আল্লাহ্ তাহাকে লা‘নত করেন এবং সে বলে, ‘আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের এক নির্দিষ্ট অংশকে আমার অনুসারী করিয়া লইব। (৪:১১৮)
আমি তাহাদেরকে পথভ্রষ্ট করিবই; তাহাদের হৃদয়ে মিথ্যা বাসনার সৃষ্টি করিবই, আমি তাহাদেরকে নিশ্চয়ই নির্দেশ দিব আর তাহারা পশুর কর্ণচ্ছেদ করিবেই, এবং তাহাদেরকে নিশ্চয়ই নির্দেশ দিব আর তাহারা আল্লাহ্র সৃষ্টি বিকৃত করিবেই। আল্লাহ্র পরিবর্তে কেহ শয়তানকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করিলে সে স্পষ্টতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। (৪:১১৯)
সে তাহাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেয় এবং তাহাদের হৃদয়ে মিথ্যা বাসনার সৃষ্টি করে; আর শয়তান তাহাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেয় তাহা ছলনামাত্র। (৪:১২০)
সে বলিল, ‘আপনি গন্ধযুক্ত কর্দমের শুষ্ক ঠনঠনা মৃত্তিকা হইতে যে মানুষ সৃষ্টি করিয়াছেন আমি তাহাকে সিজ্দা করিবার নহি।’ (১৫:৩৩)
তিনি বলিলেন, ‘তবে তুমি এখান হইতে বাহির হইয়া যাও, কারণ তুমি তো অভিশপ্ত; (১৫:৩৪)
‘এবং কর্মফল দিবস পর্যন্ত অবশ্যই তোমার প্রতি রহিল লা‘নত।’ (১৫:৩৫)
সে বলিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত আমাকে অবকাশ দিন।’ (১৫:৩৬)
তিনি বলিলেন, ‘যাহাদেরকে অবকাশ দেওয়া হইয়াছে তুমি তাহাদের অন্তর্ভুক্ত হইলে, (১৫:৩৭)
‘অবধারিত সময় উপস্থিত হওয়ার দিন পর্যন্ত।’ (১৫:৩৮)
সে বলিল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি যে আমাকে বিপথগামী করিলেন তজ্জন্য আমি পৃথিবীতে মানুষের নিকট পাপকর্মকে অবশ্যই শোভন করিয়া তুলিব এবং আমি উহাদের সকলকেই বিপথগামী করিব, (১৫:৩৯)
‘তবে উহাদের মধ্যে আপনার নির্বাচিত বান্দাগণ ব্যতীত।’ (১৫:৪০)
স্মরণ কর, যখন ফিরিশতাদেরকে বলিলাম, ‘আদমকে সিজদা কর’, তখন ইবলীস ব্যতীত সকলেই সিজদা করিল। সে বলিয়াছিল, ‘আমি কি তাহাকে সিজ্দা করিব যাহাকে আপনি কর্দম হইতে সৃষ্টি করিয়াছেন।?’ (১৭:৬১)
সে বলিয়াছিল, “আপনি কি বিবেচনা করিয়াছেন, আপনি আমার উপর এই ব্যক্তিকে মর্যাদা দান করিলেন, কিয়ামতের দিন পর্যন্ত যদি আমাকে অবকাশ দেন তাহা হইলে আমি অল্প কয়েকজন ব্যতীত তাহার বংশধরকে অবশ্যই কর্তৃত্বাধীন করিয়া ফেলিব।” (১৭:৬২)
আল্লাহ্ বলিলেন, ‘যাও, তাহাদের মধ্যে যাহারা তোমার অনুসরণ করিবে, তবে জাহান্নামই তোমাদের সকলের শাস্তি, পূর্ণ শাস্তি। (১৭:৬৩)
‘তোমার আহ্বানে উহাদের মধ্যে যাহাকে পার পদস্খলিত কর, তোমার অশ্বারোহী ও পদাতিক বাহিনী দ্বারা উহাদেরকে আক্রমণ কর এবং উহাদের ধনে ও সন্তান-সন্ততিতে শরীক হইয়া যাও ও উহাদেরকে প্রতিশ্রুতি দাও। শয়তান উহাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেয় উহা ছলনা মাত্র। (১৭:৬৪)
নিশ্চয়ই ‘আমার বান্দাদের উপর তোমার কোন ক্ষমতা নাই।’ কর্মবিধায়ক হিসাবে তোমার প্রতিপালকই যথেষ্ট। (১৭:৬৫)