কিন্তু তাহাদেরকে নয় যাহারা এমন এক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলিত হয় যাহাদের সঙ্গে তোমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ, অথবা যাহারা তোমাদের নিকট এমন অবস্থায় আগমন করে যখন তাহাদের মন তোমাদের সঙ্গে অথবা তাহাদের সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুদ্ধ করিতে সংকুচিত হয়। আল্লাহ্ যদি ইচ্ছা করিতেন তবে তাহাদেরকে তোমাদের উপর ক্ষমতা দিতেন এবং তাহারা নিশ্চয় তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করিত। সুতরাং তাহারা যদি তোমাদের নিকট হইতে সরিয়া দাঁড়ায়, তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ না করে এবং তোমাদের নিকট শান্তি প্রস্তাব করে তবে আল্লাহ্ তোমাদের জন্য তাহাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা অবলম্বনের পথ রাখেন না। (৪:৯০)
তোমরা অপর কিছু লোক পাইবে যাহারা তোমাদের সঙ্গে ও তাহাদের সম্প্রদায়ের সঙ্গে শান্তি চাহিবে। যখনই তাহাদেরকে ফিত্নার দিকে আহ্বান করা হয় তখনই এই ব্যাপারে তাহারা তাহাদের পূর্বাবস্থায় প্রত্যাবৃত্ত হয়। যদি তাহারা তোমাদের নিকট হইতে চলিয়া না যায়, তোমাদের নিকট শান্তি প্রস্তাব না করে এবং তাহাদের হস্ত সংবরণ না করে তবে তাহাদেরকে যেখানেই পাইবে গ্রেফতার করিবে ও হত্যা করিবে এবং তোমাদেরকে ইহাদের বিরুদ্ধাচরণের স্পষ্ট অধিকার দিয়াছি। (৪:৯১)
উহাদের মধ্যে তুমি যাহাদের সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ, তাহারা প্রত্যেকবার তাহাদের চুক্তি ভঙ্গ করে এবং তাহারা সাবধান হয় না; (৮:৫৬)
যুদ্ধে উহাদেরকে তোমরা যদি তোমাদের আয়ত্তে পাও তবে উহাদেরকে উহাদের পশ্চাতে যাহারা আছে, তাহাদের হইতে বিচ্ছিন্ন করিয়া এমনভাবে বিধ্বস্ত করিবে, যাহাতে উহারা শিক্ষা লাভ করে। (৮:৫৭)
যদি তুমি কোন সম্প্রদায়ের চুক্তিভঙ্গের আশংকা কর তবে তোমার চুক্তিও তুমি যথাযথ বাতিল করিবে; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ চুক্তি ভঙ্গকারীদেরকে পছন্দ করেন না। (৮:৫৮)
তাহারা যদি সন্ধির দিকে ঝুঁকিয়া পড়ে তবে তুমিও সন্ধির দিকে ঝুঁকিবে এবং আল্লাহ্র উপর নির্ভর করিবে; তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (৮:৬১)
যদি তাহারা তোমাকে প্রতারিত করিতে চায় তবে তোমার জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট; তিনি তোমাকে স্বীয় সাহায্য ও মু’মিনদের দ্বারা শক্তিশালী করিয়াছেন, (৮:৬২)
এবং তিনি উহাদের পরস্পরের হৃদয়ের মধ্যে প্রীতি স্থাপন করিয়াছেন। পৃথিবীর যাবতীয় সম্পদ ব্যয় করিলেও তুমি তাহাদের হৃদয়ে প্রীতি স্থাপন করিতে পারিতে না; কিন্তু আল্লাহ্ তাহাদের মধ্যে প্রীতি স্থাপন করিয়াছেন; নিশ্চয়ই তিনি পরাক্রশালী, প্রজ্ঞাময়। (৮:৬৩)
তাহারা তোমার সঙ্গে বিশ্বাস ভঙ্গ করিতে চাহিলে, তাহারা তো পূর্বে আল্লাহ্র সঙ্গেও বিশ্বাস ভঙ্গ করিয়াছে; অতঃপর তিনি তোমাদেরকে তাহাদের উপর শক্তিশালী করিয়াছেন। আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (৮:৭১)
যাহারা ঈমান আনিয়াছে, হিজরত করিয়াছে, নিজেদের জীবন ও সম্পদ দ্বারা আল্লাহ্র পথে জিহাদ করিয়াছে; আর যাহারা আশ্রয় দান করিয়াছে ও সাহায্য করিয়াছে তাহারা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু। আর যাহারা ঈমান আনিয়াছে কিন্তু হিজরত করে নাই, হিজরত না করা পর্যন্ত তাহাদের অভিভাবকত্বের দায়িত্ব তোমাদের নাই; আর দীন সম্বন্ধে যদি তাহারা তোমাদের সাহায্য প্রার্থনা করে তবে তাহাদেরকে সাহায্য করা তোমাদের কর্তব্য, কিন্তু যে সম্প্রদায় ও তোমাদের মধ্যে চুক্তি রহিয়াছে তাহাদের বিরুদ্ধে নয়। তোমরা যাহা কর আল্লাহ্ উহার সম্যক দ্রষ্টা। (৮:৭২)
তবে মুশরিকদের মধ্যে যাহাদের সঙ্গে তোমরা চুক্তিতে আবদ্ধ ও পরে যাহারা তোমাদের চুক্তি রক্ষায় কোন ত্রুটি করে নাই এবং তোমাদের বিরুদ্ধে কাহাকেও সাহায্য করে নাই, তাহাদের সঙ্গে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত চুক্তি পূর্ণ করিবে; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মুত্তাকীদেরকে পছন্দ করেন। (৯:৪)
তাহাদের চুক্তির পর তাহারা যদি তাহাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে এবং তোমাদের দীন সম্বন্ধে বিদ্রূপ করে তবে কাফিরদের প্রধানদের সঙ্গে যুদ্ধ কর; ইহারা এমন লোক যাহাদের কোন প্রতিশ্রুতি রহিল না; যেন তাহারা নিবৃত্ত হয়। (৯:১২)
তোমরা কি সেই সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুদ্ধ করিবে না, যাহারা নিজেদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করিয়াছে ও রাসূলকে বহিষ্কারের জন্য সংকল্প করিয়াছে? উহারাই প্রথম তোমাদের বিরুদ্ধাচরণ করিয়াছে। তোমরা কি তাহাদেরকে ভয় কর? আল্লাহ্কে ভয় করাই তোমাদের পক্ষে অধিক সমীচীন, যদি তোমরা মু’মিন হও। (৯:১৩)
সুতরাং তোমরা হীনবল হইও না এবং সন্ধির প্রস্তাব করিও না, তোমরাই প্রবল; আল্লাহ্ তোমাদের সঙ্গে আছেন, তিনি তোমাদের কর্মফল কখনও ক্ষুণ্ন করিবেন না। (৪৭:৩৫)