স্মরণ কর, যখন তুমি তোমার পরিজনবর্গের নিকট হইতে প্রত্যূষে বাহির হইয়া যুদ্ধের জন্য মু’মিনগণকে ঘাঁটিতে বিন্যস্ত করিতেছিলে এবং আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (৩:১২১)
যখন তোমাদের মধ্যে দুই দলের সাহস হারাইবার উপক্রম হইয়াছিল অথচ আল্লাহ্ উভয়ের বন্ধু ছিলেন, আল্লাহ্র প্রতিই যেন মু’মিনগণ নির্ভর করে। (৩:১২২)
কাফিরদের এক অংশকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অথবা লাঞ্ছিত করার জন্য; ফলে তাহারা নিরাশ হইয়া ফিরিয়া যায়। (৩:১২৭)
আসমানে যাহা কিছু আছে ও যমীনে যাহা কিছু আছে সমস্ত আল্লাহ্রই। তিনি যাহাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন এবং যাহাকে ইচ্ছা শাস্তি দান করেন। আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৩:১২৯)
হে মু’মিনগণ! যদি তোমরা কাফিরদের আনুগত্য কর তবে তাহারা তোমাদেরকে বিপরীত দিকে ফিরাইয়া দিবে এবং তোমরা ক্ষতিগ্রস্থ হইয়া পড়িবে। (৩:১৪৯)
আল্লাহ্ই তো তোমাদের অভিভাবক এবং তিনিই শ্রেষ্ঠ সাহায্যকারী। (৩:১৫০)
আমি কাফিরদের হৃদয়ে ভীতির সঞ্চার করিব, যেহেতু তাহারা আল্লাহ্র সঙ্গে শরীক করিয়াছে, যাহার স্বপক্ষে আল্লাহ্ কোন সনদ পাঠান নাই। জাহান্নাম তাহাদের আবাস; কত নিকৃষ্ট আবাসস্থল জালিমদের! (৩:১৫১)
আল্লাহ্ তোমাদের সঙ্গে তাঁহার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করিয়াছিলেন যখন তোমরা আল্লাহ্র অনুমতিক্রমে তাহাদেরকে বিনাশ করিতেছিলে, যে পর্যন্ত না তোমরা সাহস হারাইলে এবং নির্দেশ সম্বন্ধে মতভেদ সৃষ্টি করিলে এবং যাহা তোমরা ভালবাস তাহা তোমাদের দেখাইবার পর তোমরা অবাধ্য হইলে। তোমাদের কতক ইহকাল চাহিতেছিল এবং কতক পরকাল চাহিতেছিল। অতঃপর তিনি পরীক্ষা করার জন্য তোমাদেরকে তাহাদের হইতে ফিরাইয়া দিলেন। অবশ্যই তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করিলেন এবং আল্লাহ্ মু’মিনদের প্রতি অনুগ্রহশীল। (৩:১৫২)
স্মরণ কর, তোমরা যখন উপরের দিকে ছুটিতেছিলে এবং পিছন ফিরিয়া কাহারও প্রতি লক্ষ্য করিতেছিলে না, আর রাসূল তোমাদেরকে পিছন দিক হইতে আহ্বান করিতেছিল। ফলে তিনি তোমাদেরকে বিপদের উপর বিপদ দিলেন যাহাতে তোমরা যাহা হারাইয়াছ অথবা যে বিপদ তোমাদের উপর আসিয়াছে তাহার জন্য তোমরা দুঃখিত না হও। তোমরা যাহা কর আল্লাহ্ তাহা বিশেষভাবে অবহিত। (৩:১৫৩)
অতঃপর দুঃখের পর তিনি তোমাদেরকে প্রদান করিলেন প্রশান্তি তন্দ্রারূপে, যাহা তোমাদের একদল কে আচ্ছন্ন করিয়াছিল। এবং একদল জাহিলী যুগের অজ্ঞের ন্যায় আল্লাহ্ সম্বন্ধে অবাস্তব ধারণা করিয়া নিজেরাই নিজেদেরকে উদ্বিগ্ন করিয়াছিল এই বলিয়া যে, ‘আমাদেরকি কোন অধিকার আছে?’ বল, ‘সমস্ত বিষয় আল্লাহ্রই ইখতিয়ার।’ যাহা তাহারা তোমার নিকট প্রকাশ করে না, তাহারা তাহাদের অন্তরে উহা গোপন রাখে, আর বলে, ‘এই ব্যাপারে আমাদের কোন অধিকার থাকিলে আমরা এই স্থানে নিহত হইতাম না।’ বল, ‘যদি তোমরা তোমাদের গৃহে অবস্থান করিতে তবুও নিহত হওয়া যাহাদের জন্য অবধারিত ছিল তাহারা নিজেদের মৃত্যুস্থানে বাহির হইত। ইহা এইজন্য যে, আল্লাহ্ তোমাদের অন্তরে যাহা আছে তাহা পরীক্ষা করেন এবং তোমাদের অন্তরে যাহা আছে তাহা পরিশোধন করেন। অন্তরে যাহা আছে আল্লাহ্ সে সম্পর্কে বিশেষভাবে অবহিত। (৩:১৫৪)
যেদিন দুই দল পরস্পরের সম্মুখীন হইয়াছিল সেই দিন তোমাদের মধ্য হইতে যাহারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করিয়াছিল, তাহাদের কোন কতৃকর্মের জন্য শয়তানই তাহাদের পদস্খলন ঘটাইয়াছিল। অবশ্য আল্লাহ্ তাহাদের ক্ষমা করিয়াছেন। আল্লাহ্ ক্ষমাপরায়ণ ও পরম সহনশীল। (৩:১৫৫)
আল্লাহ্র নিয়ামত ও অনুগ্রহের জন্য তাহারা আনন্দ প্রকাশ করে এবং ইহা এই কারণে যে, আল্লাহ্ মু’মিনদের শ্রমফল নষ্ট করেন না। (৩:১৭১)
যখম হওয়ার পর যাহারা আল্লাহ্ ও রাসূলের ডাকে সাড়া দিয়াছে তাহাদের মধ্যে যাহারা সৎকাজ করে এবং তাক্ওয়া অবলম্বন করিয়া চলে তাহাদের জন্য মহাপুরস্কার রহিয়াছে। (৩:১৭২)
ইহাদেরকে লোকে বলিয়াছিল, তোমাদের বিরুদ্ধে লোক জমায়েত হইয়াছে, সুতরাং তোমরা তাহাদেরকে ভয় কর; কিন্তু ইহা তাহাদের ঈমান দৃঢ়তর করিয়াছিল এবং তাহারা বলিয়াছিল, ‘আল্লাহ্ই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবংতিনি কত উত্তম কর্মবিধায়ক!’ (৩:১৭৩)
তারপর তাহারা আল্লাহ্র নিয়ামত ও অনুগ্রহসহ ফিরিয়া আসিয়াছিল, কোন অনিষ্ট তাহাদেরকে স্পর্শ করে নাই এবং আল্লাহ্ যাহাতে রাযী তাহারা তাহারই অনুসরণ করিয়াছিল এবং আল্লাহ্ মহাঅনুগ্রহশীল। (৩:১৭৪)