শপথ ঊর্ধ্বশ্বাসে ধাবমান অশ্বরাজির, (১০০:১)
যাহারা খুরাঘাতে অগ্নি-স্ফুলিংগ বিচ্ছুরিত করে, (১০০:২)
যাহারা অভিযান করে প্রভাতকালে, (১০০:৩)
এবং সেই সময়ে ধূলি উৎক্ষিপ্ত করে; (১০০:৪)
অতঃপর শত্রুদলের অভ্যন্তরে ঢুকিয়া পড়ে। (১০০:৫)
মানুষ অবশ্যই তাহার প্রতিপালকের প্রতি অকৃতজ্ঞ। (১০০:৬)
এবং সে অবশ্যই এই বিষয়ে অবহিত, (১০০:৭)
এবং অবশ্যই সে ধন-সম্পদের আসক্তিতে প্রবল। (১০০:৮)
তবে কি সে সেই সম্পর্কে অবহিত নয় যখন কবরে যাহা আছে তাহা উত্থিত হইবে (১০০:৯)
এবং অন্তরে যাহা আছে তাহা প্রকাশ করা হইবে? (১০০:১০)
সেই দিন উহাদের কী ঘটিবে, উহাদের প্রতিপালক অবশ্যই তাহা সবিশেষ অবহিত। (১০০:১১)
প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদেরকে মোহাচ্ছন্ন রাখে। (১০২:১)
যতক্ষণ না তোমরা কবরে উপনীত হও। (১০২:২)
ইহা সংগত নয়, তোমরা শীঘ্রই ইহা জানিতে পারিবে; (১০২:৩)
আবার বলি, ইহা সংগত নয়, তোমরা শীঘ্রই ইহা জানিতে পারিবে। (১০২:৪)
সাবধান! তোমাদের নিশ্চিত জ্ঞান থাকিলে অবশ্যই তোমরা মোহাচ্ছন্ন হইতে না। (১০২:৫)
তোমরা তো জাহান্নাম দেখিবেই; (১০২:৬)
আবার বলি, তোমরা তো উহা দেখিবেই চাক্ষুষ প্রত্যয়ে, (১০২:৭)
ইহার পর অবশ্যই সেই দিন তোমাদেরকে নিয়ামত সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হইবে। (১০২:৮)
মহাকালের শপথ, (১০৩:১)
মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত, (১০৩:২)
কিন্তু উহারা নয়, যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় ও ধৈর্যের উপদেশ দেয়। (১০৩:৩)
দুর্ভোগ প্রত্যেকের, যে পশ্চাতে ও সম্মুখে লোকের নিন্দা করে, (১০৪:১)
যে অর্থ জমায় ও উহা বারবার গণনা করে; (১০৪:২)
সে ধারণা করে যে, তাহার অর্থ তাহাকে অমর করিয়া রাখিবে; (১০৪:৩)
কখনও না, সে অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হইবে হুতামায়; (১০৪:৪)
তুমি কী জান হুতামা কী? (১০৪:৫)
ইহা আল্লাহ্র প্রজ্বলিত হুতাশন, (১০৪:৬)
যাহা হৃদয়কে গ্রাস করিবে; (১০৪:৭)
নিশ্চয়ই ইহা উহাদেরকে পরিবেষ্টন করিয়া রাখিবে। (১০৪:৮)
দীর্ঘায়িত স্তম্ভসমূহে। (১০৪:৯)
তুমি কি দেখিয়াছ তাহাকে, যে দীনকে অস্বীকার করে? (১০৭:১)
সে তো সে-ই, যে ইয়াতীমকে রূঢ়ভাবে তাড়াইয়া দেয়, (১০৭:২)
এবং সে অভাবগ্রস্তকে খাদ্যদানে উৎসাহ দেয় না। (১০৭:৩)
সুতরাং দুর্ভোগ সেই সালাত আদায়কারীদের, (১০৭:৪)
যাহারা তাহাদের সালাত সম্বন্ধে উদাসীন, (১০৭:৫)
যাহারা লোক দেখানোর জন্য উহা করে, (১০৭:৬)
এবং গৃহস্থালীর প্রয়োজনীয় ছোট-খাট সাহায্য দানে বিরত থাকে। (১০৭:৭)