আমি তোমাকে সত্যসহ শুভ সংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করিয়াছি। জাহান্নামীদের সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন করা হইবে না। (২:১১৯)
বল, ‘আল্লাহ্ সম্বন্ধে তোমরা কি আমাদের সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হইতে চাও-যখন তিনি আমাদের প্রতিপালক এবং তোমাদেরও প্রতিপালক। আমাদের কর্ম আমাদের এবং তোমাদের কর্ম তোমাদের; এবং আমরা তাঁহার প্রতি একনিষ্ঠ।’ (২:১৩৯)
তাহাদের সৎপথে গ্রহণের দায়িত্ব তোমার নহে; বরং আল্লাহ্ যাহাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন। যে ধন-সম্পদ তোমরা ব্যয় কর তাহা তোমাদের নিজেদের জন্য এবং তোমরা তো শুধু আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভার্থেই ব্যয় করিয়া থাক। যে ধন-সম্পদ তোমরা ব্যয় কর তাহার পুরস্কার তোমাদেরকে পুরাপুরিভাবে প্রদান করা হইবে এবং তোমাদের প্রতি অন্যায় করা হইবে না। (২:২৭২)
সুতরাং আল্লাহ্র পথে যুদ্ধ কর; তোমাকে শুধু তোমার নিজের জন্য দায়ী করা হইবে এবং মু’মিনগণকে উদ্বুদ্ধ কর, হয়তো আল্লাহ্ কাফিরদের শক্তি সংযত করিবেন। আল্লাহ্ শক্তিতে প্রবলতর ও শাস্তিদানে কঠোরতর। (৪:৮৪)
হে মু’মিনগণ! তোমাদের দায়িত্ব তোমাদেরই উপর। তোমরা যদি সৎপথে পরিচালিত হও তবে যে পথভ্রষ্ট হইয়াছে সে তোমাদের কোন ক্ষতি করিতে পারিবে না। আল্লাহ্র দিকেই তোমাদের সকলের প্রত্যাবর্তন; অতঃপর তোমরা যাহা করিতে তিনি সে সম্বন্ধে তোমাদেরকে অবহিত করিবেন। (৫:১০৫)
যাহারা তাহাদের প্রতিপালককে প্রাতে ও সন্ধ্যায় তাঁহার সন্তুষ্টি লাভার্থে ডাকে তাহাদেরকে তুমি বিতাড়িত করিও না। তাহাদের কর্মের জবাবদিহির দায়িত্ব তোমার নয় এবং তোমার কোন কর্মের জবাবদিহির দায়িত্ব তাহাদের নয় যে, তুমি তাহাদেরকে বিতাড়িত করিবে; করিলে তুমি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হইবে। (৬:৫২)
উহাদের কর্মের জবাবদিহির দায়িত্ব তাহাদের নয় যাহারা তাক্ওয়া অবলম্বন করে। তবে উপদেশ দেওয়া তাহাদের কর্তব্য যাহাতে উহারাও তাক্ওয়া অবলম্বন করে। (৬:৬৯)
তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমাদের নিকট স্পষ্ট প্রমাণ অবশ্যই আসিয়াছে। সুতরাং কেহ উহা দেখিলে উহা দ্বারা সে নিজেই লাভবান হইবে; আর কেহ না দেখিলে তাহাতে সে নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হইবে। আমি তোমাদের সংরক্ষক নই। (৬:১০৪)
এবং তাহারা যদি তোমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করে তবে তুমি বলিও, ‘আমার কর্মের দায়িত্ব আমার এবং তোমাদের কর্মের দায়িত্ব তোমাদের। আমি যাহা করি সে বিষয়ে তোমরা দায়মুক্ত এবং তোমরা যাহা কর সে বিষয়ে আমিও দায়মুক্ত।’ (১০:৪১)
স্থায়ী জান্নাত, উহাতে তাহারা প্রবেশ করিবে এবং তাহাদের পিতা-মাতা, পতি-পত্নী ও সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে যাহারা সৎকর্ম করিয়াছে তাহারাও এবং ফিরিশ্তাগণ তাহাদের নিকট উপস্থিত হইবে প্রত্যেক দ্বার দিয়া, (১৩:২৩)
তোমরা সৎকর্ম করিলে সৎকর্ম নিজেদের জন্য করিবে এবং মন্দ কর্ম করিলে তাহাও করিবে নিজেদের জন্য। অতঃপর পরবর্তী নির্ধারিত কাল উপস্থিত হইলে আমি আমার বান্দাদেরকে প্রেরণ করিলাম তোমাদের মুখমন্ডল কালিমাচ্ছন্ন করিবার জন্য, প্রথমবার তাহারা যেভাবে মসজিদে প্রবেশ করিয়াছিল পুনরায় সেইভাবেই উহাতে প্রবেশ করিবার জন্য এবং তাহারা যাহা অধিকার করিয়াছিল তাহা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করিবার জন্য। (১৭:৭)
যাহারা সৎপথ অবলম্বন করিবে তাহারা তো নিজেদেরই মঙ্গলের জন্য সৎপথ অবলম্বন করিবে এবং যাহারা পথভ্রষ্ট হইবে তাহারা তো পথভ্রষ্ট হইবে নিজেদেরই ধ্বংসের জন্য এবং কেহ অন্য কাহারও ভার বহন করিবে না। আমি রাসূল না পাঠান পর্যন্ত কাহাকেও শাস্তি দেই না। (১৭:১৫)
আমি আরও আদিষ্ট হইয়াছি, কুরআন তিলাওয়াত করিতে; অতএব যে ব্যক্তি সৎপথ অনুসরণ করে, সে সৎপথ অনুসরণ করে নিজেরই কল্যাণের জন্য। আর কেহ ভ্রান্ত পথ অবলম্বন করিলে তুমি বলিও, ‘আমি তো কেবল সতর্ককারীদের মধ্যে একজন।’ (২৭:৯২)
উহারা যখন অসার বাক্য শ্রবণ করে তখন উহারা তাহা উপেক্ষা করিয়া চলে এবং বলে, ‘আমাদের কাজের ফল আমাদের জন্য এবং তোমাদের কাজের ফল তোমাদের জন্য; তোমাদের প্রতি ‘সালাম’। আমরা অজ্ঞদের সঙ্গ চাহি না।’ (২৮:৫৫)
যে কেহ সাধনা করে, সে তো নিজের জন্যই সাধনা করে; আল্লাহ্ তো বিশ্বজগৎ হইতে অমুখোপেক্ষী। (২৯:৬)
হে মানুষ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের ভয় কর এবং ভয় কর সেই দিনের, যখন পিতা সন্তানের কোন উপকারে আসিবে না, সন্তানও কোন উপকারে আসিবে না তাহার পিতার। আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি সত্য; সুতরাং পার্থিব জীবন যেন তোমাদেরকে কিছুতেই প্রতারিত না করে এবং সেই প্রবঞ্চক যেন তোমাদেরকে কিছুতেই আল্লাহ্ সম্পর্কে প্রবঞ্চিত না করে। (৩১:৩৩)
কোন বহনকারী অন্যের বোঝা বহন করিবে না; কোন ভারাক্রান্ত ব্যক্তি যদি কাহাকেও ইহা বহন করিতে আহ্বান করে তবে উহার কিছুই বহন করা হইবে না- সে নিকট-আত্মীয় হইলেও। তুমি কেবল তাহাদেরকেই সতর্ক করিতে পার যাহারা তাহাদের প্রতিপালককে না দেখিয়া ভয় করে এবং সালাত কায়েম করে। যে কেহ নিজকে পরিশোধন করে সে তো পরিশোধন করে নিজেরই কল্যাণের জন্য। আল্লাহ্রই দিকে প্রত্যাবর্তন। (৩৫:১৮)
তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করিয়াছেন। সুতরাং কেহ কুফরী করিলে তাহার কুফরীর জন্য সে নিজেই দায়ী হইবে। কাফিরদের কুফরী কেবল উহাদের প্রতিপালকের ক্রোধই বৃদ্ধি করে এবং কাফিরদের কুফরী উহাদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে। (৩৫:৩৯)
আমি তোমার প্রতি সত্যসহ কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছি মানুষের জন্য; অতঃপর যে সৎপথ অবলম্বন করে সে তাহা করে নিজেরই কল্যাণের জন্য এবং যে বিপথগামী হয় সে তো বিপথগামী হয় নিজেরই ধ্বংসের জন্য এবং তুমি উহাদের তত্ত্বাবধায়ক নও। (৩৯:৪১)
‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাহাদেরকে দাখিল কর স্থায়ী জান্নাতে, যাহার প্রতিশ্রুতি তুমি তাহাদেরকে দিয়াছ এবং তাহাদের পিতামাতা, পতি-পত্নী ও সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে যাহারা সৎকর্ম করিয়াছে তাহাদেরকেও। তুমি তো পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (৪০:৮)
সুতরাং তুমি উহার দিকে আহ্বান কর ও উহাতেই দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাক যেইভাবে তুমি আদিষ্ট হইয়াছ এবং উহাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করিও না। বল, ‘আল্লাহ্ যে কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছেন আমি তাহাতে বিশ্বাস করি এবং আমি আদিষ্ট হইয়াছি তোমাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করিতে। আল্লাহ্ই আমাদের প্রতিপালক এবং তোমাদেরও প্রতিপালক। আমাদের কর্ম আমাদের এবং তোমাদের কর্ম তোমাদের; আমাদের ও তোমাদের মধ্যে বিবাদ-বিসম্বাদ নাই। আল্লাহ্ই আমাদেরকে একত্র করিবেন এবং প্রত্যাবর্তন তাঁহারই নিকট।’ (৪২:১৫)
যে সৎকর্ম করে সে তাহার কল্যাণের জন্যই উহা করে এবং কেহ মন্দ কর্ম করিলে উহার প্রতিফল সে-ই ভোগ করিবে, অতঃপর তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তিত হইবে। (৪৫:১৫)
এবং যাহারা ঈমান আনে আর তাহাদের সন্তান-সন্ততি ঈমানে তাহাদের অনুগামী হয়, তাহাদের সঙ্গে মিলিত করিব তাহাদের সন্তান-সন্ততিকে এবং তাহাদের কর্মফল আমি কিছুমাত্র হ্রাস করিব না; প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের জন্য দায়ী। (৫২:২১)
তোমরা আল্লাহ্কে যথাসাধ্য ভয় কর, এবং শোন, আনুগত্য কর ও ব্যয় কর তোমাদের নিজেদেরই কল্যাণের জন্য; যাহারা অন্তরের কার্পণ্য হইতে মুক্ত; তাহারাই সফলকাম। (৬৪:১৬)