নিঃসন্দেহে ইসলামই আল্লাহ্র নিকট একমাত্র দীন। যাহাদেরকে কিতাব দেওয়া হইয়াছিল তাহারা পরস্পর বিদ্বেষবশত তাহাদের নিকট জ্ঞান আসিবার পর মতানৈক্য ঘটাইয়াছিল। আর কেহ আল্লাহ্র নিদর্শনকে অস্বীকার করিলে আল্লাহ্ তো হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত তৎপর। (৩:১৯)
আল্লাহ্ তোমাদের সঙ্গে তাঁহার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করিয়াছিলেন যখন তোমরা আল্লাহ্র অনুমতিক্রমে তাহাদেরকে বিনাশ করিতেছিলে, যে পর্যন্ত না তোমরা সাহস হারাইলে এবং নির্দেশ সম্বন্ধে মতভেদ সৃষ্টি করিলে এবং যাহা তোমরা ভালবাস তাহা তোমাদের দেখাইবার পর তোমরা অবাধ্য হইলে। তোমাদের কতক ইহকাল চাহিতেছিল এবং কতক পরকাল চাহিতেছিল। অতঃপর তিনি পরীক্ষা করার জন্য তোমাদেরকে তাহাদের হইতে ফিরাইয়া দিলেন। অবশ্যই তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করিলেন এবং আল্লাহ্ মু’মিনদের প্রতি অনুগ্রহশীল। (৩:১৫২)
মানুষ ছিল একই উম্মত, পরে উহারা মতভেদ সৃষ্টি করে। তোমার প্রতিপালকের পূর্ব-ঘোষণা না থাকিলে তাহারা যে বিষয়ে মতভেদ ঘটায় তাহার মীমাংসা তো হইয়াই যাইত। (১০:১৯)
উহারা বলে, ‘তাহার প্রতিপালকের নিকট হইতে তাহার নিকট কোন নির্দশন অবতীর্ণ হয় না কেন?’ বল, ‘অদৃশ্যের জ্ঞান তো কেবল আল্লাহ্রই আছে। সুতরাং তোমরা প্রতীক্ষা কর, আমিও তোমাদের সঙ্গে প্রতীক্ষা করিতেছি।’ (১০:২০)
আমি তো বনী ইসরাঈলকে উৎকৃষ্ট আবাসভূমিতে বসবাস করাইলাম এবং আমি উহাদেরকে উত্তম জীবনোপকরণ দিলাম, অতঃপর উহাদের নিকট জ্ঞান আসিলে উহারা বিভেদ সৃষ্টি করিল। উহারা যে বিষয়ে বিভেদ সৃষ্টি করিয়াছিল তোমার প্রতিপালক অবশ্যই তাহাদের মধ্যে কিয়ামতের দিন উহার ফয়সালা করিয়া দিবেন। (১০:৯৩)
আমার বান্দাদেরকে যাহা উত্তম তাহা বলিতে বল। নিশ্চয়ই শয়তান উহাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উস্কানি দেয়; শয়তান তো মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। (১৭:৫৩)
এই যে তোমাদের জাতি-ইহা তো একই জাতি এবং আমিই তোমাদের প্রতিপালক, অতএব আমার ‘ইবাদত কর। (২১:৯২)
কিন্তু তাহারা নিজেদের কার্যকলাপে পরস্পরের মধ্যে ভেদ সৃষ্টি করিয়াছে। প্রত্যেকেই প্রত্যানীত হইবে আমার নিকট। (২১:৯৩)
‘এবং তোমাদের এই যে জাতি ইহা তো একই জাতি এবং আমিই তোমাদের প্রতিপালক; অতএব আমাকে ভয় কর।’ (২৩:৫২)
কিন্তু তাহারা নিজেদের মধ্যে তাহাদের দীনকে বহুধা বিভক্ত করিয়াছে। প্রত্যেক দলই তাহাদের নিকট যাহা আছে তাহা লইয়া আনন্দিত। (২৩:৫৩)
সুতরাং কিছুকালের জন্য উহাদেরকে স্বীয় বিভ্রান্তিতে থাকিতে দাও। (২৩:৫৪)
তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করিয়াছেন দীন যাহার নির্দেশ দিয়াছিলেন তিনি নূহ্কে, আর যাহা আমি ওহী করিয়াছি তোমাকে এবং যাহার নির্দেশ দিয়াছিলাম ইব্রাহীম, মূসা ও ঈসাকে, এই বলিয়া যে, তোমরা দীনকে প্রতিষ্ঠিত কর এবং উহাতে মতভেদ করিও না। তুমি মুশরিকদেরকে যাহার প্রতি আহ্বান করিতেছ তাহা উহাদের নিকট দুর্বহ মনে হয়। আল্লাহ্ যাহাকে ইচ্ছা দীনের প্রতি আকৃষ্ট করেন এবং যে তাঁহার অভিমুখী, তাহাকে দীনের দিকে পরিচালিত করেন। (৪২:১৩)
উহাদের নিকট জ্ঞান আসিবার পর কেবল পারস্পরিক বিদ্বেষবশত উহারা নিজেদের মধ্যে মতভেদ ঘটায়। এক নির্ধারিত কাল পর্যন্ত অবকাশ সম্পর্কে তোমার প্রতিপালকের পূর্ব সিদ্ধান্ত না থাকিলে উহাদের বিষয়ে ফয়সালা হইয়া যাইত। উহাদের পর যাহারা কিতাবের উত্তারাধিকারী হইয়াছে তাহারা তো সেই সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর সন্দেহে রহিয়াছে। (৪২:১৪)
সুতরাং তুমি উহার দিকে আহ্বান কর ও উহাতেই দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাক যেইভাবে তুমি আদিষ্ট হইয়াছ এবং উহাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করিও না। বল, ‘আল্লাহ্ যে কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছেন আমি তাহাতে বিশ্বাস করি এবং আমি আদিষ্ট হইয়াছি তোমাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করিতে। আল্লাহ্ই আমাদের প্রতিপালক এবং তোমাদেরও প্রতিপালক। আমাদের কর্ম আমাদের এবং তোমাদের কর্ম তোমাদের; আমাদের ও তোমাদের মধ্যে বিবাদ-বিসম্বাদ নাই। আল্লাহ্ই আমাদেরকে একত্র করিবেন এবং প্রত্যাবর্তন তাঁহারই নিকট।’ (৪২:১৫)
আল্লাহ্কে স্বীকার করিবার পর যাহারা আল্লাহ্ সম্পর্কে বিতর্ক করে তাহাদের যুক্তি-তর্ক তাহাদের প্রতিপালকের দৃষ্টিতে অসার এবং উহারা তাঁহার ক্রোধের পাত্র এবং উহাদের জন্য রহিয়াছে কঠিন শাস্তি। (৪২:১৬)
আল্লাহ্ই অবতীর্ণ করিয়াছেন সত্যসহ কিতাব এবং তুলাদন্ড। তুমি কি জান, সম্ভবত কিয়ামত আসন্ন? (৪২:১৭)
আমি উহাদেরকে সুস্পষ্ট প্রমাণ দান করিয়াছিলাম দীন সম্পর্কে। উহাদের নিকট জ্ঞান আসিবার পর উহারা শুধু পরস্পর বিদ্বেষবশত বিরোধিতা করিয়াছিল। উহারা যে বিষয়ে মতবিরোধ করিত, তোমার প্রতিপালক কিয়ামতের দিন উহাদের মধ্যে সে বিষয়ে ফয়সালা করিয়া দিবেন। (৪৫:১৭)
যাহাদেরকে কিতাব দেওয়া হইয়াছিল তাহারা তো বিভক্ত হইল তাহাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর। (৯৮:৪)