ইহা সেই কিতাব; ইহাতে কোন সন্দেহ নাই, মুত্তাকীদের জন্য ইহা পথ-নির্দেশ, (২:২)
তোমরা কি এই আশা কর যে, তাহারা তোমাদের কথায় ঈমান আনিবে যখন তাহাদের একদল আল্লাহ্র বাণী শ্রবণ করে; অতঃপর তাহারা উহা হৃদয়ঙ্গম করার পরও বিকৃত করে, অথচ তাহারা জানে। (২:৭৫)
তোমার পূর্বেও অনেক রাসূলকে অবশ্যই মিথ্যাবাদী বলা হইয়াছিল; কিন্তু তাহাদেরকে মিথ্যাবাদী বলা ও ক্লেশ দেওয়া সত্ত্বেও তাহারা ধৈর্য ধারণ করিয়াছিল যে পর্যন্ত না আমার সাহায্য তাহাদের নিকট আসিয়াছে। আল্লাহ্র আদেশ কেহ পরিবর্তন করিতে পারে না, রাসূলগণের সম্বন্ধে কিছু সংবাদ তো তোমার নিকট আসিয়াছে। (৬:৩৪)
সত্য ও ন্যায়ের দিক দিয়া তোমার প্রতিপালকের বাণী পরিপূর্ণ। তাঁহার বাক্য পরিবর্তন করিবার কেহ নাই। আর তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (৬:১১৫)
বল, ‘হে মানুষ! আমি তোমাদের সকলের জন্য আল্লাহ্র রাসূল, যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্বের অধিকারী। তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নাই; তিনিই জীবিত করেন ও মৃত্যু ঘটান। সুতরাং তোমরা ঈমান আন আল্লাহ্র প্রতি ও তাঁহার বার্তাবাহক উম্মী নবীর প্রতি; যে আল্লাহ্ ও তাঁহার বাণীতে ঈমান আনে এবং তোমরা তাহার অনুসরণ কর, যাহাতে তোমরা সঠিক পথ পাও।’ (৭:১৫৮)
মুশরিকদের মধ্যে কেহ তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করিলে তুমি তাহাকে আশ্রয় দিবে যাহাতে সে আল্লাহ্র বাণী শুনিতে পায়; অতঃপর তাহাকে তাহার নিরাপদ স্থানে পৌঁছাইয়া দিবে; কারণ তাহারা অজ্ঞ লোক। (৯:৬)
যদি তোমরা তাহাকে সাহায্য না কর, তবে আল্লাহ্ তো তাহাকে সাহায্য করিয়াছিলেন যখন কাফিররা তাহাকে বহিষ্কার করিয়াছিল এবং সে ছিল দুইজনের দ্বিতীয় জন, যখন তাহারা উভয়ে গুহার মধ্যে ছিল; সে তখন তাহার সঙ্গীকে বলিয়াছিল, ‘বিষণ্ন হইও না, আল্লাহ্ তো আমাদের সঙ্গে আছেন।’ অতঃপর আল্লাহ্ তাঁহার উপর তাঁহার প্রশান্তি বর্ষণ করেন এবং তাহাকে শক্তিশালী করেন এমন এক সৈন্যবাহিনী দ্বারা যাহা তোমরা দেখ নাই; এবং তিনি কাফিরদের কথা হেয় করেন। আল্লাহ্র কথাই সর্বোপরি এবং আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (৯:৪০)
এই কুরআন আল্লাহ্ ব্যতীত অপর কাহারও রচনা নয়। পক্ষান্তরে, ইহার পূর্বে যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে ইহা তাহার সমর্থন এবং ইহা বিধানসমূহের বিশদ ব্যাখ্যা। ইহাতে কোন সন্দেহ নাই যে, ইহা জগতসমূহের প্রতিপালকের পক্ষ হইতে। (১০:৩৭)
জানিয়া রাখ! আল্লাহ্র বন্ধুদের কোন ভয় নাই এবং তাহারা দুঃখিতও হইবে না। (১০:৬২)
যাহারা ঈমান আনে এবং তাক্ওয়া অবলম্বন করে, (১০:৬৩)
তাহাদের জন্য আছে সুসংবাদ দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে, আল্লাহ্র বাণীর কোন পরিবর্তন নাই; উহাই মহাসাফল্য। (১০:৬৪)
তুমি তোমার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট তোমার প্রতিপালকের কিতাব হইতে পাঠ করিয়া শোনাও। তাঁহার বাক্য পরিবর্তন করিবার কেহই নাই। তুমি কখনই তাঁহাকে ব্যতীত অন্য কোন আশ্রয় পাইবে না। (১৮:২৭)
বল, ‘আমার প্রতিপালকের কথা লিপিবদ্ধ করিবার জন্য সমুদ্র যদি কালি হয়, তবে আমার প্রতিপালকের কথা শেষ হইবার পূর্বেই সমুদ্র নিঃশেষ হইয়া যাইবে-আমরা ইহার সাহায্যার্থে ইহার অনুরূপ আরও সমুদ্র আনিলেও।’ (১৮:১০৯)
পৃথিবীর সমস্ত বৃক্ষ যদি কলম হয় আর সমুদ্র হয় কালি এবং ইহার সঙ্গে আরও সাত সমুদ্র যুক্ত হয়, তবুও আল্লাহ্র বাণী নিঃশেষ হইবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (৩১:২৭)
এই কিতাব জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট হইতে অবতীর্ণ, ইহাতে কোন সন্দেহ নাই। (৩২:২)
কোন মিথ্যা ইহাতে অনুপ্রবেশ করিতে পারে না-অগ্র হইতেও নয়, পশ্চাৎ হইতেও নয়। ইহা প্রজ্ঞাময়, প্রশংসার্হ আল্লাহ্র নিকট হইতে অবতীর্ণ। (৪১:৪২)