কিতাবীদের একদল চাহে যেন তোমাদেরকে বিপথগামী করিতে পারে, অথচ তাহারা নিজেদেরকেই বিপথগামী করে, কিন্তু তাহারা উপলব্ধি করে না। (৩:৬৯)
ঈমান আনার পর যাহারা কুফরী করে এবং যাহাদের সত্য প্রত্যাখ্যান-প্রবৃত্তি বৃদ্ধি পাইতে থাকে তাহাদের তওবা কখনও কবূল হইবে না। ইহারাই পথভ্রষ্ট। (৩:৯০)
কাহারও নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতীত অন্য পথ অনুসরণ করে, তবে যেদিকে সে ফিরিয়া যায় সেদিকেই তাহাকে ফিরাইয়া দিব এবং জাহান্নামে তাহাকে দগ্ধ করিব, আর উহা কত মন্দ আবাস! (৪:১১৫)
নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাঁহার সঙ্গে শরীক করাকে ক্ষমা করেন না; ইহা ব্যতীত সব কিছু যাহাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন এবং কেহ আল্লাহ্র শরীক করিলে সে ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট হয়। (৪:১১৬)
তাঁহার পরিবর্তে তাহারা দেবীরই পূজা করে এবং বিদ্রোহী শয়তানেরই পূজা করে- (৪:১১৭)
আল্লাহ্ তাহাকে লা‘নত করেন এবং সে বলে, ‘আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের এক নির্দিষ্ট অংশকে আমার অনুসারী করিয়া লইব। (৪:১১৮)
আমি তাহাদেরকে পথভ্রষ্ট করিবই; তাহাদের হৃদয়ে মিথ্যা বাসনার সৃষ্টি করিবই, আমি তাহাদেরকে নিশ্চয়ই নির্দেশ দিব আর তাহারা পশুর কর্ণচ্ছেদ করিবেই, এবং তাহাদেরকে নিশ্চয়ই নির্দেশ দিব আর তাহারা আল্লাহ্র সৃষ্টি বিকৃত করিবেই। আল্লাহ্র পরিবর্তে কেহ শয়তানকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করিলে সে স্পষ্টতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। (৪:১১৯)
হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহে, তাঁহার রাসূলে, তিনি যে কিতাব তাঁহার রাসূলের প্রতি অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহাতে এবং যে কিতাব তিনি পূর্বে অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহাতে ঈমান আন। এবং কেহ আল্লাহ্, তাঁহার ফিরিশ্তাগণ, তাঁহার কিতাবসমূহ, তাঁহার রাসূলগণ এবং আখিরাতকে প্রত্যাখ্যান করিলে সে তো ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট হইয়া পড়িবে। (৪:১৩৬)
আর ‘আমরা আল্লাহ্র রাসূল মার্ইয়ামতনয় ‘ঈসা মসীহ্কে হত্যা করিয়াছি’ তাহাদের এই উক্তির জন্য। অথচ তাহারা তাহাকে হত্যা করে নাই, ক্রুশবিদ্ধও করে নাই; কিন্তু তাহাদের এইরূপ বিভ্রম হইয়াছিল। যাহারা তাহার সম্বন্ধে মতভেদ করিয়াছিল তাহারা নিশ্চয়ই এই সম্বন্ধে সংশয়যুক্ত ছিল; এই সম্পর্কে অনুমানের অনুসরণ ব্যতীত তাহাদের কোন জ্ঞানই ছিল না। ইহা নিশ্চিত যে, তাহারা তাহাকে হত্যা করে নাই; (৪:১৫৭)
বল, ‘হে কিতাবীগণ! তোমরা তোমাদের দীন সম্বন্ধে অন্যায় বাড়াবাড়ি করিও না; এবং যে সম্প্রদায় ইতোপূর্বে পথভ্রষ্ট হইয়াছে, অনেককে পথভ্রষ্ট করিয়াছে ও সরল পথ হইতে বিচ্যুত হইয়াছে, তাহাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করিও না।’ (৫:৭৭)
তাহারা যেসব গর্হিত কাজ করিত উহা হইতে তাহারা একে অন্যেকে বারণ করিত না। তাহারা যাহা করিত তাহা কতই না নিকৃষ্ট। (৫:৭৯)
যদি তাহাকে ফিরিশ্তা করিতাম তবে তাহাকে মানুষের আকৃতিতেই প্রেরণ করিতাম; আর তাহাদেরকে সেরূপ বিভ্রমে ফেলিতাম, যেরূপ বিভ্রমে তাহারা এখন রহিয়াছে। (৬:৯)
একদলকে তিনি সৎপথে পরিচালিত করিয়াছেন এবং অপর দলের পথভ্রান্তি নির্ধারিত হইয়াছে। তাহারা আল্লাহ্কে ছাড়িয়া শয়তানকে তাহাদেরকে অভিভাবক করিয়াছিল এবং মনে করিত তাহারাই সৎপথপ্রাপ্ত। (৭:৩০)
যাহারা দুনিয়ার জীবনকে আখিরাতের চেয়ে ভালবাসে, মানুষকে নিবৃত্ত করে আল্লাহ্র পথ হইতে এবং আল্লাহ্র পথ বক্র করিতে চাহে; উহারাই তো ঘোর বিভ্রান্তিতে রহিয়াছে। (১৪:৩)
আল্লাহ্র ‘ইবাদত করিবার ও তাগূতকে বর্জন করিবার নির্দেশ দিবার জন্য আমি তো প্রত্যেক জাতির মধ্যেই রাসূল পাঠাইয়াছি। অতঃপর উহাদের কতককে আল্লাহ্ সৎপথে পরিচালিত করেন এবং উহাদের কতকের উপর পথভ্রান্তি সাব্যস্ত হইয়াছিল; সুতরাং পৃথিবীতে পরিভ্রমণ কর এবং দেখ, যাহারা সত্যকে মিথ্যা বলিয়াছে তাহাদের পরিণাম কী হইয়াছে! (১৬:৩৬)
তুমি উহাদের পথ প্রদর্শন করিতে আগ্রহী হইলেও আল্লাহ্ যাহাকে বিভ্রান্ত করিয়াছেন, তাহাকে তিনি সৎপথে পরিচালিত করিবেন না এবং উহাদের কোন সাহায্যকারীও নাই। (১৬:৩৭)
আর যে ব্যক্তি এইখানে অন্ধ সে আখিরাতেও অন্ধ এবং অধিকতর পথভ্রষ্ট। (১৭:৭২)
আকাশমন্ডলীর ও পৃথিবীর সৃষ্টিকালে আমি উহাদেরকে ডাকি নাই এবং উহাদের সৃজনকালেও নয়, আমি বিভ্রান্তকারীদেরকে সাহায্যকারীরূপে গ্রহণ করিবার নই। (১৮:৫১)
কোন ব্যক্তিকে তাহার প্রতিপালকের নিদর্শনাবলী স্মরণ করাইয়া দেওয়ার পর সে যদি উহা হইতে মুখ ফিরাইয়া নেয় এবং তাহার কৃতকর্মসমূহ ভুলিয়া যায় তবে তাহার অপেক্ষা অধিক জালিম আর কে? আমি নিশ্চয়ই উহাদের অন্তরের উপর আবরণ দিয়াছি যেন উহারা কুরআন বুঝিতে না পারে এবং উহাদের কানে বধিরতা আঁটিয়া দিয়াছি। তুমি উহাদেরকে সৎপথে আহ্বান করিলেও উহারা কখনও সৎপথে আসিবে না। (১৮:৫৭)
বল, ‘আমি কি তোমাদেরকে সংবাদ দিব কর্মে বিশেষ ক্ষতিগ্রস্তদের?’ (১৮:১০৩)
উহারাই তাহারা, ‘পার্থিব জীবনে যাহাদের প্রচেষ্টা পন্ড হয়, যদিও তাহারা মনে করে যে, তাহারা সৎকর্মই করিতেছে, (১৮:১০৪)
‘উহারাই তাহারা, যাহারা অস্বীকার করে উহাদের প্রতিপালকের নিদর্শনাবলী ও তাঁহার সঙ্গে উহাদের সাক্ষাতের বিষয়। ফলে উহাদের কর্ম নিষ্ফল হইয়া যায়; সুতরাং কিয়ামতের দিন উহাদের জন্য ওজনের কোন ব্যবস্থা রাখিব না। (১৮:১০৫)
কিন্তু আমি সত্য দ্বারা আঘাত হানি মিথ্যার উপর; ফলে উহা মিথ্যাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করিয়া দেয় এবং তৎক্ষণাৎ মিথ্যা নিশ্চিহ্ন হইয়া যায়। দুর্ভোগ তোমাদের! তোমরা যাহা বলিতেছ তাহার জন্য। (২১:১৮)
মানুষের মধ্যে কতক অজ্ঞানতাবশত আল্লাহ্ সম্বন্ধে বিতন্ডা করে এবং অনুসরণ করে প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তানের, (২২:৩)
সে বিতন্ডা করে ঘাড় বাঁকাইয়া লোকদেরকে আল্লাহ্র পথ হইতে ভ্রষ্ট করিবার জন্য। তাহার জন্য লাঞ্ছনা আছে ইহলোকে এবং কিয়ামত দিবসে আমি তাহাকে আস্বাদ করাইব দহন-যন্ত্রণা। (২২:৯)
মানুষের মধ্যে কেহ কেহ আল্লাহ্র ‘ইবাদত করে দ্বিধার সঙ্গে; তাহার মঙ্গল হইলে তাহাতে তাহার চিত্ত প্রশান্ত হয় এবং কোন বিপর্যয় ঘটিলে সে তাহার পূর্বাবস্থায় ফিরিয়া যায়। সে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দুনিয়াতে ও আখিরাতে; ইহাই তো সুস্পষ্ট ক্ষতি। (২২:১১)
সুতরাং কিছুকালের জন্য উহাদেরকে স্বীয় বিভ্রান্তিতে থাকিতে দাও। (২৩:৫৪)
তুমি অন্ধদেরকে উহাদের পথভ্রষ্টতা হইতে পথে আনিতে পারিবে না। তুমি শোনাইতে পারিবে কেবল তাহাদেরকে, যাহারা আমার নিদর্শনাবলীতে বিশ্বাস করে। আর তাহারাই আত্মসমর্পণকারী। (২৭:৮১)
অতঃপর উহারা যদি তোমার আহ্বানে সাড়া না দেয়, তাহা হইলে জানিবে উহারা তো কেবল নিজেদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে। আল্লাহ্র পথনির্দেশ অগ্রাহ্য করিয়া যে ব্যক্তি নিজ খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে তাহা অপেক্ষা অধিক বিভ্রান্ত আর কে? আল্লাহ্ জালিম সম্প্রদায়কে পথনির্দেশ করেন না। (২৮:৫০)
তুমি তো মৃতকে শোনাইতে পারিবে না, বধিরকেও পারিবে না আহ্বান শোনাইতে, যখন উহারা মুখ ফিরাইয়া চলিয়া যায়। (৩০:৫২)
আর তুমি অন্ধকেও পথে আনিতে পারিবে না উহাদের পথভ্রষ্টতা হইতে। যাহারা আমার নিদর্শনাবলীতে বিশ্বাস করে শুধু তাহাদেরকেই তুমি শোনাইতে পারিবে, কারণ তাহারা আত্মসমর্পণকারী। (৩০:৫৩)
আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূল কোন বিষয়ে নির্দেশ দিলে কোন মু’মিন পুরুষ কিংবা মু’মিন নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন সিদ্ধান্তের অধিকার থাকিবে না। কেহ আল্লাহ্ এবং তাঁহার রাসূলকে অমান্য করিলে সে তো স্পষ্ট পথভ্রষ্ট হইবে। (৩৩:৩৬)
সে বলিল, ‘আপনার ক্ষমতার শপথ! আমি উহাদের সকলকেই পথভ্রষ্ট করিব, (৩৮:৮২)
আল্লাহ্ ইসলামের জন্য যাহার বক্ষ উন্মুক্ত করিয়া দিয়াছেন এবং তাহার প্রতিপালক-প্রদত্ত আলোতে রহিয়াছে, সে কি তাহার সমান যে এরূপ নয়? দুর্ভোগ সেই কঠোরহৃদয় ব্যক্তিদের জন্য যাহারা আল্লাহ্র স্মরণে পরাঙ্মুখ! উহারা স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে আছে। (৩৯:২২)
উহাদের নিকট জ্ঞান আসিবার পর কেবল পারস্পরিক বিদ্বেষবশত উহারা নিজেদের মধ্যে মতভেদ ঘটায়। এক নির্ধারিত কাল পর্যন্ত অবকাশ সম্পর্কে তোমার প্রতিপালকের পূর্ব সিদ্ধান্ত না থাকিলে উহাদের বিষয়ে ফয়সালা হইয়া যাইত। উহাদের পর যাহারা কিতাবের উত্তারাধিকারী হইয়াছে তাহারা তো সেই সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর সন্দেহে রহিয়াছে। (৪২:১৪)
কেহ যদি আল্লাহ্র দিকে আহ্বানকারীর প্রতি সাড়া না দেয় তবে সে পৃথিবীতে আল্লাহ্র অভিপ্রায় ব্যর্থ করিতে পারিবে না এবং আল্লাহ্ ব্যতীত তাহাদের কোন সাহায্যকারী থাকিবে না। উহারাই সু্স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রহিয়াছে। (৪৬:৩২)
যে ব্যক্তি তাহার প্রতিপালক-প্রেরিত সুস্পষ্ট প্রমাণের উপর প্রতিষ্ঠিত, সে কি তাহার ন্যায়, যাহার নিকট নিজের মন্দ কর্মগুলি শোভন প্রতীয়মান হয় এবং যাহারা নিজ খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে? (৪৭:১৪)
যখন মুনাফিকরা তোমার নিকট আসে তাহারা বলে, ‘আমরা সাক্ষ্য দিতেছি যে, আপনি নিশ্চয়ই আল্লাহ্র রাসূল।’ আল্লাহ্ জানেন যে, তুমি নিশ্চয়ই তাঁহার রাসূল এবং আল্লাহ্ সাক্ষ্য দিতেছেন যে, মুনাফিকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। (৬৩:১)
উহারা উহাদের শপথগুলিকে ঢালরূপে ব্যবহার করে আর উহারা আল্লাহ্র পথ হইতে মানুষকে নিবৃত্ত করে। উহারা যাহা করিতেছে তাহা কত মন্দ! (৬৩:২)
ইহা এইজন্য যে, উহারা ঈমান আনিবার পর কুফরী করিয়াছে। ফলে উহাদের হৃদয় মোহর করিয়া দেওয়া হইয়াছে; পরিণামে উহারা বুঝে না। (৬৩:৩)
তুমি যখন উহাদের দিকে তাকাও উহাদের দেহাকৃতি তোমার নিকট প্রীতিকর মনে হয় এবং উহারা যখন কথা বলে, তুমি সাগ্রহে উহাদের কথা শ্রবণ কর, যদিও উহারা দেওয়ালে ঠেকান কাঠের স্তম্ভসদৃশ; উহারা যে কোন শোরগোলকে মনে করে উহাদেরই বিরুদ্ধে। উহারাই শত্রু, অতএব উহাদের সম্পর্কে সতর্ক হও; আল্লাহ্ উহাদেরকে ধ্বংস করুন! বিভ্রান্ত হইয়া উহারা কোথায় চলিয়াছে! (৬৩:৪)
তুমি কি উহাকে দেখিয়াছ, যে বাধা দেয়, (৯৬:৯)
এক বান্দাকে- যখন সে সালাত আদায় করে? (৯৬:১০)
তুমি লক্ষ্য করিয়াছ কি, যদি সে সৎপথে থাকে। (৯৬:১১)
অথবা তাক্ওয়ার নির্দেশ দেয়, (৯৬:১২)
তুমি লক্ষ্য করিয়াছ কি, যদি সে মিথ্যা আরোপ করে ও মুখ ফিরাইয়া নেয়, (৯৬:১৩)
তুমি কি দেখিয়াছ তাহাকে, যে দীনকে অস্বীকার করে? (১০৭:১)
সে তো সে-ই, যে ইয়াতীমকে রূঢ়ভাবে তাড়াইয়া দেয়, (১০৭:২)
এবং সে অভাবগ্রস্তকে খাদ্যদানে উৎসাহ দেয় না। (১০৭:৩)
সুতরাং দুর্ভোগ সেই সালাত আদায়কারীদের, (১০৭:৪)
যাহারা তাহাদের সালাত সম্বন্ধে উদাসীন, (১০৭:৫)
যাহারা লোক দেখানোর জন্য উহা করে, (১০৭:৬)
এবং গৃহস্থালীর প্রয়োজনীয় ছোট-খাট সাহায্য দানে বিরত থাকে। (১০৭:৭)