ইহা সেই কিতাব; ইহাতে কোন সন্দেহ নাই, মুত্তাকীদের জন্য ইহা পথ-নির্দেশ, (২:২)
এবং তাহারা লা‘নতগ্রস্ত হইয়াছিল তাহাদের কুফরীর জন্য ও মার্ইয়ামের বিরুদ্ধে গুরুতর অপবাদের জন্য, (৪:১৫৬)
হে মানবমন্ডলী! রাসূল তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে সত্য আনিয়াছে; সুতরাং তোমারা ঈমান আন, ইহা তোমাদের জন্য কল্যাণকর হইবে। তোমরা অস্বীকার করিলেও আসমান ও যমীনে যাহা আছে সব আল্লাহ্রই এবং আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (৪:১৭০)
যাহারা আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনে ও তাঁহাকে দৃঢ়ভাবে অবলম্বন করে তাহাদেরকে তিনি অবশ্যই তাঁহার দয়া ও অনুগ্রহের মধ্যে দাখিল করিবেন এবং তাহাদের কে সরল পথে তাঁহার দিকে পরিচালিত করিবেন। (৪:১৭৫)
এই কুরআন আল্লাহ্ ব্যতীত অপর কাহারও রচনা নয়। পক্ষান্তরে, ইহার পূর্বে যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে ইহা তাহার সমর্থন এবং ইহা বিধানসমূহের বিশদ ব্যাখ্যা। ইহাতে কোন সন্দেহ নাই যে, ইহা জগতসমূহের প্রতিপালকের পক্ষ হইতে। (১০:৩৭)
বল, ‘হে মানুষ! তোমরা যদি আমার দীনের প্রতি সংশয়যুক্ত হও তবে জানিয়া রাখ, তোমরা আল্লাহ্ ব্যতীত যাহাদের ‘ইবাদত কর আমি উহাদের ‘ইবাদত করি না। পরন্তু আমি ‘ইবাদত করি আল্লাহ্র যিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটান এবং আমি মু’মিনদের অন্তর্ভুক্ত হইবার জন্য আদিষ্ট হইয়াছি, (১০:১০৪)
যদি তাহারা তোমাদের আহ্বানে সাড়া না দেয় তবে জানিয়া রাখ, ইহা তো আল্লাহ্র ইল্ম মুতাবিক অবতীর্ণ এবং তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নাই। তাহা হইলে তোমরা আত্মসমর্পণকারী হইবে কি? (১১:১৪)
তাহারা কি উহাদের সমতুল্য যাহারা প্রতিষ্ঠিত উহাদের প্রতিপালক-প্রেরিত স্পষ্ট প্রমাণের উপর, যাহার অনুসরণ করে তাঁহার প্রেরিত সাক্ষী এবং যাহার পূর্বে ছিল মূসার কিতাব আদর্শ ও অনুগ্রহস্বরূপ? উহারাই ইহাতে বিশ্বাসী। অন্যান্য দলের যাহারা ইহাকে অস্বীকার করে, দোযখই তাহাদের প্রতিশ্রুত স্থান। সুতরাং তুমি ইহাতে সন্দিগ্ধ হইও না। ইহা তো তোমার প্রতিপালক-প্রেরিত সত্য, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করে না। (১১:১৭)
আলিফ্-লাম-মীম্-রা, এইগুলি কুরআনের আয়াত, যাহা তোমার প্রতিপালক হইতে তোমার প্রতি অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাই সত্য; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ ইহাতে ঈমান আনে না। (১৩:১)
আমি সত্যসহই কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি এবং উহা সত্যসহই অবতীর্ণ হইয়াছে। আমি তো তোমাকে কেবল সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করিয়াছি। (১৭:১০৫)
এই কিতাব জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট হইতে অবতীর্ণ, ইহাতে কোন সন্দেহ নাই। (৩২:২)
আমি তোমার প্রতি যে কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছি তাহা সত্য, ইহা পূর্ববর্তী কিতাবের প্রত্যায়নকারী। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাঁহার বান্দাদের সমস্ত কিছু জানেন ও দেখেন। (৩৫:৩১)
বরং সে তো সত্য লইয়া আসিয়াছে এবং সে রাসূলদেরকে সত্য বলিয়া স্বীকার করিয়াছে। (৩৭:৩৭)
আল্লাহ্ই অবতীর্ণ করিয়াছেন সত্যসহ কিতাব এবং তুলাদন্ড। তুমি কি জান, সম্ভবত কিয়ামত আসন্ন? (৪২:১৭)
আমি কসম করিতেছি উহার, যাহা তোমরা দেখিতে পাও, (৬৯:38)
এবং যাহা তোমরা দেখিতে পাও না; (৬৯:৩৯)
নিশ্চয়ই এই কুরআন এক সম্মানিত রাসূলের বহনকৃত বার্তা। (৬৯:৪০)
ইহা কোন কবির রচনা নয়; তোমরা অল্পই বিশ্বাস কর, (৬৯:৪১)
ইহা কোন গণকের কথাও নয়, তোমরা অল্পই অনুধাবন কর। (৬৯:৪২)
ইহা জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট হইতে অবতীর্ণ। (৬৯:৪৩)
সে যদি আমার নামে কোন কথা রচনা করিয়া চালাইতে চেষ্টা করিত, (৬৯:৪৪)
আমি অবশ্যই তাহার দক্ষিণ হস্ত ধরিয়া ফেলিতাম, (৬৯:৪৫)
এবং কাটিয়া দিতাম তাহার জীবন-ধমনী, (৬৯:৪৬)
অতঃপর তোমাদের মধ্যে এমন কেহই নাই, যে তাহাকে রক্ষা করিতে পারে। (৬৯:৪৭)
এই কুরআন মুত্তাকীদের জন্য অবশ্যই এক উপদেশ। (৬৯:৪৮)
আমি অবশ্যই জানি যে, তোমাদের মধ্যে মিথ্যা আরোপকারী রহিয়াছে। (৬৯:৪৯)
এবং এই কুরআন নিশ্চয়ই কাফিরদের অনুশোচনার কারণ হইবে, (৬৯:৫০)
অবশ্যই ইহা নিশ্চিত সত্য। (৬৯:৫১)
অতএব তুমি মহান প্রতিপালকের নামের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর। (৬৯:৫২)