এবং নিশ্চয় আমি মূসাকে কিতাব দিয়াছি এবং তাহার পরে পর্যায়ক্রমে রাসূলগণকে প্রেরণ করিয়াছি, মার্ইয়ান-তনয় ‘ঈসাকে স্পষ্ট প্রমাণ দিয়াছি এবং ‘পবিত্র আত্মা’ দ্বারা তাহাকে শক্তিশালী করিয়াছি। তবে কি যখনই কোন রাসূল তোমাদের নিকট এমন কিছু আনিয়াছে যাহা তোমাদের মনঃপূত নয় তখনই তোমরা অহংকার করিয়াছ আর কতককে অস্বীকার করিয়াছ এবং কতককে হত্যা করিয়াছ? (২:৮৭)
তাহারা বলিয়াছিল, ‘আমাদের হৃদয় আচ্ছাদিত’, বরং কুফরীর জন্য আল্লাহ্ তাহাদেরকে লা‘নত করিয়াছেন। সুতরাং তাহাদের অল্পসংখ্যকই ঈমান আনে। (২:৮৮)
এবং তাহারা লা‘নতগ্রস্ত হইয়াছিল তাহাদের অঙ্গীকার ভঙ্গের জন্য, আল্লাহ্র আয়াতকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য, নবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করার জন্য এবং ‘আমাদের হৃদয় আচ্ছাদিত’- তাহাদের এই উক্তির জন্য; বরং তাহাদের কুফরীর কারণে আল্লাহ্ উহা মোহর করিয়াছেন। সুতরাং তাহাদের অল্পসংখ্যক লোকই বিশ্বাস করে। (৪:১৫৫)
আল্লাহ তাহাদের হৃদয় ও কর্ণ মোহর করিয়া দিয়াছেন, তাহাদের চক্ষুর উপর আবরণ রহিয়াছে এবং তাহাদের জন্য রহিয়াছে মহাশাস্তি। (২:৭)
আর মানুষের মধ্যে এমন লোকও রহিয়াছে যাহারা বলে, ‘আমরা আল্লাহ্ ও আখিরাতে ঈমান আনিয়াছি’, কিন্তু তাহারা মু’মিন নয়; (২:৮)
আল্লাহ্ এবং মু’মিনগণকে তাহারা প্রতারিত করিতে চাহে। অথচ তাহারা যে নিজেদেরকে ভিন্ন কাহাকেও প্রতারিত করে না, ইহা তাহারা বুঝিতে পারে না। (২:৯)
তাহাদের অন্তরে ব্যাধি রহিয়াছে। অতঃপর আল্লাহ্ তাহাদের ব্যাধি বৃদ্ধি করিয়াছেন ও তাহাদের জন্য রহিয়াছে কষ্টদায়ক শাস্তি, কারণ তাহারা মিথ্যাবাদী। (২:১০)
তাহাদেরকে যখন বলা হয়, ‘পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করিও না’, তাহারা বলে, ‘আমরাই তো শান্তি স্থাপনকারী’। (২:১১)
সাবধান! ইহারাই অশান্তি সৃষ্টিকারী, কিন্তু ইহারা বুঝিতে পারে না। (২:১২)
যাহাদেরকে কিতাব দেওয়া হইয়াছে তুমি যদি তাহাদের নিকট সমস্ত দলীল পেশ কর, তবুও তাহারা তোমার কিব্লার অনুসরণ করিবে না; এবং তুমিও তাহাদের কিব্লার অনুসারী নও, এবং তাহারাও পরস্পরের কিব্লার অনুসারী নয়। তোমার নিকট জ্ঞান আসিবার পর তুমি যদি তাহাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ কর, নিশ্চয়ই তখন তুমি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হইবে। (২:১৪৫)
আমি যাহাদেরকে কিতাব দিয়াছি তাহারা তাহাকে সেইরূপ জানে যেইরূপ তাহারা নিজেদের সন্তানগণকে চিনে এবং তাহাদের একদল জানিয়া-শুনিয়া সত্য গোপন করিয়া থাকে। (২:১৪৬)
সত্য তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে প্রেরিত। সুতরাং তুমি সন্দিহানদের অন্তর্ভুক্ত হইও না। (২:১৪৭)
হে মানবজাতি! পৃথিবীতে যাহা কিছু বৈধ ও পবিত্র খাদ্যবস্তু রহিয়াছে তাহা হইতে তোমরা আহার কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করিও না, নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (২:১৬৮)
সে তো কেবল তোমাদেরকে মন্দ ও অশ্লীল কাজের এবং আল্লাহ্ সম্বন্ধে তোমরা যাহা জান না এমন সব বিষয় বলার নির্দেশ দেয়। (২:১৬৯)
যখন তাহাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহা তোমরা অনুসরণ কর’, তাহারা বলে, ‘না, বরং আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে যাহাতে পাইয়াছি তাহার অনুসরণ করিব।’ এমন কি, তাহাদের পিতৃপুরুষগণ যদিও কিছুই বুঝিত না এবং তাহারা সৎপথেও পরিচালিত ছিল না-তৎসত্ত্বেও। (২:১৭০)
আল্লাহ্ কিরূপে সৎপথে পরিচালিত করিবেন সেই সম্প্রদায়কে, যাহারা ঈমান আনয়নের পর ও রাসূলকে সত্য বলিয়া সাক্ষ্যদান করিবার পর এবং তাহাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসিবার পর কুফরী করে? আল্লাহ্ জালিম সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না। (৩:৮৬)
ইহারাই তাহারা যাহাদের কর্মফল এই যে, তাহাদের উপর আল্লাহ্র, ফিরিশতাগণের এবং মানুষ সকলেরই লা‘নত। (৩:৮৭)
তাহারা ইহাতে স্থায়ী হইবে, তাহাদের শাস্তি লঘু করা হইবে না এবং তাহাদেরকে অবকাশও দেওয়া হইবে না। (৩:৮৮)
তবে ইহার পর যাহারা তওবা করে ও নিজেদেরকে সংশোধন করিয়া নেয় তাহারা ব্যতিরেকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৩:৮৯)
ঈমান আনার পর যাহারা কুফরী করে এবং যাহাদের সত্য প্রত্যাখ্যান-প্রবৃত্তি বৃদ্ধি পাইতে থাকে তাহাদের তওবা কখনও কবূল হইবে না। ইহারাই পথভ্রষ্ট। (৩:৯০)
যাহারা নিজেদের নিকট সৎপথ ব্যক্ত হইবার পর উহা পরিত্যাগ করে, শয়তান উহাদের কাজকে শোভন করিয়া দেখায় এবং উহাদেরকে মিথ্যা আশা দেয়। (৪৭:২৫)
কোন ব্যক্তিকে তাহার প্রতিপালকের নিদর্শনাবলী স্মরণ করাইয়া দেওয়ার পর সে যদি উহা হইতে মুখ ফিরাইয়া নেয় এবং তাহার কৃতকর্মসমূহ ভুলিয়া যায় তবে তাহার অপেক্ষা অধিক জালিম আর কে? আমি নিশ্চয়ই উহাদের অন্তরের উপর আবরণ দিয়াছি যেন উহারা কুরআন বুঝিতে না পারে এবং উহাদের কানে বধিরতা আঁটিয়া দিয়াছি। তুমি উহাদেরকে সৎপথে আহ্বান করিলেও উহারা কখনও সৎপথে আসিবে না। (১৮:৫৭)
ইহা কল্যাণময় উপদেশ; আমি ইহা অবতীর্ণ করিয়াছি। তবুও কি তোমরা ইহাকে অস্বীকার কর? (২১:৫০)
অতঃপর উহারা যদি তোমার আহ্বানে সাড়া না দেয়, তাহা হইলে জানিবে উহারা তো কেবল নিজেদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে। আল্লাহ্র পথনির্দেশ অগ্রাহ্য করিয়া যে ব্যক্তি নিজ খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে তাহা অপেক্ষা অধিক বিভ্রান্ত আর কে? আল্লাহ্ জালিম সম্প্রদায়কে পথনির্দেশ করেন না। (২৮:৫০)
আমি তো উহাদের নিকট পরপর বাণী পৌঁছাইয়া দিয়াছি; যাহাতে উহারা উপদেশ গ্রহণ করে। (২৮:৫১)
যে ব্যক্তি সত্যভ্রষ্ট সে-ই উহা পরিত্যাগ করে, (৫১:৯)
অভিশপ্ত হউক মিথ্যাচারীরা, (৫১:১০)
যাহারা অজ্ঞ ও উদাসীন! (৫১:১১)
‘যে আমার স্মরণে বিমুখ থাকিবে, অবশ্যই তাহার জীবন-যাপন হইবে সংকুচিত এবং আমি তাহাকে কিয়ামতের দিন উত্থিত করিব অন্ধ অবস্থায়।’ (২০:১২৪)
সে বলিবে, ‘হে আমার প্রতিপালক! কেন আমাকে অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করিলে? আমি তো ছিলাম চক্ষুষ্মান।’ (২০:১২৫)
তিনি বলিবেন, ‘এইরূপই আমার নিদর্শনাবলী তোমার নিকট আসিয়াছিল, কিন্তু তুমি উহা ভুলিয়া গিয়াছিলে এবং সেইভাবে আজ তুমিও বিস্মৃত হইলে।’ (২০:১২৬)
এবং এইভাবেই আমি প্রতিফল দেই তাহাকে, যে বাড়াবাড়ি করে ও তাহার প্রতিপালকের নিদর্শনে বিশ্বাস স্থাপন করে না। পরকালের শাস্তি তো অবশ্যই কঠিনতর ও অধিক স্থায়ী। (২০:১২৭)