এই কুরআন আল্লাহ্ ব্যতীত অপর কাহারও রচনা নয়। পক্ষান্তরে, ইহার পূর্বে যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে ইহা তাহার সমর্থন এবং ইহা বিধানসমূহের বিশদ ব্যাখ্যা। ইহাতে কোন সন্দেহ নাই যে, ইহা জগতসমূহের প্রতিপালকের পক্ষ হইতে। (১০:৩৭)
তাহারা কি বলে, ‘সে ইহা রচনা করিয়াছে?’ বল, ‘তবে তোমরা ইহার অনুরূপ একটি সূরা আনয়ন কর এবং আল্লাহ্ ব্যতীত অপর যাহাকে পার আহ্বান কর, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।’ (১০:৩৮)
তা-সীন; এইগুলি আয়াত আল-কুরআনের এবং সুস্পষ্ট কিতাবের; (২৭:১)
আকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন রহস্য নাই, যাহা সু্স্পষ্ট কিতাবে নাই। (২৭:৭৫)
বনী ইসরাঈল যেই সমস্ত বিষয়ে মতভেদ করে, এই কুরআন তাহার অধিকাংশ তাহাদের নিকট বিবৃত করে। (২৭:৭৬)
এবং নিশ্চয়ই ইহা মু’মিনদের জন্য হিদায়াত ও রহমত। (২৭:৭৭)
তোমার প্রতিপালক তো তাঁহার বিধান অনুযায়ী উহাদের মধ্যে ফায়সালা করিয়া দিবেন। তিনি পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ। (২৭:৭৮)
আমি আরও আদিষ্ট হইয়াছি, কুরআন তিলাওয়াত করিতে; অতএব যে ব্যক্তি সৎপথ অনুসরণ করে, সে সৎপথ অনুসরণ করে নিজেরই কল্যাণের জন্য। আর কেহ ভ্রান্ত পথ অবলম্বন করিলে তুমি বলিও, ‘আমি তো কেবল সতর্ককারীদের মধ্যে একজন।’ (২৭:৯২)
কাফিররা বলে, ‘আমরা এই কুরআনে কখনও বিশ্বাস করিব না, ইহার পূর্ববর্তী কিতাবসমূহেও নয়। হায়! তুমি যদি দেখিতে জালিমদেরকে যখন তাহাদের প্রতিপালকের সম্মুখে দন্ডায়মান করা হইবে তখন উহারা পরস্পর বাদ-প্রতিবাদ করিতে থাকিবে, যাহাদেরকে দুর্বল মনে করা হইত তাহারা ক্ষমতাদর্পীদেরকে বলিবে, ‘তোমরা না থাকিলে আমরা অবশ্যই মু’মিন হইতাম।’ (৩৪:৩১)
শপথ জ্ঞানগর্ভ কুরআনের, (৩৬:২)
আমি রাসূলকে কাব্য রচনা করিতে শিখাই নাই এবং ইহা তাহার পক্ষে শোভনীয় নয়। ইহা তো কেবল এক উপদেশ এবং সুস্পষ্ট কুরআন; (৩৬:৬৯)
সোয়াদ, শপথ উহাদেশপূর্ণ কুরআনের! (৩৮:১)
আমি এই কুরআনে মানুষের জন্য সর্বপ্রকার দৃষ্টান্ত উপস্থিত করিয়াছি, যাহারা উহারা উপদেশ গ্রহণ করে, (৩৯:২৭)
আরবী ভাষায় এই কুরআন বক্রতামুক্ত, যাহাতে মানুষ সাবধানতা অবলম্বন করে। (৩৯:২৮)
এক কিতাব, বিশদভাবে বিবৃত হইয়াছে ইহার আয়াতসমূহ, আরবী ভাষায় কুরআন, জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য, (৪১:৩)
এবং ইহারা বলে, ‘এই কুরআন কেন নাযিল করা হইল না দুই জনপদের কোন প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তির উপর?’ (৪৩:৩১)
উহারা যাহা বলে তাহা আমি জানি, তুমি উহাদের উপর জবরদস্তিকারী নও, সুতরাং যে আমার শাস্তিকে ভয় করে তাহাকে উপদেশ দান কর কুরআনের সাহায্যে। (৫০:৪৫)
নিশ্চয়ই ইহা সম্মানিত কুরআন, (৫৬:৭৭)
যাহা আছে সুরক্ষিত কিতাবে। (৫৬:৭৮)
যাহারা পূত-পবিত্র তাহারা ব্যতীত অন্য কেহ তাহা স্পর্শ করে না। (৫৬:৭৯)
বল, ‘আমার প্রতি ওহী প্রেরিত হইয়াছে যে, জিনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করিয়াছে এবং বলিয়াছে, ‘আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করিয়াছি, (৭২:১)