রামাযান মাস, ইহাতে মানুষের দিশারী এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কুরআন অবতীর্ণ হইয়াছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যাহারা এই মাস পাইবে তাহারা যেন এই মাসে সিয়াম পালন করে। এবং কেহ পীড়িত থাকিলে কিংবা সফরে থাকিলে অন্য সময় এই সংখ্যা পূরণ করিবে। আল্লাহ্ তোমাদের জন্য যাহা সহজ তাহা চাহেন এবং যাহা তোমাদের জন্য কষ্টকর তাহা চাহেন না এইজন্য যে, তোমরা সংখ্যা পূর্ণ করিবে এবং তোমাদের কে সৎপথে পরিচালিত করিবার কারণে তোমরা আল্লাহ্র মহিমা ঘোষণা করিবে এবং যাহাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিতে পার। (২:১৮৫)
যদি তাহারা তোমাদের আহ্বানে সাড়া না দেয় তবে জানিয়া রাখ, ইহা তো আল্লাহ্র ইল্ম মুতাবিক অবতীর্ণ এবং তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নাই। তাহা হইলে তোমরা আত্মসমর্পণকারী হইবে কি? (১১:১৪)
আমিই কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি এবং অবশ্য আমিই উহার সংরক্ষক। (১৫:৯)
সেই দিন আমি উত্থিত করিব প্রত্যেক সম্প্রদায়ে তাহাদেরই মধ্য হইতে তাহাদের বিষয়ে এক একজন সাক্ষী এবং তোমাকে আমি আনিব সাক্ষীরূপে ইহাদের বিষয়ে। আমি আত্ম-সমর্পণকারীদের জন্য প্রত্যেক বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যাস্বরূপ, পথনির্দেশ, দয়া ও সুসংবাদস্বরূপ তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করিলাম। (১৬:৮৯)
আমি কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি খন্ড খন্ডভাবে যাহাতে তুমি উহা মানুষের নিকট পাঠ করিতে পার ক্রমে ক্রমে এবং আমি উহা ক্রমশ অবতীর্ণ করিয়াছি। (১৭:১০৬)
ইহা কল্যাণময় উপদেশ; আমি ইহা অবতীর্ণ করিয়াছি। তবুও কি তোমরা ইহাকে অস্বীকার কর? (২১:৫০)
কাফিররা বলে, ‘সমগ্র কুরআন তাহার নিকট একবার অবতীর্ণ হইল না কেন? এইভাবেই আমি অবতীর্ণ করিয়াছি তোমার হৃদয়কে উহা দ্বারা মযবুত করিবার জন্য এবং তাহা ক্রমে ক্রমে স্পষ্টভাবে আবৃত্তি করিয়াছি। (২৫:৩২)
নিশ্চয়ই আল-কুরআন জগতসমূহের প্রতিপালক হইতে অবতীর্ণ। (২৬:১৯২)
জিব্রাঈল ইহা লইয়া অবতরণ করিয়াছে (২৬:১৯৩)
তোমার হৃদয়ে, যাহাতে তুমি সতর্ককারী হইতে পার। (২৬:১৯৪)
অবতীর্ণ করা হইয়াছে সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়। (২৬:১৯৫)
পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে অবশ্যই ইহার উল্লেখ আছে। (২৬:১৯৬)
বনী ইস্রাঈলের পন্ডিতগণ ইহা অবগত আছে-ইহা কি উহাদের জন্য নিদর্শন নহে? (২৬:১৯৭)
আমি যদি ইহা কোন আ‘জামীর প্রতি অবতীর্ণ করিতাম (২৬:১৯৮)
এবং উহা সে উহাদের নিকট পাঠ করিত, তবে উহারা উহাতে ঈমান আনিত না; (২৬:১৯৯)
শয়তানেরা উহাসহ অবতীর্ণ হয় নাই। (২৬:২১০)
উহারা এই কাজের যোগ্য নয় এবং উহারা ইহার সামর্থ্যও রাখে না। (২৬:২১১)
উহাদেরকে তো শ্রবণের সুযোগ হইতে দূরে রাখা হইয়াছে। (২৬:২১২)
এইভাবেই আমি তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি এবং যাহাদেরকে আমি কিতাব দিয়াছিলাম তাহারা ইহাতে বিশ্বাস করে। আর ইহাদেরও কেহ কেহ ইহাতে বিশ্বাস করে। কেহ অস্বীকার করে না আমার নিদর্শনাবলী কাফির ব্যতীত। (২৯:৪৭)
তুমি তো ইহার পূর্বে কোন কিতাব পাঠ কর নাই এবং স্বহস্তে কোন কিতাব লিখ নাই যে, মিথ্যাচারীরা সন্দেহ পোষণ করিবে। (২৯:৪৮)
ইহা কি উহাদের জন্য যথেষ্ট নয় যে, আমি তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি, যাহা উহাদের নিকট পাঠ করা হয়? ইহাতে অবশ্যই অনুগ্রহ ও উপদেশ রহিয়াছে সেই কওমের জন্য যাহারা ঈমান আনে। (২৯:৫১)
আমি তো আসমান, যমীন ও পর্বতমালার প্রতি এই আমানত পেশ করিয়াছিলাম, উহারা ইহা বহন করিতে অস্বীকার করিল এবং উহাতে শংকিত হইল, কিন্তু মানুষ উহা বহন করিল; সে তো অতিশয় জালিম, অতিশয় অজ্ঞ। (৩৩:৭২)
আমি তোমার নিকট এই কিতাব সত্যসহ অবতীর্ণ করিয়াছি। সুতরাং আল্লাহ্র ‘ইবাদত কর তাঁহার আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হইয়া। (৩৯:২)
আল্লাহ্ অবতীর্ণ করিয়াছেন উত্তম বাণী সম্বলিত কিতাব যাহা সুসমঞ্জস এবং যাহা পুনঃ পুনঃ আবৃত্তি করা হয়। ইহাতে, যাহারা তাহাদের প্রতিপালককে ভয় করে, তাহাদের গাত্র রোমাঞ্চিত হয়, অতঃপর তাহাদের দেহমন বিনম্র হইয়া আল্লাহ্র স্মরণে ঝুঁকিয়া পড়ে। ইহাই আল্লাহ্র পথনির্দেশ, তিনি উহা দ্বারা যাহাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করেন। আল্লাহ্ যাহাকে বিভ্রান্ত করেন তাহার কোন পথপ্রদর্শক নাই। (৩৯:২৩)
এইভাবে আমি তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি আরবী ভাষায়, যাহাতে তুমি সতর্ক করিতে পার মক্কা ও উহার চতুর্দিকের জনগণকে এবং সতর্ক করিতে পার কিয়ামত দিবস সম্পর্কে, যাহাতে কোন সন্দেহ নাই। সেদিন একদল জান্নাতে প্রবেশ করিবে এবং একদল জাহান্নামে প্রবেশ করিবে। (৪২:৭)
শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের। (৪৪:২)
আমি তো ইহা অবতীর্ণ করিয়াছি এক মুবারক রজনীতে; আমি তো সতর্ককারী। (৪৪:৩)
এই রজনীতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়, (৪৪:৪)
যাহারা ঈমান আনে, সৎকর্ম করে এবং মুহাম্মাদের প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাতে বিশ্বাস করে, আর উহাই তাহাদের প্রতিপালক হইতে প্রেরিত সত্য, তিনি তাহাদের মন্দ কর্মগুলি বিদূরিত করিবেন এবং তাহাদের অবস্থা ভাল করিবেন। (৪৭:২)
আমি শপথ করিতেছি নক্ষত্ররাজির অস্তাচলের, (৫৬:৭৫)
অবশ্যই ইহা এক মহাশপথ, যদি তোমরা জানিতে- (৫৬:৭৬)
নিশ্চয়ই ইহা সম্মানিত কুরআন, (৫৬:৭৭)
যাহা আছে সুরক্ষিত কিতাবে। (৫৬:৭৮)
যাহারা পূত-পবিত্র তাহারা ব্যতীত অন্য কেহ তাহা স্পর্শ করে না। (৫৬:৭৯)
ইহা জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট হইতে অবতীর্ণ। (৫৬:৮০)
আমি কসম করিতেছি উহার, যাহা তোমরা দেখিতে পাও, (৬৯:৩৮)
এবং যাহা তোমরা দেখিতে পাও না; (৬৯:৩৯)
নিশ্চয়ই এই কুরআন এক সম্মানিত রাসূলের বহনকৃত বার্তা। (৬৯:৪০)
ইহা কোন কবির রচনা নয়; তোমরা অল্পই বিশ্বাস কর, (৬৯:৪১)
ইহা কোন গণকের কথাও নয়, তোমরা অল্পই অনুধাবন কর। (৬৯:৪২)
ইহা জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট হইতে অবতীর্ণ। (৬৯:৪৩)
সে যদি আমার নামে কোন কথা রচনা করিয়া চালাইতে চেষ্টা করিত, (৬৯:৪৪)
আমি অবশ্যই তাহার দক্ষিণ হস্ত ধরিয়া ফেলিতাম, (৬৯:৪৫)
এবং কাটিয়া দিতাম তাহার জীবন-ধমনী, (৬৯:৪৬)
অতঃপর তোমাদের মধ্যে এমন কেহই নাই, যে তাহাকে রক্ষা করিতে পারে। (৬৯:৪৭)
এই কুরআন মুত্তাকীদের জন্য অবশ্যই এক উপদেশ। (৬৯:৪৮)
আমি অবশ্যই জানি যে, তোমাদের মধ্যে মিথ্যা আরোপকারী রহিয়াছে। (৬৯:৪৯)
এবং এই কুরআন নিশ্চয়ই কাফিরদের অনুশোচনার কারণ হইবে, (৬৯:৫০)
অবশ্যই ইহা নিশ্চিত সত্য। (৬৯:৫১)
অতএব তুমি মহান প্রতিপালকের নামের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর। (৬৯:৫২)
আমি তো তোমাদের প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি ক্রমে ক্রমে। (৭৬:২৩)
সুতরাং ধৈর্যের সঙ্গে তুমি তোমার প্রতিপালকের নির্দেশের প্রতীক্ষা কর এবং উহাদের মধ্যে যে পাপিষ্ঠ অথবা কাফির তাহার আনুগত্য করিও না। (৭৬:২৪)
বস্তুত ইহা সম্মানিত কুরআন, (৮৫:২১)
সংরক্ষিত ফলকে লিপিবদ্ধ। (৮৫:22)
নিশ্চয় আমি কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি মহিমান্বিত রজনীতে; (৯৭:১)
আর মহিমান্বিত রজনী সম্বন্ধে তুমি কী জান? (৯৭:২)
মহিমান্বিত রজনী সহস্র মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। (৯৭:৩)
সেই রাত্রিতে ফিরিশতাগণ ও রূহ্ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাহাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। (৯৭:৪)
শান্তিই শান্তি, সেই রজনী ঊষার আবির্ভাব পর্যন্ত। (৯৭:৫)