ইহা সেই কিতাব; ইহাতে কোন সন্দেহ নাই, মুত্তাকীদের জন্য ইহা পথ-নির্দেশ, (২:২)
যাহারা অদৃশ্যে ঈমান আনে, সালাত কায়েম করে ও তাহাদেরকে যে জীবনোপকরণ দান করিয়াছি তাহা হইতে ব্যয় করে, (২:৩)
এবং তোমার প্রতি যাহা নাযিল হইয়াছে ও তোমার পূর্বে যাহা নাযিল হইয়াছে তাহাতে যাহারা ঈমান আনে ও আখিরাতে যাহারা নিশ্চিত বিশ্বাসী, (২:৪)
তাহারাই তাহাদের প্রতিপালক নির্দেশিত পথে রহিয়াছে এবং তাহারাই সফলকাম। (২:৫)
আমি তোমাদেরকে কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা অবশ্যই পরীক্ষা করিব। তুমি শুভ সংবাদ দাও ধৈর্যশীলগণকে- (২:১৫৫)
যাহারা তাহাদের উপর বিপদ আপতিত হইলে বলে, ‘আমরা তো আল্লাহ্রই এবং নিশ্চিতভাবে তাঁহার দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী।’ (২:১৫৬)
ইহারাই তাহারা যাহাদের প্রতি তাহাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে বিশেষ অনুগ্রহ ও রহমত বর্ষিত হয়, আর ইহারাই সৎপথে পরিচালিত। (২:১৫৭)
পূর্ব এবং পশ্চিম দিকে তোমাদের মুখ ফিরানোতে কোন পুণ্য নাই; কিন্তু পুণ্য আছে কেহ আল্লাহ্, পরকাল, ফিরিশ্তাগণ, সমস্ত কিতাব এবং নবীগণে ঈমান আনয়ন করিলে এবং আল্লাহ্প্রেমে আত্মীয়-স্বজন, পিতৃহীন, অভাবগ্রস্ত, পর্যটক, সাহায্যপ্রার্থিগণকে এবং দাস-মুক্তির জন্য অর্থ দান করিলে, অর্থ-সংকটে দুঃখ-ক্লেশে ও সংগ্রাম-সংকটে ধৈর্য ধারণ করিলে। ইহারাই তাহারা যাহারা সত্যপরায়ণ এবং ইহারাই মুত্তাকী। (২:১৭৭)
পবিত্র মাস পবিত্র মাসের বিনিময়ে। যাহার পবিত্রতা অলঙ্ঘনীয় তাহার অবমাননা সকলের জন্য সমান। সুতরাং যে কেহ তোমাদেরকে আক্রমণ করিবে তোমরাও তাহাকে অনুরূপ আক্রমণ করিবে এবং তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর এবং জানিয়া রাখ যে, আল্লাহ্ অবশ্যই মুত্তাকীদের সঙ্গে থাকেন। (২:১৯৪)
তাহারা সকলে এক রকম নয়। কিতাবীদের মধ্যে অবিচলিত একদল আছে; তাহারা রাত্রিকালে আল্লাহ্র আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করে এবং সিজ্দা করে। (৩:১১৩)
তাহারা আল্লাহ্ এবং শেষ দিনে বিশ্বাস করে, সৎকাজের নির্দেশ দেয়, অসৎকাজে নিষেধ করে এবং তাহারা কল্যাণকর কাজে প্রতিযোগিতা করে। তাহারাই সজ্জনদের অন্তর্ভুক্ত। (৩:১১৪)
উত্তম কাজের যাহা কিছু তাহারা করে তাহা হইতে তাহাদের কখনও বঞ্চিত করা হইবে না। আল্লাহ্ মুত্তাকীদের সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত। (৩:১১৫)
নিশ্চয়ই আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন হইতেই আল্লাহ্র বিধানে আল্লাহ্র নিকট মাস গণনায় মাস বারটি; তন্মধ্যে চারটি নিষিদ্ধ মাস, ইহাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। সুতরাং ইহার মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করিও না এবং তোমরা মুশরিকদের সঙ্গে সর্বাত্মকভাবে যুদ্ধ করিবে, যেমন তাহারা তোমাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে যুদ্ধ করিয়া থাকে। এবং জানিয়া রাখ, আল্লাহ্ তো মুত্তাকীদের সঙ্গে আছেন। (৯:৩৬)
হে মু’মিনগণ! কাফিরদের মধ্যে যাহারা তোমাদের নিকটবর্তী তাহাদের সঙ্গে যুদ্ধ কর এবং উহারা যেন তোমাদের মধ্যে কঠোরতা দেখিতে পায়। জানিয়া রাখ, আল্লাহ্ তো মুত্তাকীদের সঙ্গে আছেন। (৯:১২৩)
যাহারা মু’মিন এবং মুত্তাকী তাহাদের আখিরাতের পুরস্কারই উত্তম। (১২:৫৭)
তোমার পূর্বেও জনপদবাসীদের মধ্য হইতে পুরুষগণকেই প্রেরণ করিয়াছিলাম, যাহাদের নিকট ওহী পাঠাইতাম। তাহারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে নাই এবং তাহাদের পূর্ববর্তীদের কি পরিণাম হইয়াছিল তাহা কি দেখে নাই? যাহারা মুত্তাকী তাহাদের জন্য পরলোকই শ্রেয়; তোমরা কি বুঝ না? (১২:১০৯)
এবং তোমার পরিবারবর্গকে সালাতের আদেশ দাও ও উহাতে অবিচলিত থাক, আমি তোমার নিকট কোন জীবনোপকরণ চাই না; আমিই তোমাকে জীবনোপকরণ দেই এবং শুভ পরিণাম তো মুত্তাকীদের জন্য। (২০:১৩২)
ইহা আখিরাতের সেই আবাস যাহা আমি নির্ধারিত করি তাহাদের জন্য যাহারা এই পৃথিবীতে উদ্ধত হইতে ও বিপর্যয় সৃষ্টি করিতে চাহে না। শুভ পরিণাম মুত্তাকীদের জন্য। (২৮:৮৩)
যে ব্যক্তি রাত্রির বিভিন্ন যামে সিজ্দাবনত হইয়া ও দাঁড়াইয়া আনুগত্য প্রকাশ করে, আখিরাতকে ভয় করে এবং তাঁহার প্রতিপালকের অনুগ্রহ প্রত্যাশা করে, সে কি তাহার সমান, যে তাহা করে না? বল, ‘যাহারা জানে এবং যাহারা জানে না, তাহারা কি সমান?’ বোধশক্তিসম্পন্ন লোকেরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে। (৩৯:৯)
যাহারা মনোযোগ সহকারে কথা শুনে এবং উহার মধ্যে যাহা উত্তম তাহা গ্রহণ করে। উহাদেরকে আল্লাহ্ সৎপথে পরিচালিত করেন এবং উহারাই বোধশক্তিসম্পন্ন। (৩৯:১৮)
বন্ধুরা সেই দিন হইয়া পড়িবে একে অপরের শত্রু, মুত্তাকীরা ব্যতীত। (৪৩:৬৭)
যাহারা সৎপথ অবলম্বন করে আল্লাহ্ তাহাদের সৎপথে চলিবার শক্তি বৃদ্ধি করেন এবং তাহাদেরকে মুত্তাকী হইবার শক্তি দান করেন। (৪৭:১৭)
হে মানুষ! আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করিয়াছি এক পুরুষ ও এক নারী হইতে, পরে তোমাদেরকে বিভক্ত করিয়াছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাহাতে তোমরা একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হইতে পার। তোমাদের মধ্যে আল্লাহ্র নিকট সেই ব্যক্তিই অধিক মর্যাদাসম্পন্ন, যে তোমাদের মধ্যে অধিক মুত্তাকী। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সকল কিছু জানেন, সমস্ত খবর রাখেন। (৪৯:১৩)
সেদিন নিশ্চয়ই মুত্তাকীরা থাকিবে প্রস্রবণ-বিশিষ্ট জান্নাতে, (৫১:১৫)
উপভোগ করিবে তাহা যাহা তাহাদের প্রতিপালক তাহাদেরকে দিবেন; কারণ পার্থিব জীবনে তাহারা ছিল সৎকর্মপরায়ণ, (৫১:১৬)
উহারাই বিরত থাকে গুরুতর পাপ ও অশ্লীল কার্য হইতে, ছোটখাট অপরাধ করিলেও। তোমার প্রতিপালকের ক্ষমা অপরিসীম; আল্লাহ্ তোমাদের সম্পর্কে সম্যক অবগত-যখন তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করিয়াছিলেন মৃত্তিকা হইতে এবং যখন তোমরা মাতৃগর্ভে ভ্রূণরূপে ছিলে। অতএব তোমরা আত্মপ্রশংসা করিও না, তিনিই সম্যক জানেন মুত্তাকী কে। (৫৩:৩২)
মুত্তাকীদের জন্য অবশ্যই রহিয়াছে ভোগ-বিলাসপূর্ণ জান্নাত তাহাদের প্রতিপালকের নিকট। (৬৮:৩৪)
আর উহা হইতে দূরে রাখা হইবে পরম মুত্তাকীকে, (৯২:১৭)
যে স্বীয় সম্পদ দান করে আত্মশুদ্ধির জন্য, (৯২:১৮)
এবং তাহার প্রতি কাহারও অনুগ্রহের প্রতিদানে নয়, (৯২:১৯)
কেবল তাহার মহান প্রতিপালকের সন্তুষ্টির প্রত্যাশায়; (৯২:২০)
সে তো অচিরেই সন্তোষ লাভ করিবে। (৯২:২১)