অতঃপর তালূত যখন সৈন্যবাহিনীসহ বাহির হইল সে তখন বলিল, ‘আল্লাহ্ এক নদী দ্বারা তোমাদের পরীক্ষা করিবেন। যে কেহ উহা হইতে পান করিবে সে আমার দলভুক্ত নহে; আর যে কেহ উহার স্বাদ গ্রহণ করিবে না সে আমার দলভুক্ত; ইহা ছাড়া কেহ তাহার হস্তে এক কোষ পানি গ্রহণ করিবে সেও। অতঃপর অল্প সংখ্যক ব্যতীত তাহারা উহা হইতে পান করিল। সে এবং তাহার সঙ্গী ঈমানদারগণ যখন উহা অতিক্রম করিল তখন তাহারা বলিল, ‘জালূত ও তাহার সৈন্যবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মত শক্তি আজ আমাদের নাই।’ কিন্তু যাহাদের প্রত্যয় ছিল আল্লাহ্র সঙ্গে তাহাদের সাক্ষাৎ ঘটিবে তাহারা বলিল, ‘আল্লাহ্র হুকুমে কত ক্ষুদ্র দল কত বৃহৎ দলকে পরাভূত করিয়াছে।’ আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন। (২:২৪৯)
তাহারা যখন যুদ্ধার্থে জালূত ও তাহার সৈন্যবাহিনীর সম্মুখীন হইল তখন তাহারা বলিল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ধৈর্য দান কর, আমাদের পা অবিচলিত রাখ এবং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য দান কর।’ (২:২৫০)
অতঃপর আল্লাহ্ তাঁহার নিকট হইতে তাঁহার রাসূল ও মু’মিনদের উপর প্রশান্তি বর্ষণ করেন এবং এমন এক সৈন্যবাহিনী অবতীর্ণ করেন যাহা তোমরা দেখিতে পাও নাই এবং তিনি কাফিরদেরকে শাস্তি প্রদান করেন; ইহাই কাফিরদের কর্মফল। (৯:২৬)
কিন্তু উহারা কুরআন প্রত্যাখ্যান করিল এবং শীঘ্রই উহারা জানিতে পারিবে; (৩৭:১৭০)
আমার প্রেরিত বান্দাদের সম্পর্কে আমার এই বাক্য পূর্বেই স্থির হইয়াছে যে, (৩৭:১৭১)
অবশ্যই তাহারা সাহায্যপ্রাপ্ত হইবে, (৩৭:১৭২)
এবং আমার বাহিনীই হইবে বিজয়ী। (৩৭:১৭৩)
অতএব কিছু কালের জন্য তুমি উহাদেরকে উপেক্ষা কর। (৩৭:১৭৪)
তুমি উহাদেরকে পর্যবেক্ষণ কর, শীঘ্রই উহারা প্রত্যক্ষ করিবে। (৩৭:১৭৫)
নিশ্চয়ই আমি তোমাকে দিয়াছি সুস্পষ্ট বিজয়, (৪৮:১)
যেন আল্লাহ্ তোমার অতীত ও ভবিষ্যত ত্রুটিসমূহ মার্জনা করেন এবং তোমার প্রতি তাঁহার অনুগ্রহ পূর্ণ করেন ও তোমাকে সরল পথে পরিচালিত করেন, (৪৮:২)
এবং আল্লাহ্ তোমাকে বলিষ্ঠ সাহায্য দান করেন। (৪৮:৩)
তিনিই মু’মিনদের অন্তরে প্রশান্তি দান করেন যেন তাহারা তাহাদের ঈমানের সঙ্গে ঈমান দৃঢ় করিয়া নেয়, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর বাহিনীসমূহ আল্লাহ্রই এবং আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (৪৮:৪)
আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর বাহিনীসমূহ আল্লাহ্রই এবং আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (৪৮:৭)
আল্লাহ্ সিদ্ধান্ত করিয়াছেন, আমি অবশ্যই বিজয়ী হইব এবং আমার রাসূলগণও। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ শক্তিমান, পরাক্রমশালী। (৫৮:২১)
তুমি পাইবে না আল্লাহ্ ও আখিরাতে বিশ্বাসী এমন কোন সম্প্রদায়, যাহারা ভালবাসে আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের বিরুদ্ধাচারীদেরকে-হউক না এই বিরুদ্ধাচারীরা তাহাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা ইহাদের জ্ঞাতি-গোত্র। ইহাদের অন্তরে আল্লাহ্ সুদৃঢ় করিয়াছেন ঈমান এবং তাহাদেরকে শক্তিশালী করিয়াছেন তাঁহার পক্ষ হইতে রূহ্ দ্বারা। তিনি ইহাদেরকে দাখিল করিবেন জান্নাতে, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; সেখানে ইহারা স্থায়ী হইবে; আল্লাহ্ ইহাদের প্রতি সন্তুষ্ট হইয়াছেন এবং ইহারাও তাঁহার প্রতি সন্তুষ্ট, ইহারাই আল্লাহ্র দল। জানিয়া রাখ, আল্লাহ্র দলই সফলকাম হইবে। (৫৮:২২)
আমি ফিরিশ্তাদেরকে করিয়াছি জাহান্নামের প্রহরী; কাফিরদের পরীক্ষাস্বরূপই আমি উহাদের এই সংখ্যা উল্লেখ করিয়াছি যাহাতে কিতাবীদের দৃঢ় প্রত্যয় জন্মে, বিশ্বাসীদের বিশ্বাস বর্ধিত হয় এবং বিশ্বাসীগণ ও কিতাবীগণ সন্দেহ পোষণ না করে। ইহার ফলে, যাহাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তাহারা ও কাফিররা বলিবে, ‘আল্লাহ্ এই অভিনব উক্তি দ্বারা কি বুঝাইতে চাহিয়াছেন?’ এইভাবে আল্লাহ্ যাহাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাহাকে ইচ্ছা পথনির্দেশ করেন। তোমার প্রতিপালকের বাহিনী সম্পর্কে একমাত্র তিনিই জানেন। জাহান্নামের এই বর্ণনা তো মানুষের জন্য সাবধান বাণী। (৭৪:৩১)