ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানরা তোমার প্রতি কখনও সন্তুষ্ট হইবে না, যতক্ষণ না তুমি তাহাদের ধর্মাদর্শ অনুসরণ কর। বল, ‘আল্লাহ্র পথনির্দেশই প্রকৃত পথনির্দেশ।’ জ্ঞান প্রাপ্তির পর তুমি যদি তাহাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ কর তবে আল্লাহ্র বিপক্ষে তোমার কোন অভিভাবক থাকিবে না এবং কোন সাহায্যকারীও থাকিবে না। (২:১২০)
তোমরা যাহাতে ঈমান আনয়ন করিয়াছ তাহারা যদি সেইরূপ ঈমান আনয়ন করে তবে নিশ্চয় তাহারা হিদায়াত পাইবে। আর যদি তাহারা মুখ ফিরাইয়া নেয়, তবে তাহারা নিশ্চয়ই বিরুদ্ধভাবাপন্ন এবং তাহাদের বিরুদ্ধে তোমার জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট। আর তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (২:১৩৭)
নির্বোধ লোকেরা অচিরেই বলিবে যে, তাহারা এ যাবত যে কিবলা অনুসরণ করিয়া আসিতেছিল উহা হইতে কিসে তাহাদেরকে ফিরাইয়া দিল? বল, ‘পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহ্রই। তিনি যাহাকে ইচ্ছা সরল পথে পরিচালিত করেন।’ (২:১৪২)
সত্য তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে প্রেরিত। সুতরাং তুমি সন্দিহানদের অন্তর্ভুক্ত হইও না। (২:১৪৭)
আমি তোমাদেরকে কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা অবশ্যই পরীক্ষা করিব। তুমি শুভ সংবাদ দাও ধৈর্যশীলগণকে- (২:১৫৫)
যাহারা তাহাদের উপর বিপদ আপতিত হইলে বলে, ‘আমরা তো আল্লাহ্রই এবং নিশ্চিতভাবে তাঁহার দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী।’ (২:১৫৬)
ইহারাই তাহারা যাহাদের প্রতি তাহাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে বিশেষ অনুগ্রহ ও রহমত বর্ষিত হয়, আর ইহারাই সৎপথে পরিচালিত। (২:১৫৭)
নিশ্চয়ই তাহারা হিদায়াত পাইবে। আর যদি তাহারা মুখ ফিরাইয়া নেয় তবে তোমার কর্তব্য শুধু প্রচার করা। আল্লাহ্ বান্দাদের সম্পর্কে সম্যক দ্রষ্টা। (৩:২০)
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ আমার প্রতিপালক এবং তোমাদেরও প্রতিপালক, সুতরাং তোমরা তাঁহার ‘ইবাদত করিবে। ইহাই সরল পথ।’ (৩:৫১)
কিরূপে তোমরা সত্য প্রত্যাখ্যান করিবে যখন আল্লাহ্র আয়াতসমূহ তোমাদের নিকট পঠিত হয় এবং তোমাদের মধ্যে তাঁহার রাসূল রহিয়াছে? কেহ আল্লাহ্কে দৃঢ়ভাবে অবলম্বন করিলে সে অবশ্যই সরল পথে পরিচালিত হইবে। (৩:১০১)
এবং তাহাদেরকে নিশ্চয়ই সরল পথে পরিচালিত করিতাম। (৪:৬৮)
যাহারা আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনে ও তাঁহাকে দৃঢ়ভাবে অবলম্বন করে তাহাদেরকে তিনি অবশ্যই তাঁহার দয়া ও অনুগ্রহের মধ্যে দাখিল করিবেন এবং তাহাদের কে সরল পথে তাঁহার দিকে পরিচালিত করিবেন। (৪:১৭৫)
যাহারা আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভ করিতে চায়, ইহা দ্বারা তিনি তাহাদের শান্তির পথে পরিচালিত করেন এবং নিজ অনুমতিক্রমে অন্ধকার হইতে বাহির করিয়া আলোর দিকে লইয়া যান এবং উহাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করেন। (৫:১৬)
এবং ইহাদের পিতৃপুরুষ, বংশধর ও ভ্রাতৃবৃন্দের কতককে। আমি তাহাদেরকে মনোনীত করিয়াছিলাম এবং সরল পথে পরিচালিত করিয়াছিলাম। (৬:৮৭)
ইহাই তোমার প্রতিপালক-নির্দেশিত সরল পথ। যাহারা উপদেশ গ্রহণ করে আমি তাহাদের জন্য নিদর্শনসমূহ বিশদভাবে বিবৃত করিয়াছি। (৬:১২৬)
বল, ‘আস, তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্য যাহা হারাম করিয়াছেন তোমাদেরকে তাহা পড়িয়া শুনাই। উহা এই: ‘তোমরা তাঁহার কোন শরীক করিবে না, পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করিবে, দারিদ্র্যের ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করিবে না, আমিই তোমাদের ও তাহাদেরকে রিযিক দিয়া থাকি। প্রকাশ্যে হউক কিংবা গোপনে হউক, অশ্লীন কাজের নিকটেও যাইবে না। আল্লাহ্ যাহার হত্যা নিষিদ্ধ করিয়াছেন যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে তোমরা তাহাকে হত্যা করিবে না।’ তোমাদেরকে তিনি এই নির্দেশ দিলেন, যেন তোমরা অনুধাবন কর। (৬:১৫১)
ইয়াতীম বয়ঃপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত উত্তম ব্যবস্থা ব্যতীত তোমরা তাহার সম্পত্তির নিকটবর্তী হইবে না এবং পরিমাণ ও ওজন ন্যায্যভাবে পুরাপুরি দিবে। আমি কাহাকেও তাহার সাধ্যাতীত ভার অর্পণ করি না। যখন তোমরা কথা বলিবে তখন ন্যায্য বলিবে-স্বজনের সম্পর্কে হইলেও এবং আল্লাহ্কে প্রদত্ত অঙ্গীকার পূর্ণ করিবে। এইভাবে আল্লাহ্ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন, যেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর। (৬:১৫২)
এবং এই পথই আমার সরল পথ। সুতরাং তোমরা ইহারই অনুসরণ করিবে এবং বিভিন্ন পথ অনুসরণ করিবে না, করিলে উহা তোমাদেরকে তাঁহার পথ হইতে বিচ্ছিন্ন করিবে। এইভাবে আল্লাহ্ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন, যেন তোমরা সাবধান হও। (৬:১৫৩)
আল্লাহ্ বলিলেন, ‘ইহাই আমার নিকট পৌঁছিবার সরল পথ, (১৫:৪১)
সে ছিল আল্লাহ্র অনুগ্রহের জন্য কৃতজ্ঞ; আল্লাহ্ তাহাকে মনোনীত করিয়াছিলেন এবং তাহাকে পরিচালিত করিয়াছিলেন সরল পথে। (১৬:১২১)
আল্লাহ্ই আমার প্রতিপালক ও তোমাদের প্রতিপালক; সুতরাং তোমরা তাঁহার ‘ইবাদত কর, ইহাই সরল পথ। (১৯:৩৬)
আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য নির্ধারিত করিয়া দিয়াছি ‘ইবাদত পদ্ধতি-যাহা উহারা অনুসরণ করে। সুতরাং উহারা যেন তোমার সঙ্গে বিতর্ক না করে এই ব্যাপারে। তুমি উহাদেরকে তোমার প্রতিপালকের দিকে আহ্বান কর, তুমি তো সরল পথেই প্রতিষ্ঠিত। (২২:৬৭)
তুমি তো উহাদেরকে সরল পথে আহ্বান করিতেছ। (২৩:৭৩)
যাহারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না তাহারা তো সরল পথ হইতে বিচ্যুত, (২৩:৭৪)
যাহারা আমার উদ্দেশ্যে সংগ্রাম করে আমি তাহাদেরকে অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করিব। আল্লাহ্ অবশ্যই সৎকর্মপরায়ণদের সঙ্গে থাকেন। (২৯:৬৯)
তুমি একনিষ্ঠ হইয়া নিজকে দীনে প্রতিষ্ঠিত কর। আল্লাহ্র প্রকৃতির অনুসরণ কর, যে প্রকৃতি অনুযায়ী তিনি মানুষ সৃষ্টি করিয়াছেন; আল্লাহ্র সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নাই। ইহাই সরল দীন; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না। (৩০:৩০)
যাহারা সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয়, আর তাহারাই আখিরাতে নিশ্চিত বিশ্বাসী; (৩১:৪)
তাহারাই তাহাদের প্রতিপালকের নির্দেশিত পথে আছে এবং তাহারাই সফলকাম। (৩১:৫)
তুমি অবশ্যই রাসূলদের অন্তর্ভুক্ত; (৩৬:৩)
তুমি সরল পথে প্রতিষ্ঠিত। (৩৬:৪)
আর আমারই ‘ইবাদত কর, ইহাই সরল পথ। (৩৬:৬১)
এইভাবে আমি তোমার প্রতি প্রত্যাদেশ করিয়াছি রূহ্ তথা আমার নির্দেশ; তুমি তো জানিতে না কিতাব কি এবং ঈমান কি। পক্ষান্তরে আমি ইহাকে করিয়াছি আলো যাহা দ্বারা আমি আমার বান্দাদের মধ্যে যাহাকে ইচ্ছা পথনির্দেশ করি; তুমি তো প্রদর্শন কর কেবল সরল পথ- (৪২:৫২)
সুতরাং তোমার প্রতি যাহা ওহী করা হইয়াছে তাহা দৃঢ়ভাবে অবলম্বন কর। তুমি সরল পথেই রহিয়াছ। (৪৩:৪৩)
ঈসা তো কিয়ামতের নিশ্চিত নিদর্শন; সুতরাং তোমরা কিয়ামতে সন্দেহ করিও না এবং আমাকে অনুসরণ কর। ইহাই সরল পথ। (৪৩:৬১)
‘ঈসা যখন স্পষ্ট নিদর্শনসহ আসিল তখন সে বলিয়াছিল, ‘আমি তো তোমাদের নিকট আসিয়াছি প্রজ্ঞাসহ এবং তোমরা যে কতক বিষয়ে মতভেদ করিতেছ, তাহা স্পষ্ট করিয়া দিবার জন্য। সুতরাং তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর এবং আমার অনুসরণ কর। (৪৩:৬৩)
যেন আল্লাহ্ তোমার অতীত ও ভবিষ্যত ত্রুটিসমূহ মার্জনা করেন এবং তোমার প্রতি তাঁহার অনুগ্রহ পূর্ণ করেন ও তোমাকে সরল পথে পরিচালিত করেন, (৪৮:২)
‘আমাদের কতক আত্মসমর্পণকারী এবং কতক সীমালংঘনকারী; যাহারা আত্মসমর্পণ করে তাহারা সুচিন্তিতভাবে সত্যপথ বাছিয়া নেয়। (৭২:১৪)
শপথ রজনীর, যখন সে আচ্ছন্ন করে, (৯২:১)
শপথ দিবসের, যখন উহা উদ্ভাসিত হয় (৯২:২)
এবং শপথ তাঁহার, যিনি নর ও নারী সৃষ্টি করিয়াছেন- (৯২:৩)
অবশ্যই তোমাদের কর্মপ্রচেষ্টা বিভিন্ন প্রকৃতির।‘ (৯২:৪)
সুতরাং কেহ দান করিলে, মুত্তাকী হইলে। (৯২:৫)
এবং যাহা উত্তম তাহা সত্য বলিয়া গ্রহণ করিলে, (৯২:৬)
আমি তাহার জন্য সুগম করিয়া দিব সহজ পথ। (৯২:৭)