যাহারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তোমরাও আল্লাহ্র পথে তাহাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর; কিন্তু সীমালংঘন করিও না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সীমালংঘন-কারিগণকে ভালবাসেন না। (২:১৯০)
যেখানে তাহাদেরকে পাইবে হত্যা করিবে এবং যে স্থান হইতে তাহারা তোমাদেরকে বহিষ্কার করিয়াছে তোমরাও সেই স্থান হইতে তাহাদেরকে বহিষ্কার করিবে। ফিতনা হত্যা অপেক্ষা গুরুতর। মসজিদুল হারামের নিকট তোমরা তাহাদের সঙ্গে যুদ্ধ করিবে না, যে পর্যন্ত তাহারা সেখানে তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ না করে। যদি তাহারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তবে তোমরা তাহাদেরকে হত্যা করিবে, ইহাই কাফিরদের পরিণাম। (২:১৯১)
যদি তাহারা বিরত হয় তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (২:১৯২)
আর তোমরা তাহাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে থাকিবে যাবত ফিতনা দূরীভূত না হয় এবং আল্লাহ্র দীন প্রতিষ্ঠিত না হয়। যদি তাহারা বিরত হয় তবে জালিমদেরকে ব্যতীত আর কাহাকেও আক্রমণ করা চলিবে না। (২:১৯৩)
পবিত্র মাসে যুদ্ধ করা সম্পর্কে লোকে তোমাকে জিজ্ঞাসা করে; বল, ‘উহাতে যুদ্ধ করা ভীষণ অন্যায়।’ কিন্তু আল্লাহ্র পথে বাধা দান করা, আল্লাহ্কে অস্বীকার করা, মসজিদুল হারামে বাধা দেওয়া এবং উহার বাসিন্দাকে উহা হইতে বহিষ্কার করা আল্লাহ্র নিকট তদপেক্ষা অধিক অন্যায়; ফিতনা হত্যা অপেক্ষা গুরুতর অন্যায়।’ তাহারা সর্বদা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে থাকিবে যে পর্যন্ত তোমাদেরকে তোমাদের দীন হইতে ফিরাইয়া না দেয়, যদি তাহারা সক্ষম হয়। তোমাদের মধ্যে যে কেহ স্বীয় দীন হইতে ফিরিয়া যায় এবং কাফিররূপে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, দুনিয়া ও আখিরাতে তাহাদের কর্ম নিষ্ফল হইয়া যায়। ইহারাই দোজখবাসী, সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে। (২:২১৭)
যাহারা কুফরী করে তাহাদেরকে বল, ‘যদি তাহারা বিরত হয় তবে যাহা অতীতে হইয়াছে আল্লাহ্ তাহা ক্ষমা করিবেন; কিন্তু তাহারা যদি অন্যায়ের পুনরাবৃত্তি করে তবে পূর্ববর্তীদের দৃষ্টান্ত তো রহিয়াছে। (৮:৩৮)
এবং তোমরা তাহাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করিতে থাকিবে যতক্ষণ না ফিত্না দূরীভূত হয় এবং আল্লাহ্র দীন সামগ্রিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং যদি তাহারা বিরত হয় তবে তাহারা যাহা করে আল্লাহ্ তো তাহার সম্যক দ্রষ্টা। (৮:৩৯)
যদি তাহারা মুখ ফিরায় তবে জানিয়া রাখ, আল্লাহ্ই তোমাদের অভিভাবক; কত উত্তম অভিভাবক এবং কত উত্তম সাহায্যকারী! (৮:৪০)
আর জানিয়া রাখ, যুদ্ধে যাহা তোমরা লাভ কর তাহার এক-পশ্চমাংশ আল্লাহ্র, রাসূলের, রাসূলের স্বজনদের, ইয়াতীমদের, মিস্কীনদের এবং মুসাফিরদের, যদি তোমরা ঈমান রাখ আল্লাহে্ এবং তাহাতে যাহা মীমাংসার দিন আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করিয়াছিলাম, যেই দিন দুই দল পরস্পরের সম্মুখীন হইয়াছিল এবং আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে শক্তিমান। (৮:৪১)
তাহাদের চুক্তির পর তাহারা যদি তাহাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে এবং তোমাদের দীন সম্বন্ধে বিদ্রূপ করে তবে কাফিরদের প্রধানদের সঙ্গে যুদ্ধ কর; ইহারা এমন লোক যাহাদের কোন প্রতিশ্রুতি রহিল না; যেন তাহারা নিবৃত্ত হয়। (৯:১২)
তোমরা কি সেই সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুদ্ধ করিবে না, যাহারা নিজেদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করিয়াছে ও রাসূলকে বহিষ্কারের জন্য সংকল্প করিয়াছে? উহারাই প্রথম তোমাদের বিরুদ্ধাচরণ করিয়াছে। তোমরা কি তাহাদেরকে ভয় কর? আল্লাহ্কে ভয় করাই তোমাদের পক্ষে অধিক সমীচীন, যদি তোমরা মু’মিন হও। (৯:১৩)
তোমরা তাহাদের সঙ্গে যুদ্ধ করিবে। তোমাদের হাতে আল্লাহ্ উহাদেরকে শাস্তি দিবেন, উহাদেরকে লাঞ্ছিত করিবেন, উহাদের উপর তোমাদেরকে বিজয়ী করিবেন ও মু’মিনদের চিত্ত প্রশান্ত করিবেন, (৯:১৪)
হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হও। (৯:১১৯)
মদীনাবাসী ও উহাদের পার্শ্ববর্তী মরুবাসীদের জন্য সঙ্গত নয় আল্লাহ্র রাসূলের সহগামী না হইয়া পিছনে রহিয়া যাওয়া এবং তাহার জীবন অপেক্ষা তাহাদের নিজেদের জীবনকে প্রিয় জ্ঞান করা; কারণ আল্লাহ্র পথে উহাদের তৃষ্ণা, ক্লান্তি এবং ক্ষুধায় ক্লিষ্ট হওয়া এবং কাফিরদের ক্রোধ উদ্রেক করে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং শত্রুদের নিকট হইতে কিছু প্রাপ্ত হওয়া উহাদের সৎকর্মরূপে গণ্য হয়। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সৎকর্মপরায়ণদের শ্রমফল নষ্ট করেন না। (৯:১২০)
এবং উহারা ক্ষুদ্র অথবা বৃহৎ যাহাই ব্যয় করে এবং যে কোন প্রান্তরই অতিক্রম করে তাহা উহাদের অনুকূলে লিপিবদ্ধ হয়-যাহাতে উহারা যাহা করে আল্লাহ্ তাহা অপেক্ষা উৎকৃষ্টতর পুরস্কার উহাদেরকে দিতে পারেন। (৯:১২১)
মু’মিনদের সকলের একসঙ্গে অভিযানে বাহির হওয়া সংগত নয়, উহাদের প্রত্যেক দলের এক অংশ বহির্গত হয় না কেন, যাহাতে তাহারা দীন সম্বন্ধে জ্ঞানানুশীলন করিতে পারে এবং উহাদের সম্প্রদায়কে সতর্ক করিতে পারে, যখণ তাহারা তাহাদের নিকট ফিরিয়া আসিবে যাহাতে তাহারা সতর্ক হয়। (৯:১২২)
হে মু’মিনগণ! কাফিরদের মধ্যে যাহারা তোমাদের নিকটবর্তী তাহাদের সঙ্গে যুদ্ধ কর এবং উহারা যেন তোমাদের মধ্যে কঠোরতা দেখিতে পায়। জানিয়া রাখ, আল্লাহ্ তো মুত্তাকীদের সঙ্গে আছেন। (৯:১২৩)
অতএব যখন তোমরা কাফিরদের সঙ্গে যুদ্ধে মুকাবিলা কর তখন তাহাদের গর্দানে আঘাত কর, পরিশেষে যখন তোমরা উহাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পরাভূত করিবে তখন উহাদেরকে কষিয়া বাঁধিবে; অতঃপর হয় অনুকম্পা, নয় মুক্তিপণ। তোমরা জিহাদ চালাইবে যতক্ষণ না যুদ্ধ ইহার অস্ত্র নামাইয়া ফেলে। ইহাই বিধান। ইহা এইজন্য যে, আল্লাহ্ ইচ্ছা করিলে উহাদেরকে শাস্তি দিতে পারিতেন, কিন্তু তিনি চাহেন তোমাদের একজনকে অপরের দ্বারা পরীক্ষা করিতে। যাহারা আল্লাহ্র পথে নিহত হয় তিনি কখনও তাহাদের কর্ম বিনষ্ট হইতে দেন না। (৪৭:৪)