ইহা অদৃশ্যলোকের সংবাদ যাহা তোমাকে আমি ওহী দ্বারা অবহিত করিতেছি; ষড়যন্ত্রকালে যখন উহারা মতৈক্যে পৌঁছিয়াছিল, তখন তুমি উহাদের সঙ্গে ছিলে না। (১২:১০২)
তুমি যতই চাও না কেন, অধিকাংশ লোকই বিশ্বাস করিবার নয়। (১২:১০৩)
এবং তুমি তাহাদের নিকট ইহার জন্য কোন পারিশ্রমিক দাবি করিতেছ না। ইহা তো বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ ব্যতীত কিছু নয়। (১২:১০৪)
ইহা মানুষের জন্য এক বার্তা, যাহাতে ইহা দ্বারা উহারা সতর্ক হয় এবং জানিতে পারে যে, তিনি একমাত্র ইলাহ্ এবং যাহাতে বোধশক্তি-সম্পন্নেরা উপদেশ গ্রহণ করে। (১৪:৫২)
কুরআন তো বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ। (৬৮:৫২)
অবশ্যই ইহা নিশ্চিত সত্য। (৬৯:৫১)
অতএব যদি তোমরা কুফরী কর তবে কি করিয়া আত্মরক্ষা করিবে সেই দিন যেই দিনটি কিশোরকে পরিণত করিবে বৃদ্ধে, (৭৩:১৭)
যেই দিন আকাশ হইবে বিদীর্ণ। তাঁহার প্রতিশ্রুতি অবশ্যই বাস্তবায়িত হইবে। (৭৩:১৮)
নিশ্চয়ই ইহা এক উপদেশ, অতএব যে চায় সে তাহার প্রতিপালকের পথ অবলম্বন করুক! (৭৩:১৯)
তোমার প্রতিপালক তো জানেন যে, তুমি জাগরণ কর কখনও রাত্রির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ, কখনও অর্ধাংশ এবং কখনও এক-তৃতীয়াংশ এবং জাগে তোমার সঙ্গে যাহারা আছে তাহাদের একটি দলও এবং আল্লাহ্ই নির্ধারণ করেন দিবস ও রাত্রির পরিমাণ। তিনি জানেন যে, তোমরা ইহা পুরাপুরি পালন করিতে পারিবে না, অতএব আল্লাহ্ তোমাদের প্রতি ক্ষমাপরবশ হইয়াছেন। কাজেই কুরআনের যতটুকু আবৃত্তি করা তোমাদের জন্য সহজ, ততটুকু আবৃত্তি কর। আল্লাহ্ জানেন যে, তোমাদের মধ্যে কেহ কেহ অসুস্থ হইয়া পড়িবে, কেহ কেহ আল্লাহ্র অনুগ্রহ সন্ধানে দেশ ভ্রমণ করিবে এবং কেহ কেহ আল্লাহ্র পথে সংগ্রামে লিপ্ত হইবে। কাজেই তোমরা কুরআন হইতে যতটুকু সহজসাধ্য আবৃ্ত্তি কর। অতএব সালাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহ্কে দাও উত্তম ঋণ। তোমরা তোমাদের নিজেদের মঙ্গলের জন্য ভাল যাহা কিছু অগ্রিম প্রেরণ করিবে তাহা তোমরা পাইবে আল্লাহ্র নিকট। উহা উৎকৃষ্টতর এবং পুরস্কার হিসাবে মহত্তর। আর তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা কর আল্লাহ্র নিকট; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৭৩:২০)
না, ইহা হইবার নয়, কুরআনই সকলের জন্য উপদেশবাণী। (৭৪:৫৪)
আল্লাহ্র ইচ্ছা ব্যতিরেকে কেহ উপদেশ গ্রহণ করিবে না, একমাত্র তিনিই ভয়ের যোগ্য এবং তিনিই ক্ষমা করিবার অধিকারী। (৭৪:৫৬)
শপথ কল্যাণস্বরূপ প্রেরিত বায়ুর, (৭৭:১)
আর প্রলয়ঙ্করী ঝটিকার, (৭৭:২)
শপথ সঞ্চালনকারী বায়ুর, (৭৭:৩)
আর মেঘপুজ্ঞ বিচ্ছিন্নকারী বায়ুর, (৭৭:৪)
এবং শপথ তাহাদের যাহারা মানুষের অন্তরে পৌঁছাইয়া দেয় উপদেশ- (৭৭:৫)
নিশ্চয়ই এই কুরআন সম্মানিত বার্তাবহের আনীত বাণী। (৮১:১৯)
যে সামর্থ্যশালী, আরশের মালিকের নিকট মর্যাদাসম্পন্ন, (৮১:২০)
যাহাকে সেখানে মান্য করা হয়, যে বিশ্বাসভাজন। (৮১:২১)
আর তোমাদের সাথী উন্মাদ নয়, (৮১:২২)
সে তো তাহাকে স্পষ্ট দিগন্তে দেখিয়াছে, (৮১:২৩)
সে অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে কৃপণ নয়। (৮১:২৪)
এবং ইহা অভিশপ্ত শয়তানের বাক্য নয়। (৮১:২৫)
সুতরাং তোমরা কোথায় চলিয়াছ? (৮১:২৬)
ইহা তো শুধু বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ, (৮১:২৭)
তোমাদের মধ্যে যে সরল পথে চলিতে চায়, তাহার জন্য। (৮১:২৮)