আল্লাহ্ ইসলামের জন্য যাহার বক্ষ উন্মুক্ত করিয়া দিয়াছেন এবং তাহার প্রতিপালক-প্রদত্ত আলোতে রহিয়াছে, সে কি তাহার সমান যে এরূপ নয়? দুর্ভোগ সেই কঠোরহৃদয় ব্যক্তিদের জন্য যাহারা আল্লাহ্র স্মরণে পরাঙ্মুখ! উহারা স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে আছে। (৩৯:২২)
আল্লাহ্ অবতীর্ণ করিয়াছেন উত্তম বাণী সম্বলিত কিতাব যাহা সুসমঞ্জস এবং যাহা পুনঃ পুনঃ আবৃত্তি করা হয়। ইহাতে, যাহারা তাহাদের প্রতিপালককে ভয় করে, তাহাদের গাত্র রোমাঞ্চিত হয়, অতঃপর তাহাদের দেহমন বিনম্র হইয়া আল্লাহ্র স্মরণে ঝুঁকিয়া পড়ে। ইহাই আল্লাহ্র পথনির্দেশ, তিনি উহা দ্বারা যাহাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করেন। আল্লাহ্ যাহাকে বিভ্রান্ত করেন তাহার কোন পথপ্রদর্শক নাই। (৩৯:২৩)
সেদিন তুমি দেখিবে মু’মিন নর-নারীগণকে তাহাদের সম্মুখভাগে ও দক্ষিণ পার্শ্বে তাহাদের জ্যোতি ছুটিতে থাকিবে। বলা হইবে, ‘আজ তোমাদের জন্য সুসংবাদ জান্নাতের, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তোমরা স্থায়ী হইবে, ইহাই মহাসাফল্য।’ (৫৭:১২)
সেদিন মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিক নারীরা মু’মিনদেরকে বলিবে, ‘তোমরা আমাদের জন্য একটু থাম, যাহাতে আমরা তোমাদের জ্যোতির কিছু গ্রহণ করিতে পারি। বলা হইবে, ‘তোমরা তোমাদের পিছনে ফিরিয়া যাও ও আলোর সন্ধান কর।’ অতঃপর উভয়ের মাঝামাঝি স্থাপিত হইবে একটি প্রাচীর যাহাতে একটি দরজা থাকিবে, উহার অভ্যন্তরে থাকিবে রহমত এবং বহির্ভাগে থাকিবে শাস্তি। (৫৭:১৩)
হে মু’মিনগণ! আল্লাহ্কে ভয় কর এবং তাঁহার রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর। তিনি তাঁহার অনুগ্রহে তোমাদেরকে দিবেন দ্বিগুণ পুরস্কার এবং তিনি তোমাদেরকে দিবেন আলো, যাহার সাহায্যে তোমরা চলিবে এবং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করিবেন; আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৫৭:২৮)
তুমি পাইবে না আল্লাহ্ ও আখিরাতে বিশ্বাসী এমন কোন সম্প্রদায়, যাহারা ভালবাসে আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের বিরুদ্ধাচারীদেরকে-হউক না এই বিরুদ্ধাচারীরা তাহাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা ইহাদের জ্ঞাতি-গোত্র। ইহাদের অন্তরে আল্লাহ্ সুদৃঢ় করিয়াছেন ঈমান এবং তাহাদেরকে শক্তিশালী করিয়াছেন তাঁহার পক্ষ হইতে রূহ্ দ্বারা। তিনি ইহাদেরকে দাখিল করিবেন জান্নাতে, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; সেখানে ইহারা স্থায়ী হইবে; আল্লাহ্ ইহাদের প্রতি সন্তুষ্ট হইয়াছেন এবং ইহারাও তাঁহার প্রতি সন্তুষ্ট, ইহারাই আল্লাহ্র দল। জানিয়া রাখ, আল্লাহ্র দলই সফলকাম হইবে। (৫৮:২২)