হে মু’মিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর তবে আল্লাহ্ তোমাদেরকে ন্যায়-অন্যায় পার্থক্য করিবার শক্তি দিবেন, তোমাদের পাপ মোচন করিবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করিবেন এবং আল্লাহ্ অতিশয় মঙ্গলময়। (৮:২৯)
অবশ্যই আত্মসমর্পণকারী পুরুষ আত্মসমর্পণকারী নারী, মু’মিন পুরুষ ও মু’মিন নারী, অনুগত পুরুষ ও অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও সত্যবাদী নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও ধৈর্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ ও বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী, সাওম পালনকারী পুরুষ ও সাওম পালনকারী নারী, যৌন অংগ হিফাযতকারী পুরুষ ও যৌন অংগ হিফাযতকারী নারী, আল্লাহ্কে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও অধিক স্মরণকারী নারী-ইহাদের জন্য আল্লাহ্ রাখিয়াছেন ক্ষমা ও মহা-প্রতিদান। (৩৩:৩৫)
যে কেহ আখিরাতের ফসল কামনা করে তাহার জন্য আমি তাহার ফসল বর্ধিত করিয়া দেই এবং যে কেহ দুনিয়ার ফসল কামনা করে আমি তাহাকে উহারই কিছু দেই, আখিরাতে তাহার জন্য কিছুই থাকিবে না। (৪২:২০)
এই সুসংবাদই আল্লাহ্ দেন তাঁহার বান্দাদেরকে যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে। বল, ‘আমি ইহার বিনিময়ে তোমাদের নিকট ইহতে আত্মীয়ের সৌহার্দ্য ব্যতীত অন্য কোন প্রতিদান চাই না।’ যে উত্তম কাজ করে আমি তাহার জন্য ইহাতে কল্যাণ বর্ধিত করি। আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী। (৪২:২৩)
তিনি মু’মিন ও সৎকর্মপরায়ণদের আহ্বানে সাড়া দেন এবং তাহাদের প্রতি তাঁহার অনুগ্রহ বর্ধিত করেন; কাফিরদের জন্য রহিয়াছে কঠিন শাস্তি। (৪২:২৬)
আমি মানুষকে তাহার মাতা-পিতার প্রতি সদয় ব্যবহারের নির্দেশ দিয়াছি। তাহার জননী তাহাকে গর্ভে ধারণ করে কষ্টের সঙ্গে এবং প্রসব করে কষ্টের সঙ্গে, তাহাকে গর্ভে ধারণ করিতে ও তাহার স্তন্য ছাড়াইতে লাগে ত্রিশ মাস, ক্রমে সে যখন পূর্ণ শক্তিপ্রাপ্ত হয় এবং চল্লিশ বৎসরে উপনীত হয় তখন বলে, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে সামর্থ্য দাও, যাহাতে আমি তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি তুমি যে অনুগ্রহ করিয়াছ, তাহার জন্য এবং যাহাতে আমি সৎকর্ম করিতে পারি যাহা তুমি পসন্দ কর; আমার জন্য আমার সন্তান-সন্ততিদেরকে সৎকর্মপরায়ণ কর, আমি তোমারই অভিমুখী হইলাম এবং আমি অবশ্যই আত্মসমর্পণকারীদের অন্তর্ভুক্ত। (৪৬:১৫)
‘আমি ইহাদেরই সুকৃতিগুলি গ্রহণ করিয়া থাকি এবং মন্দ কর্মগুলি ক্ষমা করি, তাহারা জান্নাতবাসীদের অন্তর্ভুক্ত। ইহাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইয়াছে তাহা সত্য। (৪৬:১৬)
যাহারা কুফরী করে এবং অপরকে আল্লাহ্র পথ হইতে নিবৃত্ত করে তিনি তাহাদের কর্ম ব্যর্থ করিয়া দেন। (৪৭:১)
যাহারা ঈমান আনে, সৎকর্ম করে এবং মুহাম্মাদের প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাতে বিশ্বাস করে, আর উহাই তাহাদের প্রতিপালক হইতে প্রেরিত সত্য, তিনি তাহাদের মন্দ কর্মগুলি বিদূরিত করিবেন এবং তাহাদের অবস্থা ভাল করিবেন। (৪৭:২)
ইহা এইজন্য যে, যাহারা কুফরী করে তাহারা মিথ্যার অনুসরণ করে এবং যাহারা ঈমান আনে তাহারা তাহাদের প্রতিপালক-প্রেরিত সত্যের অনুসরণ করে। এইভাবে আল্লাহ্ মানুষের জন্য তাহাদের দৃষ্টান্ত প্রদান করেন। (৪৭:৩)
মুহাম্মদ আল্লাহ্র রাসূল; তাঁহার সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহ্র অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাহাদেরকে রুকূ‘ ও সিজ্দায় অবনত দেখিবে। তাহাদের লক্ষণ তাহাদের মুখমন্ডলে সিজ্দার প্রভাবে পরিস্ফুটিত থাকিবে; তওরাতে তাহাদের বর্ণনা এইরূপ এবং ইঞ্জীলেও তাহাদের বর্ণনা এইরূপই। তাহাদের দৃষ্টান্ত একটি চারাগাছ, যাহা হইতে নির্গত হয় কিশলয়, অতঃপর ইহা শক্ত ও পুষ্ঠ হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে যাহা চাষীর জন্য আনন্দদায়ক। এইভাবে আল্লাহ্ মু’মিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা কাফিরদের অন্তর্জ্বালা সৃষ্টি করেন। যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ্ তাহাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়াছেন ক্ষমা ও মহাপুস্কারের। (৪৮:২৯)
নিশ্চয়ই আমি আমার রাসূলগণকে প্রেরণ করিয়াছি স্পষ্ট প্রমাণসহ এবং তাহাদের সঙ্গে দিয়াছি কিতাব ও ন্যায়নীতি, যাহাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে। আমি লৌহও দিয়াছি যাহাতে রহিয়াছে প্রচন্ড শক্তি ও রহিয়াছে মানুষের জন্য বহুবিধ কল্যাণ। ইহা এইজন্য যে, আল্লাহ্ প্রকাশ করিয়া দেন কে প্রত্যক্ষ না করিয়াও তাঁহাকে ও তাঁহার রাসূলগণকে সাহায্য করে। অবশ্যই আল্লাহ্ শক্তিমান, পরাক্রমশালী। (৫৭:২৫)
হে মু’মিনগণ! আল্লাহ্কে ভয় কর এবং তাঁহার রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর। তিনি তাঁহার অনুগ্রহে তোমাদেরকে দিবেন দ্বিগুণ পুরস্কার এবং তিনি তোমাদেরকে দিবেন আলো, যাহার সাহায্যে তোমরা চলিবে এবং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করিবেন; আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৫৭:২৮)
তুমি পাইবে না আল্লাহ্ ও আখিরাতে বিশ্বাসী এমন কোন সম্প্রদায়, যাহারা ভালবাসে আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের বিরুদ্ধাচারীদেরকে-হউক না এই বিরুদ্ধাচারীরা তাহাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা ইহাদের জ্ঞাতি-গোত্র। ইহাদের অন্তরে আল্লাহ্ সুদৃঢ় করিয়াছেন ঈমান এবং তাহাদেরকে শক্তিশালী করিয়াছেন তাঁহার পক্ষ হইতে রূহ্ দ্বারা। তিনি ইহাদেরকে দাখিল করিবেন জান্নাতে, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; সেখানে ইহারা স্থায়ী হইবে; আল্লাহ্ ইহাদের প্রতি সন্তুষ্ট হইয়াছেন এবং ইহারাও তাঁহার প্রতি সন্তুষ্ট, ইহারাই আল্লাহ্র দল। জানিয়া রাখ, আল্লাহ্র দলই সফলকাম হইবে। (৫৮:২২)
যাহারা দৃষ্টির অগোচরে তাহাদের প্রতিপালককে ভয় করে তাহাদের জন্য রহিয়াছে ক্ষমা ও মহাপুস্কার। (৬৭:১২)
তবে সালাত আদায়কারীগণ ব্যতীত, (৭০:২২)
যাহারা তাহাদের সালাতে সদা প্রতিষ্ঠিত, (৭০:২৩)
আর যাহাদের সম্পদে নির্ধারিত হক রহিয়াছে (৭০:২৪)
যাচ্ঞাকারী ও বঞ্চিতের, (৭০:২৫)
এবং যাহারা কর্মফল দিবসকে সত্য বলিয়া জানে। (৭০:২৬)
আর যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের শাস্তি সম্পর্কে ভীতসন্ত্রস্ত- (৭০:২৭)
নিশ্চয়ই তাহাদের প্রতিপালকের শাস্তি হইতে নিঃশংক থাকা যায় না- (৭০:২৮)
এবং যাহারা নিজেদের যৌন অঙ্গকে সংযত রাখে, (৭০:২৯)
তাহাদের পত্নী অথবা অধিকারভুক্ত দাসী ব্যতীত, ইহাতে তাহারা নিন্দনীয় হইবে না- (৭০:৩০)
তবে কেহ ইহাদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করিলে তাহারা হইবে সীমালংঘনকারী- (৭০:৩১)
এবং যাহারা আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, (৭০:৩২)
আর যাহারা তাহাদের সাক্ষ্যদানে অটল, (৭০:৩৩)
এবং নিজেদের সালাতে যত্নবান- (৭০:৩৪)
তাহারাই সম্মানিত হইবে জান্নাতে। (৭০:৩৫)