইবে বহু দ্বারবিশিষ্ট। (৭৮:১৯)
এবং চলমান করা হইবে পর্বতসমূহকে, ফলে সেইগুলি হইয়া যাইবে মরীচিকা, (৭৮:২০)
নিশ্চয় জাহান্নাম ওঁৎ পাতিয়া রহিয়াছে; (৭৮:২১)
সীমালংঘনকারীদের প্রত্যাবর্তনস্থল। (৭৮:২২)
সেখানে উহারা যুগ যুগ ধরিয়া অবস্থান করিবে, (৭৮:২৩)
সেখানে উহারা আস্বাদন করিবে না শৈত্য, না কোন পানীয়- (৭৮:২৪)
ফুটন্ত পানি ও পুঁজ ব্যতীত; (৭৮:২৫)
ইহাই উপযুক্ত প্রতিফল। (৭৮:২৬)
উহারা কখনও হিসাবের আশংকা করিত না, (৭৮:২৭)
এবং উহারা দৃঢ়তার সঙ্গে আমার নিদর্শনাবলী অস্বীকার করিয়াছিল। (৭৮:২৮)
সব কিছুই আমি সংরক্ষণ করিয়াছি লিখিতভাবে। (৭৮:২৯)
অতঃপর তোমরা আস্বাদ গ্রহণ কর, আমি তো তোমাদের শাস্তিই শুধু বৃদ্ধি করিব। (৭৮:৩০)
জাহান্নামের অগ্নি যখন উদ্দীপিত করা হইবে, (৮১:১২)
তোমরা তো জাহান্নাম দেখিবেই; (১০২:৬)
আবার বলি, তোমরা তো উহা দেখিবেই চাক্ষুষ প্রত্যয়ে, (১০২:৭)
অচিরে সে প্রবেশ করিবে লেলিহান অগ্নিতে (১১১:৩)
এবং তাহার স্ত্রীও-যে ইন্ধন বহন করে, (১১১:৪)
তাহার গলদেশে পাকান রজ্জু। (১১১:৫)