আমি কি তাহার জন্য সৃষ্টি করি নাই দুই চক্ষু? (৯০:৮)
আর জিহ্বা ও দুই ওষ্ঠ? (৯০:৯)
আর আমি তাহাকে দুইটি পথ দেখাইয়াছি। (৯০:১০)
সে তো বন্ধুর গিরিপথে প্রবেশ করে নাই। (৯০:১১)
তুমি কী জান-বন্ধুর গিরিপথ কী? (৯০:১২)
ইহা হইতেছে; দাসমুক্তি। (৯০:১৩)
অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে আহার্যদান। (৯০:১৪)
ইয়াতীম আত্মীয়কে, (৯০:১৫)
অথবা দারিদ্র্য-নিষ্পেষিত নিঃস্বকে, (৯০:১৬)
তদুপরি সে অন্তর্ভুক্ত হয় মু’মিনদেরকে এবং তাহাদের, যাহারা পরস্পরকে উপদেশ দেয় ধৈর্য ধারণের ও দয়া-দাক্ষিণ্যের; (৯০:১৭)
ইহারাই সৌভাগ্যশালী। (৯০:১৮)
আর যাহারা আমার নিদর্শন প্রত্যাখ্যান করিয়াছে, উহারাই হতভাগ্য। (৯০:১৯)
উহারা পরিবেষ্টিত হইবে অবরুদ্ধ অগ্নিতে। (৯০:২০)
অতঃপর উহাকে উহার অসৎকর্ম ও উহার সৎকর্মের জ্ঞান দান করিয়াছেন। (৯১:৮)
সে-ই সফলকাম হইবে, যে নিজেকে পবিত্র করিবে। (৯১:৯)
এবং সেই ব্যর্থ হইবে, যে নিজেকে কলুষাচ্ছন্ন করিবে। (৯১:১০)
শপথ রজনীর, যখন সে আচ্ছন্ন করে, (৯২:১)
শপথ দিবসের, যখন উহা উদ্ভাসিত হয় (৯২:২)
এবং শপথ তাঁহার, যিনি নর ও নারী সৃষ্টি করিয়াছেন- (৯২:৩)
অবশ্যই তোমাদের কর্মপ্রচেষ্টা বিভিন্ন প্রকৃতির।‘ (৯২:৪)
সুতরাং কেহ দান করিলে, মুত্তাকী হইলে। (৯২:৫)
এবং যাহা উত্তম তাহা সত্য বলিয়া গ্রহণ করিলে, (৯২:৬)
আমি তাহার জন্য সুগম করিয়া দিব সহজ পথ। (৯২:৭)
এবং কেহ কার্পণ্য করিলে ও নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করিলে, (৯২:৮)
আর যাহা উত্তম তাহা অস্বীকার করিলে, (৯২:৯)
তাহার জন্য আমি সুগম করিয়া দিব কঠোর পথ। (৯২:১০)
এবং তাহার সম্পদ তাহার কোন কাজে আসিবে না, যখন সে ধ্বংস হইবে। (৯২:১১)
আমার কাজ তো কেবল পথনির্দেশ করা, (৯২:১২)
আমি তো মালিক পরলোকের ও ইহলোকের। (৯২:১৩)
আমি তোমাদেরকে লেলিহান অগ্নি সম্পর্কে সতর্ক করিয়া দিয়াছি। (৯২:১৪)
উহাতে প্রবেশ করিবে সে-ই, যে নিতান্ত হতভাগ্য, (৯২:১৫)
যে অস্বীকার করে ও মুখ ফিরাইয়া নেয়। (৯২:১৬)
আর উহা হইতে দূরে রাখা হইবে পরম মুত্তাকীকে, (৯২:১৭)
যে স্বীয় সম্পদ দান করে আত্মশুদ্ধির জন্য, (৯২:১৮)
এবং তাহার প্রতি কাহারও অনুগ্রহের প্রতিদানে নয়, (৯২:১৯)
কেবল তাহার মহান প্রতিপালকের সন্তুষ্টির প্রত্যাশায়; (৯২:২০)
সে তো অচিরেই সন্তোষ লাভ করিবে। (৯২:২১)