স্মরণ কর, যখন মূসা আপন সম্প্রদায়কে বলিয়াছিল, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তোমাদেরকে একটি গরু যবেহ করার আদেশ দিয়াছেন’, তাহারা বলিয়াছিল, ‘তুমি কি আমাদের সঙ্গে ঠাট্টা করিতেছ? মূসা বলিল, ‘আল্লাহ্র শরণ লইতেছি যাহাতে আমি অজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত না হই। (২:৬৭)
তাহারা বলিল, ‘আমাদের জন্য তোমার প্রতিপালককে স্পষ্টভাবে জানাইয়া দিতে বল, উহা কিরূপ? মূসা বলিল, ‘আল্লাহ্ বলিতেছেন, উহা এমন গরু যাহা বৃদ্ধও নয়, অল্পবয়স্কও নয়-মধ্যবয়সী। সুতরাং তোমরা যাহা আদিষ্ট হইয়াছ তাহা কর।’ (২:৬৮)
তাহারা বলিল, ‘আমাদের জন্য তোমার প্রতিপালককে স্পষ্টভাবে জানাইয়া দিতে বল, উহার রং কি?’ মূসা বলিল, ‘আল্লাহ্ বলিতেছেন, উহা হলুদ বর্ণের গরু, উহার রং উজ্জ্বল গাঢ়, যাহা দর্শকদের আনন্দ দেয়।’ (২:৬৯)
তাহারা বলিল, ‘আমাদের জন্য তোমার প্রতিপালককে স্পষ্টভাবে জানাইয়া দিতে বল, উহা কোন্টি? আমরা গরুটি সম্পর্কে সন্দেহে পতিত হইয়াছি এবং আল্লাহ্ ইচ্ছা করিলে নিশ্চয় আমরা দিশা পাইব।’ (২:৭০)
মূসা বলিল, ‘তিনি বলিতেছেন, উহা এমন এক গরু যাহা জমি চাষে ও ক্ষেতে পানি সেচের জন্য ব্যবহৃত হয় নাই-সুস্থ নিখুঁত।’ তাহারা বলিল, ‘এখন তুমি সত্য আনিয়াছ।’ যদিও তাহারা যবেহ করিতে উদ্যত ছিল না, তবুও তাহারা উহাকে যবেহ করিল। (২:৭১)
হে মু’মিনগণ! আল্লাহ্র নিদর্শনের, পবিত্র মাসের, কুরবানীর জন্য কা‘বায় প্রেরিত পশুর, গলায় পরান চিহ্নবিশিষ্ট পশুর এবং নিজ প্রতিপালকের অনুগ্রহ ও সন্তোষ লাভের আশায় পবিত্র গৃহ অভিমুখে যাত্রীদের পবিত্রতার অবমাননা করিবে না। যখন তোমরা ইহ্রামমুক্ত হইবে তখন শিকার করিতে পার। তোমাদেরকে মস্জিদুল হারামে প্রবেশে বাধা দেওয়ার কারণে কোন সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ তোমাদেরকে যেন কখনই সীমালংঘনে প্ররোচিত না করে। সৎকর্ম ও তাক্ওয়ায় তোমরা পরস্পর সহযোগিতা করিবে এবং পাপ ও সীমালংঘনে একে অন্যের সহযোগিতা করিবে না। আল্লাহ্কে ভয় করিবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ শাস্তিদানে কঠোর। (৫:২)
আদমের দুই পুত্রের বৃত্তান্ত তুমি তাহাদেরকে যথাযথভাবে শোনাও। যখন তাহারা উভয়ে কুরবানী করিয়াছিল তখন একজনের কুরবানী কবূল হইল এবং অন্যজনের কবূল হইল না। সে বলিল, ‘আমি তোমাকে হত্যা করিবই।’ অপরজন বলিল, ‘অবশ্যই আল্লাহ্ মুত্তাকীদের কুরবানী কবূল করেন।’ (৫:২৭)
‘আমাকে হত্যা করার জন্য তুমি হাত তুলিলেও তোমাকে হত্যা করার জন্য আমি হাত তুলিব না; আমি তো জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ্কে ভয় করি।’ (৫:২৮)
‘তুমি আমার ও তোমার পাপের ভার বহন কর এবং দোজখবাসী হও-ইহাই আমি চাই এবং ইহা জালিমদের কর্মফল।’ (৫:২৯)
অতঃপর তাহার চিত্ত ভ্রাতৃহত্যায় তাহাকে উত্তেজিত করিল। ফলে সে তাহাকে হত্যা করিল; তাই সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হইল। (৫:৩০)
অতঃপর আল্লাহ্ একটি কাক পাঠাইলেন, যে তাহার ভ্রাতার শবদেহ কিভাবে গোপন করা যায় তাহা দেখাইবার জন্য মাটি খনন করিতে লাগিল। সে বলিল, ‘হায়! আমি কি এই কাকের মতও হইতে পারিলাম না, যাহাতে আমার ভ্রাতার শবদেহ গোপন করিতে পারি! অতঃপর সে অনুতপ্ত হইল। (৫:৩১)
এই কারণেই বনী ইসরাঈলের প্রতি বিধান দিলাম যে, নরহত্যা অথবা দুনিয়ায় ধ্বংসাত্মক কাজ করা হেতু ব্যতীত কেহ কাহাকেও হত্যা করিলে সে যেন দুনিয়ার সকল মানুষকেই হত্যা করিল; আর কেহ কাহারও প্রাণ রক্ষা করিলে সে যেন সকল মানুষের প্রাণ রক্ষা করিল। তাহাদের নিকট তো আমার রাসূলগণ স্পষ্ট প্রমাণ আনিয়াছিল, কিন্তু ইহার পরও তাহাদের অনেকে দুনিয়ায় সীমালংঘন-কারীই রহিয়া গেল। (৫:৩২)
যাহাতে তাহারা তাহাদের কল্যাণময় স্থানগুলিতে উপস্থিত হইতে পারে এবং তিনি তাহাদেরকে চতুষ্পদ জন্তু হইতে যাহা রিযিক হিসাবে দান করিয়াছেন উহার উপর নির্দিষ্ট দিনগুলিতে আল্লাহ্র নাম উচ্চারণ করিতে পারে। অতঃপর তোমরা উহা হইতে আহার কর এবং দুস্থ, অভাবগ্রস্তকে আহার করাও। (২২:২৮)
এই সমস্ত আন‘আমে তোমাদের জন্য নানাবিধ উপকার রহিয়াছে এক নির্দিষ্ট কালের জন্য; অতঃপর উহাদের কুরবানীর স্থান প্রাচীন গৃহের নিকট। (২২:৩৩)
আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য কুরবানীর নিয়ম করিয়া দিয়াছি; তিনি তাহাদেরকে জীবনোপকরণস্বরূপ যে সকল চতুষ্পদ জন্তু দিয়াছেন, সেগুলির উপর যেন তাহারা আল্লাহ্র নাম উচ্চারণ করে। তোমাদের ইলাহ্ এক ইলাহ্, সুতরাং তাহারই নিকট আত্মসমর্পণ কর এবং সুসংবাদ দাও বিনীতগণকে- (২২:৩৪)
যাহাদের হৃদয় ভয়ে কম্পিত হয় আল্লাহ্র নাম স্মরণ করা হইলে, যাহারা তাহাদের বিপদ-আপদে ধের্য ধারণ করে এবং সালাত কায়েম করে এবং আমি তাহাদেরকে যে রিযিক দিয়াছি তাহা হইতে ব্যয় করে। (২২:৩৫)
এবং উষ্ট্রকে করিয়াছি আল্লাহ্র নিদর্শনগুলির অন্যতম; তোমাদের জন্য উহাতে মঙ্গল রহিয়াছে। সুতরাং সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান অবস্থায় উহাদের উপর তোমরা আল্লাহ্র নাম উচ্চারণ কর। যখন উহারা কাত হইয়া পড়িয়া যায় তখন তোমরা উহা হইতে আহার কর এবং আহার করাও ধৈর্যশীল অভাবগ্রস্তকে ও যাচ্ঞাকারী অভাবগ্রস্তকে; এইভাবে আমি উহাদেরকে তোমাদের অধীন করিয়া দিয়াছি যাহাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। (২২:৩৬)
কখনই আল্লাহ্র নিকট পৌঁছায় না উহাদের গোশ্ত এবং রক্ত, বরং পৌঁছায় তোমাদের তাক্ওয়া। এইভাবে তিনি ইহাদেরকে তোমাদের অধীন করিয়া দিয়াছেন যাহাতে তোমরা আল্লাহ্র শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর এইজন্য যে, তিনি তোমাদেরকে পথপ্রদর্শন করিয়াছেন; সুতরাং তুমি সুসংবাদ দাও সৎকর্মপরায়ণ-দেরকে। (২২:৩৭)
অতঃপর সে যখন তাহার পিতার সঙ্গে কাজ করিবার মত বয়সে উপনীত হইল তখন ইবরাহীম বলিল, ‘বৎস! আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে আমি যবেহ্ করিতেছি, এখন তোমার অভিমত কি বল?’ সে বলিল, ‘হে আমার পিতা! আপনি যাহা আদিষ্ট হইয়াছেন তাহাই করুন। আল্লাহ্র ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাইবেন।’ (৩৭:১০২)
যখন তাহারা উভয়ে আনুগত্য প্রকাশ করিল এবং ইব্রাহীম তাহার পুত্রকে কাত করিয়া শায়িত করিল, (৩৭:১০৩)
তখন আমি তাহাকে আহ্বান করিয়া বলিলাম, ‘হে ইব্রাহীম! (৩৭:১০৪)
‘তুমি তো স্বপ্নাদেশ সত্যই পালন করিলে!’-এইভাবেই আমি সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করিয়া থাকি। (৩৭:১০৫)
নিশ্চয়ই ইহা ছিল এক স্পষ্ট পরীক্ষা। (৩৭:১০৬)
আমি তাহাকে মুক্ত করিলাম এক কুরবানীর বিনিময়ে। (৩৭:১০৭)
আমি অবশ্যই তোমাকে কাওছার দান করিয়াছি। (১০৮:১)
সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং কুরবানী কর। (১০৮:২)
নিশ্চয় তোমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীই তো নির্বংশ। (১০৮:৩)