তাহারা বলে, ‘আনুগত্য করি’, অতঃপর যখন তাহারা তোমার নিকট হইতে চলিয়া যায় তখন রাত্রে তাহাদের একদল যাহা বলে তাহার বিপরীত পরামর্শ করে। তাহারা যাহা রাত্রে পরামর্শ করে আল্লাহ্ তাহা লিপিবদ্ধ করিয়া রাখেন। সুতরাং তুমি তাহাদের উপেক্ষা কর এবং আল্লাহ্র প্রতি ভরসা কর; কর্মবিধায়ক হিসাবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট। (৪:৮১)
কেহ কোন সৎকাজ করিলে সে তাহার দশগুণ পাইবে এবং কেহ কোন অসৎ কাজ করিলে তাহাকে শুধু উহারই প্রতিফল দেওয়া হইবে, আর তাহাদের প্রতি জুলুম করা হইবে না। (৬:১৬০)
উহাদের প্রতিপালক উহাদেরকে সুসংবাদ দিতেছেন স্বীয় দয়া ও সন্তোষের এবং জান্নাতের, যেখানে আছে তাহাদের জন্য স্থায়ী সুখ-শান্তি। (৯:২১)
আর দুঃখ-দৈন্য তাহাদেরকে স্পর্শ করিবার পর, যখন আমি মানুষকে অনুগ্রহের আস্বাদন করাই তাহারা তখনই আামার নিদর্শনের বিরুদ্ধে অপকৌশল করে। বল, ‘আল্লাহ্ অপকৌশলের শাস্তিদানে দ্রুততর।’ তোমরা যে অপকৌশল কর তাহা অবশ্যই আমার ফিরিশ্তাগণ লিখিয়া রাখে। (১০:২১)
এবং আল্লাহ্ যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখিতে আদেশ করিয়াছেন যাহারা তাহা অক্ষুণ্ন রাখে, ভয় করে তাহাদের প্রতিপালককে এবং ভয় করে কঠোর হিসাবকে, (১৩:২১)
প্রত্যেক মানুষের কর্ম আমি তাহার গ্রীবালগ্ন করিয়াছি এবং কিয়ামতের দিন আমি তাহার জন্য বাহির করিব এক কিতাব, যাহা সে পাইবে উন্মুক্ত। (১৭:১৩)
‘তুমি তোমার কিতাব পাঠ কর, আজ তুমি নিজেই তোমার হিসাব-নিকাশের জন্য যথেষ্ট।’ (১৭:১৪)
স্মরণ কর, সেই দিনকে যখন আমি প্রত্যেক সস্প্রদায়কে উহাদের নেতাসহ আহ্বান করিব। যাহাদের দক্ষিণ হস্তে তাহাদের আমলনামা দেওয়া হইবে, তাহারা তাহাদের আমলনামা পাঠ করিবে এবং তাহাদের উপর সামান্য পরিমাণও জুলুম করা হইবে না। (১৭:৭১)
সুতরাং যদি কেহ মু’মিন হইয়া সৎকর্ম করে তাহার কর্মপ্রচেষ্টা অগ্রাহ্য হইবে না এবং আমি তো উহা লিখিয়া রাখি। (২১:৯৪)
যে কেহ সৎকর্ম লইয়া উপস্থিত হয় তাহার জন্য রহিয়াছে উহা অপেক্ষা উত্তম ফল, আর যে কর্ম লইয়া উপস্থিত হয়, তবে যাহারা মন্দ কর্ম করে তাহাদেরকে তাহারা যাহা করিয়াছে উহারই শাস্তি দেওয়া হইবে। (২৮:৮৪)
এবং যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আমি নিশ্চয়ই তাহাদের হইতে তাহাদের মন্দ কর্মগুলি মিটাইয়া দিব এবং আমি অবশ্যই তাহাদেরকে প্রতিদান দিব, তাহারা যে উত্তম কর্ম করিত তাহার। (২৯:৭)
যে কেহ আল্লাহ্র নিকট আত্মসমর্পণ করে এবং সৎকর্মপরায়ণ হয় সে তো দৃঢ়ভাবে ধারণ করে এক মযবুত হাতল, যাবতীয় কর্মের পরিণাম আল্লাহ্র ইখ্তিয়ারে। (৩১:২২)
এইজন্য যে, আল্লাহ্ তাহাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দিবেন এবং তিনি নিজ অনুগ্রহে তাহাদেরকে আরও বেশি দিবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী। (৩৫:৩০)
আমিই মৃতকে করি জীবিত এবং লিখিয়া রাখি যাহা উহারা অগ্রে প্রেরণ করে ও যাহা উহারা পশ্চাতে রাখিয়া যায়, আমি তো প্রত্যেক জিনিস স্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত রাখিয়াছি। (৩৬:১২)
উহারা কি মনে করে যে, আমি উহাদের গোপন বিষয় ও মন্ত্রণার খবর রাখি না? অবশ্যই রাখি। আমার ফিরিশ্তাগণ তো উহাদের নিকট থাকিয়া সবকিছু লিপিবদ্ধ করে। (৪৩:৮০)
এবং তুমি প্রত্যেক সম্প্রদায়কে দেখিবে ভয়ে নতজানু, প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তাহার আমলনামার প্রতি আহ্বান করা হইবে ও বলা হইবে, ‘আজ তোমাদেরকে তাহারই প্রতিফল দেওয়া হইবে যাহা তোমরা করিতে। (৪৫:২৮)
‘এই আমার লিপি, ইহা তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে সত্যভাবে। তোমরা যাহা করিতে তাহা আমি লিপিবদ্ধ করিয়াছিলাম।’ (৪৫:২৯)
সুতরাং তোমরা হীনবল হইও না এবং সন্ধির প্রস্তাব করিও না, তোমরাই প্রবল; আল্লাহ্ তোমাদের সঙ্গে আছেন, তিনি তোমাদের কর্মফল কখনও ক্ষুণ্ন করিবেন না। (৪৭:৩৫)
স্মরণ রাখিও, ‘দুই গ্রহণকারী’ ফিরিশতা তাহার দক্ষিণে ও বামে বসিয়া তাহার কর্ম লিপিবদ্ধ করে; (৫০:১৭)
মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে তাহার জন্য তৎপর প্রহরী তাহার নিকটেই রহিয়াছে। (৫০:১৮)
উহাদের সমস্ত কার্যকলাপ আছে আমলনামায়, (৫৪:৫২)
আছে ক্ষুদ্র ও বৃহৎ সমস্ত কিছুই লিপিবদ্ধ। (৫৪:৫৩)
তখন যাহাকে তাহার ‘আমলনামা তাহার দক্ষিণ হস্তে দেওয়া হইবে, সে বলিবে, ‘লও, আমার ‘আমলনামা, পড়িয়া দেখ; (৬৯:১৯)
কিন্তু যাহার ‘আমলনামা তাহার বাম হস্তে দেওয়া হইবে, সে বলিবে, ‘হায়! আমাকে যদি দেওয়াই না হইত আমার ‘আমলনামা, (৬৯:২৫)
সব কিছুই আমি সংরক্ষণ করিয়াছি লিখিতভাবে। (৭৮:২৯)
যখন ‘আমলনামা উন্মোচিত হইবে, (৮১:১০)
তখন প্রত্যেক ব্যক্তিই জানিবে সে কী লইয়া আসিয়াছে। (৮১:১৪)
হে মানুষ! তুমি তোমার প্রতিপালকের নিকট পৌঁছা পর্যন্ত কঠোর সাধনা করিয়া থাক, পরে তুমি তাঁহার সাক্ষাৎ লাভ করিবে। (৮৪:৬)
যাহাকে তাহার ‘আমলনামা তাহার দক্ষিণ হস্তে দেওয়া হইবে। (৮৪:৭)
তাহার হিসাব-নিকাশ সহজেই লওয়া হইবে (৮৪:৮)
এবং সে তাহার স্বজনদের নিকট প্রফুল্লচিত্তে ফিরিয়া যাইবে; (৮৪:৯)
এবং যাহাকে তাহার ‘আমলনামা তাহার পৃষ্ঠের পশ্চাৎদিক হইতে দেওয়া হইবে (৮৪:১০)
সে অবশ্য তাহার ধ্বংস আহ্বান করিবে; (৮৪:১১)
এবং জ্বলন্ত অগ্নিতে প্রবেশ করিবে; (৮৪:১২)
সুতরাং ইহার পর কিসে তোমাকে কর্মফল সম্বন্ধে অবিশ্বাসী করে? (৯৫:৭)