আমি যাহা অবতীর্ণ করিয়াছি তোমরা তাহাতে ঈমান আন। ইহা তোমাদের নিকট যাহা আছে উহার প্রত্যায়নকারী। আর তোমরাই উহার প্রথম প্রত্যাখ্যানকারী হইও না এবং আমার আয়াতের বিনিময়ে তুচ্ছ মূল্য গ্রহণ করিও না। তোমরা শুধু আমাকে ভয় কর। (২:৪১)
তাহাদের নিকট যাহা আছে আল্লাহ্র নিকট হইতে যখন তাহার প্রত্যায়নকারী কিতাব আসিল; যদিও পূর্বে সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের বিরুদ্ধে তাহারা ইহার সাহায্যে বিজয় প্রার্থনা করিত, তবুও তাহারা যাহা জ্ঞাত ছিল উহা যখন তাহাদের নিকট আসিল তখন তাহারা উহা প্রত্যাখ্যান করিল। সুতরাং কাফিরদের প্রতি আল্লাহ্র লা‘নত। (২:৮৯)
এবং যখন তাহাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহাতে ঈমান আনয়ন কর’, তাহারা বলে, ‘আমাদের প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে আমরা তাহাতে বিশ্বাস করি।’ অথচ তাহা ব্যতীত সব কিছুই তাহারা প্রত্যাখ্যান করে, যদিও উহা সত্য এবং যাহা তাহাদের নিকট আছে তাহার প্রত্যায়নকারী। বল, ‘যদি তোমরা মু’মিন হইতে তবে কেন তোমরা অতীতে আল্লাহ্র নবীগণকে হত্যা করিয়াছিলে?’ (২:৯১)
বল, ‘যে কেহ জিব্রীলের শত্রু এইজন্য যে, সে আল্লাহ্র নির্দেশে তোমার হৃদয়ে কুরআন পৌঁছাইয়া দিয়াছে, যাহা উহার পূর্ববর্তী কিতাবের সমর্থক এবং যাহা মু’মিনদের জন্য পথপ্রদর্শক ও শুভ সংবাদ’ (২:৯৭)
যখন আল্লাহ্র পক্ষ হইতে তাহাদের নিকট রাসূল আসিল, যে তাহাদের নিকট যাহা রহিয়াছে উহার প্রত্যায়নকারী, তখন যাহাদেরকে কিতাব দেওয়া হইয়াছিল তাহাদের একদল আল্লাহ্র কিতাবটিকে পশ্চাতে নিক্ষেপ করিল, যেন তাহারা জানে না। (২:১০১)
তোমরা বল, ‘আমরা আল্লাহ্তে ঈমান রাখি, এবং যাহা আমাদের প্রতি এবং ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়া‘কূব ও তাহার বংশধরগণের প্রতি অবতীর্ণ হইয়াছে; এবং যাহা তাহাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে মূসা, ‘ঈসা ও অন্যান্য নবীকে দেওয়া হইয়াছে; আমরা তাহাদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না এবং আমরা তাঁহারই নিকট আত্মসমর্পণকারী।’ (২:১৩৬)
তিনি সত্যসহ তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছেন, যাহা উহার পূর্বের কিতাবের সমর্থক। আর তিনি অবতীর্ণ করিয়াছেন তাওরাত ও ইনজীল- (৩:৩)
দেখ, তোমরাই তাহাদের ভালবাস কিন্তু তাহারা তোমাদের ভালবাসে না অথচ তোমরা সমস্ত কিতাবে ঈমান রাখ আর তাহারা যখন তোমাদের সংস্পর্শে আসে তখন বলে, ‘আমরা বিশ্বাস করি; কিন্তু তাহারা যখন একান্তে মিলিত হয় তখন তোমাদের প্রতি আক্রোশে তাহারা নিজেদের অঙ্গুলির অগ্রভাগ দাঁতে কাটিয়া থাকে। বল, ‘তোমাদের আক্রোশেই তোমরা মর।’ অন্তরে যাহা রহিয়াছে সে সম্বন্ধে আল্লাহ্ সবিশেষ অবহিত। (৩:১১৯)
মার্ইয়াম-তনয় ‘ঈসাকে তাহার পূর্বে অবতীর্ণ তাওরাতের প্রত্যায়নকারীরূপে উহাদের পশ্চাতে প্রেরণ করিয়াছিলাম এবং তাহার পূর্বে অবতীর্ণ তাওরাতের প্রত্যায়নকারীরূপে এবং মুত্তাকীদের জন্য পথনির্দেশ ও উপদেশরূপে তাহাকে ইন্জীল দিয়াছিলাম; উহাতে ছিল পথনির্দেশ ও আলো। (৫:৪৬)
আমি তোমার প্রতি সত্যসহ কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছি ইহার পূর্বে অবতীর্ণ কিতাবের প্রত্যায়নকারী ও সংরক্ষকরূপে। সুতরাং আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তদনুসারে তুমি তাহাদের বিচার নিষ্পত্তি করিও এবং যে সত্য তোমার নিকট আসিয়াছে তাহা ত্যাগ করিয়া তাহাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করিও না। তোমাদের প্রত্যেকের জন্য শরী‘আত ও স্পষ্ট পথ নির্ধারণ করিয়াছি। ইচ্ছা করিলে আল্লাহ্ তোমাদেরকে এক জাতি করিতে পারিতেন, কিন্তু তিনি তেমাদেরকে যাহা দিয়াছেন তদ্দ্বারা তোমাদেরকে পরীক্ষা করিতে চান। সুতরাং সৎকর্মে তোমরা প্রতিযোগিতা কর। আল্লাহ্র দিকেই তোমাদের সকলের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করিতেছিলে, সে সম্বন্ধে তিনি তোমাদেরকে অবহিত করিবেন। (৫:৪৮)
এই কুরআন আল্লাহ্ ব্যতীত অপর কাহারও রচনা নয়। পক্ষান্তরে, ইহার পূর্বে যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে ইহা তাহার সমর্থন এবং ইহা বিধানসমূহের বিশদ ব্যাখ্যা। ইহাতে কোন সন্দেহ নাই যে, ইহা জগতসমূহের প্রতিপালকের পক্ষ হইতে। (১০:৩৭)
উহাদের বৃত্তান্তে বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য আছে শিক্ষা। ইহা এমন বাণী যাহা মিথ্যা রচনা নয়। কিন্তু মু’মিনদের জন্য ইহা পূর্বগ্রন্থে যাহা আছে তাহার প্রত্যয়ন এবং সমস্ত কিছুর বিশদ বিবরণ, হিদায়াত ও রহমত। (১২:১১১)
পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে অবশ্যই ইহার উল্লেখ আছে। (২৬:১৯৬)
ইহার পূর্বে ছিল মূসার কিতাব আদর্শ ও অনুগ্রহস্বরূপ। আর এই কিতাব ইহার প্রত্যায়নকারী, আরবী ভাষায়, যেন ইহা জালিমদেরকে সতর্ক করে এবং যাহারা সৎকর্ম করে তাহাদেরকে সুসংবাদ দেয়। (৪৬:১২)
স্মরণ কর, আমি তোমার প্রতি আকৃষ্ট করিয়াছিলাম একদল জিনকে, যাহারা কুরআন পাঠ শুনিতেছিল। যখন উহারা তাহার নিকট উপস্থিত হইল, উহারা বলিল, ‘চুপ করিয়া শ্রবণ কর।’ যখন কুরআন পাঠ সমাপ্ত হইল উহারা উহাদের সম্প্রদায়ের নিকট ফিরিয়া গেল সতর্ককারীরূপে। (৪৬:২৯)
উহারা বলিয়াছিল, ‘হে আমাদের সম্পদ্রায়! আমরা এমন এক কিতাবের পাঠ শ্রবণ করিয়াছি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে মূসার পরে, ইহা উহার পূর্ববর্তী কিতাবকে প্রত্যয়ন করে এবং সত্য ও সরল পথের দিকে পরিচালিত করে। (৪৬:৩০)
‘হে আমাদের সম্প্রদায়! আল্লাহ্র দিকে আহ্বানকারীর প্রতি সাড়া দাও এবং তাহার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, আল্লাহ্ তোমাদের পাপ ক্ষমা করিবেন এবং মর্মন্তুদ শাস্তি হইতে তোমাদেরকে রক্ষা করিবেন।’ (৪৬:৩১)
স্মরণ কর, মার্ইয়াম-তনয় ‘ঈসা বলিয়াছিল, ‘হে নবী ইস্রাঈল! অবশ্যই আমি তোমাদের নিকট আল্লাহ্র রাসূল এবং আমার পূর্ব হইতে তোমাদের নিকট যে তাওরাত রহিয়াছে আমি তাহার প্রত্যায়ন-কারী এবং আমার পরে আহ্মাদ নামে যে রাসূল আসিবেন আমি তাহার সুসংবাদদাতা। পরে সে যখন স্পষ্ট নিদর্শনসহ উহাদের নিকট আসিল তখন উহারা বলিতে লাগিল, ‘ইহা তো এক স্পষ্ট জাদু।’ (৬১:৬)