আমি এইভাবে নিদর্শনাবলী বিভিন্ন প্রকারে বিবৃত করি। ফলে, উহারা বলে, ‘তুমি পড়িয়া লইয়াছ?’ কিন্তু আমি তো সু্স্পষ্টভাবে বিবৃত করি জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য। (৬:১০৫)
উহাদের বৃত্তান্তে বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য আছে শিক্ষা। ইহা এমন বাণী যাহা মিথ্যা রচনা নয়। কিন্তু মু’মিনদের জন্য ইহা পূর্বগ্রন্থে যাহা আছে তাহার প্রত্যয়ন এবং সমস্ত কিছুর বিশদ বিবরণ, হিদায়াত ও রহমত। (১২:১১১)
তিনিই ভূতলকে বিস্তৃত করিয়াছেন এবং উহাতে পর্বত ও নদী সৃষ্টি করিয়াছেন এবং প্রত্যেক প্রকারের ফল সৃষ্টি করিয়াছেন জোড়ায় জোড়ায়। তিনি দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন। ইহাতে অবশ্যই নিদর্শন রহিয়াছে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য। (১৩:৩)
পৃথিবীতে রহিয়াছে পরস্পর-সংলগ্ন ভূখন্ড, উহাতে আছে দ্রাক্ষা কানন, শস্যক্ষেত্র, একাধিক শিরবিশিষ্ট অথবা এক শিরবিশিষ্ট খর্জুর-বৃক্ষ সিঞ্চিত একই পানিতে, এবং ফল হিসাবে উহাদের কতককে কতকের উপর আমি শ্রেষ্ঠত্ব দিয়া থাকি। অবশ্যই বোধশক্তিসম্পন্ন সম্প্রদায়ের জন্য ইহাতে রহিয়াছে নিদর্শন। (১৩:৪)
তোমার প্রতিপালক ইহাতে তোমার প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহা যে ব্যক্তি সত্য বলিয়া জানে আর যে অন্ধ তাহারা কি সমান? উপদেশ গ্রহণ করে শুধু বিবেকশক্তিসম্পন্নগণই, (১৩:১৯)
এইভাবে আমি কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি বিধানরূপে আরবী ভাষায়। জ্ঞান প্রাপ্তির পর তুমি যদি তাহাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ কর তবে আল্লাহ্র বিরুদ্ধে তোমার কোন অভিভাবক ও রক্ষক থাকিবে না। (১৩:৩৭)
এবং খর্জুর-বৃক্ষের ফল ও আঙ্গুর হইতে তোমরা মাদক ও উত্তম খাদ্য গ্রহণ করিয়া থাক; ইহাতে অবশ্যই বোধশক্তিসম্পন্ন সম্প্রদায়ের জন্য রহিয়াছে নিদর্শন। (১৬:৬৭)
‘ইহার পর প্রত্যেক ফল হইতে কিছু কিছু আহার কর, অতঃপর তোমার প্রতিপালকের সহজ পথ অনুসরণ কর।’ উহার উদর হইতে নির্গত হয় বিবিধ বর্ণের পানীয়; যাহাতে মানুষের জন্য রহিয়াছে আরোগ্য। অবশ্যই ইহাতে রহিয়াছে নিদর্শন চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য। (১৬:৬৯)
বল, ‘তোমরা কুরআনে বিশ্বাস কর বা বিশ্বাস না কর, যাহাদেরকে ইহার পূর্বে জ্ঞান দেওয়া হইয়াছে তাহাদের নিকট যখন ইহা পাঠ করা হয় তখনই তাহারা সিজ্দায় লুটাইয়া পড়ে।’ (১৭:১০৭)
অতঃপর আমি তাহাকে এবং যাহারা তরণীতে আরোহণ করিয়াছিল তাহাদেরকে রক্ষা করিলাম এবং বিশ্বজগতের জন্য ইহাকে করিলাম একটি নিদর্শন। (২৯:১৫)
উত্তরে ইব্রাহীমের সম্প্রদায় শুধু এই বলিল, ‘ইহাকে হত্যা কর অথবা অগ্নিদগ্ধ কর।’ কিন্তু আল্লাহ্ তাহাকে অগ্নি হইতে রক্ষা করিলেন। ইহাতে অবশ্যই নিদর্শন রহিয়াছে মু’মিন সম্প্রদায়ের জন্য। (২৯:২৪)
আমি তো বোধশক্তিসম্পন্ন সম্প্রদায়ের জন্য ইহাতে একটি স্পষ্ট নিদর্শন রাখিয়াছি। (২৯:৩৫)
এই সকল দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য দেই, কিন্তু কেবল জ্ঞানী ব্যক্তিরাই ইহা বুঝে। (২৯:৪৩)
আল্লাহ্ যথাযথভাবে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করিয়াছেন; ইহাতে অবশ্যই নিদর্শন রহিয়াছে মু’মিনদের জন্য। (২৯:৪৪)
তুমি তো ইহার পূর্বে কোন কিতাব পাঠ কর নাই এবং স্বহস্তে কোন কিতাব লিখ নাই যে, মিথ্যাচারীরা সন্দেহ পোষণ করিবে। (২৯:৪৮)
বরং যাহাদেরকে জ্ঞান দেওয়া হইয়াছে বস্তুত তাহাদের অন্তরে ইহা স্পষ্ট নিদর্শন। কেবল জালিমরাই আমার নিদর্শন অস্বীকার করে। (২৯:৪৯)
আর তাঁহার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রহিয়াছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হইতে সৃষ্টি করিয়াছেন তোমাদের সংগিনীদেরকে যাহাতে তোমরা উহাদের নিকট শান্তি পাও এবং তোমাদের মধ্যে পারস্পারিক ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করিয়াছেন। চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য ইহাতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রহিয়াছে। (৩০:২১)
আর তাঁহার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রহিয়াছে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। ইহাতে জ্ঞানীদের জন্য অবশ্যই বহু নিদর্শন রহিয়াছে। (৩০:২২)
আর তাঁহার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রহিয়াছে রাত্রিতে ও দিবাভাগে তোমাদের নিদ্রা এবং তোমাদের অন্বেষণ তাঁহার অনুগ্রহ হইতে। ইহাতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রহিয়াছে শ্রবণকারী সম্প্রদায়ের জন্য। (৩০:২৩)
আর তাঁহার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রহিয়াছে, তিনি তোমাদেরকে প্রদর্শন করেন বিদ্যুৎ, ভয় ও ভরসা সঞ্চারকরূপে এবং আকাশ হইতে বারি বর্ষণ করেন ও তদ্দ্বারা ভূমিকে পুনরুজ্জীবিত করেন উহার মৃত্যুর পর; ইহাতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রহিয়াছে বোধশক্তিসম্পন্ন সম্প্রদায়ের জন্য। (৩০:২৪)
এবং তাহার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রহিয়াছে যে, তাঁহারই আদেশে আকাশ ও পৃথিবীর স্থিতি থাকে; অতঃপর আল্লাহ্ যখন তোমাদেরকে মৃত্তিকা হইতে উঠিবার জন্য একবার আহ্বান করিবেন তখন তোমরা উঠিয়া আসিবে। (৩০:২৫)
আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যাহা কিছু আছে তাহা তাঁহারই। সকলেই তাঁহার আজ্ঞাবহ। (৩০:২৬)
তিনি সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনয়ন করেন, অতঃপর তিনি ইহাকে সৃষ্টি করিবেন পুনর্বার; ইহা তাঁহার জন্য অতি সহজ। আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে সর্বোচ্চ মর্যাদা তাঁহারই; এবং তিনিই পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (৩০:২৭)
আল্লাহ্ তোমাদের জন্য তোমাদের নিজেদের মধ্যে একটি দৃষ্টান্ত পেশ করিতেছেন: তোমাদেরকে আমি যে রিযিক দিয়াছি, তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসিগণের কেহ কি তাহাতে অংশীদার? ফলে তোমরা কি এই ব্যাপারে সমান? তোমরা কি উহাদেরকে সেইরূপ ভয় কর যেইরূপ তোমরা পরস্পর পরস্পরকে ভয় কর? এইভাবেই আমি বোধশক্তিসম্পন্ন লোকদের নিকট নিদর্শনাবলী বিবৃত করি। (৩০:২৮)
উহারা কি লক্ষ্য করে না, আল্লাহ্ যাহার জন্য ইচ্ছা রিযিক প্রশস্ত করেন এবং সীমিত করেন? ইহাতে অবশ্যই নিদর্শন রহিয়াছে মু’মিন সম্প্রদায়ের জন্য। (৩০:৩৭)
আলিফ-লাম-মীম; (৩১:১)
এইগুলি জ্ঞানগর্ভ কিতাবের আয়াত, (৩১:২)
পথনির্দেশ ও দয়াস্বরূপ সৎকর্মপরায়ণদের জন্য; (৩১:৩)
তুমি কি লক্ষ্য কর না যে, আল্লাহ্র অনুগ্রহে নৌযানগুলি সমুদ্রে বিচরণ করে, যদ্দ্বারা তিনি তোমাদেরকে তাঁহার নিদর্শনাবলীর কিছু প্রদর্শন করেন? ইহাতে অবশ্যই নিদর্শন রহিয়াছে প্রত্যেক ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য। (৩১:৩১)
উহারা কি উহাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে আসমান ও যমীনে যাহা আছে তাহার প্রতি লক্ষ্য করে না? আমি ইচ্ছা করিলে উহাদেরকেসহ ভূমি ধসাইয়া দিব অথবা উহাদের উপর আকাশখন্ডের পতন ঘটাইব; আল্লাহ্র অভিমুখী প্রতিটি বান্দার জন্য ইহাতে অবশ্যই নিদর্শন রহিয়াছে। (৩৪:৯)
কিন্তু উহারা বলিল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের সফরের মন্যিলের ব্যবধান বর্ধিত কর।’ উহারা নিজেদের প্রতি জুলুম করিয়াছিল। ফলে আমি উহাদেরকে কাহিনীর বিষয়বস্তুতে পরিণত করিলাম এবং উহাদেরকে ছিন্নভিন্ন করিয়া দিলাম। ইহাতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল, কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য নিদর্শন রহিয়াছে। (৩৪:১৯)
ইয়া-সীন, (৩৬:১)
শপথ জ্ঞানগর্ভ কুরআনের, (৩৬:২)
তুমি কি দেখ না, আল্লাহ্ আকাশ হইতে বারি বর্ষণ করেন, অতঃপর উহা ভূমিতে নির্ঝররূপে প্রবাহিত করেন এবং তদ্দ্বারা বিবিধ বর্ণের ফসল উৎপন্ন করেন, অতঃপর ইহা শুকাইয়া যায়? ফলে তোমরা ইহা পীতবর্ণ দেখিতে পাও, অবশেষে তিনি উহা খড়-কুটায় পরিণত করেন। ইহাতে অবশ্যই উপদেশ রহিয়াছে বোধশক্তিসম্পন্নদের জন্য। (৩৯:২১)
আল্লাহ্ই প্রাণ হরণ করেন জীবসমূহের তাহাদের মৃত্যুর সময় এবং যাহাদের মৃত্যু আসে নাই তাহাদের প্রাণও নিদ্রার সময়। অতঃপর তিনি যাহার জন্য মৃত্যুর সিদ্ধান্ত করেন তাহার প্রাণ তিনি রাখিয়া দেন এবং অপরগুলি ফিরাইয়া দেন, এক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। ইহাতে অবশ্যই নিদর্শন রহিয়াছে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য। (৩৯:৪২)
এক কিতাব, বিশদভাবে বিবৃত হইয়াছে ইহার আয়াতসমূহ, আরবী ভাষায় কুরআন, জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য, (৪১:৩)
তিনি ইচ্ছা করিলে বায়ুকে স্তব্ধ করিয়া দিতে পারেন; ফলে নৌযানসমূহ নিশ্চল হইয়া পড়িবে সমুদ্রপৃষ্ঠে। নিশ্চয়ই ইহাতে নিদর্শন রহিয়াছে ধৈর্যশীল ও কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য। (৪২:৩৩)
ইহা তো রহিয়াছে আমার নিকট উম্মুল কিতাবে; ইহা মহান, জ্ঞানগর্ভ। (৪৩:৪)
হা-মীম। (৪৫:১)
এই কিতাব পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় আল্লাহ্র নিকট হইতে অবতীর্ণ। (৪৫:২)
নিশ্চয়ই আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে নিদর্শন রহিয়াছে মু’মিনদের জন্য। (৪৫:৩)
তোমাদের সৃজনে এবং জীবজন্তুর বিস্তারে নিদর্শন রহিয়াছে নিশ্চিত বিশ্বাসীদের জন্য; (৪৫:৪)
নিদর্শন রহিয়াছে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য, রাত্রি ও দিবসের পরিবর্তনে এবং আল্লাহ্ আকাশ হইতে যে বারি বর্ষণ দ্বারা ধরিত্রীকে উহার মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত করেন তাহাতে ও বায়ুর পরিবর্তনে। (৪৫:৫)
আর তিনি তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করিয়াছেন আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সমস্ত কিছু নিজ অনুগ্রহে, চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য ইহাতে তো রহিয়াছে নিদর্শন। (৪৫:১৩)
তবে কি উহারা কুরআন সম্বন্ধে অভিনিবেশ সহকারে চিন্তা করে না? না উহাদের অন্তর তালাবদ্ধ? (৪৭:২৪)
আল্লাহ্র অনুরাগী প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য জ্ঞান ও উপদেশস্বরূপ। (৫০:৮)
নিশ্চয়ই ইহাতে উপদেশ রহিয়াছে তাহার জন্য যাহার আছে অন্তঃকরণ অথবা যে শ্রবণ করে নিবিষ্ট চিত্তে। (৫০:৩৭)
যাহারা মর্মন্তুদ শাস্তিকে ভয় করে আমি তাহাদের জন্য উহাতে একটি নিদর্শন রাখিয়াছি। (৫১:৩৭)
এবং নিদর্শন রাখিয়াছি মূসার বৃত্তান্তে, যখন আমি তাহাকে স্পষ্ট প্রমাণসহ ফির‘আওনের নিকট প্রেরণ করিয়া-ছিলাম, (৫১:৩৮)
এবং নিদর্শন রহিয়াছে ‘আদের ঘটনায়, যখন আমি তাহাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করিয়াছিলাম অকল্যাণকর বায়ু; (৫১:৪১)
ইহা যাহা কিছুর উপর দিয়া বহিয়া গিয়াছিল তাহাকেই চূর্ণ-বিচূর্ণ করিয়া দিয়াছিল, (৫১:৪২)
আরও নিদর্শন রহিয়াছে সামূদের বৃত্তান্তে, যখন তাহাদেরকে বলা হইয়াছিল, ‘ভোগ করিয়া নাও স্বল্পকাল।’ (৫১:৪৩)
কিন্তু উহারা উহাদের প্রতিপালকের আদেশ অমান্য করিল; ফলে উহাদের প্রতি বজ্রাঘাত হইল এবং উহারা উহা দেখিতেছিল। (৫১:৪৪)
ইহা পরিপূর্ণ জ্ঞান, তবে এই সতর্কবাণী উহাদের কোন উপকারে আসে নাই। (৫৪:৫)
যে ভয় করে তাহার জন্য অবশ্যই ইহাতে শিক্ষা রহিয়াছে। (৭৯:২৬)