স্মরণ কর, যেদিন তাহাদের সকলকে একত্র করিব, অতঃপর মুশরিকদেরকে বলিব, ‘যাহাদেরকে তোমরা আমার শরীক মনে করিতে, তাহারা কোথায়?’ (৬:২২)
অতঃপর তাহাদের ইহা ছাড়া বলিবার অন্য কোন অজুহাত থাকিবে না: ‘আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্র শপথ! আমরা তো মুশরিকই ছিলাম না।’ (৬:২৩)
দেখ, তাহারা নিজেদের প্রতি কিরূপ মিথ্যা আরোপ করে এবং যে মিথ্যা তাহারা রচনা করিত উহা কিভাবে তাহাদের নিকট হইতে উধাও হইয়া গেল! (৬:২৪)
তাহাদের মধ্যে কতক তোমার দিকে কান পাতিয়া রাখে, কিন্তু আমি তাহাদের অন্তরের উপর আবরণ দিয়াছি যেন তাহারা তাহা উপলব্ধি করিতে না পারে; তাহাদেরকে বধির করিয়াছি এবং সমস্ত নিদর্শন প্রত্যক্ষ করিলেও তাহারা উহাতে ঈমান আনিবে না; এমনকি তাহারা যখন তোমার নিকট উপস্থিত হইয়া বিতর্কে লিপ্ত হয় তখন কাফিরগণ বলে, ‘ইহা তো পূর্ববর্তীদের উপকথা ব্যতীত আর কিছুই নয়।’ (৬:২৫)
তাহারা অন্যকে উহা শ্রবণে বিরত রাখে এবং নিজেরাও উহা হইতে দূরে থাকে, আর তাহারা নিজেরাই শুধু নিজেদেরকে ধ্বংস করে, অথচ তাহারা উপলব্ধি করে না। (৬:২৬)
তুমি যদি দেখিতে পাইতে যখন তাহাদেরকে দোজখের পার্শ্বে দাঁড় করান হইবে এবং তাহারা বলিবে, ‘হায়! যদি আমাদের প্রত্যাবর্তন ঘটিত তবে আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিদর্শনকে অস্বীকার করিতাম না এবং আমরা মু’মিনদের অন্তর্ভুক্ত হইতাম!’ (৬:২৭)
না, পূর্বে তাহারা যাহা গোপন করিত তাহা এখন তাহাদের নিকট প্রকাশ পাইয়াছে এবং তাহারা প্রত্যাবর্তিত হইলেও যাহা করিতে তাহাদেরকে নিষেধ করা হইয়াছিল পুনরায় তাহারা তাহাই করিত এবং নিশ্চয় তাহারা মিথ্যাবাদী। (৬:২৮)
তাহারা বলে, ‘আমাদের পার্থিব জীবনই একমাত্র জীবন এবং আমরা পুনরুত্থিতও হইব না।’ (৬:২৯)
তুমি যদি দেখিতে পাইতে তাহাদেরকে যখন তাহাদের প্রতিপালকের সম্মুখে দাঁড় করান হইবে এবং তিনি বলিবেন, ‘ইহা কি প্রকৃত সত্য নয়?’ তাহারা বলিবে, ‘আমাদের প্রতিপালকের শপথ! নিশ্চয়ই সত্য।’ তিনি বলিবেন, ‘তবে তোমরা যে কুফরী করিতে তজ্জন্য তোমরা এখন শাস্তি ভোগ কর।’ (৬:৩০)
যাহারা শির্ক করিয়াছে তাহারা বলিবে, ‘আল্লাহ্ যদি ইচ্ছা করিতেন তবে আমরা ও আমাদের পূর্বপুরুষগণ শির্ক করিতাম না এবং কোন কিছুই হারাম করিতাম না।’ এইভাবে তাহাদের পূর্ববর্তীরাও প্রত্যাখ্যান করিয়াছিল, অবশেষে তাহারা আমার শাস্তি ভোগ করিয়াছিল, বল, ‘তোমাদের নিকট কোন যুক্তি আছে কি? থাকিলে আমার নিকট তাহা পেশ কর; তোমরা শুধু কল্পনারই অনুসরণ কর এবং শুধু মনগড়া কথা বল।’ (৬:১৪৮)
আশু সম্পদ লাভের সম্ভাবনা থাকিলে ও সফর সহজ হইলে উহারা নিশ্চয়ই তোমার অনুসরণ করিত; কিন্তু উহাদের নিকট যাত্রাপথ সুদীর্ঘ মনে হইল। উহারা অচিরেই আল্লাহ্র নামে শপথ করিয়া বলিবে, ‘পারিলে আমরা নিশ্চয়ই তোমাদের সঙ্গে বাহির হইতাম।’ উহারা নিজেদেরকেই ধ্বংস করে। আল্লাহ্ জানেন উহারা অবশ্যই মিথ্যাচারী। (৯:৪২)
এবং যাহারা মসজিদ নির্মাণ করিয়াছে ক্ষতিসাধন, কুফরী ও মু’মিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এবং ইতিপূর্বে আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের বিরুদ্ধে যে ব্যক্তি সংগ্রাম করিয়াছে তাহার গোপন ঘাঁটিস্বরূপ ব্যবহারের উদ্দেশ্যে, তাহারা অবশ্যই শপথ করিবে, ‘আমরা সদুদ্দেশ্যেই উহা করিয়াছি’; আল্লাহ্ সাক্ষী, তাহারা তো মিথ্যাবাদী। (৯:১০৭)
যাহারা আল্লাহ্র নিদর্শনে বিশ্বাস করে না, তাহাদেরকে আল্লাহ্ হিদায়াত করেন না এবং তাহাদের জন্য আছে মর্মন্তুদ শাস্তি। (১৬:১০৪)
যাহারা আল্লাহ্র নিদর্শনে বিশ্বাস করে না তাহারা তো কেবল মিথ্যা উদ্ভাবন করে এবং তাহারাই মিথ্যাবাদী। (১৬:১০৫)
এই বিষয়ে উহাদের কোন জ্ঞান নাই এবং উহাদের পিতৃপুরুষদেরও ছিল না। উহাদের মুখনিঃসৃত বাক্য কী সাংঘাতিক! উহারা তো কেবল মিথ্যাই বলে। (১৮:৫)
জিজ্ঞাসা কর, ‘এই পৃথিবী এবং ইহাতে যাহারা আছে তাহারা কাহার, যদি তোমরা জান?’ (২৩:৮৪)
উহারা বলিবে, ‘আল্লাহ্র’। বল, ‘তবুও কি তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করিবে না?’ (২৩:৮৫)
জিজ্ঞাসা কর, ‘কে সপ্ত আকাশ এবং মহা‘আর্শের অধিপতি?’ (২৩:৮৬)
উহারা বলিবে, ‘আল্লাহ্’। বল, ‘তবুও কি তোমরা সাবধান হইবে না?’ (২৩:৮৭)
জিজ্ঞাসা কর, ‘সকল কিছুর কর্তৃত্ব কাহার হাতে, যিনি আশ্রয় দান করেন এবং যাঁহার উপর আশ্রয়দাতা নাই, যদি তোমরা জান?’ (২৩:৮৮)
উহারা বলিবে, ‘আল্লাহ্র’। বল, ‘তবুও তোমরা কেমন করিয়া মোহগ্রস্ত হইতেছ?’ (২৩:৮৯)
বরং আমি তো উহাদের নিকট সত্য পৌঁছাইয়াছি; কিন্তু উহারা তো নিশ্চিত মিথ্যাবাদী। (২৩:৯০)
কাফিররা বলে, ‘ইহা মিথ্যা ব্যতীত কিছুই নয়, সে ইহা উদ্ভাবন করিয়াছে এবং ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক তাহাকে এই ব্যাপারে সাহায্য করিয়াছে।’ এইরূপে উহারা অবশ্যই জুলুম ও মিথ্যায় উপনীত হইয়াছে। (২৫:৪)
তোমাদেরকে কি আমি জানাইব কাহার নিকট শয়তানরা অবতীর্ণ হয়? (২৬:২২১)
উহারা অবতীর্ণ হয় প্রত্যেকটি ঘোর মিথ্যাবাদী ও পাপীর নিকট। (২৬:২২২)
উহারা কান পাতিয়া থাকে এবং উহাদের অধিকাংশই মিথ্যাবাদী। (২৬:২২৩)
এবং কবিদেরকে অনুসরণ করে বিভ্রান্তরাই। (২৬:২২৪)
তুমি কি দেখ না উহারা উদ্ভ্রান্ত হইয়া প্রত্যেক উপত্যকায় ঘুরিয়া বেড়ায়? (২৬:২২৫)
কাফিররা মু’মিনদেরকে বলে, ‘আমাদের পথ অনুসরণ কর তাহা হইলে আমরা তোমাদের পাপভার বহন করিব।’ কিন্তু উহারা তো তাহাদের পাপভারের কিছুই বহন করিবে না। উহারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। (২৯:১২)
উহারা নিজেদের ভার বহন করিবে এবং নিজেদের বোঝার সঙ্গে আরও কিছু বোঝা; আর উহারা যে মিথ্যা উদ্ভাবন করে সে সম্পর্কে কিয়ামত দিবসে অবশ্যই উহাদেরকে প্রশ্ন করা হইবে। (২৯:১৩)
‘আল্লাহ্ সন্তান জন্ম দিয়াছেন!’ উহারা নিশ্চয় মিথ্যাবাদী। (৩৭:১৫২)
উহারা বলে, ‘দয়াময় আল্লাহ্ ইচ্ছা করিলে আমরা ইহাদের পূজা করিতাম না।’ এ বিষয়ে উহাদের কোন জ্ঞান নাই; উহারা তো কেবল মনগড়া বলিতেছে। (৪৩:২০)
যে দিন আল্লাহ্ পুনরুত্থিত করিবেন উহাদের সকলকে, তখন উহারা আল্লাহ্র নিকট সেইরূপ শপথ করিবে যেইরূপ শপথ তোমাদের নিকট করে এবং উহারা মনে করে যে, ইহাতে উহারা ভাল কিছুর উপর রহিয়াছে। সাবধান! উহারাই তো প্রকৃত মিথ্যাবাদী। (৫৮:১৮)
শয়তান উহাদের উপর প্রভাব বিস্তার করিয়াছে; ফলে উহাদেরকে ভুলাইয়া দিয়াছে আল্লাহ্র স্মরণ। উহারা শয়তানের দল। সাবধান! শয়তানের দল অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত। (৫৮:১৯)