যাহারা বলে, ‘আল্লাহ্ আমাদেরকে আদেশ দিয়াছেন, আমরা যেন কোন রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করি যতক্ষণ পর্যন্ত সে আমাদের নিকট এমন কুরবানী উপস্থিত না করিবে যাহা অগ্নি গ্রাস করিবে; তাহাদেরকে বল, ‘আমার পূর্বে অনেক রাসূল স্পষ্ট নিদর্শনসহ এবং তোমরা যাহা বলিতেছ তাহাসহ তোমাদের নিকট আসিয়াছিল, যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে কেন তাহাদেরকে হত্যা করিয়াছিলে?’ (৩:১৮৩)
আদমের দুই পুত্রের বৃত্তান্ত তুমি তাহাদেরকে যথাযথভাবে শোনাও। যখন তাহারা উভয়ে কুরবানী করিয়াছিল তখন একজনের কুরবানী কবূল হইল এবং অন্যজনের কবূল হইল না। সে বলিল, ‘আমি তোমাকে হত্যা করিবই।’ অপরজন বলিল, ‘অবশ্যই আল্লাহ্ মুত্তাকীদের কুরবানী কবূল করেন।’ (৫:২৭)
যাহাতে তাহারা তাহাদের কল্যাণময় স্থানগুলিতে উপস্থিত হইতে পারে এবং তিনি তাহাদেরকে চতুষ্পদ জন্তু হইতে যাহা রিযিক হিসাবে দান করিয়াছেন উহার উপর নির্দিষ্ট দিনগুলিতে আল্লাহ্র নাম উচ্চারণ করিতে পারে। অতঃপর তোমরা উহা হইতে আহার কর এবং দুস্থ, অভাবগ্রস্তকে আহার করাও। (২২:২৮)
অতঃপর তাহারা যেন তাহাদের অপরিচ্ছন্নতা দূর করে এবং তাহাদের মানত পূর্ণ করে এবং তাওয়াফ করে প্রাচীর গৃহের। (২২:২৯)
ইহাই বিধান এবং কেহ আল্লাহ্ কর্তৃক নির্ধারিত পবিত্র অনুষ্ঠানগুলির সম্মান করিলে তাহার প্রতিপালকের নিকট তাহার জন্য ইহাই উত্তম। তোমাদের জন্য হালাল করা হইয়াছে গবাদিপশু জন্ত-এইগুলি ব্যতীত যাহা তোমাদেরকে শোনান হইয়াছে। সুতরাং তোমরা বর্জন কর মূর্তিপূজার অপবিত্রতা এবং দূরে থাক মিথ্যা কথন হইতে, (২২:৩০)
আল্লাহ্র প্রতি একনিষ্ঠ হইয়া এবং তাঁহার কোন শরীক না করিয়া; এবং যে কেহ আল্লাহ্র শরীক করে সে যেন আকাশ হইতে পড়িল, অতঃপর পাখি তাহাকে ছোঁ মারিয়া লইয়া গেল, কিংবা বায়ু তাহাকে উড়াইয়া লইয়া গিয়া এক দূরবর্তী স্থানে নিক্ষেপ করিল। (২২:৩১)
ইহাই আল্লাহ্র বিধান এবং কেহ আল্লাহ্র নিদর্শনাবলীকে সম্মান করিলে ইহা তো তাহার হৃদয়ের তাক্ওয়া-সঞ্জাত। (২২:৩২)
এই সমস্ত আন‘আমে তোমাদের জন্য নানাবিধ উপকার রহিয়াছে এক নির্দিষ্ট কালের জন্য; অতঃপর উহাদের কুরবানীর স্থান প্রাচীন গৃহের নিকট। (২২:৩৩)
আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য কুরবানীর নিয়ম করিয়া দিয়াছি; তিনি তাহাদেরকে জীবনোপকরণস্বরূপ যে সকল চতুষ্পদ জন্তু দিয়াছেন, সেগুলির উপর যেন তাহারা আল্লাহ্র নাম উচ্চারণ করে। তোমাদের ইলাহ্ এক ইলাহ্, সুতরাং তাহারই নিকট আত্মসমর্পণ কর এবং সুসংবাদ দাও বিনীতগণকে- (২২:৩৪)
যাহাদের হৃদয় ভয়ে কম্পিত হয় আল্লাহ্র নাম স্মরণ করা হইলে, যাহারা তাহাদের বিপদ-আপদে ধের্য ধারণ করে এবং সালাত কায়েম করে এবং আমি তাহাদেরকে যে রিযিক দিয়াছি তাহা হইতে ব্যয় করে। (২২:৩৫)
এবং উষ্ট্রকে করিয়াছি আল্লাহ্র নিদর্শনগুলির অন্যতম; তোমাদের জন্য উহাতে মঙ্গল রহিয়াছে। সুতরাং সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান অবস্থায় উহাদের উপর তোমরা আল্লাহ্র নাম উচ্চারণ কর। যখন উহারা কাত হইয়া পড়িয়া যায় তখন তোমরা উহা হইতে আহার কর এবং আহার করাও ধৈর্যশীল অভাবগ্রস্তকে ও যাচ্ঞাকারী অভাবগ্রস্তকে; এইভাবে আমি উহাদেরকে তোমাদের অধীন করিয়া দিয়াছি যাহাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। (২২:৩৬)
কখনই আল্লাহ্র নিকট পৌঁছায় না উহাদের গোশ্ত এবং রক্ত, বরং পৌঁছায় তোমাদের তাক্ওয়া। এইভাবে তিনি ইহাদেরকে তোমাদের অধীন করিয়া দিয়াছেন যাহাতে তোমরা আল্লাহ্র শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর এইজন্য যে, তিনি তোমাদেরকে পথপ্রদর্শন করিয়াছেন; সুতরাং তুমি সুসংবাদ দাও সৎকর্মপরায়ণ-দেরকে। (২২:৩৭)
অবশ্যই আল্লাহ্ রক্ষা করেন মু’মিনদেরকে, তিনি কোন বিশ্বাসঘাতক, অকৃতজ্ঞকে পসন্দ করেন না। (২২:৩৮)
অবশ্যই আল্লাহ্ রক্ষা করেন মু’মিনদেরকে, তিনি কোন বিশ্বাসঘাতক, অকৃতজ্ঞকে পসন্দ করেন না। (২২:৩৮)
অতঃপর সে যখন তাহার পিতার সঙ্গে কাজ করিবার মত বয়সে উপনীত হইল তখন ইবরাহীম বলিল, ‘বৎস! আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে আমি যবেহ্ করিতেছি, এখন তোমার অভিমত কি বল?’ সে বলিল, ‘হে আমার পিতা! আপনি যাহা আদিষ্ট হইয়াছেন তাহাই করুন। আল্লাহ্র ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাইবেন।’ (৩৭:১০২)
যখন তাহারা উভয়ে আনুগত্য প্রকাশ করিল এবং ইব্রাহীম তাহার পুত্রকে কাত করিয়া শায়িত করিল, (৩৭:১০৩)
তখন আমি তাহাকে আহ্বান করিয়া বলিলাম, ‘হে ইব্রাহীম! (৩৭:১০৪)
‘তুমি তো স্বপ্নাদেশ সত্যই পালন করিলে!’-এইভাবেই আমি সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করিয়া থাকি। (৩৭:১০৫)
নিশ্চয়ই ইহা ছিল এক স্পষ্ট পরীক্ষা। (৩৭:১০৬)
আমি তাহাকে মুক্ত করিলাম এক কুরবানীর বিনিময়ে। (৩৭:১০৭)
আমি ইহা পরবর্তীদের স্মরণে রাখিয়াছি। (৩৭:১০৮)
ইব্রাহীমের উপর শান্তি বর্ষিত হউক! (৩৭:১০৯)
এইভাবে আমি সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করিয়া থাকি। (৩৭:১১০)