আর যাহারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে তাহারাই জান্নাতবাসী, তাহারা সেখানে স্থায়ী হইবে। (২:৮২)
হাঁ, যে কেহ আল্লাহ্র নিকট সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ করে এবং সৎকর্মপরায়ণ হয় তাহার ফল তাহার প্রতিপালকের নিকট রহিয়াছে এবং তাহাদের কোন ভয় নাই ও তাহারা দুঃখিত হইবে না। (২:১১২)
হে মু’মিনগণ! তোমাদেরকে আমি যেসব পবিত্র বস্তু দিয়াছি তাহা হইতে আহার কর এবং আল্লাহ্র নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর যদি তোমরা শুধু তাঁহারই ‘ইবাদত কর। (২:১৭২)
পবিত্র মাসে যুদ্ধ করা সম্পর্কে লোকে তোমাকে জিজ্ঞাসা করে; বল, ‘উহাতে যুদ্ধ করা ভীষণ অন্যায়।’ কিন্তু আল্লাহ্র পথে বাধা দান করা, আল্লাহ্কে অস্বীকার করা, মসজিদুল হারামে বাধা দেওয়া এবং উহার বাসিন্দাকে উহা হইতে বহিষ্কার করা আল্লাহ্র নিকট তদপেক্ষা অধিক অন্যায়; ফিতনা হত্যা অপেক্ষা গুরুতর অন্যায়।’ তাহারা সর্বদা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে থাকিবে যে পর্যন্ত তোমাদেরকে তোমাদের দীন হইতে ফিরাইয়া না দেয়, যদি তাহারা সক্ষম হয়। তোমাদের মধ্যে যে কেহ স্বীয় দীন হইতে ফিরিয়া যায় এবং কাফিররূপে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, দুনিয়া ও আখিরাতে তাহাদের কর্ম নিষ্ফল হইয়া যায়। ইহারাই দোজখবাসী, সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে। (২:২১৭)
যাহারা আল্লাহ্র আয়াত অস্বীকার করে, অন্যায়রূপে নবীদের হত্যা করে এবং মানুষের মধ্যে যাহারা ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দেয় তাহাদেরকে হত্যা করে, তুমি তাহাদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তির সংবাদ দাও। (৩:২১)
এইসব লোক, ইহাদের কার্যাবলী দুনিয়া ও আখিরাতে নিষ্ফল হইবে এবং তাহাদের কোন সাহায্যকারী নাই। (৩:২২)
হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহ্কে যথার্থভাবে ভয় কর এবং তোমরা আত্মসমর্পণকারী না হইয়া কোন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করিও না। (৩:১০২)
আর যাহারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে তাহাদেরকে দাখিল করিব জান্নাতে, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তাহারা চিরস্থায়ী হইবে; আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি সত্য, কে আল্লাহ্ অপেক্ষা কথায় অধিক সত্যবাদী? (৪:১২২)
পুরুষ অথবা নারীর মধ্যে কেহ সৎকাজ করিলে ও মু’মিন হইলে তাহারা জান্নাতে দাখিল হইবে এবং তাহাদের প্রতি অণু পরিমাণও জুলুম করা হইবে না। (৪:১২৪)
তাহার অপেক্ষা দীনে কে উত্তম, যে সৎকর্মপরায়ণ হইয়া আল্লাহ্র নিকট আত্মসমর্পণ করে এবং একনিষ্ঠভাবে ইব্রাহীমের ধর্মাদর্শ অনুসরণ করে? এবং আল্লাহ্ ইব্রাহীমকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করিয়াছেন। (৪:১২৫)
আজ তোমাদের জন্য সমস্ত ভাল জিনিস হালাল করা হইল, যাহাদেরকে কিতাব দেওয়া হইয়াছে তাহাদের খাদ্যদ্রব্য তোমাদের জন্য হালাল ও তোমাদের খাদ্যদ্রব্য তাহাদের জন্য হালাল; এবং মু’মিন সচ্চরিত্রা নারী ও তোমাদের পূর্বে যাহাদেরকে কিতাব দেওয়া হইয়াছে তাহাদের সচ্চরিত্রা নারী তোমাদের জন্য বৈধ করা হইল যদি তোমরা তাহাদের মাহ্র প্রদান কর বিবাহের জন্য-প্রকাশ্য ব্যভিচার অথবা গোপন প্রণয়িনী গ্রহণের জন্য নয়। কেহ ঈমান প্রত্যাখ্যান করিলে তাহার কর্ম নিষ্ফল হইবে এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হইবে। (৫:৫)
মু’মিনগণ, ইয়াহূদীগণ, সাবীগণ ও খ্রিস্টানগণের মধ্যে কেহ আল্লাহ্ ও আখিরাতে ঈমান আনিলে এবং সৎকাজ করিলে তাহাদের কোন ভয় নাই এবং তাহারা দুঃখিত হইবে না। (৫:৬৯)
আমি রাসূলগণকে তো শুধু সুসংবাদবাহী ও সতর্ককারীরূপেই প্রেরণ করি। কেহ ঈমান আনিলে ও নিজকে সংশোধন করিলে তাহার কোন ভয় নাই এবং সে দুঃখিতও হইবে না। (৬:৪৮)
হে বনী আদম! যদি তোমাদের মধ্য হইতে কোন রাসূল তোমাদের নিকট আসিয়া আমার নিদর্শন বিবৃত করে তখন যাহারা সাবধান হইবে এবং নিজেদের সংশোধন করিবে, তাহা হইলে তাহাদের কোন ভয় থাকিবে না এবং তাহারা দুঃখিতও হইবে না। (৭:৩৫)
যাহারা আমার নিদর্শন ও আখিরাতের সাক্ষাতকে অস্বীকার করে তাহাদের কার্য নিষ্ফল হয়। তাহারা যাহা করে তদনুযায়ীই তাহাদেরকে প্রতিফল দেওয়া হইবে। (৭:১৪৭)
তাহারা কোন মু’মিনের সঙ্গে আত্মীয়তার ও অঙ্গীকারের মর্যাদা রক্ষা করে না, তাহারাই সীমালংঘনকারী। (৯:১০)
যে ব্যক্তি তাহার গৃহের ভিত্তি আল্লাহ্ভীতি ও আল্লাহ্ সন্তুষ্টির উপর স্থাপন করে সে উত্তম, না ঐ ব্যক্তি উত্তম যে তাহার গৃহের ভিত্তি স্থাপন করে এক খাদের ধসোন্মুখ কিনারায়, ফলে যাহা উহাকেসহ জাহান্নামের অগ্নিতে পতিত হয়? আল্লাহ্ জালিম সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন করেন না। (৯:১০৯)
আল্লাহ্ যাহার জন্য ইচ্ছা তাহার জীবনোপকরণ বর্ধিত করেন এবং সংকুচিত করেন; কিন্তু ইহারা পার্থিব জীবনে উল্লসিত, অথচ দুনিয়ার জীবন তো আখিরাতের তুলনায় ক্ষণস্থায়ী ভোগমাত্র। (১৩:২৬)
‘যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, পরম আনন্দ এবং শুভ পরিণাম তাহাদেরই।’ (১৩:২৯)
যাহারা তাহাদের প্রতিপালককে অস্বীকার করে তাহাদের উপমা-তাহাদের কর্মসমূহ ভস্মসদৃশ যাহা ঝড়ের দিনের বাতাস প্রচন্ড বেগে উড়াইয়া লইয়া যায়। যাহা তাহারা উপার্জন করে তাহার কিছুই তাহারা তাহাদের কাজে লাগাইতে পারে না। ইহা তো ঘোর বিভ্রান্তি। (১৪:১৮)
মু’মিন হইয়া পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে কেউ সৎকর্ম করিবে তাহাকে আমি নিশ্চয়ই পবিত্র জীবন দান করিব এবং তাহাদেরকে তাহাদের কর্মের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দান করিব। (১৬:৯৭)
যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে-আমি তো তাহার শ্রমফল নষ্ট করি না-সে উত্তমরূপে কার্য সম্পাদন করে। (১৮:৩০)
সুতরাং যদি কেহ মু’মিন হইয়া সৎকর্ম করে তাহার কর্মপ্রচেষ্টা অগ্রাহ্য হইবে না এবং আমি তো উহা লিখিয়া রাখি। (২১:৯৪)
সেই দিন আল্লাহ্রই আধিপত্য; তিনিই তাহাদের বিচার করিবেন। সুতরাং যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাহারা অবস্থান করিবে সুখদ কাননে। (২২:৫৬)
যাহারা কুফরী করে তাহাদের কর্ম মরুভূমির মরীচিকাসদৃশ, পিপাসার্ত যাহাকে পানি মনে করিয়া থাকে, কিন্তু সে উহার নিকট উপস্থিত হইলে দেখিবে উহা কিছু নয় এবং সে পাইবে সেখানে আল্লাহ্কে, অতঃপর তিনি তাহার কর্মফল পূর্ণ মাত্রায় দিবেন। আল্লাহ্ হিসাব গ্রহণে তৎপর। (২৪:৩৯)
অথবা তাহাদের কর্ম গভীর সমুদ্র তলের অন্ধকারসদৃশ, যাহাকে আচ্ছন্ন করে তরঙ্গের উপর তরঙ্গ, যাহার ঊর্ধ্বে মেঘপুঞ্জ, অন্ধকারপুঞ্জ স্তরের উপর স্তর, এমনকি সে হাত বাহির করিলে তাহা আদৌ দেখিতে পাইবে না। আল্লাহ্ যাহাকে জ্যোতি দান করেন না তাহার জন্য কোন জ্যোতিই নাই। (২৪:৪০)
যাহাকে আমি উত্তম পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়াছি, যাহা সে পাইবে, সে কি ঐ ব্যক্তির সমান যাহাকে আমি পার্থিব জীবনের ভোগ-সম্ভার দিয়াছি, যাহাকে পরে কিয়ামতের দিন হাযির করা হইবে? (২৮:৬১)
যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাহাদের জন্য আছে সুখদ কানন; (৩১:৮)
যে কেহ আল্লাহ্র নিকট আত্মসমর্পণ করে এবং সৎকর্মপরায়ণ হয় সে তো দৃঢ়ভাবে ধারণ করে এক মযবুত হাতল, যাবতীয় কর্মের পরিণাম আল্লাহ্র ইখ্তিয়ারে। (৩১:২২)
যাহারা কুফরী করে তাহাদের জন্য আছে কঠিন শাস্তি এবং যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাহাদের জন্য আছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার। (৩৫:৭)
‘কেহ মন্দ কর্ম করিলে সে কেবল তাহার কর্মের অনুরূপ শাস্তি পাইবে এবং পুরুষ কিংবা নারীর মধ্যে যাহারা মু’মিন হইয়া সৎকর্ম করে তাহারা দাখিল হইবে জান্নাতে, সেখানে তাহাদেরকে দেওয়া হইবে অপরিমিত জীবনোপকরণ। (৪০:৪০)
হে আমার বান্দাগণ! আজ তোমাদের কোন ভয় নাই এবং তোমরা দুঃখিতও হইবে না। (৪৩:৬৮)
যাহারা আমার আয়াতে বিশ্বাস করিয়াছিল এবং আত্মসমর্পণ করিয়াছিল- (৪৩:৬৯)
তোমরা এবং তোমাদের সহধর্মিণীগণ সানন্দে জান্নাতে প্রবেশ কর। (৪৩:৭০)
যেদিন কাফিরদেরকে জাহান্নামের সন্নিকটে উপস্থিত করা হইবে সেদিন উহাদেরকে বলা হইবে, ‘তোমরা তোমাদের পার্থিব জীবনেই সুখ-সম্ভার পাইয়াছ এবং সেইগুলি উপভোগও করিয়াছ। সুতরাং আজ তোমাদেরকে দেওয়া হইবে অবমাননাকর শাস্তি। কারণ তোমরা পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করিয়াছিলে এবং তোমরা ছিলে সত্যদ্রোহী।’ (৪৬:২০)
যাহারা কুফরী করে এবং অপরকে আল্লাহ্র পথ হইতে নিবৃত্ত করে তিনি তাহাদের কর্ম ব্যর্থ করিয়া দেন। (৪৭:১)
যাহারা ঈমান আনে, সৎকর্ম করে এবং মুহাম্মাদের প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাতে বিশ্বাস করে, আর উহাই তাহাদের প্রতিপালক হইতে প্রেরিত সত্য, তিনি তাহাদের মন্দ কর্মগুলি বিদূরিত করিবেন এবং তাহাদের অবস্থা ভাল করিবেন। (৪৭:২)
ইহা এইজন্য যে, যাহারা কুফরী করে তাহারা মিথ্যার অনুসরণ করে এবং যাহারা ঈমান আনে তাহারা তাহাদের প্রতিপালক-প্রেরিত সত্যের অনুসরণ করে। এইভাবে আল্লাহ্ মানুষের জন্য তাহাদের দৃষ্টান্ত প্রদান করেন। (৪৭:৩)
অতএব যখন তোমরা কাফিরদের সঙ্গে যুদ্ধে মুকাবিলা কর তখন তাহাদের গর্দানে আঘাত কর, পরিশেষে যখন তোমরা উহাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পরাভূত করিবে তখন উহাদেরকে কষিয়া বাঁধিবে; অতঃপর হয় অনুকম্পা, নয় মুক্তিপণ। তোমরা জিহাদ চালাইবে যতক্ষণ না যুদ্ধ ইহার অস্ত্র নামাইয়া ফেলে। ইহাই বিধান। ইহা এইজন্য যে, আল্লাহ্ ইচ্ছা করিলে উহাদেরকে শাস্তি দিতে পারিতেন, কিন্তু তিনি চাহেন তোমাদের একজনকে অপরের দ্বারা পরীক্ষা করিতে। যাহারা আল্লাহ্র পথে নিহত হয় তিনি কখনও তাহাদের কর্ম বিনষ্ট হইতে দেন না। (৪৭:৪)
যাহারা কুফরী করিয়াছে তাহাদের জন্য রহিয়াছে দুর্ভোগ এবং তিনি তাহাদের কর্ম ব্যর্থ করিয়া দিবেন। (৪৭:৮)
এক রাসূল, যে তোমাদের নিকট আল্লাহ্র সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ আবৃত্তি করে, যাহারা মু’মিন ও সৎকর্মপরায়ণ তাহাদেরকে অন্ধাকার হইতে আলোতে আনিবার জন্য। যে কেহ আল্লাহে বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে তিনি তাহাকে দাখিল করিবেন জান্নাতে, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তাহারা চিরস্থায়ী হইবে; আল্লাহ্ তাহাকে উত্তম রিযিক দিবেন। (৬৫:১১)
কিন্তু যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাহাদের জন্য রহিয়াছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার। (৮৪:২৫)
অবশ্যই যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাহাদের জন্য আছে জান্নাত, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, ইহাই মহাসাফল্য। (৮৫:১১)
কিন্তু তাহাদেরকে নয় যাহারা মু’মিন ও সৎকর্মপরায়ণ; ইহাদের জন্য তো আছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার। (৯৫:৬)
যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাহারাই সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ। (৯৮:৭)
তাহাদের প্রতিপালকের নিকট আছে তাহাদের পুরস্কার-স্থায়ী জান্নাত, যাহার নিম্নদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তাহারা চিরস্থায়ী হইবে। আল্লাহ্ তাহাদের প্রতি প্রসন্ন এবং তাহারাও তাঁহাতে সন্তুষ্ট। ইহা তাহার জন্য, যে তাহার প্রতিপালককে ভয় করে। (৯৮:৮)