হাঁ, যাহারা পাপকাজ করে এবং যাহাদের পাপরাশি তাহাদেরকে পরিবেষ্টন করে তাহারাই দোজখবাসী, সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে। (২:৮১)
নিশ্চয়ই যাহারা কুফরী করে এবং কাফিররূপে মারা যায় তাহাদের উপর লা‘নত আল্লাহ্ এবং ফিরিশ্তাগণ ও সকল মানুষের। (২:১৬১)
উহাতে তাহারা স্থায়ী হইবে। তাহাদের শাস্তি লঘু করা হইবে না এবং তাহাদেরকে কোন অবকাশও দেওয়া হইবে না। (২:১৬২)
আর যাহারা অনুসরণ করিয়াছিল তাহারা বলিবে, ‘হায়! যদি একবার আমাদের প্রতাবর্তন ঘটিত তবে আমরাও তাহাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করিতাম যেমন তাহারা আমাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করিল।’ এইভাবে আল্লাহ্ তাহাদের কার্যাবলী তাহাদের পরিতাপরূপে তাহাদেরকে দেখাইবেন আর তাহারা কখনও অগ্নি হইতে বাহির হইতে পারিবে না। (২:১৬৭)
পবিত্র মাসে যুদ্ধ করা সম্পর্কে লোকে তোমাকে জিজ্ঞাসা করে; বল, ‘উহাতে যুদ্ধ করা ভীষণ অন্যায়।’ কিন্তু আল্লাহ্র পথে বাধা দান করা, আল্লাহ্কে অস্বীকার করা, মসজিদুল হারামে বাধা দেওয়া এবং উহার বাসিন্দাকে উহা হইতে বহিষ্কার করা আল্লাহ্র নিকট তদপেক্ষা অধিক অন্যায়; ফিতনা হত্যা অপেক্ষা গুরুতর অন্যায়।’ তাহারা সর্বদা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে থাকিবে যে পর্যন্ত তোমাদেরকে তোমাদের দীন হইতে ফিরাইয়া না দেয়, যদি তাহারা সক্ষম হয়। তোমাদের মধ্যে যে কেহ স্বীয় দীন হইতে ফিরিয়া যায় এবং কাফিররূপে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, দুনিয়া ও আখিরাতে তাহাদের কর্ম নিষ্ফল হইয়া যায়। ইহারাই দোজখবাসী, সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে। (২:২১৭)
যাহারা ঈমান আনে আল্লাহ্ তাহাদের অভিভাবক, তিনি তাহাদেরকে অন্ধকার হইতে বাহির করিয়া আলোকে লইয়া যান। আর যাহারা কুফরী করে তাগূত তাহাদের অভিভাবক; ইহারা তাহাদেরকে আলো হইতে অন্ধকারে লইয়া যায়। উহারাই অগ্নি-অধিবাসী, সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে। (২:২৫৭)
যাহারা সুদ খায় তাহারা সেই ব্যক্তিরই ন্যায় দাঁড়াইবে যাহাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে। ইহা এইজন্য যে, তাহারা বলে, ‘ক্রয়-বিক্রয় তো সুদের মতই।’ অথচ আল্লাহ্ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল ও সুদকে হারাম করিয়াছেন। যাহার নিকট তাহার প্রতিপালকের উপদেশ আসিয়াছে এবং সে বিরত হইয়াছে, তবে অতীতে যাহা হইয়াছে তাহা তাহারই; এবং তাহার ব্যাপার আল্লাহ্র ইখ্তিয়ারে। আর যাহারা পুনরায় আরম্ভ করিবে তাহারাই দোজখবাসী, সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে। (২:২৭৫)
তাহারা ইহাতে স্থায়ী হইবে, তাহাদের শাস্তি লঘু করা হইবে না এবং তাহাদেরকে অবকাশও দেওয়া হইবে না। (৩:৮৮)
আর কেহ আল্লাহ্ ও তাহার রাসূলের অবাধ্য হইলে এবং তাঁহার নির্ধারিত সীমালংঘন করিলে তিনি তাহাকে দোজখে নিক্ষেপ করিবেন; সেখানে সে স্থায়ী হইবে এবং তাহার জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি রহিয়াছে। (৪:১৪)
কেহ ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মু’মিনকে হত্যা করিলে তাহার শাস্তি জাহান্নাম; সেখানে সে স্থায়ী হইবে এবং আল্লাহ্ তাহার প্রতি রুষ্ট হইবেন, তাহাকে লা‘নত করিবেন এবং তাহার জন্য মহাশাস্তি প্রস্তুত রাখিবেন। (৪:৯৩)
ইহাদেরই আশ্রয়স্থল জাহান্নাম, উহা হইতে তাহারা নিষ্কৃতির উপায় পাইবে না। (৪:১২১)
জাহান্নামের পথ ব্যতীত; সেখানে তাহারা চিরস্থায়ী হইবে এবং ইহা আল্লাহ্র পক্ষে সহজ। (৪:১৬৯)
তাহারা দোজখ হইতে বাহির হইতে চাহিবে; কিন্তু তাহারা উহা হইতে বাহির হইবার নয় এবং তাহাদের জন্য স্থায়ী শাস্তি রহিয়াছে। (৫:৩৭)
যাহারা মন্দ কাজ করে তাহাদের প্রতিফল অনুরূপ মন্দ এবং তাহাদেরকে হীনতা আচ্ছন্ন করিবে; আল্লাহ্ হইতে উহাদেরকে রক্ষা করিবার কেহ নাই; উহাদের মুখমন্ডল যেন রাত্রির অন্ধকার আস্তরণে আচ্ছাদিত। উহারা দোজখের অধিবাসী, সেখানে উহারা স্থায়ী হইবে। (১০:২৭)
পরে জালিমদেরকে বলা হইবে, ‘স্থায়ী শাস্তি আস্বাদন কর; তোমরা যাহা করিতে, তোমাদেরকে তাহারই প্রতিফল দেওয়া হইতেছে।’ (১০:৫২)
সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে যত দিন আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী বিদ্যমান থাকিবে যদি না তোমার প্রতিপালক অন্যরূপ ইচ্ছা করেন; নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক তাহাই করেন যাহা তিনি ইচ্ছা করেন। (১১:১০৭)
পক্ষান্তরে, যাহারা ভাগ্যবান তাহারা থাকিবে জান্নাতে, সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে, যত দিন আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী বিদ্যমান থাকিবে, যদি না তোমার প্রতিপালক অন্যরূপ ইচ্ছা করেন; ইহা এক নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার। (১১:১০৮)
যদি তুমি বিস্মিত হও, তবে বিস্ময়ের বিষয় উহাদের কথা- ‘মাটিতে পরিণত হওয়ার পরও কি আমরা নূতন জীবন লাভ করিব?’ উহারাই উহাদের প্রতিপালককে অস্বীকার করে এবং উহাদেরই গলদেশে থাকিবে লৌহশৃক্মখল। উহারাই দোযখবাসী ও সেখানে উহারা স্থায়ী হইবে। (১৩:৫)
সুতরাং তোমরা দ্বারগুলি দিয়া জাহান্নামে প্রবেশ কর, সেখানে তোমরা স্থায়ী হইবে। দেখ, অহংকারীদের আবাসস্থল কত নিকৃষ্ট! (১৬:২৯)
এবং এইভাবেই আমি প্রতিফল দেই তাহাকে, যে বাড়াবাড়ি করে ও তাহার প্রতিপালকের নিদর্শনে বিশ্বাস স্থাপন করে না। পরকালের শাস্তি তো অবশ্যই কঠিনতর ও অধিক স্থায়ী। (২০:১২৭)
যদি উহারা ইলাহ্ হইত তবে উহারা জাহান্নামে প্রবেশ করিত না; উহাদের সকলেই উহাতে স্থায়ী হইবে, (২১:৯৯)
এবং যাহাদের পাল্লা হাল্কা হইবে তাহারাই নিজেদের ক্ষতি করিয়াছে; উহারা জাহান্নামে স্থায়ী হইবে। (২৩:১০৩)
কিন্তু যাহারা কুফরী করে তাহাদের জন্য আছে জাহান্নামের আগুন। উহাদের মৃত্যুর আদেশ দেওয়া হইবে না যে, উহারা মরিবে এবং উহাদের হইতে জাহান্নামের শাস্তিও লাঘব করা হইবে না। এইভাবে আমি প্রত্যেক অকৃতজ্ঞকে শাস্তি দিয়া থাকি। (৩৫:৩৬)
সেখানে তাহারা আর্তনাদ করিয়া বলিবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে নিষ্কৃতি দাও, আমরা সৎকর্ম করিব, পূর্বে যাহা করিতাম তাহা করিব না।’ আল্লাহ্ বলিবেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে এতো দীর্ঘ জীবন দান করি নাই যে, তখন কেহ সতর্ক হইতে চাহিলে সতর্ক হইতে পারিতে? তোমাদের নিকট তো সতর্ককারীও আসিয়াছিল। সুতরাং শাস্তি আস্বাদন কর; জালিমদের কোন সাহায্যকারী নাই।’ (৩৫:৩৭)
উহাদেরকে বলা হইবে, ‘জাহান্নামের দ্বারসমূহে প্রবেশ কর উহাতে স্থায়িভাবে অবস্থিতির জন্য। কত নিকৃষ্ট উদ্ধতদের আবাসস্থল!’ (৩৯:৭২)
নিশ্চয়ই অপরাধীরা জাহান্নামের শাস্তিতে থাকিবে স্থায়িভাবে; (৪৩:৭৪)
উহাদের শাস্তি লাঘব করা হইবে না এবং উহারা উহাতে হতাশ হইয়া পড়িবে। (৪৩:৭৫)
আমি উহাদের প্রতি জুলুম করি নাই, বরং উহারা নিজেরাই ছিল জালিম। (৪৩:৭৬)
উহারা চিৎকার করিয়া বলিবে, ‘হে মালিক, তোমার প্রতিপালক যেন আমাদেরকে নিঃশেষ করিয়া দেন।’ সে বলিবে, ‘তোমরা তো এইভাবেই থাকিবে।’ (৪৩:৭৭)
আল্লাহ্ বলিবেন, ‘আমি তো তোমাদের নিকট সত্য পৌঁছাইয়াছিলাম, কিন্তু তোমাদের অধিকাংশই ছিল সত্যবিমুখ।’ (৪৩:৭৮)
‘ইহা এইজন্য যে, তোমরা আল্লাহ্র নিদর্শনাবলীকে বিদ্রূপ করিয়াছিলে এবং পার্থিব জীবন তোমাদেরকে প্রতারিত করিয়াছিল।’ সুতরাং সেই দিন উহাদেরকে জাহান্নাম হইতে বাহির করা হইবে না এবং আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের সুযোগ দেওয়া হইবে না। (৪৫:৩৫)
নিশ্চয় জাহান্নাম ওঁৎ পাতিয়া রহিয়াছে; (৭৮:২১)
সীমালংঘনকারীদের প্রত্যাবর্তনস্থল। (৭৮:২২)
সেখানে উহারা যুগ যুগ ধরিয়া অবস্থান করিবে, (৭৮:২৩)
উহারা কর্মফল দিবসে উহাতে প্রবেশ করিবে; (৮২:১৫)
এবং উহারা উহা হইতে অন্তর্হিত হইতে পারিবে না। (৮২:১৬)