আল্লাহ্র অনুমতি ব্যতীত কাহারও মৃত্যু হইতে পারে না, যেহেতু উহার মেয়াদ অবধারিত। কেহ পার্থিব পুরস্কার চাহিলে আমি তাহাকে কিছু দেই এবং কেহ পারলৌকিক পুরস্কার চাহিলে আমি তাহাকে তাহার কিছু দেই এবং শীঘ্রই কৃতজ্ঞদের পুরস্কৃত করিব। (৩:১৪৫)
হে মু’মিনগণ! তোমরা তাহাদের মত হইও না যাহারা কুফরী করে এবং তাহাদের ভ্রাতাগণ যখন দেশে দেশে সফর করে অথবা যুদ্ধে লিপ্ত হয়, তাহাদের সম্পর্কে বলে, ‘তাহারা যদি আমাদের নিকট থাকিত তবে তাহারা মরিত না এবং নিহত হইত না।’ ফলে আল্লাহ্ ইহাই তাহাদের মনস্তাপে পরিণত করেন; আল্লাহ্ই জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান, তোমরা যাহা কর আল্লাহ্ উহার সম্যক দ্রষ্টা। (৩:১৫৬)
জীবমাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করিবে। কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে তোমাদের কর্মফল পূর্ণ মাত্রায় দেওয়া হইবে। যাহাকে অগ্নি হইতে দূরে রাখা হইবে এবং জান্নাতে দাখিল করা হইবে সে-ই সফলকাম এবং পার্থিব জীবন ছলনাময় ভোগ ব্যতীত কিছুই নয়। (৩:১৮৫)
তিনিই তোমাদেরকে মৃত্তিকা হইতে সৃষ্টি করিয়াছেন, অতঃপর এক কাল নির্দিষ্ট করিয়াছেন এবং আর একটি নির্ধারিত কাল আছে যাহা তিনিই জ্ঞাত, এতদ্সত্ত্বেও তোমরা সন্দেহ কর। (৬:২)
তিনিই স্বীয় বান্দাদের উপর পরাক্রমশালী এবং তিনিই তোমাদের রক্ষক প্রেরণ করেন। অবশেষে যখন তোমাদের কাহারও মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন আমার প্রেরিতরা তাহার মৃত্যু ঘটায় এবং তাহারা কোন ত্রুটি করে না। (৬:৬১)
অতঃপর তাহাদের প্রকৃত প্রতিপালক আল্লাহ্র দিকে তাহারা প্রত্যানীত হয়। দেখ, কর্তৃত্ব তো তাঁহারই এবং হিসাব গ্রহণে তিনিই সর্বাপেক্ষা তৎপর। (৬:৬২)
তিনি বলিলেন, ‘সেখানেই তোমরা জীবন যাপন করিবে, সেখানেই তোমাদের মৃত্যু হইবে এবং সেখান হইতেই তোমাদেরকে বাহির করিয়া আনা হইবে।’ (৭:২৫)
বল, ‘আমার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়াছেন ন্যায়বিচারের।’ প্রত্যেকে সালাতে তোমাদের লক্ষ্য স্থির রাখিবে এবং তাঁহারই আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হইয়া একনিষ্ঠভাবে তাঁহাকে ডাকিবে। তিনি যেভাবে প্রথমে তোমাদেরকে সৃষ্টি করিয়াছেন। তোমরা সেইভাবে ফিরিয়া আসিবে। (৭:২৯)
প্রত্যেক জাতির এক নির্দিষ্ট সময় আছে। যখন তাহাদের সময় আসিবে তখন তাহারা মৃত্যুকাল বিলম্ব করিতে পারিবে না এবং ত্বরাও করিতে পারিবে না। (৭:৩৪)
যে ব্যক্তি আল্লাহ্ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করে কিংবা তাঁহার নিদর্শনকে অস্বীকার করে তাহার অপেক্ষা বড় জালিম আর কে? তাহাদের যে হিস্সা লিপিবদ্ধ রহিয়াছে উহা তাহাদের নিকট পৌঁছিবে। যতক্ষণ না আমার ফিরিশ্তাগণ জান কবজের জন্য তাহাদের নিকট আসিবে ও জিজ্ঞাসা করিবে, ‘আল্লাহ্ ছাড়া যাহাদেরকে তোমরা ডাকিতে তাহারা কোথায়? তাহারা বলিবে, ‘তাহারা আমাদের নিকট হইতে অন্তর্হিত হইয়াছে’ এবং তাহারা স্বীকার করিবে যে, তাহারা কাফির ছিল । (৭:৩৭)
বল, ‘আল্লাহ্ যাহা ইচ্ছা করেন তাহা ব্যতীত আমার নিজের ভালমন্দের উপর আমার কোন অধিকার নাই।’ প্রত্যেক জাতির এক নির্দিষ্ট সময় আছে; যখন তাহাদের সময় আসিবে তখন তাহারা মুহূর্তকালও বিলম্ব বা ত্বরা করিতে পারিবে না। (১০:৪৯)
তোমার পূর্বে আমি তো অনেক রাসূল প্রেরণ করিয়াছিলাম এবং তাহাদেরকে স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দিয়াছিলাম। আল্লাহ্র অনুমতি ব্যতীত কোন নিদর্শন উপস্থিত করা কোন রাসূলের কাজ নয়। প্রত্যেক বিষয়ের নির্ধারিত কাল লিপিবদ্ধ। (১৩:৩৮)
আমি যে কোন জনপদকে ধ্বংস করিয়াছি তাহার জন্য ছিল একটি নির্দিষ্ট লিপিবদ্ধ কাল। (১৫:৪)
কোন জাতি তাহার নির্দিষ্ট কালকে ত্বরান্বিত করিতে পারে না, বিলম্বিতও করিতে পারে না। (১৫:৫)
আমি ফিরিশ্তাগণকে প্রেরণ করি না যথার্থ কারণ ব্যতীত; ফিরিশ্তাগণ উপস্থিত হইলে উহারা অবকাশ পাইবে না। (১৫:৮)
জীবনমাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করিবে; আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দ্বারা বিশেষভাবে পরীক্ষা করিয়া থাকি এবং আমারই নিকট তোমরা প্রত্যানীত হইবে। (২১:৩৫)
ইহা এইজন্য যে, আল্লাহ্ সত্য এবং তিনিই মৃতকে জীবন দান করেন এবং তিনি সর্ববিষয়ে শক্তিমান; (২২:৬)
ইহার পর তোমরা অবশ্যই মরিবে, (২৩:১৫)
যে আল্লাহ্র সাক্ষাৎ কামনা করে সে জানিয়া রাখুক, আল্লাহ্র নির্ধারিত কাল আসিবেই। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (২৯:৫)
জীবমাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণকারী; অতঃপর তোমরা আমারই নিকট প্রত্যাবর্তিত হইবে। (২৯:৫৭)
তিনিই মৃত হইতে জীবন্তের আবির্ভাব ঘটান এবং তিনিই জীবন্ত হইতে মৃতের আবির্ভাব ঘটান এবং ভূমিকে পুনর্জীবিত করেন উহার মৃত্যুর পর। এইভাবেই তোমরা উত্থিত হইবে। (৩০:১৯)
বল, ‘তোমাদের জন্য নিযুক্ত মৃত্যুর ফিরিশতা তোমাদের প্রাণ হরণ করিবে। অবশেষে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যানীত হইবে।’ (৩২:১১)
আল্লাহ্ মানুষকে তাহাদের কৃতকর্মের জন্য শাস্তি দিলে ভূপৃষ্ঠে কোন জীব-জন্তুকেই রেহাই দিতেন না, কিন্তু তিনি এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত তাহাদেরকে অবকাশ দিয়া থাকেন। অতঃপর তাহাদের নির্দিষ্ট কাল আসিয়া গেলে আল্লাহ্ তো আছেন তাঁহার বান্দাদের সম্যক দ্রষ্টা। (৩৫:৪৫)
আমি যাহাকে দীর্ঘ জীবন দান করি প্রকৃতিগতভাবে তাহার অবনতি ঘটাই। তবুও কি উহারা বুঝে না? (৩৬:৬৮)
‘তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করিয়াছেন মৃত্তিকা হইতে, পরে শুক্রবিন্দু হইতে, তারপর আলাকা হইতে, তারপর তোমাদেরকে বাহির করেন শিশুরূপে, অতঃপর যেন তোমরা উপনীত হও তোমাদের যৌবনে, তারপর হইয়া যাও বৃদ্ধ। আর তোমাদের মধ্যে কাহারও মৃত্যু ঘটে ইহার পূর্বেই! যাহাতে তোমরা নির্ধারিত কাল প্রাপ্ত হও এবং যেন তোমরা অনুধাবন করিতে পার। (৪০:৬৭)
‘তিনিই জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান এবং যখন তিনি কিছু করা স্থির করেন তখন তিনি উহার জন্য বলেন, ‘হও’, আর উহা হইয়া যায়।’ (৪০:৬৮)
উহাদের নিকট জ্ঞান আসিবার পর কেবল পারস্পরিক বিদ্বেষবশত উহারা নিজেদের মধ্যে মতভেদ ঘটায়। এক নির্ধারিত কাল পর্যন্ত অবকাশ সম্পর্কে তোমার প্রতিপালকের পূর্ব সিদ্ধান্ত না থাকিলে উহাদের বিষয়ে ফয়সালা হইয়া যাইত। উহাদের পর যাহারা কিতাবের উত্তারাধিকারী হইয়াছে তাহারা তো সেই সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর সন্দেহে রহিয়াছে। (৪২:১৪)
আর এই যে, তিনিই হাসান, তিনিইঁ কাঁদান, (৫৩:৪৩)
আর এই যে, তিনিই মারেন, তিনিই বাঁচান, (৫৩:৪৪)
আমি তোমাদেরকে যে রিযিক দিয়াছি তোমরা তাহা হইতে ব্যয় করিবে তোমাদের কাহারও মৃত্যু আসিবার পূর্বে। অন্যথায় মৃত্যু আসিলে সে বলিবে, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে আরও কিছুকালের জন্য অবকাশ দিলে আমি সাদাকা দিতাম এবং সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত হইতাম!’ (৬৩:১০)
কিন্তু যখন কাহারও নির্ধারিত কাল উপস্থিত হইবে, তখন আল্লাহ্ তাহাকে কিছুতেই অবকাশ দিবেন না। তোমরা যাহা কর আল্লাহ্ সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত। (৬৩:১১)
যতক্ষণ না তোমরা কবরে উপনীত হও। (১০২:২)
ইহা সংগত নয়, তোমরা শীঘ্রই ইহা জানিতে পারিবে; (১০২:৩)
আবার বলি, ইহা সংগত নয়, তোমরা শীঘ্রই ইহা জানিতে পারিবে। (১০২:৪)