স্মরন কর, তোমার প্রতিপালক ঘোষণা করেন, তিনি তো কিয়ামত পর্যন্ত তাহাদের উপর এমন লোকদেরকে প্রেরণ করিবেন যাহারা তাহাদেরকে কঠিন শাস্তি দিতে থাকিবে, আর তোমার প্রতিপালক তো শাস্তিদানে তৎপর এবং তিনি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়াময়। (৭:১৬৭)
আমি ‘উপদেশের’ পর কিতাবে লিখিয়া দিয়াছি যে, আমার যোগ্যতাসম্পন্ন বান্দাগণ পৃথিবীর অধিকারী হইবে। (২১:১০৫)
আমি ইহাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা দান করিলে ইহারা সালাত কায়েম করিবে, যাকাত দিবে এবং সৎকর্মের নির্দেশ দিবে ও অসৎকর্ম নিষেধ করিবে; আর সকল কর্মের পরিণাম আল্লাহ্র ইখ্তিয়ারে। (২২:৪১)
তোমাদের মধ্যে যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ্ তাহাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিতেছেন যে, তিনি অবশ্যই তাহাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করিবেন, যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব দান করিয়াছিলেন তাহাদের পূর্ববর্তীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই তাহাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত করিবেন তাহাদের দীনকে যাহা তিনি তাহাদের জন্য পসন্দ করিয়াছেন এবং তাহাদের ভয়ভীতির পরিবর্তে তাহাদেরকে অবশ্যই নিরাপত্তা দান করিবেন। তাহারা আমার ‘ইবাদত করিবে, আমার কোন শরীক করিবে না, অতঃপর যাহারা অকৃতজ্ঞ হইবে তাহারা তো সত্যত্যাগী। (২৪:৫৫)
ফির‘আওন দেশে পরাক্রমশালী হইয়াছিল এবং সেখানকার অধিবাসীবৃন্দকে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করিয়া উহাদের একটি শ্রেণীকে সে হীনবল করিয়াছিল; উহাদের পুত্রগণকে সে হত্যা করিত এবং নারীগণকে জীবিত থাকিত দিত। সে তো ছিল বিপর্যয় সৃষ্টিকারী। (২৮:৪)
আমি ইচ্ছা করিলাম, সে দেশে যাহাদেরকে হীনবল করা হইয়াছিল, তাহাদের প্রতি অনুগ্রহ করিতে, তাহাদেরকে নেতৃত্ব দান করিতে ও উত্তরাধিকারী করিতে; (২৮:৫)
এবং তাহাদেরকে দেশে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করিতে, আর ফির‘আওন, হামান ও তাহাদের বাহিনীকে তাহা দেখাইয়া দিতে, যাহা উহাদের নিকট তাহারা আশংকা করিত। (২৮:৬)
অতঃপর আমি কিতাবের অধিকারী করিলাম আমার বান্দাদের মধ্য হইতে যাহাদেরকে আমি মনোনীত করিয়াছি; তবে তাহাদের কেহ নিজের প্রতি অত্যাচারী, কেহ মধ্যপন্থী এবং কেহ আল্লাহ্র ইচ্ছায় কল্যাণকর কাজে অগ্রগামী। ইহাই মহাঅনুগ্রহ- (৩৫:৩২)