তিনি মক্কা উপত্যকায় উহাদের হস্ত তোমাদের হইতে এবং তোমাদের হস্ত উহাদের হইতে নিবারিত করিয়াছেন, উহারা উপর তোমাদেরকে বিজয়ী করিবার পর, তোমরা যাহা কিছু কর আল্লাহ্ তাহা দেখেন। (৪৮:২৪)
নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাঁহার রাসূলকে স্বপ্নটি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করিয়া দেখাইয়াছেন, আল্লাহ্র ইচ্ছায় তোমরা অবশ্যই মস্জিদুল-হারামে প্রবেশ করিবে নিরাপদে- তোমাদের কেহ কেহ মস্তক মুন্ডিত করিবে আর কেহ কেহ কেশ কর্তন করিবে। তোমাদের কোন ভয় থাকিবে না। আল্লাহ্ জানেন তোমরা যাহা জান না। ইহা ছাড়াও তিনি তোমাদেরকে দিয়াছেন এক সদ্য বিজয়। (৪৮:২৭)
যিনি তোমার জন্য কুরআনকে করিয়াছেন বিধান তিনি তোমাকে অবশ্যই ফিরাইয়া আনিবেন জন্মভূমিতে। বল, ‘আমার প্রতিপালক ভাল জানেন কে সৎপথের নির্দেশ আনিয়াছে এবং কে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে আছে।’ (২৮:৮৫)
যখন আসিবে আল্লাহ্র সাহায্য ও বিজয়। (১১০:১)
এবং তুমি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দীনে প্রবেশ করিতে দেখিবে। (১১০:২)
তখন তুমি তোমার প্রতিপালকের প্রশংসাসহ তাঁহার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করিও এবং তাঁহার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিও, তিনি তো তওবা কবুলকারী। (১১০:৩)
মহান হজ্জের দিবসে আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের পক্ষ হইতে মানুষের প্রতি ইহা এক ঘোষণা যে, নিশ্চয়ই মুশরিকদের সম্পর্কে আল্লাহ্ দায়মুক্ত এবং তাঁহার রাসূলও। তোমরা যদি তওবা কর তবে তাহা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর তোমরা যদি মুখ ফিরাও তবে জানিয়া রাখ, তোমরা আল্লাহ্কে হীনবল করিতে পারিবে না এবং কাফিরদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তির সংবাদ দাও, (৯:৩)
মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যাহারা প্রথম অগ্রগামী এবং যাহারা নিষ্ঠার সঙ্গে তাহাদের অনুসরণ করে আল্লাহ্ তাহাদের প্রতি প্রসন্ন এবং তাহারাও তাহাতে সন্তুষ্ট এবং তিনি তাহাদের জন্য প্রস্তুত করিয়াছেন জান্নাত, যাহার নিম্নদেশে নদী প্রবাহিত, যেখানে তাহারা চিরস্থায়ী হইবে। ইহা মহাসাফল্য। (৯:১০০)
বেদুঈনরা বলে, ‘আমরা ঈমান আনিলাম।’ বল, ‘তোমরা ঈমান আন নাই’, বরং তোমরা বল, ‘আমরা আত্মসমর্পণ করিয়াছি’; কারণ ঈমান এখনও তোমাদের অন্তরে প্রবেশ করে নাই। যদি তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের আনুগত্য কর তবে তোমাদের কর্মফল সামান্য পরিমাণও লাঘব করা হইবে না। আল্লাহ্ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (৪৯:১৪)
তাহারাই মু’মিন যাহারা আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের প্রতি ঈমান আনে, পরে সন্দেহ পোষণ করে না এবং জীবন ও সম্পদ দ্বারা আল্লাহ্র পথে জিহাদ করে, তাহারাই সত্যনিষ্ঠ। (৪৯:১৫)
বল, ‘তোমরা কি তোমাদের দীন সম্পর্কে আল্লাহ্কে অবহিত করিতেছ? অথচ আল্লাহ্ জানেন যাহা কিছু আছে আকাশমন্ডলীতে এবং যাহা কিছু আছে পৃথিবীতে। আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত।’ (৪৯:১৬)
বল, ‘তোমরা কি তোমাদের দীন সম্পর্কে আল্লাহ্কে অবহিত করিতেছ? অথচ আল্লাহ্ জানেন যাহা কিছু আছে আকাশমন্ডলীতে এবং যাহা কিছু আছে পৃথিবীতে। আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত।’ (৪৯:১৬)
উহারা আত্মসমর্পণ করিয়া তোমাকে ধন্য করিয়াছে মনে করে। বল, ‘তোমাদের আত্মসমর্পণ আমাকে ধন্য করিয়াছে মনে করিও না, বরং আল্লাহ্ই ঈমানের দিকে পরিচালিত করিয়া তোমাদেরকে ধন্য করিয়াছেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।’ (৪৯:১৭)
আল্লাহ্ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে অবগত আছেন। তোমরা যাহা কর আল্লাহ্ তাহা দেখেন। (৪৯:১৮)
তোমরা আল্লাহ্র পথে কেন ব্যয় করিবে না? আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মালিকানা তো আল্লাহ্রই। তোমাদের মধ্যে যাহারা মক্কা বিজয়ের পূর্বে ব্যয় করিয়াছে ও যুদ্ধ করিয়াছে, তাহারা এবং পরবর্তীরা সমান নয়। তাহারা মর্যাদায় শ্রেষ্ঠ উহাদের অপেক্ষা, যাহারা পরবর্তী কালে ব্যয় করিয়াছে ও যুদ্ধ করিয়াছে। তবে আল্লাহ্ উভয়ের কল্যাণের প্রতিশ্রুতি দিয়াছেন। তোমরা যাহা কর আল্লাহ্ তাহা সবিশেষ অবহিত। (৫৭:১০)