আমি তো তোমার প্রতি সত্যসহ কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছি যাহাতে তুমি আল্লাহ্ তোমাকে যাহা জানাইয়াছেন সেই অনুসারে মানুষের মধ্যে বিচার মীমাংসা কর এবং তুমি বিশ্বাসভঙ্গকারীদের সমর্থনে তর্ক করিও না। (৪:১০৫)
আর আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থণা কর; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৪:১০৬)
কিন্তু তাহাদের মধ্যে যাহারা জ্ঞানে সুগভীর তাহারা ও মু’মিনগণ তোমার প্রতি যাহা অবতীর্ণ করা হইয়াছে এবং তোমার পূর্বে যাহা অবতীর্ণ করা হইয়াছে তাহাতেও ঈমান আনে এবং যাহারা সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ্ ও পরকালে ঈমান রাখে, আমি উহাদেরকে মহাপুরস্কার দিব। (৪:১৬২)
হে মানবমন্ডলী! তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমাদের নিকট প্রমাণ আসিয়াছে এবং আমি তোমাদের প্রতি স্পষ্ট জ্যোতি অবতীর্ণ করিয়াছি। (৪:১৭৪)
হে রাসূল! তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমার প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহা প্রচার কর; যদি না কর তবে তো তুমি তাঁহার বার্তা প্রচার করিলে না। আল্লাহ্ তোমাকে মানুষ হইতে রক্ষা করিবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ কাফির সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না। (৫:৬৭)
আমি এই কল্যাণময় কিতাব নাযিল করিয়াছি যাহা উহার পূর্বেকার কিতাবের প্রত্যায়নকারী এবং যাহা দ্বারা তুমি মক্কা ও উহার চতুষ্পার্শ্বের লোকদেরকে সতর্ক কর। যাহারা আখিরাতে বিশ্বাস করে তাহারা উহাতে বিশ্বাস করে এবং তাহারা তাহাদের সালাতের হিফাযত করে। (৬:৯২)
আল্লাহ্ অবতীর্ণ করিয়াছেন উত্তম বাণী সম্বলিত কিতাব যাহা সুসমঞ্জস এবং যাহা পুনঃ পুনঃ আবৃত্তি করা হয়। ইহাতে, যাহারা তাহাদের প্রতিপালককে ভয় করে, তাহাদের গাত্র রোমাঞ্চিত হয়, অতঃপর তাহাদের দেহমন বিনম্র হইয়া আল্লাহ্র স্মরণে ঝুঁকিয়া পড়ে। ইহাই আল্লাহ্র পথনির্দেশ, তিনি উহা দ্বারা যাহাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করেন। আল্লাহ্ যাহাকে বিভ্রান্ত করেন তাহার কোন পথপ্রদর্শক নাই। (৩৯:২৩)
এইগুলি আল্লাহ্র আয়াত, যাহা আমি তোমার নিকট তিলাওয়াত করিতেছি যথাযথভাবে। সুতরাং আল্লাহ্র এবং তাঁহার আয়াতের পরিবর্তে উহারা আর কোন্ বাণীতে বিশ্বাস করিবে? (৪৫:৬)
ইহার পর আমি তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি দীনের বিশেষ বিধানের উপর; সুতরাং তুমি উহার অনুসরণ কর, অজ্ঞদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করিও না। (৪৫:১৮)
আল্লাহ্র মুকাবিলায় উহারা তোমার কোনই উপকার করিতে পারিবে না; জালিমরা তো একে অপরের বন্ধু; আর আল্লাহ্ মুত্তাকীদের বন্ধু। (৪৫:১৯)
এই কুরআন মানবজাতির জন্য সুস্পষ্ট দলীল এবং নিশ্চিত বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য পথনির্দেশ ও রহমত। (৪৫:২০)
যাহারা কুফরী করে এবং অপরকে আল্লাহ্র পথ হইতে নিবৃত্ত করে তিনি তাহাদের কর্ম ব্যর্থ করিয়া দেন। (৪৭:১)
যাহারা ঈমান আনে, সৎকর্ম করে এবং মুহাম্মাদের প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাতে বিশ্বাস করে, আর উহাই তাহাদের প্রতিপালক হইতে প্রেরিত সত্য, তিনি তাহাদের মন্দ কর্মগুলি বিদূরিত করিবেন এবং তাহাদের অবস্থা ভাল করিবেন। (৪৭:২)
ইহা এইজন্য যে, যাহারা কুফরী করে তাহারা মিথ্যার অনুসরণ করে এবং যাহারা ঈমান আনে তাহারা তাহাদের প্রতিপালক-প্রেরিত সত্যের অনুসরণ করে। এইভাবে আল্লাহ্ মানুষের জন্য তাহাদের দৃষ্টান্ত প্রদান করেন। (৪৭:৩)
আমি কসম করিতেছি উহার, যাহা তোমরা দেখিতে পাও, (৬৯:৩৮)
এবং যাহা তোমরা দেখিতে পাও না; (৬৯:৩৯)
নিশ্চয়ই এই কুরআন এক সম্মানিত রাসূলের বহনকৃত বার্তা। (৬৯:৪০)
ইহা কোন কবির রচনা নয়; তোমরা অল্পই বিশ্বাস কর, (৬৯:৪১)
ইহা কোন গণকের কথাও নয়, তোমরা অল্পই অনুধাবন কর। (৬৯:৪২)
ইহা জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট হইতে অবতীর্ণ। (৬৯:৪৩)
সে যদি আমার নামে কোন কথা রচনা করিয়া চালাইতে চেষ্টা করিত, (৬৯:৪৪)
আমি অবশ্যই তাহার দক্ষিণ হস্ত ধরিয়া ফেলিতাম, (৬৯:৪৫)
এবং কাটিয়া দিতাম তাহার জীবন-ধমনী, (৬৯:৪৬)
অতঃপর তোমাদের মধ্যে এমন কেহই নাই, যে তাহাকে রক্ষা করিতে পারে। (৬৯:৪৭)
এই কুরআন মুত্তাকীদের জন্য অবশ্যই এক উপদেশ। (৬৯:৪৮)