নিঃসন্দেহে ইসলামই আল্লাহ্র নিকট একমাত্র দীন। যাহাদেরকে কিতাব দেওয়া হইয়াছিল তাহারা পরস্পর বিদ্বেষবশত তাহাদের নিকট জ্ঞান আসিবার পর মতানৈক্য ঘটাইয়াছিল। আর কেহ আল্লাহ্র নিদর্শনকে অস্বীকার করিলে আল্লাহ্ তো হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত তৎপর। (৩:১৯)
তাহারা কি চাহে আল্লাহ্র দীনের পরিবর্তে অন্য দীন? যখন আকাশে ও পৃথিবীতে যাহা কিছু রহিয়াছে সমস্তই স্বেচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় তাঁহার নিকট আত্মসমর্পণ করিয়াছে! আর তাঁহার দিকেই তাহারা প্রত্যানীত হইবে। (৩:৮৩)
কেহ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দীন গ্রহণ করিতে চাহিলে তাহা কখনও কবূল করা হইবে না এবং সে হইবে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত। (৩:৮৫)
তাহার অপেক্ষা দীনে কে উত্তম, যে সৎকর্মপরায়ণ হইয়া আল্লাহ্র নিকট আত্মসমর্পণ করে এবং একনিষ্ঠভাবে ইব্রাহীমের ধর্মাদর্শ অনুসরণ করে? এবং আল্লাহ্ ইব্রাহীমকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করিয়াছেন। (৪:১২৫)
তোমাদের জন্য হারাম করা হইয়াছে মৃত জন্তু, রক্ত, শূকর-মাংস, আল্লাহ্ ব্যতীত অপরের নামে যবেহ্কৃত পশু আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু, পতনে মৃত জন্তু, শৃংগাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তু; তবে যাহা তোমরা যবেহ্ করিতে পারিয়াছ তাহা ব্যতীত, আর যাহা মূর্তি পূজার বেদীর উপর বলি দেওয়া হয় তাহা এবং জুয়ার তীর দ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা এই সব পাপকাজ। আজ কাফিররা তোমাদের দীনের বিরুদ্ধাচরণে হতাশ হইয়াছে; সুতরাং তাহাদেরকে ভয় করিও না, শুধু আমাকে ভয় কর। আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাংগ করিলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন মনোনীত করিলাম। তবে কেহ পাপের দিকে না ঝুঁকিয়া ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হইলে তখন আল্লাহ্ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৫:৩)
বল, ‘আমার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়াছেন ন্যায়বিচারের।’ প্রত্যেকে সালাতে তোমাদের লক্ষ্য স্থির রাখিবে এবং তাঁহারই আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হইয়া একনিষ্ঠভাবে তাঁহাকে ডাকিবে। তিনি যেভাবে প্রথমে তোমাদেরকে সৃষ্টি করিয়াছেন। তোমরা সেইভাবে ফিরিয়া আসিবে। (৭:২৯)
মুশরিকরা অপ্রীতিকর মনে করিলেও অপর সমস্ত দীনের উপর জয়যুক্ত করিবার জন্য তিনিই পথনির্দেশ ও সত্য দীনসহ তাঁহার রাসূল প্রেরণ করিয়াছেন। (৯:৩৩)
আর উহাও এই যে, ‘তুমি একনিষ্ঠভাবে দীনে প্রতিষ্ঠিত হও এবং কখনও মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হইও না, (১০:১০৫)
নিদর্শনাবলী দেখিবার পর উহাদের মনে হইল যে, তাহাকে কিছু কালের জন্য কারারুদ্ধ করিতেই হইবে। (১২:৩৫)
ইউসুফ বলিল, ‘তোমাদেরকে যে খাদ্য দেওয়া হ্য় তাহা আসিবার পূর্বেই আমি তোমাদেরকে স্বপ্নের তাৎপর্য জানাইয়া দিব। আমি যাহা তোমাদেরকে বলিব তাহা, আমার প্রতিপালক আমাকে যাহা শিক্ষা দিয়াছেন তাহা হইতে বলিব। যে সম্প্রদায় আল্লাহে্ বিশ্বাস করে না এবং আখিরাতে অবিশ্বাসী আমি তাহাদের মতবাদ বর্জন করিয়াছি। (১২:৩৭)
উহাদের বৃত্তান্তে বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য আছে শিক্ষা। ইহা এমন বাণী যাহা মিথ্যা রচনা নয়। কিন্তু মু’মিনদের জন্য ইহা পূর্বগ্রন্থে যাহা আছে তাহার প্রত্যয়ন এবং সমস্ত কিছুর বিশদ বিবরণ, হিদায়াত ও রহমত। (১২:১১১)
আমি তো তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছি যাহারা এ বিষয়ে মতভেদ করে তাহাদেরকে সুস্পষ্টভাবে বুঝাইয়া দিবার জন্য এবং মু’মিনদের জন্য পথনির্দেশ ও দয়াস্বরূপ। (১৬:৬৪)
সেই দিন আমি উত্থিত করিব প্রত্যেক সম্প্রদায়ে তাহাদেরই মধ্য হইতে তাহাদের বিষয়ে এক একজন সাক্ষী এবং তোমাকে আমি আনিব সাক্ষীরূপে ইহাদের বিষয়ে। আমি আত্ম-সমর্পণকারীদের জন্য প্রত্যেক বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যাস্বরূপ, পথনির্দেশ, দয়া ও সুসংবাদস্বরূপ তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করিলাম। (১৬:৮৯)
নিশ্চয়ই এই কুরআন হিদায়াত করে সেই পথের দিকে যাহা সুদৃঢ় এবং সৎকর্মপরায়ণ মু’মিনদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, তাহাদের জন্য রহিয়াছে মহাপুরস্কার। (১৭:৯)
এবং যাহারা আখিরাতে ঈমান আনে না তাহাদের জন্য প্রস্তুত রাখিয়াছি মর্মন্তুদ শাস্তি। (১৭:১০)
যখন উহাদের নিকট আসে পথনির্দেশ তখন লোকদেরকে ঈমান আনা হইতে বিরত রাখে উহাদের এই উক্তি, ‘আল্লাহ্ কি মানুষকে রাসূল করিয়া পাঠাইয়াছেন?’ (১৭:৯৪)
মানুষের মধ্যে কেহ কেহ আল্লাহ্ সম্বন্ধে বিতন্ডা করে; তাহাদের না আছে জ্ঞান, না আছে পথনির্দেশ, না আছে কোন দীপ্তিমান কিতাব। (২২:৮)
তা-সীন; এইগুলি আয়াত আল-কুরআনের এবং সুস্পষ্ট কিতাবের; (২৭:১)
পথনির্দেশ ও সুসংবাদ মু’মিনদের জন্য। (২৭:২)
যাহারা সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয় আর তাহারাই আখিরাতে নিশ্চিত বিশ্বাসী। (২৭:৩)
বনী ইসরাঈল যেই সমস্ত বিষয়ে মতভেদ করে, এই কুরআন তাহার অধিকাংশ তাহাদের নিকট বিবৃত করে। (২৭:৭৬)
এবং নিশ্চয়ই ইহা মু’মিনদের জন্য হিদায়াত ও রহমত। (২৭:৭৭)
আলিফ-লাম-মীম; (৩১:১)
এইগুলি জ্ঞানগর্ভ কিতাবের আয়াত, (৩১:২)
পথনির্দেশ ও দয়াস্বরূপ সৎকর্মপরায়ণদের জন্য; (৩১:৩)
যাহারা সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয়, আর তাহারাই আখিরাতে নিশ্চিত বিশ্বাসী; (৩১:৪)
যাহাদেরকে জ্ঞান দেওয়া হইয়াছে তাহারা জানে যে, তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমার প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাই সত্য; ইহা পরাক্রমশালী প্রশংসার্হ আল্লাহ্র পথনির্দেশ করে। (৩৪:৬)
বল, ‘আমি তো আদিষ্ট হইয়াছি, আল্লাহ্র আনুগত্যে একনিষ্ঠ হইয়া তাঁহার ‘ইবাদত করিতে; (৩৯:১১)
‘আর আদিষ্ট হইয়াছি, আমি যেন আত্মসমর্পণকারীদের অগ্রণী হই।’ (৩৯:১২)
বল, ‘আমি ‘ইবাদত করি আল্লাহ্রই তাঁহার প্রতি আমার আনুগত্যকে একনিষ্ঠ রাখিয়া। (৩৯:১৪)
যাহারা মনোযোগ সহকারে কথা শুনে এবং উহার মধ্যে যাহা উত্তম তাহা গ্রহণ করে। উহাদেরকে আল্লাহ্ সৎপথে পরিচালিত করেন এবং উহারাই বোধশক্তিসম্পন্ন। (৩৯:১৮)
আল্লাহ্ ইসলামের জন্য যাহার বক্ষ উন্মুক্ত করিয়া দিয়াছেন এবং তাহার প্রতিপালক-প্রদত্ত আলোতে রহিয়াছে, সে কি তাহার সমান যে এরূপ নয়? দুর্ভোগ সেই কঠোরহৃদয় ব্যক্তিদের জন্য যাহারা আল্লাহ্র স্মরণে পরাঙ্মুখ! উহারা স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে আছে। (৩৯:২২)
আল্লাহ্ অবতীর্ণ করিয়াছেন উত্তম বাণী সম্বলিত কিতাব যাহা সুসামঞ্জস্য এবং যাহা পুনঃ পুনঃ আবৃত্তি করা হয়। ইহাতে, যাহারা তাহাদের প্রতিপালককে ভয় করে, তাহাদের গাত্র রোমাঞ্চিত হয়, অতঃপর তাহাদের দেহমন বিনম্র হইয়া আল্লাহ্র স্মরণে ঝুঁকিয়া পড়ে। ইহাই আল্লাহ্র পথনির্দেশ, তিনি উহা দ্বারা যাহাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করেন। আল্লাহ্ যাহাকে বিভ্রান্ত করেন তাহার কোন পথপ্রদর্শক নাই। (৩৯:২৩)
আমি তোমার প্রতি সত্যসহ কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছি মানুষের জন্য; অতঃপর যে সৎপথ অবলম্বন করে সে তাহা করে নিজেরই কল্যাণের জন্য এবং যে বিপথগামী হয় সে তো বিপথগামী হয় নিজেরই ধ্বংসের জন্য এবং তুমি উহাদের তত্ত্বাবধায়ক নও। (৩৯: ৪১)
‘তোমাদের প্রতিপালক সম্বন্ধে তোমাদের এই ধারণাই তোমাদের ধ্বংস আনিয়াছে। ফলে তোমরা হইয়াছ ক্ষতিগ্রস্ত।’ (৪১:২৩)
এখন উহারা ধৈর্য ধারণ করিলেও জাহান্নামই হইবে উহাদের আবাস এবং উহারা অনুগ্রহ চাহিলেও উহারা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হইবে না। (৪১:২৪)
এইভাবে আমি তোমার প্রতি প্রত্যাদেশ করিয়াছি রূহ্ তথা আমার নির্দেশ; তুমি তো জানিতে না কিতাব কি এবং ঈমান কি। পক্ষান্তরে আমি ইহাকে করিয়াছি আলো যাহা দ্বারা আমি আমার বান্দাদের মধ্যে যাহাকে ইচ্ছা পথনির্দেশ করি; তুমি তো প্রদর্শন কর কেবল সরল পথ- (৪২:৫২)
সেই আল্লাহ্র পথ যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যাহা কিছু আছে তাহার মালিক। জানিয়া রাখ, সকল বিষয়ের পরিণাম আল্লাহ্রই দিকে প্রত্যাবর্তন করে। (৪২:৫৩)
এই কুরআন সৎপথের দিশারী; যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের নিদর্শনাবলী প্রত্যাখ্যান করে, উহাদের জন্য রহিয়াছে অতিশয় মর্মন্তুদ শাস্তি। (৪৫:১১)
এই কুরআন মানবজাতির জন্য সুস্পষ্ট দলীল এবং নিশ্চিত বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য পথনির্দেশ ও রহমত। (৪৫:২০)
তিনিই তাঁহার রাসূলকে পথনির্দেশ ও সত্য দীনসহ প্রেরণ করিয়াছেন, অপর সমস্ত দীনের উপর ইহাকে জয়যুক্ত করিবার জন্য। আর সাক্ষী হিসাবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট। (৪৮:২৮)
এইগুলি কতক নামমাত্র যাহা তোমাদের পূর্বপুরুষগণ ও তোমরা রাখিয়াছ, যাহার সমর্থনে আল্লাহ্ কোন দলীল প্রেরণ করেন নাই। তাহারা তো অনুমান এবং নিজেদের প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে, অথচ তাহাদের নিকট তাহাদের প্রতিপালকের পথনির্দেশ আসিয়াছে। (৫৩:২৩)
তিনিই তাঁহার রাসূলকে প্রেরণ করিয়াছেন হিদায়াত ও সত্য দীনসহ সকল দীনের উপর উহাকে বিজয়ী করার জন্য, যদিও মুশরিকরা উহা অপসন্দ করে। (৬১:৯)
বল, ‘আমার প্রতি ওহী প্রেরিত হইয়াছে যে, জিনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করিয়াছে এবং বলিয়াছে, ‘আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করিয়াছি, (৭২:১)
‘যাহা সঠিক পথনির্দেশ করে; ফলে আমরা ইহাতে বিশ্বাস স্থাপন করিয়াছি। আমরা কখনও আমাদের প্রতিপালকের কোন শরীক স্থির করিব না, (৭২:২)
এবং তুমি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দীনে প্রবেশ করিতে দেখিবে। (১১০:২)