তাহারা যদি তাওরাত, ইন্জীল ও তাহাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে তাহাদের প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহা প্রতিষ্ঠিত করিত, তাহা হইলে তাহারা তাহাদের উপর ও পদতল হইতে আহার্য লাভ করিত। তাহাদের মধ্যে একদল রহিয়াছে যাহারা মধ্যপন্থী; কিন্তু তাহাদের অধিকাংশ যাহা করে তাহা নিকৃষ্ট। (৫:৬৬)
স্মরণ কর, হাওয়ারীগণ বলিয়ছিল, ‘হে মার্ইয়াম-তনয় ‘ঈসা! তোমার প্রতিপালক কি আমাদের জন্য আসমান হইতে খাদ্য-পরিপূর্ণ খাঞ্চা প্রেরণ করিতে সক্ষম?’ সে বলিয়াছিল, ‘আল্লাহ্কে ভয় কর, যদি তোমরা মু’মিন হও।’ (৫:১১২)
তাহারা বলিয়াছিল, ‘আমরা চাই যে, উহা হইতে কিছু খাইব ও আমাদের চিত্ত প্রশান্তি লাভ করিবে। আর আমরা জানিতে চাই যে, তুমি আমাদেরকে সত্য বলিয়াছ এবং আমরা উহার সাক্ষী থাকিতে চাই।’ (৫:১১৩)
মার্ইয়াম-তনয় ‘ঈসা বলিল, ‘হে আল্লাহ্ আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জন্য আসমান হইতে খাদ্যপূর্ণ খাঞ্চা প্রেরণ কর; ইহা আমাদের ও আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের জন্য হইবে আনন্দোৎসবস্বরূপ এবং তোমার নিকট হইতে নিদর্শন। আর আমাদেরকে জীবিকা দান কর; তুমিই তো শ্রেষ্ঠ জীবিকাদাতা।’ (৫:১১৪)
আল্লাহ্ বলিলেন, ‘আমিই তোমাদের নিকট উহা প্রেরণ করিব; কিন্তু ইহার পর তোমাদের মধ্যে কেহ কুফরী করিলে তাহাকে এমন শাস্তি দিব, যে শাস্তি বিশ্বজগতের অপর কাহাকেও দিব না।’ (৫:১১৫)
বল, ‘আমি কি আসমান ও যমীনের স্রষ্টা আল্লাহ্ ব্যতীত অন্যকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করিব? তিনিই আহার্য দান করেন কিন্তু তাঁহাকে কেহ আহার্য দান করে না’; এবং বল, ‘আমি আদিষ্ট হইয়াছি যেন আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে আমি প্রথম ব্যক্তি হই’; আমাকে আরও আদেশ করা হইয়াছে, ‘তুমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হইও না।’ (৬:১৪)
তিনি বলিলেন, ‘তোমরা নামিয়া যাও, তোমরা একে অন্যের শত্রু এবং পৃথিবীতে কিছুকালের জন্য তোমাদের বসবাস ও জীবিকা রহিল।’ (৭:২৪)
যাহারা সালাত কায়েম করে এবং আমি যাহা দিয়াছি তাহা হইতে ব্যয় করে; (৮:৩)
তাহারাই প্রকৃত মু’মিন। তাহাদের প্রতিপালকের নিকট তাহাদেরই জন্য রহিয়াছে মর্যাদা, ক্ষমা এবং সম্মানজনক জীবিকা। (৮:৪)
হে মু’মিনগণ! মুশরিকরা তো অপবিত্র; সুতরাং এই বৎসরের পর তাহারা যেন মসজিদুল হারামের নিকট না আসে। যদি তোমরা দারিদ্র্যের আশঙ্কা কর তবে আল্লাহ্ ইচ্ছা করিলে তাঁহার নিজ করুণায় তোমাদেরকে অভাবমুক্ত করিবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (৯:২৮)
ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী সকলের জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহ্রই। তিনি উহাদের স্থায়ী ও অস্থায়ী অবস্থিতি সমন্ধে অবহিত; সুস্পষ্ট কিতাবে সব কিছুই আছে। (১১:৬)
নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক যাহার জন্য ইচ্ছা তাহার রিযিক বর্ধিত করেন এবং যাহার জন্য ইচ্ছা উহা সীমিত করেন। তিনি তো তাঁহার বান্দাদের সম্বন্ধে সম্যক পরিজ্ঞাত, সর্বদ্রষ্টা। (১৭:৩০)
তোমাদের সন্তানদেরকে দারিদ্র্য-ভয়ে হত্যা করিও না। উহাদেরকেও আমিই রিযিক দেই এবং তোমাদেরকেও। নিশ্চয়ই উহাদেরকে হত্যা করা মহাপাপ। (১৭:৩১)
‘যে আমার স্মরণে বিমুখ থাকিবে, অবশ্যই তাহার জীবন-যাপন হইবে সংকুচিত এবং আমি তাহাকে কিয়ামতের দিন উত্থিত করিব অন্ধ অবস্থায়।’ (২০:১২৪)
তুমি তোমার চক্ষুদ্বয় কখনও প্রসারিত করিও না উহার প্রতি, যাহা আমি তাহাদের বিভিন্ন শ্রেণীকে পার্থিব জীবনের সৌন্দর্যস্বরূপ উপভোগের উপকরণ হিসাবে দিয়াছি, তদ্দ্বারা তাহাদেরকে পরীক্ষা করিবার জন্য। তোমার প্রতিপালক-প্রদত্ত জীবনোপকরণ উৎকৃষ্ট ও অধিক স্থায়ী। (২০:১৩১)
এবং তোমার পরিবারবর্গকে সালাতের আদেশ দাও ও উহাতে অবিচলিত থাক, আমি তোমার নিকট কোন জীবনোপকরণ চাই না; আমিই তোমাকে জীবনোপকরণ দেই এবং শুভ পরিণাম তো মুত্তাকীদের জন্য। (২০:১৩২)
যাহাদের হৃদয় ভয়ে কম্পিত হয় আল্লাহ্র নাম স্মরণ করা হইলে, যাহারা তাহাদের বিপদ-আপদে ধের্য ধারণ করে এবং সালাত কায়েম করে এবং আমি তাহাদেরকে যে রিযিক দিয়াছি তাহা হইতে ব্যয় করে। (২২:৩৫)
অথবা তুমি কি উহাদের নিকট কোন প্রতিদান চাও? তোমার প্রতিপালকের প্রতিদানই শ্রেষ্ঠ এবং তিনিই শ্রেষ্ঠ রিযিকদাতা। (২৩:৭২)
যাহাতে তাহারা যে কর্ম করে তজ্জন্য আল্লাহ্ তাহাদেরকে উত্তম পুরস্কার দেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাহাদের প্রাপ্যের অধিক দেন। আল্লাহ্ যাহাকে ইচ্ছা অপরিমিত জীবিকা দান করেন। (২৪:৩৮)
উহাদেরকে দুইবার পারিশ্রমিক প্রদান করা হইবে, যেহেতু উহারা ধৈর্যশীল এবং উহারা ভালর দ্বারা মন্দের মুকাবিলা করে ও আমি উহাদেরকে যে রিযিক দিয়াছি তাহা হইতে উহারা ব্যয় করে। (২৮:৫৪)
এমন কত জীবজন্তু আছে যাহারা নিজেদের খাদ্য মওজুদ রাখে না। আল্লাহ্ই রিযিক দান করেন উহাদেরকে ও তোমাদেরকে; এবং তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (২৯:৬০)
উহারা কি লক্ষ্য করে না, আল্লাহ্ যাহার জন্য ইচ্ছা রিযিক প্রশস্ত করেন এবং সীমিত করেন? ইহাতে অবশ্যই নিদর্শন রহিয়াছে মু’মিন সম্প্রদায়ের জন্য। (৩০:৩৭)
তাহারা শয্যা ত্যাগ করিয়া তাহাদের প্রতিপালককে ডাকে আশায় ও আশংকায় এবং আমি তাহাদেরকে যে রিযিক দান করিয়াছি উহা হইতে তাহারা ব্যয় করে। (৩২:১৬)
বল, ‘আমার প্রতিপালক যাহার প্রতি ইচ্ছা তাহার রিযিক বর্ধিত করেন অথবা সীমিত করেন; কিন্তু অধিকাংশ লোকই ইহা জানে না।’ (৩৪:৩৬)
তবে তাহারা নয় যাহারা আল্লাহ্র একনিষ্ঠ বান্দা। (৩৭:৪০)
তাহাদের জন্য আছে নির্ধারিত রিযিক- (৩৭:৪১)
ইহারা কি জানে না, আল্লাহ্ যাহার জন্য ইচ্ছা রিযিক প্রশস্ত করেন অথবা যাহার জন্য ইচ্ছা সীমিত করেন? ইহাতে অবশ্যই নিদর্শন রহিয়াছে মু’মিন সম্প্রদায়ের জন্য। (৩৯:৫২)
তিনিই তোমাদেরকে তাঁহার নিদর্শনাবলী দেখান এবং আকাশ হইতে প্রেরণ করেন তোমাদের জন্য রিযিক, আল্লাহ্-অভিমুখী ব্যক্তিই উপদেশ গ্রহণ করে। (৪০:১৩)
আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর কুঞ্জি তাঁহারই নিকট। তিনি যাহার জন্য ইচ্ছা তাহার রিযিক বর্ধিত করেন এবং সংকুচিত করেন। তিনি সর্ববিষয়ে সবিশেষ অবহিত। (৪২:১২)
আল্লাহ্ই তো রিযিক দান করেন এবং তিনি প্রবল, পরাক্রান্ত। (৫১:৫৮)
এবং তাহাকে তাহার ধারণাতীত উৎস হইতে দান করিবেন রিযিক। যে ব্যক্তি আল্লাহ্র উপর নির্ভর করে তাহার জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট। আল্লাহ্ তাঁহার ইচ্ছা পূরণ করিবেনই; আল্লাহ্ সমস্ত কিছুর জন্য স্থির করিয়াছেন নির্দিষ্ট মাত্রা। (৬৫:৩)