যেদিন উহাদের উপুড় করিয়া টানিয়া লইয়া যাওয়া হইবে জাহান্নামের দিকে; সেই দিন বলা হইবে, ‘জাহান্নামের যন্ত্রণা আস্বাদন কর।’ (৫৪:৪৮)
তুমি কি জান সাকার কী? (৭৪:২৭)
উহা উহাদেরকে জীবিতাবস্থায় রাখিবে না এবং মৃত অবস্থায়ও ছাড়িয়া দিবে না। (৭৪:২৮)
ইহা তো গাত্রচর্ম দগ্ধ করিবে, (৭৪:২৯)
সাকার-এর তত্ত্বাবধানে রহিয়াছে উনিশজন প্রহরী। (৭৪:৩০)
আমি ফিরিশ্তাদেরকে করিয়াছি জাহান্নামের প্রহরী; কাফিরদের পরীক্ষাস্বরূপই আমি উহাদের এই সংখ্যা উল্লেখ করিয়াছি যাহাতে কিতাবীদের দৃঢ় প্রত্যয় জন্মে, বিশ্বাসীদের বিশ্বাস বর্ধিত হয় এবং বিশ্বাসীগণ ও কিতাবীগণ সন্দেহ পোষণ না করে। ইহার ফলে, যাহাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তাহারা ও কাফিররা বলিবে, ‘আল্লাহ্ এই অভিনব উক্তি দ্বারা কি বুঝাইতে চাহিয়াছেন?’ এইভাবে আল্লাহ্ যাহাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাহাকে ইচ্ছা পথনির্দেশ করেন। তোমার প্রতিপালকের বাহিনী সম্পর্কে একমাত্র তিনিই জানেন। জাহান্নামের এই বর্ণনা তো মানুষের জন্য সাবধান বাণী। (৭৪:৩১)
কখনই না, চন্দ্রের শপথ, (৭৪:৩২)
শপথ রাত্রির, যখন উহার অবসান ঘটে; (৭৪:৩৩)
শপথ প্রভাতকালের, যখন উহা হয় আলোকোজ্জ্বল- (৭৪:৩৪)
এই জাহান্নাম ভয়াবহ বিপদসমূহের অন্যতম, (৭৪:৩৫)
মানুষের জন্য সতর্ককারী- (৭৪:৩৬)
তোমাদের মধ্যে যে অগ্রসর হইতে চায় কিংবা যে পিছাইয়া পড়িতে চায় তাহার জন্য। (৭৪:৩৭)
প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের দায়ে আবদ্ধ, (৭৪:৩৮)
তবে দক্ষিণ পার্শ্বস্থ ব্যক্তিগণ নয়, (৭৪:৩৯)
তাহারা থাকিবে উদ্যানে এবং তাহারা জিজ্ঞাসা-বাদ করিবে- (৭৪:৪০)
অপরাধীদের সম্পর্কে, (৭৪:৪১)
‘তোমাদেরকে কিসে সাকার-এ নিক্ষেপ করিয়াছে?’ (৭৪:৪২)
উহারা বলিবে, ‘আমরা মুসল্লীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না, (৭৪:৪৩)
‘আমরা অভাবগ্রস্তকে আহার্য দান করিতাম না, (৭৪:৪৪)
‘এবং আমরা বিভ্রান্ত আলোচনাকারীদের সঙ্গে বিভ্রান্তিমূলক আলোচনায় নিমগ্ন থাকিতাম। (৭৪:৪৫)
‘আমরা কর্মফল দিবস অস্বীকার করিতাম, (৭৪:৪৬)