তুমি একনিষ্ঠ হইয়া নিজকে দীনে প্রতিষ্ঠিত কর। আল্লাহ্র প্রকৃতির অনুসরণ কর, যে প্রকৃতি অনুযায়ী তিনি মানুষ সৃষ্টি করিয়াছেন; আল্লাহ্র সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নাই। ইহাই সরল দীন; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না। (৩০:৩০)
তুমি সরল দীনে নিজকে প্রতিষ্ঠিত কর, আল্লাহ্র পক্ষ হইতে যে দিবস অনিবার্য তাহা উপস্থিত হইবার পূর্বে, সে দিন মানুষ বিভক্ত হইয়া পড়িবে। (৩০:৪৩)
তিনিই তাঁহার রাসূলকে পথনির্দেশ ও সত্য দীনসহ প্রেরণ করিয়াছেন, অপর সমস্ত দীনের উপর ইহাকে জয়যুক্ত করিবার জন্য। আর সাক্ষী হিসাবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট। (৪৮:২৮)
নিশ্চয়ই আমি আমার রাসূলগণকে প্রেরণ করিয়াছি স্পষ্ট প্রমাণসহ এবং তাহাদের সঙ্গে দিয়াছি কিতাব ও ন্যায়নীতি, যাহাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে। আমি লৌহও দিয়াছি যাহাতে রহিয়াছে প্রচন্ড শক্তি ও রহিয়াছে মানুষের জন্য বহুবিধ কল্যাণ। ইহা এইজন্য যে, আল্লাহ্ প্রকাশ করিয়া দেন কে প্রত্যক্ষ না করিয়াও তাঁহাকে ও তাঁহার রাসূলগণকে সাহায্য করে। অবশ্যই আল্লাহ্ শক্তিমান, পরাক্রমশালী। (৫৭:২৫)
হে মু’মিনগণ! আল্লাহ্কে ভয় কর এবং তাঁহার রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর। তিনি তাঁহার অনুগ্রহে তোমাদেরকে দিবেন দ্বিগুণ পুরস্কার এবং তিনি তোমাদেরকে দিবেন আলো, যাহার সাহায্যে তোমরা চলিবে এবং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করিবেন; আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৫৭:২৮)
আমি শপথ করি পশ্চাদপসরণকারী নক্ষত্রের, (৮১:১৫)
যাহা প্রত্যাগমন করে ও অদৃশ্য হয়, (৮১:১৬)
শপথ নিশার যখন উহার অবসান হয়। (৮১:১৭)
আর ঊষার, যখন উহার আর্বিভাব হয়, (৮১:১৮)
নিশ্চয়ই এই কুরআন সম্মানিত বার্তাবহের আনীত বাণী। (৮১:১৯)
যে সামর্থ্যশালী, আরশের মালিকের নিকট মর্যাদাসম্পন্ন, (৮১:২০)
যাহাকে সেখানে মান্য করা হয়, যে বিশ্বাসভাজন। (৮১:২১)
আর তোমাদের সাথী উন্মাদ নয়, (৮১:২২)
সে তো তাহাকে স্পষ্ট দিগন্তে দেখিয়াছে, (৮১:২৩)
সে অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে কৃপণ নয়। (৮১:২৪)
এবং ইহা অভিশপ্ত শয়তানের বাক্য নয়। (৮১:২৫)
সুতরাং তোমরা কোথায় চলিয়াছ? (৮১:২৬)
ইহা তো শুধু বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ, (৮১:২৭)
তোমাদের মধ্যে যে সরল পথে চলিতে চায়, তাহার জন্য। (৮১:২৮)
তোমরা ইচ্ছা করিবে না, যদি জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ্ ইচ্ছা না করেন। (৮১:২৯)
শপথ আসমানের, যাহা ধারণ করে বৃষ্টি, (৮৬:১১)
এবং শপথ যমীনের, যাহা বিদীর্ণ হয়, (৮৬:১২)
নিশ্চয়ই আল-কুরআন মীমাংসাকারী বাণী। (৮৬:১৩)
এবং ইহা নিরর্থক নয়। (৮৬:১৪)
যাহাদেরকে কিতাব দেওয়া হইয়াছিল তাহারা তো বিভক্ত হইল তাহাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর। (৯৮:৪)
তাহারা তো আদিষ্ট হইয়াছিল আল্লাহ্র আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হইয়া একনিষ্ঠভাবে তাঁহার ‘ইবাদত করিতে এবং সালাত কায়েম করিতে ও যাকাত দিতে, ইহাই সঠিক দীন। (৯৮:৫)