হে মু’মিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর তবে আল্লাহ্ তোমাদেরকে ন্যায়-অন্যায় পার্থক্য করিবার শক্তি দিবেন, তোমাদের পাপ মোচন করিবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করিবেন এবং আল্লাহ্ অতিশয় মঙ্গলময়। (৮:২৯)
জানিয়া রাখ! আল্লাহ্র বন্ধুদের কোন ভয় নাই এবং তাহারা দুঃখিতও হইবে না। (১০:৬২)
যাহারা ঈমান আনে এবং তাক্ওয়া অবলম্বন করে, (১০:৬৩)
তাহাদের জন্য আছে সুসংবাদ দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে, আল্লাহ্র বাণীর কোন পরিবর্তন নাই; উহাই মহাসাফল্য। (১০:৬৪)
উহাদের কথা তোমাকে যেন দুঃখ না দেয়। সমস্ত শক্তিই আল্লাহ্র; তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (১০:৬৫)
এবং যাহারা মুত্তাকী ছিল তাহাদেরকে বলা হইবে, ‘তোমাদের প্রতিপালক কী অবতীর্ণ করিয়াছিলেন?’ তাহারা বলিবে, ‘মহাকল্যাণ’। যাহারা সৎকর্ম করে তাহাদের জন্য আছে এই দুনিয়ায় মঙ্গল এবং আখিরাতের আবাস আরও উৎকৃষ্ট এবং মুত্তাকীদের আবাসস্থল কত উত্তম! (১৬:৩০)
যাহারা অত্যাচারিত হইবার পর আল্লাহ্র পথে হিজরত করিয়াছে, আমি অবশ্যই তাহাদেরকে দুনিয়ায় উত্তম আবাস দিব; এবং আখিরাতের পুরস্কারই তো শ্রেষ্ঠ। হায়, উহারা যদি তাহা জানিত! (১৬:৪১)
যাহারা ধৈর্য ধারণ করে ও তাহাদের প্রতিপালকের উপর নির্ভর করে। (১৬:৪২)
মুহাম্মদ আল্লাহ্র রাসূল; তাঁহার সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহ্র অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাহাদেরকে রুকূ‘ ও সিজ্দায় অবনত দেখিবে। তাহাদের লক্ষণ তাহাদের মুখমন্ডলে সিজ্দার প্রভাবে পরিস্ফুটিত থাকিবে; তওরাতে তাহাদের বর্ণনা এইরূপ এবং ইঞ্জীলেও তাহাদের বর্ণনা এইরূপই। তাহাদের দৃষ্টান্ত একটি চারাগাছ, যাহা হইতে নির্গত হয় কিশলয়, অতঃপর ইহা শক্ত ও পুষ্ঠ হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে যাহা চাষীর জন্য আনন্দদায়ক। এইভাবে আল্লাহ্ মু’মিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা কাফিরদের অন্তর্জ্বালা সৃষ্টি করেন। যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ্ তাহাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়াছেন ক্ষমা ও মহাপুস্কারের। (৪৮:২৯)
হে মু’মিনগণ! আল্লাহ্কে ভয় কর এবং তাঁহার রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর। তিনি তাঁহার অনুগ্রহে তোমাদেরকে দিবেন দ্বিগুণ পুরস্কার এবং তিনি তোমাদেরকে দিবেন আলো, যাহার সাহায্যে তোমরা চলিবে এবং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করিবেন; আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৫৭:২৮)