এবং যাহারা কিছু জানে না তাহারা বলে, ‘আল্লাহ্ আমাদের সঙ্গে কথা বলেন না কেন? কিংবা কোন নিদর্শন আমাদের নিকট আসে না কেন?’ এইভাবে তাহাদের পূর্ববর্তীরাও তাহাদের অনুরূপ কথা বলিত। তাহাদের অন্তর একই রকম। আমি দৃঢ় প্রত্যয়শীলদের জন্য নিদর্শনাবলী স্পষ্টভাবে বিবৃত করিয়াছি। (২:১১৮)
সিয়ামের রাত্রে তোমাদের জন্য স্ত্রী-সম্ভোগ বৈধ করা হইয়াছে। তাহারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাহাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ্ জানেন যে, তোমরা নিজেদের প্রতি অবিচার করিতেছিলে। অতঃপর তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হইয়াছেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করিয়াছেন। সুতরাং এখন তোমরা তাহাদের সঙ্গে সংগত হও এবং আল্লাহ্ যাহা তোমাদের জন্য নির্ধারণ করিয়াছেন তাহা কামনা কর। আর তোমরা পানাহার কর যতক্ষণ রাত্রির কৃষ্ণরেখা হইতে ঊষার শুভ্ররেখা স্পষ্টরূপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়। অতঃপর নিশাগম পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ কর। তোমরা মসজিদে ই‘তিকাফরত অবস্থায় তাহাদের সঙ্গে সংগত হইও না। এইগুলি আল্লাহ্র সীমারেখা। সুতরাং এইগুলির নিকটবর্তী হইও না। এইভাবে আল্লাহ্ তাঁহার বিধানাবলী মানব জাতির জন্য সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেন, যাহাতে তাহারা মুত্তাকী হইতে পারে। (২:১৮৭)
লোকে তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বল, ‘উভয়ের মধ্যে আছে মহাপাপ এবং মানুষের জন্য উপকারও; কিন্তু উহাদের পাপ উপকার অপেক্ষা অধিক।’ লোকে তোমাকে জিজ্ঞাসা করে, কী তাহারা ব্যয় করিবে? বল, ‘যাহা উদ্বৃত্ত।’ এইভাবে আল্লাহ্ তাঁহার বিধান তোমাদের জন্য সুস্পষ্টরূপে ব্যক্ত করেন, যাহাতে তোমরা চিন্তা কর- (২:২১৯)
ঈমান না আনা পর্যন্ত মুশরিক নারীকে তোমরা বিবাহ করিও না-মুশরিক নারী তোমাদেরকে মুগ্ধ করিলেও, নিশ্চয় মু’মিন ক্রীতদাসী তাহা অপেক্ষা উত্তম। ঈমান না আনা পর্যন্ত মুশরিক পুরুষের সঙ্গে বিবাহ দিও না-মুশরিক পুরুষ তোমাদেরকে মুগ্ধ করিলেও, মু’মিন ক্রীতদাস তাহা অপেক্ষা উত্তম। উহারা অগ্নির দিকে আহ্বান করেন। তিনি মানুষের জন্য স্বীয় বিধান সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেন, যাহাতে তাহারা উহা হইতে শিক্ষা গ্রহণ করিতে পারে। (২:২২১)
অতঃপর যদি সে তাহাকে তালাক দেয় তবে সে তাহার জন্য বৈধ হইবে না, যে পর্যন্ত সে অন্য স্বামীর সঙ্গে সংগত না হইবে। অতঃপর সে যদি তাহাকে তালাক দেয় আর তাহারা উভয়ে মনে করে যে, তাহারা আল্লাহ্র সীমারেখা রক্ষা করিতে সমর্থ হইবে, তবে তাহাদের পুনর্মিলনে কাহারও কোন অপরাধ হইবে না। এইগুলি আল্লাহ্র বিধান, জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য আল্লাহ্ ইহা স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন। (২:২৩০)
এইভাবে আল্লাহ্ তাঁহার বিধান স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন যাহাতে তোমরা বুঝিতে পার। (২:২৪২)
এই সকল আল্লাহ্র আয়াত, আমি তোমার নিকট উহা যথাযথভাবে তিলাওয়াত করিতেছি, আর নিশ্চয়ই তুমি রাসূলগণের অন্তর্ভুক্ত। (২:২৫২)
তোমাদের কেহ কি চায় যে, তাহার খেজুর ও আঙুরের একটি বাগান থাকে যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত এবং যাহাতে সর্বপ্রকার ফলমূল আছে, যখন সে ব্যক্তি বার্ধক্যে উপনীত হয় এবং তাহার সন্তান-সন্ততি দুর্বল, অতঃপর উহার উপর এক অগ্নিক্ষরা ঘূর্ণিঝড় আপতিত হয় ও উহা জ্বলিয়া যায়? এইভাবে আল্লাহ্ তাঁহার নিদর্শন তোমাদের জন্য সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেন যাহাতে তোমরা অনুধাবন করিতে পার। (২:২৬৬)
তোমরা সকলে আল্লাহ্র রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হইও না। তোমাদের প্রতি আল্লাহ্র অনুগ্রহ স্মরণ কর: তোমরা ছিলে পরস্পর শত্রু এবং তিনি তোমাদের হৃদয়ে প্রীতির সঞ্চার করেন, ফলে তাঁহার অনুগ্রহে তোমরা পরস্পর ভাই হইয়া গেলে। তোমরা তো অগ্নিকুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ্ উহা হইতে তোমাদের রক্ষা করিয়াছেন। এইরূপে আল্লাহ্ তোমাদের জন্য তাঁহার নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃত করেন যাহাতে তোমরা সৎপথ পাইতে পার। (৩:১০৩)
হে মু’মিনগণ! তোমাদের আপনজন ব্যতীত অপর কাহাকেও অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করিও না। তাহারা তোমাদের অনিষ্ট করিতে ত্রুটি করিবে না; যাহা তোমাদের বিপন্ন করে তাহাই তাহারা কামনা করে। তাহাদের মুখে বিদ্বেষ প্রকাশ পায় এবং তাহাদের হৃদয় যাহা গোপন রাখে তাহা আরও গুরুতর। তোমাদের জন্য নিদর্শনসমূহ বিশদভাবে বিবৃত করিয়াছি, যদি তোমরা অনুধাবন কর। (৩:১১৮)
আল্লাহ্ ইচ্ছা করেন তোমদের নিকট বিশদভাবে বিবৃত করিতে, তোমাদের পূর্ববর্তীদের রীতিনীতি তোমাদেরকে অবহিত করিতে এবং তোমাদের ক্ষমা করিতে। আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (৪:২৬)
তোমাদের বৃথা শপথের জন্য আল্লাহ্ তোমাদেরকে দায়ী করিবেন না, কিন্তু যেসব শপথ তোমরা ইচ্ছাকৃতভাবে কর সেই সকলের জন্য তিনি তোমাদেরকে দায়ী করিবেন। অতঃপর ইহার কাফ্ফারা দশজন দরিদ্রকে মধ্যম ধরনের আহার্য দান, যাহা তোমরা তোমাদের পরিজনদের খাইতে দাও, অথবা তাহাদেরকে বস্ত্রদান, কিংবা একজন দাস মুক্তি এবং যাহার সামর্থ্য নাই তাহার জন্য তিনদিন সিয়াম পালন। তোমরা শপথ করিলে ইহাই তোমাদের শপথের কাফ্ফারা, তোমরা তোমাদের শপথ রক্ষা করিও। এইভাবে আল্লাহ্ তোমাদের জন্য তাঁহার বিধানসমূহ বিশদভাবে বর্ণনা করেন যেন তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর। (৫:৮৯)
আমি এইভাবে নিদর্শনাবলী বিভিন্ন প্রকারে বিবৃত করি। ফলে, উহারা বলে, ‘তুমি পড়িয়া লইয়াছ?’ কিন্তু আমি তো সু্স্পষ্টভাবে বিবৃত করি জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য। (৬:১০৫)
আল্লাহ্ এমন নন যে, তিনি কোন সম্প্রদায়কে পথপ্রদর্শন করিবার পর উহাদেরকে বিভ্রান্ত করিবেন-উহাদেরকে কী বিষয়ে তাক্ওয়া অবলম্বন করিতে হইবে, ইহা সুস্পষ্টরূপে ব্যক্ত না করা পর্যন্ত; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সবিশেষ অবহিত। (৯:১১৫)
আমি প্রত্যেক রাসূলকেই তাহার স্বজাতির ভাষাভাষী করিয়া পাঠাইয়াছি তাহাদের নিকট পরিস্কারভাবে ব্যাখ্যা করিবার জন্য, আল্লাহ্ যাহাকে ইচ্ছা বিভ্রান্ত করেন এবং যাহাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন এবং তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (১৪:৪)
প্রেরণ করিয়াছিলাম স্পষ্টভাবে প্রমাণাদি ও গ্রন্থাবলীসহ এবং তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি, মানুষকে সুস্পষ্ট বুঝাইয়া দিবার জন্য যাহা তাহাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হইয়াছিল, যাহাতে উহারা চিন্তা করে। (১৬:৪৪)
আমি তো তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছি যাহারা এ বিষয়ে মতভেদ করে তাহাদেরকে সুস্পষ্টভাবে বুঝাইয়া দিবার জন্য এবং মু’মিনদের জন্য পথনির্দেশ ও দয়াস্বরূপ। (১৬:৬৪)
আল্লাহ্ তোমাদের জন্য আয়াতসমূহ সুস্পষ্টভাবে বিবৃত করেন এবং আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (২৪:১৮)