আর আল্লাহ্ নিজ অনুগ্রহে যাহা তাহাদের দিয়াছেন তাহাতে যাহারা কৃপণতা করে তাহাদের জন্য উহা মঙ্গল, ইহা যেন তাহারা কিছুতেই মনে না করে। না, ইহা তাহাদের জন্য অমঙ্গল। যাহাতে তাহারা কৃপণতা করিবে কিয়ামতের দিন উহাই তাহাদের গলায় বেড়ি হইবে। আস্মান ও যমীনের স্বত্বাধিকার একমাত্র আল্লাহ্রই। তোমরা যাহা কর আল্লাহ্ তাহা বিশেষভাবে অবহিত। (৩:১৮০)
জীবমাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করিবে। কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে তোমাদের কর্মফল পূর্ণ মাত্রায় দেওয়া হইবে। যাহাকে অগ্নি হইতে দূরে রাখা হইবে এবং জান্নাতে দাখিল করা হইবে সে-ই সফলকাম এবং পার্থিব জীবন ছলনাময় ভোগ ব্যতীত কিছুই নয়। (৩:১৮৫)
‘হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার রাসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে যাহা দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়াছ তাহা আমাদেরকে দাও এবং কিয়ামতের দিন আমাদেরকে হেয় করিও না। নিশ্চয়ই তুমি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম কর না।’ (৩:১৯৪)
যাহারা আল্লাহ্র সম্মুখীন হওয়াকে মিথ্যা বলিয়াছে তাহারা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছে, এমনকি অকস্মাৎ তাহাদের নিকট যখন কিয়ামত উপস্থিত হইবে তখন তাহারা বলিবে, ‘হায়! ইহাকে আমরা যে অবহেলা করিয়াছি তজ্জন্য আক্ষেপ!’ তাহারা তাহাদের পৃষ্ঠে নিজেদের পাপ বহন করিবে; দেখ, তাহারা যাহা বহন করিবে তাহা অতি নিকৃষ্ট! (৬:৩১)
বল, ‘আল্লাহ্ স্বীয় বান্দাদের জন্য যেসব শোভাময় বস্তু ও বিশুদ্ধ জীবিকা সৃষ্টি করিয়াছেন তাহা কে হারাম করিয়াছে?’ বল, ‘পার্থিব জীবনে, বিশেষ করিয়া কিয়ামতের দিনে এই সমস্ত তাহাদের জন্য, যাহারা ঈমান আনে। এইভাবে আমি জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শন বিশদভাবে বিবৃত করি। (৭:৩২)
তাহারা তোমাকে জিজ্ঞাসা করে কিয়ামত কখন ঘটিবে। বল, ‘এ বিষয়ের জ্ঞান শুধু আমার প্রতিপালকেরই আছে। শুধু তিনিই যথাসময়ে উহা প্রকাশ করিবেন; উহা আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে একটি ভয়ংকর ঘটনা হইবে। আকস্মিকভাবেই উহা তোমাদের উপর আসিবে।’ তুমি এই বিষয়ে সবিশেষ অবহিত মনে করিয়া তাহারা তোমাকে প্রশ্ন করে। বল, ‘এই বিষয়ের জ্ঞান শুধু আল্লাহ্রই আছে, কিন্তু অধিকাংশ লোক জানে না।’ (৭:১৮৭)
এমন কোন জনপদ নাই যাহা আমি কিয়ামতের দিনের পূর্বে ধ্বংস করিব না অথবা যাহাকে কঠোর শাস্তি দিব না; ইহা তো কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে। (১৭:৫৮)
স্মরণ কর, যেদিন আমি পর্বতমালাকে করিব সঞ্চালিত এবং তুমি পৃথিবীকে দেখিবে উন্মুক্ত প্রান্তর, সেদিন তাহাদের সকলকে আমি একত্র করিব এবং উহাদের কাহাকেও অব্যাহিত দিব না, (১৮:৪৭)
যাহাতে আকাশমন্ডলী বিদীর্ণ হইয়া যাইবে, পৃথিবী খন্ড-বিখন্ড হইবে ও পর্বতমন্ডলী চূর্ণ-বিচূর্ণ হইয়া আপতিত হইবে, (১৯:৯০)
যেহেতু তাহারা দয়াময়ের প্রতি সন্তান আরোপ করে। (১৯:৯১)
অথচ সন্তান গ্রহণ করা দয়াময়ের জন্য শোভন নহে। (১৯:৯২)
আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে এমন কেহ নাই, যে দয়াময়ের নিকট বান্দারূপে উপস্থিত হইবে না। (১৯:৯৩)
উহারা তোমাকে পর্বতসমূহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বল, ‘আমার প্রতিপালক উহাদেরকে সমূলে উৎপাটন করিয়া বিক্ষিপ্ত করিয়া দিবেন। (২০:১০৫)
‘অতঃপর তিনি উহাকে পরিণত করিবেন মসৃণ সমতল ময়দানে, (২০:১০৬)
‘যে আমার স্মরণে বিমুখ থাকিবে, অবশ্যই তাহার জীবন-যাপন হইবে সংকুচিত এবং আমি তাহাকে কিয়ামতের দিন উত্থিত করিব অন্ধ অবস্থায়।’ (২০:১২৪)
মানুষের হিসাব-নিকাশের সময় আসন্ন, কিন্তু উহারা উদাসীনতায় মুখ ফিরাইয়া রহিয়াছে। (২১:১)
হে মানুষ! ভয় কর তোমাদের প্রতিপালককে; কিয়ামতের প্রকম্পন এক ভয়ংকর ব্যাপার! (২২:১)
যেদিন তোমরা উহা প্রত্যক্ষ করিবে সেই দিন প্রত্যেক স্তন্যদাত্রী বিস্মৃত হইবে তাহার দুগ্ধপোষ্য শিশুকে এবং প্রত্যেক গর্ভবতী তাহার গর্ভপাত করিয়া ফেলিবে; মানুষকে দেখিবে নেশাগ্রস্তসদৃশ, যদিও উহারা নেশাগ্রস্ত নয়। বস্তুত আল্লাহ্র শাস্তি কঠিন। (২২:২)
এবং কিয়ামত আসিবেই, ইহাতে কোন সন্দেহ নাই এবং কবরে যাহারা আছে তাহাদেরকে নিশ্চয়ই আল্লাহ্ উত্থিত করিবেন। (২২:৭)
অতঃপর কিয়ামতের দিন অবশ্যই তোমাদেরকে উত্থিত করা হইবে। (২৩:১৬)
এবং যেদিন শিংগায় ফুৎকার দেওয়া হইবে সেদিন পরস্পরের মধ্যে আত্মীয়তার বন্ধন থাকিবে না, এবং একে অপরের খোঁজ-খবর লইবে না, (২৩:১০১)
এবং যাহাদের পাল্লা ভারী হইবে তাহারাই হইবে সফলকাম, (২৩:১০২)
এবং যাহাদের পাল্লা হাল্কা হইবে তাহারাই নিজেদের ক্ষতি করিয়াছে; উহারা জাহান্নামে স্থায়ী হইবে। (২৩:১০৩)
এবং যেদিন শিংগায় ফুৎকার দেওয়া হইবে, সেই দিন আকাশমন্ডলীর ও পৃথিবীর সকলেই ভীত-বিহবল হইয়া পড়িবে, তবে আল্লাহ্ যাহাদেরকে চাহিবেন তাহারা ব্যতীত এবং সকলেই তাঁহার নিকট আসিবে বিনীত অবস্থায়। (২৭:৮৭)
তুমি পর্বতমালা দেখিতেছ, মনে করিতেছ উহা অচল, অথচ উহারা হইবে মেঘপুঞ্জের ন্যায় সঞ্চারমাণ। ইহা আল্লাহ্রই সৃষ্টি নৈপুণ্য, যিনি সমস্ত কিছুকে করিয়াছেন সুষম। তোমরা যাহা কর সে সম্বন্ধে তিনি সম্যক অবগত। (২৭:৮৮)
যেই দিন কিয়ামত হইবে সেই দিন মানুষ বিভক্ত হইয়া পড়িবে। (৩০:১৪)
তুমি সরল দীনে নিজকে প্রতিষ্ঠিত কর, আল্লাহ্র পক্ষ হইতে যে দিবস অনিবার্য তাহা উপস্থিত হইবার পূর্বে, সে দিন মানুষ বিভক্ত হইয়া পড়িবে। (৩০:৪৩)
হে মানুষ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের ভয় কর এবং ভয় কর সেই দিনের, যখন পিতা সন্তানের কোন উপকারে আসিবে না, সন্তানও কোন উপকারে আসিবে না তাহার পিতার। আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি সত্য; সুতরাং পার্থিব জীবন যেন তোমাদেরকে কিছুতেই প্রতারিত না করে এবং সেই প্রবঞ্চক যেন তোমাদেরকে কিছুতেই আল্লাহ্ সম্পর্কে প্রবঞ্চিত না করে। (৩১:৩৩)
কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহ্র নিকট রহিয়াছে, তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তিনি জানেন যাহা জরায়ুতে আছে। কেহ জানে না আগামীকল্য সে কি অর্জন করিবে এবং কেহ জানে না কোন্ স্থানে তাহার মৃত্যু ঘটিবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে অবহিত। (৩১:৩৪)
লোকে তোমাকে কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বল, ‘ইহার জ্ঞান কেবল আল্লাহ্রই আছে।’ তুমি ইহা কী করিয়া জানিবে? সম্ভবত কিয়ামত শীঘ্রই হইয়া যাইতে পারে। (৩৩:৬৩)
কাফিররা বলে, ‘আমাদের নিকট কিয়ামত আসিবে না।’ বল, ‘আসিবেই, শপথ আমার প্রতিপালকের, নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট উহা আসিবে।’ তিনি অদৃশ্য সম্বন্ধে সম্যক পরিজ্ঞাতদ; আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে তাঁহার অগোচর নয় অণু পরিমাণ কিছু কিংবা তদপেক্ষা ক্ষুদ্র অথবা বৃহৎ কিছু; ইহার প্রত্যেকটি আছে সুস্পষ্ট কিতাবে। (৩৪:৩)
ইহারা তো অপেক্ষায় আছে এক মহানাদের যাহা ইহাদেরকে আঘাত করিবে ইহাদের বাক-বিতন্ডাকালে। (৩৬:৪৯)
তখন উহারা ওসিয়াত করিতে সমর্থ হইবে না এবং নিজেদের পরিবার-পরিজনের নিকট ফিরিয়া আসিতেও পারিবে না। (৩৬:৫০)
যখন শিংগায় ফুৎকার দেওয়া হইবে তখনই তাহারা কবর হইতে ছুটিয়া আসিবে তাহাদের প্রতিপালকের দিকে। (৩৬:৫১)
উহারা বলিবে, ‘হায়! দুর্ভোগ আমাদের! কে আমাদেরকে আমাদের নিদ্রাস্থল হইতে উঠাইল? দয়াময় আল্লাহ্ তো ইহারই প্রতিশ্রুতি দিয়াছিলেন এবং রাসূলগণ সত্যই বলিয়াছিলেন।’ (৩৬:৫২)
ইহা হইবে কেবল এক মহানাদ; তখনই ইহাদের সকলকে উপস্থিত করা হইবে আমার সম্মুখে, (৩৬:৫৩)
আজ কাহারও প্রতি কোন জুলুম করা হইবে না এবং তোমরা যাহা করিতে কেবল তাহারই প্রতিফল দেওয়া হইবে। (৩৬:৫৪)
এই দিন জান্নাতবাসিগণ আনন্দে মগ্ন থাকিবে, (৩৬:৫৫)
তাহারা এবং তাহাদের স্ত্রীগণ সুশীতল ছায়ায় সুসজ্জিত আসনে হেলান দিয়া বসিবে। (৩৬:৫৬)
সেখানে থাকিবে তাহাদের জন্য ফলমূল এবং তাহাদের জন্য বাঞ্ছিত সমস্ত কিছু, (৩৬:৫৭)
সালাম, পরম দয়ালু প্রতিপালকের পক্ষ হইতে সম্ভাষণ। (৩৬:৫৮)
আর ‘হে অপরাধিগণ! তোমরা আজ পৃথক হইয়া যাও।’ (৩৬:৫৯)
হে বনী আদম! আমি কি তোমাদেরকে নির্দেশ দিই নাই যে, তোমরা শয়তানের দাসত্ব করিও না, কারণ সে তো তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু? (৩৬:৬০)
আর আমারই ‘ইবাদত কর, ইহাই সরল পথ। (৩৬:৬১)
শয়তান তো তোমাদের বহু দলকে বিভ্রান্ত করিয়াছিল, তবুও কি তোমরা বুঝ নাই? (৩৬:৬২)
ইহাই সেই জাহান্নাম, যাহার প্রতিশ্রুতি তোমাদেরকে দেওয়া হইয়াছিল। (৩৬:৬৩)
ইহারা তো অপেক্ষা করিতেছে একটি মাত্র প্রচন্ড নিনাদের, যাহাতে কোন বিরাম থাকিবে না। (৩৮:১৫)
সে বলিল, হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে অবকাশ দিন উত্থান দিবস পর্যন্ত।’ (৩৮:৭৯)
তিনি বলিলেন, ‘তুমি অবকাশপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হইলে- (৩৮:৮০)
‘অবধারিত সময় উপস্থিত হওয়ার দিন পর্যন্ত।’ (৩৮:৮১)
তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের অভিমুখী হও এবং তাঁহার নিকট আত্মসমর্পণ কর তোমাদের নিকট শাস্তি আসিবার পূর্বে; তৎপর তোমাদেরকে সাহায্য করা হইবে না। (৩৯:৫৪)
অনুসরণ কর তোমাদের প্রতি তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে উত্তম যাহা অবতীর্ণ করা হইয়াছে তাহার, তোমাদের উপর অতর্কিতভাবে তোমাদের অজ্ঞাতসারে শাস্তি আসিবার পূর্বে- (৩৯:৫৫)
তিনি সমুচ্চ মর্যাদার অধিকারী, ‘আরশের অধিপতি, তিনি তাঁহার বান্দাদের মধ্যে যাহার প্রতি ইচ্ছা ওহী প্রেরণ করেন স্বীয় আদেশসহ, যাহাতে সে সতর্ক করিতে পারে কিয়ামত দিবস সম্পর্কে। (৪০:১৫)
কিয়ামত অবশ্যম্ভাবী, ইহাতে কোন সন্দেহ নাই; কিন্তু অধিকাংশ লোক বিশ্বাস করে না। (৪০:৫৯)
কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহ্তেই ন্যস্ত, তাঁহার অজ্ঞাতসারে কোন ফল আবরণ হইতে বাহির হয় না, কোন নারী গর্ভ ধারণ করে না এবং সন্তানও প্রসব করে না। যেদিন আল্লাহ্র উহাদেরকে ডাকিয়া বলিবেন, ‘আমার শরীকেরা কোথায়?’ তখন উহারা বলিবে, ‘আমরা আপনার নিকট নিবেদন করি যে, এই ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না।’ (৪১:৪৭)
এইভাবে আমি তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি আরবী ভাষায়, যাহাতে তুমি সতর্ক করিতে পার মক্কা ও উহার চতুর্দিকের জনগণকে এবং সতর্ক করিতে পার কিয়ামত দিবস সম্পর্কে, যাহাতে কোন সন্দেহ নাই। সেদিন একদল জান্নাতে প্রবেশ করিবে এবং একদল জাহান্নামে প্রবেশ করিবে। (৪২:৭)
তোমাদের প্রতিপালকের আহ্বানে সাড়া দাও আল্লাহ্র পক্ষ হইতে সেই দিবস আসিবার পূর্বে, যাহা অপ্রতিরোধ্য; যেদিন তোমাদের কোন আশ্রয়স্থল থাকিবে না এবং তোমাদের জন্য উহা নিরোধ করিবার কেহ থাকিবে না। (৪২:৪৭)
ঈসা তো কিয়ামতের নিশ্চিত নিদর্শন; সুতরাং তোমরা কিয়ামতে সন্দেহ করিও না এবং আমাকে অনুসরণ কর। ইহাই সরল পথ। (৪৩:৬১)
আর এই যে, পুনরুত্থান ঘটাইবার দায়িত্ব তাঁহারই, (৫৩:৪৭)
কিয়ামত আসন্ন, (৫৩:৫৭)
আল্লাহ্ ব্যতীত কেহই ইহা ব্যক্ত করিতে সক্ষম নয়। (৫৩:৫৮)
কিয়ামত নিকটবর্তী হইয়াছে, আর চন্দ্র বিদীর্ণ হইয়াছে, (৫৪:১)
ইহা পরিপূর্ণ জ্ঞান, তবে এই সতর্কবাণী উহাদের কোন উপকারে আসে নাই। (৫৪:৫)
অতএব তুমি উহাদের উপেক্ষা কর। যেদিন আহবানকারী আহ্বান করিবে এক ভয়াবহ পরিণামের দিকে, (৫৪:৬)
অপমানে অবনমিত নেত্রে সেদিন উহারা কবর হইতে বাহির হইবে বিক্ষিপ্ত পঙ্গপালের ন্যায়, (৫৪:৭)
উহারা আহ্বানকারীর দিকে ছুটিয়া আসিবে ভীত-বিহ্বল হইয়া। কাফিররা বলিবে, ‘কঠিন এই দিন।’ (৫৪:৮)
যখন কিয়ামত ঘটিবে, (৫৬:১)
ইহার সংঘটন অস্বীকার করিবার কেহ থাকিবে না। (৫৬:২)
ইহা কাহাকেও করিবে নীচ, কাহাকেও করিবে সমুন্নত; (৫৬:৩)
যখন প্রবল কম্পনে প্রকম্পিত হইবে পৃথিবী (৫৬:৪)
এবং পর্বতমালা চূর্ণ-বিচূর্ণ হইয়া পড়িবে, (৫৬:৫)
ফলে উহা পর্যবসিত হইবে উৎক্ষিপ্ত ধূলিকণায়; (৫৬:৬)
আমি ইহা করিয়াছিলাম তোমাদের শিক্ষার জন্য এবং এইজন্য যে, শ্রুতিধর কর্ণ ইহা সংরক্ষণ করে। (৬৯:১২)
যখন শিঙ্গায় ফুৎকার দেওয়া হইবে-একটি মাত্র ফুৎকার, (৬৯:১৩)
পর্বতমালাসমেত পৃথিবী উৎক্ষিপ্ত হইবে এবং মাত্র এক ধাক্কায় উহারা-চূর্ণ-বিচূর্ণ হইয়া যাইবে। (৬৯:১৪)
সেদিন সংঘটিত হইবে মহাপ্রলয়, (৬৯:১৫)
এবং আকাশ বিদীর্ণ হইয়া যাইবে আর সেই দিন উহা বিক্ষিপ্ত হইয়া পড়িবে। (৬৯:১৬)
ফিরিশ্তাগণ আকাশের প্রাপ্তদেশে থাকিবে এবং সেই দিন আটজন ফিরিশ্তা তোমার প্রতিপালকের আরশকে ধারণ করিবে তাহাদের ঊর্ধ্বে। (৬৯:১৭)
সেই দিন উপস্থিত করা হইবে তোমাদেরকে এবং তোমাদের কিছুই গোপন থাকিবে না। (৬৯:১৮)
সেই দিবসে পৃথিবী ও পর্বতমালা প্রকম্পিত হইবে এবং পর্বতসমূহ বহমান বালুকারাশিতে পরিণত হইবে। (৭৩:১৪)
আমি তোমাদের নিকট পাঠাইয়াছি এক রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষীস্বরূপ যেমন রাসূল পাঠাইয়াছিলাম ফির‘আওনের নিকট, (৭৩:১৫)
কিন্তু ফির‘আওন সেই রাসূলকে অমান্য করিয়াছিল, ফলে আমি তাহাকে কঠিন শাস্তি দিয়াছিলাম। (৭৩:১৬)
অতএব যদি তোমরা কুফরী কর তবে কি করিয়া আত্মরক্ষা করিবে সেই দিন যেই দিনটি কিশোরকে পরিণত করিবে বৃদ্ধে, (৭৩:১৭)
যেই দিন আকাশ হইবে বিদীর্ণ। তাঁহার প্রতিশ্রুতি অবশ্যই বাস্তবায়িত হইবে। (৭৩:১৮)
আমি শপথ করিতেছি কিয়ামত দিবসের, (৭৫:১)
আরও শপথ করিতেছি তিরস্কারকারী আত্মার। (৭৫:২)
মানুষ কি মনে করে যে, আমি তাহার অস্থিসমূহ একত্র করিতে পারিব না? (৭৫:৩)
বস্তুত আমি উহার অঙ্গুলীর অগ্রভাগ পর্যন্ত পুনর্বিন্যস্ত করিতে সক্ষম। (৭৫:৪)
তবুও মানুষ তাহার ভবিষ্যতেও পাপাচার করিতে চায়। (৭৫:৫)
সে প্রশ্ন করে, ‘কখন কিয়ামত দিবস আসিবে?’ (৭৫:৬)
যখন চক্ষু স্থির হইয়া যাইবে, (৭৫:৭)
এবং চন্দ্র হইয়া পড়িবে জ্যোতিহীন, (৭৫:৮)
যখন সূর্য ও চন্দ্রকে একত্র করা হইবে- (৭৫:৯)
সেদিন-মানুষ বলিবে, ‘আজ পালাইবার স্থান কোথায়?’ (৭৫:১০)
শপথ কল্যাণস্বরূপ প্রেরিত বায়ুর, (৭৭:১)
আর প্রলয়ঙ্করী ঝটিকার, (৭৭:২)
শপথ সঞ্চালনকারী বায়ুর, (৭৭:৩)
আর মেঘপুজ্ঞ বিচ্ছিন্নকারী বায়ুর, (৭৭:৪)
এবং শপথ তাহাদের যাহারা মানুষের অন্তরে পৌঁছাইয়া দেয় উপদেশ- (৭৭:৫)
এবং শপথ তাহাদের যাহারা মানুষের অন্তরে পৌঁছাইয়া দেয় উপদেশ- (৭৭:৬)
নিশ্চয়ই তোমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইয়াছে তাহা অবশ্যম্ভাবী। (৭৭:৭)
যখন নক্ষত্ররাজির আলো নির্বাপিত হইবে, (৭৭:৮)
যখন আকাশ বিদীর্ণ হইবে। (৭৭:৯)
এবং যখন পর্বতমালা উন্মুলিত ও বিক্ষিপ্ত হইবে (৭৭:১০)
সূর্যকে যখন নিষ্প্রভ করা হইবে, (৮১:১)
যখন নক্ষত্ররাজি খসিয়া পড়িবে, (৮১:২)
পর্বতসমূহকে যখন চলমান করা হইবে, (৮১:৩)
যখন পূর্ণ-গর্ভা উষ্ট্রী উপেক্ষিত হইবে, (৮১:৪)
যখন বন্য পশু একত্র করা হইবে, (৮১:৫)
দেহে যখন আত্মা পুনঃসংযোজিত হইবে, (৮১:৭)
যখন আকাশ বিদীর্ণ হইবে, (৮৪:১)
ও তাহার প্রতিপালকের আদেশ পালন করিবে এবং ইহাই তাহার করণীয়। (৮৪:২)
এবং পৃথিবীকে যখন সম্প্রসারিত করা হইবে। (৮৪:৩)
ও পৃথিবী তাহার অভ্যন্তরে যাহা আছে তাহা বাহিরে নিক্ষেপ করিবে ও শূন্যগর্ভ হইবে। (৮৪:৪)
এবং তাহার প্রতিপালকের আদেশ পালন করিবে, ইহাই তাহার করণীয়; তখন তোমরা পুনরুত্থিত হইবেই। (৮৪:৫)