আল্লাহ্র পথে যাহারা নিহত হয় তাহাদেরকে মৃত বলিও না, বরং তাহারা জীবিত; কিন্তু তোমরা উপলব্ধি করিতে পার না। (২:১৫৪)
যদি তোমাদের আঘাত লাগিয়া থাকে, অনুরূপ আঘাত তো উহাদেরও লাগিয়াছিল। মানুষের মধ্যে এই দিনগুলির পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন ঘটাই, যাহাতে আল্লাহ্ মু’মিনগণকে জানিতে পারেন এবং তোমাদের মধ্য হইতে কতককে শহীদরূপে গ্রহণ করিতে পারেন এবং আল্লাহ্ জালিমদের পসন্দ করেন না; (৩:১৪০)
হে মু’মিনগণ! তোমরা তাহাদের মত হইও না যাহারা কুফরী করে এবং তাহাদের ভ্রাতাগণ যখন দেশে দেশে সফর করে অথবা যুদ্ধে লিপ্ত হয়, তাহাদের সম্পর্কে বলে, ‘তাহারা যদি আমাদের নিকট থাকিত তবে তাহারা মরিত না এবং নিহত হইত না।’ ফলে আল্লাহ্ ইহাই তাহাদের মনস্তাপে পরিণত করেন; আল্লাহ্ই জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান, তোমরা যাহা কর আল্লাহ্ উহার সম্যক দ্রষ্টা। (৩:১৫৬)
তোমরা আল্লাহ্র পথে নিহত হইলে অথবা মৃত্যুরণ করিলে, যাহা তাহারা জমা করে, আল্লাহ্র ক্ষমা এবং দয়া অবশ্য তাহা অপেক্ষা শ্রেয়। (৩:১৫৭)
যাহারা আল্লাহ্র পথে নিহত হইয়াছে তাহাদের কখনই মৃত মনে করিও না, বরং তাহারা জীবিত এবং তাহাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে তাহারা জীবিকাপ্রাপ্ত। (৩:১৬৯)
অতঃপর তাহাদের প্রতিপালক তাহাদের ডাকে সাড়া দিয়া বলেন, ‘আমি তোমাদের মধ্যে কর্মনিষ্ঠ কোন নর অথবা নারীর কর্ম বিফল করি না; তোমরা একে অপরের অংশ। সুতরাং যাহারা হিজরত করিয়াছে, নিজ গৃহ হইতে উৎখাত হইয়াছে, আমার পথে নির্যাতিত হইয়াছে এবং যুদ্ধ করিয়াছে ও নিহত হইয়াছে আমি তাহাদের পাপ কাজগুলি অবশ্যই দূরীভূত করিব এবং অবশ্যই তাহাদেরকে দাখিল করিব জান্নাতে, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। ইহা আল্লাহ্র নিকট হইতে পুরস্কার; উত্তম পুরস্কার আল্লাহ্রই নিকট। (৩:১৯৫)
সুতরাং যাহারা আখিরাতে বিনিময়ে পার্থিব জীবন বিক্রয় করে তাহারা আল্লাহ্র পথে যুদ্ধ করুক এবং কেহ আল্লাহ্রপথে যুদ্ধ করিলে সে নিহত হউক অথবা বিজয়ী হউক আমি তাহাকে মহাপুরস্কার দান করিবই। (৪:৭৪)
এবং যাহারা হিজরত করিয়াছে আল্লাহ্র পথে, অতঃপর নিহত হইয়াছে অথবা মারা গিয়াছে তাহাদেরকে আল্লাহ্ অবশ্যই উৎকৃষ্ট জীবিকা দান করিবেন; আর নিশ্চয়ই আল্লাহ্, তিনি তো সর্বোৎকৃষ্ট রিযিকদাতা। (২২:৫৮)
তিনি তাহাদেরকে অবশ্যই এমন স্থানে দাখিল করিবেন যাহা তাহারা পসন্দ করিবে এবং আল্লাহ্ তো সম্যক প্রজ্ঞাময়, পরম সহনশীল। (২২:৫৯)