যাহারা ঈমান আনে এবং যাহারা হিজরত করে এবং জিহাদ করে আল্লাহ্র পথে, তাহারাই আল্লাহ্র অনুগ্রহ প্রত্যাশা করে। আল্লাহ্ ক্ষমাপরায়ণ, পরম দয়ালু। (২:২১৮)
তোমরা আল্লাহ্র পথে নিহত হইলে অথবা মৃত্যুরণ করিলে, যাহা তাহারা জমা করে, আল্লাহ্র ক্ষমা এবং দয়া অবশ্য তাহা অপেক্ষা শ্রেয়। (৩:১৫৭)
অতঃপর তাহাদের প্রতিপালক তাহাদের ডাকে সাড়া দিয়া বলেন, ‘আমি তোমাদের মধ্যে কর্মনিষ্ঠ কোন নর অথবা নারীর কর্ম বিফল করি না; তোমরা একে অপরের অংশ। সুতরাং যাহারা হিজরত করিয়াছে, নিজ গৃহ হইতে উৎখাত হইয়াছে, আমার পথে নির্যাতিত হইয়াছে এবং যুদ্ধ করিয়াছে ও নিহত হইয়াছে আমি তাহাদের পাপ কাজগুলি অবশ্যই দূরীভূত করিব এবং অবশ্যই তাহাদেরকে দাখিল করিব জান্নাতে, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। ইহা আল্লাহ্র নিকট হইতে পুরস্কার; উত্তম পুরস্কার আল্লাহ্রই নিকট। (৩:১৯৫)
সুতরাং যাহারা আখিরাতে বিনিময়ে পার্থিব জীবন বিক্রয় করে তাহারা আল্লাহ্র পথে যুদ্ধ করুক এবং কেহ আল্লাহ্রপথে যুদ্ধ করিলে সে নিহত হউক অথবা বিজয়ী হউক আমি তাহাকে মহাপুরস্কার দান করিবিই। (৪:৭৪)
মু’মিনদের মধ্যে যাহারা অক্ষম নয় অথচ ঘরে বসিয়া থাকে ও যাহারা আল্লাহ্র পথে স্বীয় ধন-প্রাণ দ্বারা জিহাদ করে তাহারা সমান নয়। যাহারা স্বীয় ধন-প্রাণ দ্বারা জিহাদ করে আল্লাহ্ তাহাদেরকে, যাহারা ঘরে বসিয়া থাকে তাহাদের উপর মর্যাদা দিয়াছেন; আল্লাহ্ সকলকেই কল্যাণের প্রতিশ্রুতি দিয়াছেন। যাহারা ঘরে বসিয়া থাকে তাহাদের উপর যাহারা জিহাদ করে তাহাদেরকে আল্লাহ্ মহাপুরস্কারের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়াছেন। (৪:৯৫)
ইহা তাঁহার নিকট হইতে মর্যাদা, ক্ষমা ও দয়া; আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৪:৯৬)
কেহ আল্লাহ্র পথে হিজরত করিলে সে দুনিয়ায় বহু আশ্রয়স্থল এবং প্রাচুর্য লাভ করিবে এবং কেহ আল্লাহ্ ও রাসূলের উদ্দেশ্যে নিজ গৃহ হইতে মুহাজির হইয়া বাহির হইলে এবং তাহার মৃত্যু ঘটিলে তাহার পুরস্কারের ভার আল্লাহ্র উপর; আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৪:১০০)
লোকে তোমাকে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সম্বন্ধে প্রশ্ন করে; বল, ‘যুদ্ধলব্ধ সম্পদ আল্লাহ্ এবং রাসূলের; সুতরাং আল্লাহ্কে ভয় কর এবং নিজেদের মধ্যে সদ্ভাব স্থাপন কর, এবং আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের আনুগত্য কর, যদি তোমরা মু’মিন হও।’ (৮:১)
মু’মিন তো তাহারাই, যাহাদের হৃদয় কম্পিত হয় যখন আল্লাহ্কে স্মরণ করা হয় এবং যখন তাঁহার আয়াত তাহাদের নিকট পাঠ করা হয়, তখন উহা তাহাদের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং তাহারা তাহাদের প্রতিপালকের উপরই নির্ভর করে, (৮:২)
যাহারা সালাত কায়েম করে এবং আমি যাহা দিয়াছি তাহা হইতে ব্যয় করে; (৮:৩)
তাহারাই প্রকৃত মু’মিন। তাহাদের প্রতিপালকের নিকট তাহাদেরই জন্য রহিয়াছে মর্যাদা, ক্ষমা এবং সম্মানজনক জীবিকা। (৮:৪)
যাহারা ঈমান আনিয়াছে, হিজরত করিয়াছে ও আল্লাহ্র পথে জিহাদ করিয়াছে আর যাহারা আশ্রয় দান করিয়াছে ও সাহায্য করিয়াছে, তাহারাই প্রকৃত মু’মিন; তাহাদের জন্য ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা রহিয়াছে। (৮:৭৪)
হাজীদের জন্য পানি সরবরাহ এবং মসজিদুল হারামের রক্ষণাবেক্ষণ করাকে তোমরা কি তাহাদের পুণ্যের সমজ্ঞান কর, যাহারা আল্লাহ্ ও আখিরাতে ঈমান আনে এবং আল্লাহ্র পথে জিহাদ করে? আল্লাহ্র নিকট উহারা সমতুল্য নয়। আল্লাহ্ জালিম সম্প্রদায়কে সৎপথ প্রদর্শন করেন না। (৯:১৯)
যাহারা ঈমান আনে, হিজরত করে এবং নিজেদের সম্পদ ও নিজেদের জীবন দ্বারা আল্লাহ্র পথে জিহাদ করে তাহারা আল্লাহ্র নিকট মর্যাদায় শ্রেষ্ঠ, আর তাহারাই সফলকাম। (৯:২০)
উহাদের প্রতিপালক উহাদেরকে সুসংবাদ দিতেছেন স্বীয় দয়া ও সন্তোষের এবং জান্নাতের, যেখানে আছে তাহাদের জন্য স্থায়ী সুখ-শান্তি। (৯:২১)
সেখানে তাহারা চিরস্থায়ী হইবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্র নিকট আছে মহাপুরস্কার। (৯:২২)
হে মু’মিনগণ! তোমাদের পিতা ও ভ্রাতা যদি ঈমানের মুকাবিলায় কুফরকে শ্রেয় জ্ঞান করে, তবে উহাদেরকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করিও না। তোমাদের মধ্যে যাহারা উহাদেরকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করে, তাহারাই জালিম। (৯:২৩)
বল, ‘তোমাদের নিকট যদি আল্লাহ্, তাঁহার রাসূল এবং আল্লাহ্র পথে জিহাদ করা অপেক্ষা অধিক প্রিয় হয় তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভাই, তোমাদের স্ত্রী, তোমাদের স্বগোষ্ঠী, তোমাদের অর্জিত সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য-যাহার মন্দা পড়ার আশংকা কর এবং তোমাদের বাসস্থান যাহা তোমরা ভালবাস, তবে অপেক্ষা কর আল্লাহ্র নির্দেশ আসা পর্যন্ত।’ আল্লাহ্ সত্যত্যাগী সম্প্রদায়কে সৎপথ প্রদর্শন করেন না। (৯:২৪)
কিন্তু রাসূল এবং যাহারা তাহার সঙ্গে ঈমান আনিয়াছিল তাহারা নিজ সম্পদ ও জীবন দ্বারা আল্লাহ্র পথে জিহাদ করিয়াছে; উহাদের জন্যই কল্যাণ আছে এবং উহারাই সফলকাম। (৯:৮৮)
আল্লাহ্ উহাদের জন্য প্রস্তুত করিয়া রাখিয়াছেন জান্নাত, যাহার নিম্নদেশে নদী প্রবাহিত, যেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে; ইহাই মহাসাফল্য। (৯:৮৯)
নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মু’মিনদের নিকট হইতে তাহাদের জীবন ও সম্পদ ক্রয় করিয়া লইয়াছেন, তাহাদের জন্য জান্নাত আছে ইহার বিনিময়ে। তাহারা আল্লাহ্র পথে যুদ্ধ করে, নিধন করে ও নিহত হয়। তাওরাত, ইনজীল ও কুরআনে এই সম্পর্কে তাহাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি রহিয়াছে। নিজ প্রতিজ্ঞা পালনে আল্লাহ্ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর কে আছে? তোমরা যে সওদা করিয়াছ সেই সওদার জন্য আনন্দিত হও এবং উহাই তো মহাসাফল্য। (৯:১১১)
এবং উহারা ক্ষুদ্র অথবা বৃহৎ যাহাই ব্যয় করে এবং যে কোন প্রান্তরই অতিক্রম করে তাহা উহাদের অনুকূলে লিপিবদ্ধ হয়-যাহাতে উহারা যাহা করে আল্লাহ্ তাহা অপেক্ষা উৎকৃষ্টতর পুরস্কার উহাদেরকে দিতে পারেন। (৯:১২১)
এবং যাহারা হিজরত করিয়াছে আল্লাহ্র পথে, অতঃপর নিহত হইয়াছে অথবা মারা গিয়াছে তাহাদেরকে আল্লাহ্ অবশ্যই উৎকৃষ্ট জীবিকা দান করিবেন; আর নিশ্চয়ই আল্লাহ্, তিনি তো সর্বোৎকৃষ্ট রিযিকদাতা। (২২:৫৮)
দানশীল পুরুষগণ ও দানশীল নারীগণ এবং যাহারা আল্লাহ্কে উত্তম ঋণ দান করে তাহাদেরকে দেওয়া হইবে বহু গুণ বেশি এবং তাহাদের জন্য রহিয়াছে সম্মানজনক পুরস্কার। (৫৭:১৮)
যাহারা আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলে ঈমান আনে, তাহারাই তাহাদের প্রতিপালকের নিকট সিদ্দীক ও শহীদ। তাহাদের জন্য রহিয়াছে তাহাদের প্রাপ্য পুরস্কার ও জ্যোতি এবং যাহারা কুফরী করিয়াছে ও আমার নিদর্শন অস্বীকার করিয়াছে, উহারাই জাহান্নামের অধিবাসী। (৫৭:১৯)
হে মু’মিনগণ! আমি কি তোমাদেরকে এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান দিব যাহা তোমাদেরকে রক্ষা করিবে মর্মন্তুদ শাস্তি হইতে? (৬১:১০)
তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলে বিশ্বাস স্থাপন করিবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দ্বারা আল্লাহ্র পথে জিহাদ করিবে। ইহাই তোমাদের জন্য শ্রেয় যদি তোমরা জানিতে! (৬১:১১)
আল্লাহ্ তোমাদের পাপ ক্ষমা করিয়া দিবেন এবং তোমাদেরকে দাখিল করিবেন জান্নাতে যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, এবং স্থায়ী জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে। ইহাই মহাসাফল্য। (৬১:১২)
এবং তিনি দান করিবেন তোমাদের বাঞ্ছিত আরও একটি অনুগ্রহ: আল্লাহ্র সাহায্য ও আসন্ন বিজয়; মু’মিনদেরকে সুসংবাদ দাও। (৬১:১৩)