স্মরণ কর, যখন মূসা তাহার সম্প্রদায়ের জন্য পানি প্রার্থনা করিল, আমি বলিলাম, ‘তোমার লাঠি দ্বারা পাথরে আঘাত কর।’ ফলে উহা হইতে বারোটি প্রস্রবণ প্রবাহিত হইল। প্রত্যেক গোত্র নিজ নিজ পান-স্থান চিনিয়া লইল। বলিলাম, “আল্লাহ্-প্রদত্ত জীবিকা হইতে তোমরা পানাহার কর এবং দুষ্কৃতিকারীরূপে পৃথিবীতে নৈরাজ্য সৃষ্টি করিয়া বেড়াইও না।’ (২:৬০)
এবং নিশ্চয়ই আমি তোমার প্রতি স্পষ্ট আয়াতসমূহ নাযিল করিয়াছি। ফাসিকরা ব্যতীত অন্য কেহ তাহা প্রত্যাখ্যান করে না। (২:৯৯)
পবিত্র মাসে যুদ্ধ করা সম্পর্কে লোকে তোমাকে জিজ্ঞাসা করে; বল, ‘উহাতে যুদ্ধ করা ভীষণ অন্যায়।’ কিন্তু আল্লাহ্র পথে বাধা দান করা, আল্লাহ্কে অস্বীকার করা, মসজিদুল হারামে বাধা দেওয়া এবং উহার বাসিন্দাকে উহা হইতে বহিষ্কার করা আল্লাহ্র নিকট তদপেক্ষা অধিক অন্যায়; ফিতনা হত্যা অপেক্ষা গুরুতর অন্যায়।’ তাহারা সর্বদা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে থাকিবে যে পর্যন্ত তোমাদেরকে তোমাদের দীন হইতে ফিরাইয়া না দেয়, যদি তাহারা সক্ষম হয়। তোমাদের মধ্যে যে কেহ স্বীয় দীন হইতে ফিরিয়া যায় এবং কাফিররূপে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, দুনিয়া ও আখিরাতে তাহাদের কর্ম নিষ্ফল হইয়া যায়। ইহারাই দোজখবাসী, সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে। (২:২১৭)
তিনিই তোমার প্রতি এই কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছেন যাহার কিছু আয়াত ‘মুহ্কাম’, এইগুলি কিতাবের মূল; আর অন্যগুলি ‘মুতাশাবিহ্’, যাহাদের অন্তরে সত্য-লংঘন প্রবণতা রহিয়াছে শুধু তাহারাই ফিতনা এবং ভুল ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে মুতাশাবিহাতের অনুসরণ করে। আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কেহ ইহার ব্যাখ্যা জানে না। আর যাহারা জ্ঞানে সুগভীর তাহারা বলে, ‘আমরা ইহা বিশ্বাস করি, সমস্তই আমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে আগত’; এবং বোধশক্তিসম্পন্নেরা ব্যতীত অপর কেহ শিক্ষা গ্রহণ করে না। (৩:৭)
বল, ‘হে কিতাবীগণ! যে ব্যক্তি ঈমান আনিয়াছে তাহাকে কেন আল্লাহ্র পথে বাধা দিতেছ, উহাতে বক্রতা অন্বেষণ করিয়া? অথচ তোমরা সাক্ষী। তোমরা যাহা কর, আল্লাহ্ সে সম্বন্ধে অনবহিত নন।’ (৩:৯৯)
তোমরা যখন সালাতের জন্য আহ্বান কর তখন তাহারা উহাকে হাসি-তামাশা ও ক্রীড়ার বস্তুরূপে গ্রহণ করে-ইহা এইহেতু যে, তাহারা এমন এক সম্প্রদায় যাহাদের বোধশক্তি নাই। (৫:৫৮)
এবং উটের দুইটি ও গরুর দুইটি। বল, ‘নর দুইটিই তিনি নিষিদ্ধ করিয়াছেন কিংবা মাদী দুইটিই অথবা মাদী দুইটির গর্ভে যাহা আছে তাহা? এবং আল্লাহ্ যখন তোমাদেরকে এইসব নির্দেশ দান করেন তখন কি তোমরা উপস্থিত ছিলে?’ সুতরাং যে ব্যক্তি অজ্ঞানতাবশত মানুষকে বিভ্রান্ত করিবার জন্য আল্লাহ্ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করে তাহার চেয়ে অধিক জালিম আর কে? আল্লাহ্ তো জালিম সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না। (৬:১৪৪)
‘যাহারা আল্লাহ্র পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিত এবং উহতে বক্রতা অনুসন্ধান করিত; উহারাই আখিরাত সম্বন্ধে অবিশ্বাসী।’ (৭:৪৫)
দুনিয়ায় শান্তি স্থাপনের পর তোমরা উহাতে বিপর্যয় ঘটাইও না, তাঁহাকে ভয় ও আশার সঙ্গে ডাকিবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্র অনুগ্রহ সৎকর্মপরায়ণদের নিকটবর্তী। (৭:৫৬)
উহারা তোমাদের সঙ্গে বাহির হইলে তোমাদের বিভ্রান্তিই বৃদ্ধি করিত এবং তোমাদের মধ্যে ফিতনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তোমাদের মধ্যে ছুটাছুটি করিত। তোমাদের মধ্যে উহাদের জন্য কথা শুনিবার লোক আছে। আল্লাহ্ জালিমদের সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত। (৯:৪৭)
উহাদের মধ্যে কেহ ইহাতে বিশ্বাস করে এবং কেহ ইহাতে বিশ্বাস করে না এবং তোমার প্রতিপালক অশান্তি সৃষ্টিকারীদের সম্বন্ধে সম্যক অবহিত। (১০:৪০)
কেবল তাহাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অবলম্বন করা হইবে যাহারা মানুষের উপর অত্যাচার করে এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহাচরণ করিয়া বেড়ায়, উহাদের জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি। (৪২:৪২)