হে মু’মিনগণ! আমি যাহা তোমাদেরকে দিয়াছি তাহা হইতে তোমরা ব্যয় কর সেই দিন আসিবার পূর্বে, যেই দিন ক্রয়-বিক্রয়, বন্ধুত্ব ও সুপারিশ থাকিবে না এবং কাফিররাই জালিম। (২:২৫৪)
তোমরা সেই দিনকে ভয় কর যে দিন তোমরা আল্লাহ্র দিকে প্রত্যানীত হইবে। অতঃপর প্রত্যেককে তাহার কর্মের ফল পুরাপুরি প্রদান করা হইবে, আর তাহাদের প্রতি কোনরূপ অন্যায় করা হইবে না। (২:২৮১)
সেদিন কতক মুখ উজ্জ্বল হইবে এবং কতক মুখ কাল হইবে; যাহাদের মুখ কাল হইবে তাহাদেরকে বলা হইবে, ‘ঈমান আনয়নের পর কি তোমরা কুফরী করিয়াছিলে? সুতরাং তোমরা শাস্তি ভোগ কর, যেহেতু তোমরা কুফরী করিতে।’ (৩:১০৬)
আল্লাহ্ বলিবেন, ‘এই সেই দিন যেদিন সত্যবাদিগণ তাহাদের সত্যতার জন্য উপকৃত হইবে, তাহাদরে জন্য আছে জান্নাত যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। তাহারা সেখানে চিরস্থায়ী হইবে; আল্লাহ্ তাহাদের প্রতি প্রসন্ন এবং তাহারাও তাঁহার প্রতি সন্তুষ্ট; ইহা মহাসফলতা।’ (৫:১১৯)
বল, ‘আমি যদি আমার প্রতিপালকের অবাধ্যতা করি তবে আমি ভয় করি মহাদিনের শাস্তির। (৬:১৫)
‘সেই দিন যাহাকে উহা হইতে রক্ষা করা হইবে তাহার প্রতি তিনি তো দয়া করিবেন এবং ইহাই স্পষ্ট সফলতা।’ (৬:১৬)
তুমি ইহা দ্বারা তাহাদেরকে সতর্ক করিয়া দাও যাহারা ভয় করে যে, তাহাদেরকে তাহাদের প্রতিপালকের নিকট সমবেত করা হইবে এমন অবস্থায় যে, তিনি ব্যতীত তাহাদের কোন অভিভাবক বা সুপারিশকারী থাকিবে না; হয়ত তাহারা সাবধান হইবে। (৬:৫১)
আল্লাহ্কে ছাড়িয়া যাহাদেরকে তাহারা ডাকে তাহাদেরকে তোমরা গালি দিও না। কেননা তাহারা সীমালংঘন করিয়া অজ্ঞানতাবশত আল্লাহ্কেও গালি দিবে। এইভাবে আমি প্রত্যেক জাতির দৃষ্টিতে তাহাদের কার্যকলাপ সুশোভন করিয়াছি; অতঃপর তাহাদের প্রতিপালকের নিকট তাহাদের প্রত্যাবর্তন। অনন্তর তিনি তাহাদেরকে তাহাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে অবহিত করিবেন। (৬:১০৮)
হে মু’মিনগণ! রাসূল যখন তোমাদেরকে এমন কিছুর দিকে আহ্বান করে যাহা তোমাদেরকে প্রাণবন্ত করে, তখন আল্লাহ্ ও রাসূলের আহ্বানে সাড়া দিবে এবং জানিয়া রাখ, আল্লাহ্ মানুষ ও তাহার অন্তরের মধ্যবর্তী হইয়া থাকেন, এবং তাঁহারই নিকট তোমাদেরকে একত্র করা হইবে। (৮:২৪)
‘হে আমাদের প্রতিপালক! যেই দিন হিসাব অনুষ্ঠিত হইবে সেই দিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং মু’মিনগণকে ক্ষমা করিও।’ (১৪:৪১)
যেদিন এই পৃথিবী পরিবর্তিত হইয়া অন্য পৃথিবী হইবে এবং আকাশমন্ডলীও; এবং মানুষ উপস্থিত হইবে আল্লাহ্র সম্মুখে যিনি এক পরাক্রমশালী। (১৪:৪৮)
সেই দিন তুমি অপরাধীদেরকে দেখিবে শৃক্মখলিত অবস্থায়, (১৪:৪৯)
সেই দিন আমি উত্থিত করিব প্রত্যেক সম্প্রদায়ে তাহাদেরই মধ্য হইতে তাহাদের বিষয়ে এক একজন সাক্ষী এবং তোমাকে আমি আনিব সাক্ষীরূপে ইহাদের বিষয়ে। আমি আত্ম-সমর্পণকারীদের জন্য প্রত্যেক বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যাস্বরূপ, পথনির্দেশ, দয়া ও সুসংবাদস্বরূপ তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করিলাম। (১৬:৮৯)
প্রত্যেক মানুষের কর্ম আমি তাহার গ্রীবালগ্ন করিয়াছি এবং কিয়ামতের দিন আমি তাহার জন্য বাহির করিব এক কিতাব, যাহা সে পাইবে উন্মুক্ত। (১৭:১৩)
স্মরণ কর, সেই দিনকে যখন আমি প্রত্যেক সস্প্রদায়কে উহাদের নেতাসহ আহ্বান করিব। যাহাদের দক্ষিণ হস্তে তাহাদের আমলনামা দেওয়া হইবে, তাহারা তাহাদের আমলনামা পাঠ করিবে এবং তাহাদের উপর সামান্য পরিমাণও জুলুম করা হইবে না। (১৭:৭১)
স্মরণ কর, যেদিন আমি পর্বতমালাকে করিব সঞ্চালিত এবং তুমি পৃথিবীকে দেখিবে উন্মুক্ত প্রান্তর, সেদিন তাহাদের সকলকে আমি একত্র করিব এবং উহাদের কাহাকেও অব্যাহিত দিব না, (১৮:৪৭)
যেদিন দয়াময়ের নিকট মুত্তাকীদেরকে সম্মানিত মেহমানরূপে সমবেত করিব, (১৯:৮৫)
এবং অপরাধীদেরকে তৃষ্ণাতুর অবস্থায় জাহান্নামের দিকে হাঁকাইয়া লইয়া যাইব। (১৯:৮৬)
মানুষের হিসাব-নিকাশের সময় আসন্ন, কিন্তু উহারা উদাসীনতায় মুখ ফিরাইয়া রহিয়াছে। (২১:১)
সেই দিন আকাশমন্ডলীকে গুটাইয়া ফেলিব, যেভাবে গুটান হয় লিখিত দফতর; যেভাবে আমি প্রথম সৃষ্টির সূচনা করিয়াছিলাম সেইভাবে পুনরায় সৃষ্টি করিব; প্রতিশ্রুতি পালন আমার কর্তব্য, আমি ইহা পালন করিবই। (২১:১০৪)
এবং যেদিন শিংগায় ফুৎকার দেওয়া হইবে সেদিন পরস্পরের মধ্যে আত্মীয়তার বন্ধন থাকিবে না, এবং একে অপরের খোঁজ-খবর লইবে না, (২৩:১০১)
এবং যাহাদের পাল্লা ভারী হইবে তাহারাই হইবে সফলকাম, (২৩:১০২)
এবং যাহাদের পাল্লা হাল্কা হইবে তাহারাই নিজেদের ক্ষতি করিয়াছে; উহারা জাহান্নামে স্থায়ী হইবে। (২৩:১০৩)
যেই দিন তাহাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে তাহাদের জিহ্বা, তাহাদের হস্ত ও তাহাদের চরণ তাহাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে- (২৪:২৪)
সেই দিন আল্লাহ্ তাহাদের প্রাপ্য প্রতিফল পুরাপুরি দিবেন এবং তাহারা জানিবে, আল্লাহ্ই সত্য, স্পষ্ট প্রকাশক। (২৪:২৫)
যে আল্লাহ্র সাক্ষাৎ কামনা করে সে জানিয়া রাখুক, আল্লাহ্র নির্ধারিত কাল আসিবেই। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (২৯:৫)
তিনিই মৃত হইতে জীবন্তের আবির্ভাব ঘটান এবং তিনিই জীবন্ত হইতে মৃতের আবির্ভাব ঘটান এবং ভূমিকে পুনর্জীবিত করেন উহার মৃত্যুর পর। এইভাবেই তোমরা উত্থিত হইবে। (৩০:১৯)
হে মানুষ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের ভয় কর এবং ভয় কর সেই দিনের, যখন পিতা সন্তানের কোন উপকারে আসিবে না, সন্তানও কোন উপকারে আসিবে না তাহার পিতার। আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি সত্য; সুতরাং পার্থিব জীবন যেন তোমাদেরকে কিছুতেই প্রতারিত না করে এবং সেই প্রবঞ্চক যেন তোমাদেরকে কিছুতেই আল্লাহ্ সম্পর্কে প্রবঞ্চিত না করে। (৩১:৩৩)
হায়, তুমি যদি দেখিতে! যখন অপরাধীরা তাহাদের প্রতিপালকের সম্মুখে অধোবদন হইয়া বলিবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা প্রত্যক্ষ করিলাম ও শ্রবণ করিলাম, এখন তুমি আমাদেরকে পুনরায় প্রেরণ কর, আমরা সৎকর্ম করিব, আমরা তো দৃঢ় বিশ্বাসী!’ (৩২:১২)
আজ কাহারও প্রতি কোন জুলুম করা হইবে না এবং তোমরা যাহা করিতে কেবল তাহারই প্রতিফল দেওয়া হইবে। (৩৬:৫৪)
এই দিন জান্নাতবাসিগণ আনন্দে মগ্ন থাকিবে, (৩৬:৫৫)
তাহারা এবং তাহাদের স্ত্রীগণ সুশীতল ছায়ায় সুসজ্জিত আসনে হেলান দিয়া বসিবে। (৩৬:৫৬)
আমি আজ ইহাদের মুখ মোহর করিয়া দিব, ইহাদের হস্ত কথা বলিবে আমার সঙ্গে এবং ইহাদের চরণ সাক্ষ্য দিবে ইহাদের কৃতকর্মের। (৩৬:৬৫)
তবে তাহারা নয় যাহারা আল্লাহ্র একনিষ্ঠ বান্দা। (৩৭:৪০)
তাহাদের জন্য আছে নির্ধারিত রিযিক- (৩৭:৪১)
ফলমূল; আর তাহারা হইবে সম্মানিত, (৩৭:৪২)
সুখদ-কাননে (৩৭:৪৩)
তাহারা মুখামুখি হইয়া আসনে আসীন হইবে। (৩৭:৪৪)
তাহাদেরকে ঘুরিয়া ঘুরিয়া পরিবেশন করা হইবে বিশুদ্ধ সুরাপূর্ণ পাত্রে। (৩৭:৪৫)
শুভ্র উজ্জ্বল, যাহা হইবে পানকারীদের জন্য সুস্বাদু। (৩৭:৪৬)
উহাতে ক্ষতিকর কিছু থাকিবে না এবং উহাতে তাহারা মাতালও হইবে না, (৩৭:৪৭)
তাহাদের সঙ্গে থাকিবে আনতনয়না, আয়তলোচনা হূরীগণ। (৩৭:৪৮)
তাহারা যেন সুরক্ষিত ডিম্ব। (৩৭:৪৯)
তাহারা একে অপরের সামনাসামনি হইয়া জিজ্ঞাসাবাদ করিবে। (৩৭:৫০)
তাহাদের কেহ বলিবে, ‘আমার ছিল এক সঙ্গী; (৩৭:৫১)
‘সে বলিত, ‘তুমি কি ইহাতে বিশ্বাসী যে, (৩৭:৫২)
সে যদি আল্লাহ্র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা না করিত, (৩৭:১৪৩)
তাহা হইলে তাহাকে উত্থান দিবস পর্যন্ত থাকিতে হইত উহার উদরে। (৩৭:১৪৪)
তাহারা বসিবে শ্রেণীবদ্ধভাবে সজ্জিত আসনে হেলান দিয়া; আমি তাহাদের মিলন ঘটাইব আয়তলোচনা হূরের সঙ্গে; (৫২:২০)
আর এই যে, পুনরুত্থান ঘটাইবার দায়িত্ব তাঁহারই, (৫৩:৪৭)
এবং তোমরা বিভক্ত হইয়া পড়িবে তিন শ্রেণীতে- (৫৬:৭)
ডান দিকের দল; কত ভাগ্যবান ডান দিকের দল! (৫৬:৮)
এবং বাম দিকের দল; কত হতভাগ্য বাম দিকের দল! (৫৬:৯)
আর অগ্রবর্তীগণই তো অগ্রবর্তী, (৫৬:১০)
উহারাই নৈকট্যপ্রাপ্ত- (৫৬:১১)
নিয়ামতপূর্ণ উদ্যানে; (৫৬:১২)
বহুসংখ্যক হইবে পূর্ববর্তীদের মধ্য হইতে; (৫৬:১৩)
এবং অল্পসংখ্যক হইবে পরবর্তীদের মধ্য হইতে। (৫৬:১৪)
স্বর্ণখচিত আসনে (৫৬:১৫)
উহারা হেলান দিয়া বসিবে, পরস্পর মুখোমুখি হইয়া। (৫৬:১৬)
তাহাদের সেবায় ঘোরাফেরা করিবে চির-কিশোরেরা (৫৬:১৭)
পানপাত্র, কুঁজা ও প্রস্রবণ-নিঃসৃত সুরাপূর্ণ পেয়ালা লইয়া। (৫৬:১৮)
সেই সুরা পানে তাহাদের শিরঃপীড়া হইবে না, তাহারা জ্ঞানহারাও হইবে না- (৫৬:১৯)
এবং তাহাদের পসন্দমত ফলমূল, (৫৬:২০)
আর তাহাদের ঈস্পিত পাখির গোশ্ত লইয়া, (৫৬:২১)
সেদিন আল্লাহ্ সকলকে পুনরায় জীবিত করিয়া তাহাদিগকে জ্ঞাত করিবেন তাহাদের কর্ম সম্পর্কে; আল্লাহ্ তার হিসাব রাখিয়াছেন যদিও তাহারা ভুলিয়া গিয়াছে; আল্লাহ্র সব কিছুর প্রত্যক্ষকারী। (৫৮:৬)
যে দিন আল্লাহ্ পুনরুত্থিত করিবেন উহাদের সকলকে, তখন উহারা আল্লাহ্র নিকট সেইরূপ শপথ করিবে যেইরূপ শপথ তোমাদের নিকট করে এবং উহারা মনে করে যে, ইহাতে উহারা ভাল কিছুর উপর রহিয়াছে। সাবধান! উহারাই তো প্রকৃত মিথ্যাবাদী। (৫৮:১৮)
হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহ্র নিকট তওবা কর-বিশুদ্ধ তওবা; তাহা হইলে তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের মন্দ কর্মগুলি মোচন করিয়া দিবেন এবং তোমাদেরকে দাখিল করিবেন জান্নাতে, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। সেই দিন আল্লাহ্ লজ্জা দিবেন না নবীকে এবং তাহার মু’মিন সঙ্গীদেরকে, তাহাদের জ্যোতি তাহাদের সম্মুখে ও দক্ষিণ পার্শ্বে ধাবিত হইবে। তাহারা বলিবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জ্যোতিকে পূর্ণতা দান কর এবং আমাদেরকে ক্ষমা কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (৬৬:৮)
ফিরিশ্তাগণ আকাশের প্রাপ্তদেশে থাকিবে এবং সেই দিন আটজন ফিরিশ্তা তোমার প্রতিপালকের আরশকে ধারণ করিবে তাহাদের ঊর্ধ্বে। (৬৯:১৭)
সেই দিন উপস্থিত করা হইবে তোমাদেরকে এবং তোমাদের কিছুই গোপন থাকিবে না। (৬৯:১৮)
তখন যাহাকে তাহার ‘আমলনামা তাহার দক্ষিণ হস্তে দেওয়া হইবে, সে বলিবে, ‘লও, আমার ‘আমলনামা, পড়িয়া দেখ; (৬৯:১৯)
‘নিশ্চয়ই আমি জানিতাম যে, আমাকে আমার হিসাবের সম্মুখীন হইতে হইবে।’ (৬৯:২০)
এই সমুদয় স্থগিত রাখা হইয়াছে কোন্ দিবসের জন্য? (৭৭:১২)
বিচার দিবসের জন্য। (৭৭:১৩)
বিচার দিবস সম্বন্ধে তুমি কী জান? (৭৭:১৪)
সেই দিন দুর্ভোগ অস্বীকারকারীদের জন্য। (৭৭:১৫)
আমি কি পূর্ববর্তীদেরকে ধ্বংস করি নাই? (৭৭:১৬)
অতঃপর আমি পরবর্তীদেরকে উহাদের অনুগামী করিব। (৭৭:১৭)
অপরাধীদের প্রতি আমি এইরূপই করিয়া থাকি। (৭৭:১৮)
সেই দিন দুর্ভোগ অস্বীকারকারীদের জন্য। (৭৭:১৯)
আমি কি তোমাদেরকে তুচ্ছ পানি হইতে সৃষ্টি করি নাই? (৭৭:২০)
অতঃপর আমি উহা রাখিয়াছি নিরাপদ আধারে, (৭৭:২১)
এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত, (৭৭:২২)
অতঃপর আমি ইহাকে গঠন করিয়াছি পরিমিতভাবে, আমি কত নিপুণ স্রষ্টা! (৭৭:২৩)
সেই দিন দুর্ভোগ অস্বীকারকারীদের জন্য। (৭৭:২৪)
আমি কি ভূমিকে সৃষ্টি করি নাই ধারণকারীরূপে, (৭৭:২৫)
জীবিত ও মৃতের জন্য? (৭৭:২৬)
আমি উহাতে স্থাপন করিয়াছি সুদৃঢ় উচ্চ পর্বতমালা এবং তোমাদেরকে দিয়াছি সুপেয় পানি। (৭৭:২৭)
সেই দিন দুর্ভোগ অস্বীকারকারীদের জন্য। (৭৭:২৮)
তোমরা যাহাকে অস্বীকার করিতে, চল তাহারই দিকে। (৭৭:২৯)
চল তিন শাখাবিশিষ্ট ছায়ার দিকে, (৭৭:৩০)
যে ছায়া শীতল নয় এবং যাহা রক্ষা করে না অগ্নিশিখা হইতে, (৭৭:৩১)
ইহা উংক্ষেপ করিবে বৃহৎ স্ফুলিংগ অট্টালিকাতুল্য, (৭৭:৩২)
উহা পীতবর্ণ উষ্ট্রশ্রেণী সদৃশ, (৭৭:৩৩)
সেই দিন দুর্ভোগ অস্বীকারকারীদের জন্য। (৭৭:৩৪)
ইহা এমন একদিন যেদিন কাহারও বাকস্ফূর্তি হইবে না, (৭৭:৩৫)
এবং তাহাদেরকে অনুমতি দেওয়া হইবে না ওযর পেশ করার। (৭৭:৩৬)
সেই দিন দুর্ভোগ অস্বীকারকারীদের জন্য। (৭৭:৩৭)
‘ইহাই ফয়সালার দিন, আমি একত্র করিয়াছি তোমাদেরকে এবং পূর্ববর্তীদেরকে।’ (৭৭:৩৮)
তোমাদের কোন কৌশল থাকিলে তাহা প্রয়োগ কর আমার বিরুদ্ধে। (৭৭:৩৯)
সেই দিন দুর্ভোগ অস্বীকারকারীদের জন্য। (৭৭:৪০)
অবশ্যই মুত্তাকীরা থাকিবে ছায়ায় ও প্রস্রবণবহুল স্থানে, (৭৭:৪১)
তাহাদের বাঞ্ছিত ফলমূলের প্রাচুর্যের মধ্যে। (৭৭:৪২)
‘তোমাদের কর্মের পুরস্কারস্বরূপ তোমরা তৃপ্তির সঙ্গে পানাহার কর।’ (৭৭:৪৩)
এইভাবে আমি সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করিয়া থাকি। (৭৭:৪৪)
সেই দিন দুর্ভোগ অস্বীকারকারীদের জন্য। (৭৭:৪৫)
তোমরা আহার কর এবং ভোগ করিয়া লও অল্প কিছু দিন, তোমরা তো অপরাধী। (৭৭:৪৬)
সেই দিন দুর্ভোগ অস্বীকারকারীদের জন্য। (৭৭:৪৭)
যখন উহাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ্র প্রতি নত হও’ উহারা নত হয় না। (৭৭:৪৮)
সেই দিন দুর্ভোগ অস্বীকারকারীদের জন্য। (৭৭:৪৯)
সুতরাং উহারা কুরআনের পরিবর্তে আর কোন্ কথায় বিশ্বাস স্থাপন করিবে? (৭৭:৫০)
সেই দিন রূহ্ ও ফিরিশ্তাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াইবে; দয়াময় যাহাকে অনুমতি দিবেন সে ব্যতীত অন্যেরা কথা বলিবে না এবং সে যথার্থ বলিবে। (৭৮:৩৮)
এই দিবস সুনিশ্চিত; অতএব যাহার ইচ্ছা সে তাহার প্রতিপালকের শরণাপন্ন হউক। (৭৮:৩৯)
আমি তো তোমাদেরকে আসন্ন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করিলাম; সেই দিন মানুষ তাহার কৃতকর্ম প্রত্যক্ষ করিবে এবং কাফির বলিবে, ‘হায়, আমি যদি মাটি হইতাম!’ (৭৮:৪০)
যখন জীবন্ত সমাধিস্থ কন্যাকে জিজ্ঞাসা করা হইবে, (৮১:৮)
কী অপরাধে উহাকে হত্যা করা হইয়াছিল? (৮১:৯)
যখন ‘আমলনামা উন্মোচিত হইবে, (৮১:১০)
যখন আকাশের আবরণ অপসারিত হইবে, (৮১:১১)
জাহান্নামের অগ্নি যখন উদ্দীপিত করা হইবে, (৮১:১২)
এবং জান্নাত যখন সমীপবর্তী করা হইবে, (৮১:১৩)
তখন প্রত্যেক ব্যক্তিই জানিবে সে কী লইয়া আসিয়াছে। (৮১:১৪)
নিশ্চয়ই তিনি তাহার প্রত্যাবর্তনে ক্ষমতাবান। (৮৬:৮)
যেই দিন গোপন বিষয় পরীক্ষিত হইবে, (৮৬:৯)
সেই দিন তাহার কোন সামর্থ্য থাকিবে না এবং সাহায্যকারীও নয়। (৮৬:১০)
ইহার পর অবশ্যই সেই দিন তোমাদেরকে নিয়ামত সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হইবে। (১০২:৮)