উহাদের প্রত্যেকের জন্য পরিণামে জাহান্নাম রহিয়াছে এবং পান করানো হইবে গলিত পুঁজ; (১৪:১৬)
যাহা সে অতি কষ্টে একেক ঢোক করিয়া গলাধঃকরণ করিবে এবং উহা গলাধঃকরণ করা প্রায় সহজ হইবে না। সর্বদিক হইতে তাহার নিকট আসিবে মৃত্যুযন্ত্রণা, কিন্তু তাহার মৃত্যু ঘটিবে না এবং ইহার পর কঠোর শাস্তি ভোগ করিতেই থাকিবে। (১৪:১৭)
বল, ‘সত্য তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে; সুতরাং যাহার ইচ্ছা বিশ্বাস করুক ও যাহার ইচ্ছা সত্য প্রত্যাখ্যান করুক।’ নিশ্চয়ই আমি জালিমদের জন্য প্রস্তুত রাখিয়াছি অগ্নি, যাহার বেষ্টনী উহাদেরকে পরিবেষ্টন করিয়া থাকিবে। উহারা পানীয় চাহিলে উহাদেরকে দেওয়া হইবে গলিত ধাতুর ন্যায় পানীয়, যাহা উহাদের মুখমন্ডল দগ্ধ করিবে; ইহা নিকৃষ্ট পানীয়। আর জাহান্নাম কত নিকৃষ্ট আশ্রয়। (১৮:২৯)
আপ্যায়নের জন্য কি ইহাই শ্রেয় না যাক্কুম বৃক্ষ? (৩৭:৬২)
জালিমদের জন্য আমি ইহা সৃষ্টি করিয়াছি পরীক্ষাস্বরূপ, (৩৭:৬৩)
এই বৃক্ষ উদ্গত হয় জাহান্নামের তলদেশ হইতে, (৩৭:৬৪)
ইহার মোচা যেন শয়তানের মাথা (৩৭:৬৫)
অবশ্যই উহারা ইহা হইতে ভক্ষণ করিবে এবং উদর পূর্ণ করিবে ইহা দ্বারা। (৩৭:৬৬)
তদুপরি উহাদের জন্য থাকিবে ফুটন্ত পানির মিশ্রণ। (৩৭:৬৭)
ইহা সীমালংঘনকারীদের জন্য। সুতরাং উহারা আস্বাদন করুক ফুটন্ত পানি ও পুঁজ। (৩৮:৫৭)
আরও আছে এইরূপ বিভিন্ন ধরনের শাস্তি। (৩৮:৫৮)
নিশ্চয়ই যাক্কুম বৃক্ষ হইবে- (৪৪:৪৩)
পাপীর খাদ্য; (৪৪:৪৪)
গলিত তাম্রের মত, উহাদের উদরে ফুটিতে থাকিবে (৪৪:৪৫)
ফুটন্ত পানির মত। (৪৪:৪৬)
মুত্তাকীদেরকে যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইয়াছে তাহার দৃষ্টান্ত: উহাতে আছে নির্মল পানির নহর, আছে দুধের নহর যাহার স্বাদ অপরিবর্তনীয়, আছে পানকারীদের জন্য সুস্বাদু সুরার নহর, আছে পরিশোধিত মধুর নহর এবং সেখানে উহাদের জন্য থাকিবে বিবিধ ফলমূল আর তাহাদের প্রতিপালকের পক্ষ হইতে ক্ষমা। মুত্তাকীরা কি তাহাদের ন্যায়, যাহারা জাহান্নামে স্থায়ী হইবে এবং যাহাদেরকে পান করিতে দেওয়া হইবে ফুটন্ত পানি যাহা উহাদের নাড়িভুঁড়ি ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করিয়া দিবে? (৪৭:১৫)
অতঃপর হে বিভ্রান্ত অস্বীকারকারীরা! (৫৬:৫১)
তোমরা অবশ্যই আহার করিবে যাক্কূম বৃক্ষ হইতে, (৫৬:৫২)
এবং উহা দ্বারা তোমরা উদর পূর্ণ করিবে, (৫৬:৫৩)
পরে তোমরা পান করিবে উহার উপর অত্যুষ্ণ পানি- (৫৬:৫৪)
আর পান করিবে তৃষ্ণার্ত উষ্ট্রের ন্যায়। (৫৬:৫৫)
কিয়ামতের দিন ইহাই হইবে উহাদের আপ্যায়ন। (৫৬:৫৬)
তবে রহিয়াছে আপ্যায়ন অত্যুষ্ণ পানির দ্বারা, (৫৬:৯৩)
অতএব এই দিন সেখানে তাহার কোন সুহৃদ থাকিবে না, (৬৯:৩৫)
এবং কোন খাদ্য থাকিবে না ক্ষতনিঃসৃত পুঁজ ব্যতীত, (৬৯:৩৬)
যাহা অপরাধী ব্যতীত কেহ খাইবে না। (৬৯:৩৭)
আমার নিকট আছে শৃংখল ও প্রজ্বলিত অগ্নি, (৭৩:১২)
আর আছে এমন খাদ্য, যাহা গলায় আটকাইয়া যায় এবং মর্মন্তুদ শাস্তি। (৭৩:১৩)
নিশ্চয় জাহান্নাম ওঁৎ পাতিয়া রহিয়াছে; (৭৮:২১)
সীমালংঘনকারীদের প্রত্যাবর্তনস্থল। (৭৮:২২)
সেখানে উহারা যুগ যুগ ধরিয়া অবস্থান করিবে, (৭৮:২৩)
সেখানে উহারা আস্বাদন করিবে না শৈত্য, না কোন পানীয়- (৭৮:২৪)
ফুটন্ত পানি ও পুঁজ ব্যতীত; (৭৮:২৫)
ইহাই উপযুক্ত প্রতিফল। (৭৮:২৬)
উহারা প্রবেশ করিবে জ্বলন্ত অগ্নিতে, (৮৮:৪)
উহাদেরকে অত্যুষ্ণ প্রস্রবণ হইতে পান করান হইবে; (৮৮:৫)
উহাদের জন্য খাদ্য থাকিবে না কণ্টকময় গুল্ম ব্যতীত, (৮৮:৬)
যাহা উহাদেরকে পুষ্ট করিবে না এবং উহাদের ক্ষুধা নিবৃত্তি করিবে না। (৮৮:৭)